শিমুলিয়া
মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন ১৮ এপ্রিল থেকে শিমুলিয়ায় মোটরসাইকেলের জন্য ফেরি চলাচল শুরু করবে।
মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি রুটে প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর ফেরি সার্ভিস দেওয়া হবে।
রবিবার বিআইডব্লিউটিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া, একই দিনে বিআইডব্লিউটিসি’র যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি মধুমতি ঢাকা সদরঘাট (লালকুঠি) ঘাট থেকে চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠি-কাউখালী-হুলারহাট-চরখালী ও বড়মাছুয়া পর্যন্ত ঈদ যাত্রা শুরু করবে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
১ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি রুটে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার গভীর রাতে শরীয়তপুরের জাজিরার কাছে ফেরি বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পিকাপ চালক মো. খোকন (৪০) ঝালকাঠির বাসিন্দা।
লৌহজং থানার এসআই (উপপরিদর্শক) শাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। তদন্ত চলছে। লাশ তিন নাম্বার ফেরি ঘাটে আছে। দুর্ঘটনা কবলিত ফেরি দুটিতে অর্ধ শতাধিক যান এবং দুইতাধিক যাত্রী ছিল।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
ফেরি বেগম রোকেয়ার মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস জানান, সুফিয়া কামাল যাচ্ছিল উজানে আর বেগম রোকেয়া আসছিল ভাটিতে। সুফিয়া কামালকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল কিন্তু ফেরিটি অপেক্ষা করেনি। বেগম রোকেয়া ভাটিতে নামার সময় রাতে ইঞ্জিন কমিয়ে রাখলেও স্রোতের কারণে এই ঘটনা ঘটে।
ফেরি সুফিয়া কামালের মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ফেরিতে আগুন, হতাহত নেই
২ বছর আগে
শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ফেরি সচল
শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে বৈরি আবহাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সকাল-সন্ধ্যা চলাচলকারী স্পীডবোট এমনিতেই বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল করছে।
তবে এর আগে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত এক ঘন্টা লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ রাখা হয়। এই সমর ফেরি চলাচলও বিঘ্নিত হয়। তবে অবস্থা অনুকূলে থাকায় সব কিছু আবার স্বাভাবিক করা হয়। এই দুই নৌপথে সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করছিল। আর উভয় নৌ পথে ফেরি চলাচল করছে দিন রাত ২৪ ঘন্টা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় জানান, বর্তমানে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারি পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, ১ নম্বর স্থানীয় সঙ্কেত থাকলেও পদ্মা উত্তাল, ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার ভোর ৬টা থেকে লঞ্চ ও স্পীডবোট যথারীতি চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: প্রবল স্রোতে ফের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফেরি চলাচল শুরু
২ বছর আগে
কালবৈশাখী: শিমুলিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ফেরি সচল
কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীদের ফেরিতে করে পারাপারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মাইকিংও করা হয়েছে। ঘাটে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লঞ্চে উঠা যাত্রীদের ফেরিতে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক ও মাওয়া সহ-বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, কাল বৈশাখীর আশঙ্কা ও শিমুলিয়া নদী বন্দর অভ্যন্তরীণ নৌপথে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত বলবৎ থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম।
এই দুই নৌপথে ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছিল। ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করলেও ঈদের কারণে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুক্রবারও রাত ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ৬টা থেকে আবার চলাচল শুরু করে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: বরিশাল লঞ্চঘাটে যাত্রী কানায় কানায় পূর্ণ
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার পরিবর্তে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করে পদ্মা নদী পার হওয়ার অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি ফেরি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, তবে ঘাটে শৃঙ্খলা আছে।’
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় ফেরিতে বড় ধরনের যানবাহন পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না। ঘাটে গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
শিমুলিয়ায় নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। তবে ফেরি সঙ্কটে মানুষের বিড়ম্বনা চরমে।
বুধবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। রোজার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে ঘাট ব্যবহারকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ঈদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা ফেরি বৃদ্ধিসহ ঘাটের সুব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, এ বছর ফেরির সংখ্যা কম। ঈদের ২-৩ দিন আগে মানুষের ঢল নামবে। তাই ভোগান্তি এড়াতে আগে ভাগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঈদে পরিবহন খাতে ‘নৈরাজ্যের’ আশঙ্কা আরএসএফের
২ বছর আগে
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফেরি চলাচল শুরু
দীর্ঘ ১৩ দিন পর আবারও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক ফেরি সফলভাবে ঘুরে আসার পর সোমবার দুপুর থেকে চালু করা হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফেরি সার্ভিস। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারি আকারের ফেরি সীমিত আকারে চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ফেরিগুলো পদ্মা সেতু অতিক্রম করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছে।
এর আগে স্রোতের গতিবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। পরে গত ৪ অক্টোবর সীমিত চালু হলেও সাত দিনের মাথায় গত ১১ অক্টোবর আবার ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৪ ও ২৬ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল সফল হলেও ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘ দিন পরে ফেরি চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানিয়েছে, হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারী ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। এর আগে ১৫ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করলেও এখন চারটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া থেকে ৮৭ লঞ্চ ও ১০১ স্পিডবোটে যাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: উদ্ধার কাজ স্থগিত
ফেরি উদ্ধারে প্রয়োজনে বেসরকারি সহায়তা নেয়া হবে: বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান
৩ বছর আগে
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কাকে তুচ্ছ কোন ঘটনা ও নিছক কোন দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়া যাওয়া ভুল হবে। এখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না, অন্তর্ঘাত আছে কি না তদন্ত করে দেখতে হবে।
ফেরি ধাক্কার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বলবো এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করা দরকার। এখানে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।’
মন্ত্রী শিমুলিয়া বা বাংলাবাজার যে কোন একটি ঘাট স্থানান্তরের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কমিটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে উল্লেখ করে বলেন, সবগুলো বিষয় নিয়েই সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট কমিটির সভা থেকে সিদ্ধান্ত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো এর পিছনে অনেক লোক লেগে আছে। দেশ বিদেশ থেকেও লেগে আছে। বারবার কেন ঘটছে ধাক্কার ঘটনা। পদ্মা সেতু এখন জাতীয় সম্পদ। সারা দেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত আসে। সেতুটি গোটা জাতির সম্পদ। জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হয়েছে। এভাবে কেন বারেবারে পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগছে এর জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় সভাটি হবে।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক বানিজ্য আশিকুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
৩ বছর আগে
শিমুলিয়া ঘাটে গণপরিবহন ও নৌযানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
মুন্সীগঞ্জ, ০১ আগস্ট (ইউএনবি)- গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার পরও শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ফলে বাসে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনাল লোকারণ্য, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। কোনো কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী উঠাচ্ছে। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২৬টি চালু রয়েছে।
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও কমসংখ্যক লঞ্চ চলাচলের কারণ হিসেবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের লঞ্চ মালিক সেমি সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন খান জানান, সরকারের হঠাৎ লঞ্চ চলাচলের ঘোষণায় চালকেরা আসতে পারেননি। তিনি আরও জানান, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে তাদের পোষাবে না। তাই অনেক লঞ্চমালিক এত অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ চালাতে সম্মত হননি। তবে পরে সময় বাড়ানোর পর আরও কিছু লঞ্চ চালু হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রী নিয়ে নাটোর ছাড়ছে ঢাকাগামী বাস
রবিবার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে দেখা যায়, চন্দ্রেরবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা। কিছুতেই গাড়ি নড়ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটের বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি চালু রয়েছে। লঞ্চ চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কিছুটা কমলেও হাজার হাজার যাত্রী গাদাগাদি করেই ফেরিতে চেপে পদ্মা পার হচ্ছে।
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে চার লঞ্চকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, লঞ্চগুলোর ৫০ শতাংশ যাত্রী বহনের কথা থাকলেও কয়েক গুণ বেশি যাত্রী বহন করায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
৩ বছর আগে
শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষ হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিজীবিরা কাজে যোগদানের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে।
সোমবার ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ফেরিতে পার হতে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নামছে। ফলে মানুষের যাওয়া-আসায় খুবই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার উভয় ফেরিঘাট।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে নাড়ির টানে ছুটেছিলেন তারা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ। সেই সাথে শিমুলিয়া ঘাটের ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট ও প্রায় দুই শতাধিক ট্রলার বন্ধ রয়েছে। এসব গণনৌপরিবহন বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ রুটের যাত্রীরা ভিড় করছেন ফেরিগুলোতে। ১৮টি ফেরির প্রতিটিতেই একই রকমের গাদাগাদির চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি থেকে নেমে ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও ট্রাকে চড়ে রওনা হচ্ছে যাত্রীরা। ৭০ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে তাদের। ভোগান্তির শেষ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঈদের আগে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যেতে হয়েছে। এখন আবার কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে ফেরি ছাড়া সব নৌযান বন্ধ। ফলে ফেরিতেই সব চাপ। ফেরিতে মানুষ বেশি, গাড়ি কম। মানুষের চাপে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো যাচ্ছে না। ১৮টি ফেরি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শিমুলিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটি শেষ। তাই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সোমবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রীর চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসছিল। কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
৩ বছর আগে