মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম তার বাড়ির সাথে সরকারি রাস্তা সংলগ্ন সিম গাছ লাগায়। সোমবার ছাগল তার সিম গাছ খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী আজিজুল ইসলামের সঙ্গে জাহিদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাহিদুল ইসলাম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগমকে মারধর করে। পরে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসার চেষ্টা করেন।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে আজিজুল ইসলাম তার গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করার সময় জাহিদুল ও তার পালক বাবা বাবু, আশরাফুল ও হাসেনসহ ৪/৫ জন ধারাল অস্ত্র নিয়ে আজিজুল ইসলাম ও তার আত্মীয় ফরিদুলের ওপর হামলা চালায়। এসময় সেখানে সোহেল এগিয়ে গেলে জাহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে সোহেলকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং বুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে আত্মীয়-স্বজন সোহেলকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম ও সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে জাহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
ওসি বলেন, সোহেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।