কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।
সেইসঙ্গে যমুনা তীরবর্তী ৫টি উপজেলা কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙনও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি, খেয়াঘাট, গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভেসে গেছে স্পার বাঁধের ৪০ মিটার
এ ভাঙন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার জানান, রবিবার (১৩ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৫ মিটার। অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ মিটার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও মেঘাই পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, উজানে ভারী বর্ষণের ফলে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় যমুনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে এ দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এতে সিরাজগঞ্জ বন্যার তেমন কোনো আশংকা নেই।