হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ওই রোগীকে সেবা দিতে গড়িমশি করছে বলে অভিযোগ করেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন থেকে আসা ওই রোগীর ছেলে আব্দুর রকিব।
তিনি জানান, রবিবার তার বাবাকে প্রথমে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি না নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিতে বলে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর কোনোভাবেই শ্বাসকষ্ট ও কাশি না কমায় মঙ্গলবার রাত ৯টায় গাংনী হাসপাতলে নেয়া হয়। প্রথমে তাকে ভর্তি করতে অপারগতা দেখালেও নানান দেনদরবার ও তদবিরের পরে তাকে রাত সাড়ে ১২টায় ভর্তি নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই রোগী ভর্তি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে করোনা আতঙ্কে সেখানে আগে থেকে চিকিৎসাধীন বেশকয়েকজন রোগী হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলমের মোবাইল ফোনে বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তরুরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মো নাসির উদ্দীন জানান, মধ্য বয়সী ওই পুরুষ রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও অ্যাজমা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তার বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) যোগাযোগ করে সার্বিক বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। এখন তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোগীর নমুনা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
করোনা সংক্রমণের সচেতনতার জন্য ওই রোগীকে হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, বলেন তিনি।
সিভিল সার্জন আরও জানান, বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় ৯৭ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন, একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখন পর্যন্ত ৪৩১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।