মঙ্গলবার বিকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, সেখানে হাজার হাজার যাত্রী নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন। লোকজন লঞ্চ,সি-বোট না পেয়ে ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরিগুলোতে উঠে গাদাগাদি করে অপেক্ষা করছেন নদী পার হওয়ার জন্য। অনেকেই একসাথে বিকল্প হিসেবে ট্রলার ভাড়া করেও পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। করোনার ভয়ে ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকেই পাওয়া যাচ্ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, ঘাটে জনগণের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। ফেরি সীমিত আকারে এখনও সচল রাখা হয়েছে। তবে যে কোনো সময় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। লাশ, ওষুধ, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি গাড়ি পারাপারের জন্য দুয়েকটি ফেরি সচল রাখা হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা এমনটির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লোকজন ঘরে না থেকে এভাবে গ্রামমুখী হবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি।
লৌহজংয়ে এরই মধ্যে দশ হাজার লোকজন গ্রামে ছুটে এসেছেন। রাতের মধ্যে এর পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। লোকজনকে পারাপারের জন্য আমরা সন্ধ্যা নাগাদ সি-বোট ও লঞ্চ চলাচল সীমিত সময়ের জন্য খুলে দিতে যাচ্ছি, বলেন তিনি।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আক্কাস আলী জানান, ঘাটে জনগণের চাপে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট কিছু কিছু চলাচল করছে।