বিপৎসীমা
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী ও লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার।
এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে নদী পাড়ের হাজারও মানুষ।
রবিবার সকাল ৬টায় হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড হয় ৫২ দশমিক ১৭ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
এর আগে শনিবার দুপুরে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়। ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় পানিবন্দি প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের মানুষ।
এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কিছু রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে গেছে পানির তোরে। আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি খেত ডুবে আছে।
একইসঙ্গে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরে মাছ।
মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। বাঁধ ভেসে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভাটিতে থাকা শত শত পরিবার।
সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এলাকার রশিদুল হক বলেন, রাতে পানির গর্জনে ঘুমাতে পারিনি। সলেডি স্প্যার বাঁধে ব্রিজ অংশের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এসময় বাঁধ কাঁপছিল। আমরা ভয় পেয়েছিলাম, সলেডি স্প্যার বাঁধ বুঝি ভেসে যায়। স্থানীয়রা রাত জেগে বাঁধে বস্তা ফেলে রক্ষা করেছে। বন্যার সময় নির্ঘুম রাত কাটে তিস্তাপাড়ের মানুষদের।
গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। আমাদের গ্রাম পানিতে ডুবে আছে। নৌকা দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির যোগাযোগ করতে হচ্ছে। ডুবে থাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
হাতীবান্ধার পশ্চিম বিছনদই গ্রামের তমিজ উদ্দিন বলেন, আমাদের গ্রামে ৩০০ পরিবারের বসবাস। সবাই শুক্রবার রাত থেকে পানিবন্দি। দিন যত যাচ্ছে পানিবন্দির সংখ্যা তত বাড়ছে। বন্যার সময় শিশু বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে বড় বিপদে পড়তে হয়। বন্যা হলেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। আমরা ত্রাণ নয়, চাই তিস্তার মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে ৩ থেকে ৩ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দি। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। শুকনো খাবার এখন পর্যন্ত বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মহিষখোচা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ৩ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দি। বাঁধগুলো রক্ষায় সাধারণ মানুষদের নিয়ে বস্তা ফেলে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, রবিবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, কিছু পরিবার পানিবন্দি। তাই তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী খুব দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে যাতে বাঁধ বা সড়ক ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত না হয়, ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। কিছু এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ খেত তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কুড়িগ্রামবাসী।
ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, রবিবার থেকে পানি কমতে পারে। তিস্তা বাদে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং কাঁচা সড়ক ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, তার উপজেলায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের খেত পানির নিচে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার নিচে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
২ মাস আগে
বিপৎসীমার নিচে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গোমতী নদীর পানি কমতে থাকায় কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে কুমিল্লাতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং উজান থেকে পানি না আসায় পানির স্তর নামছে।
গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর বুরবুড়িয়া বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি বের হয়ে যাওয়াও কমেছে। এর ফলে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পানি কমছে।
এছাড়া প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চল লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছে। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বন্যাদুর্গতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কুমিল্লায় পর্যাপ্ত ত্রাণ এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণলো বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
এছাড়াও বন্যার্তদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে ২২৫টি মেডিকেল টিম।
৩ মাস আগে
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে লস্করপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে খোয়াই নদীর উৎসস্থলে ব্যারেজের ৭টি গেইট খুলে দেওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
এছাড়া বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নদীর পানি মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯০ ও বাল্লা পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, ‘হবিগঞ্জের জালালাবাদে পুরোনো ভাঙন দিয়ে প্রবলবেগে নদীর পানি বের হয়ে যাওয়ায় হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
এছাড়া শামীম হাসনাইন আশা করছেন যে, উজানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে নদীর পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার আশঙ্কা
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যদিও এখনো বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
এদিকে পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িগুলোতে পানি ঢুকতে করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা
তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে পানি প্রবাহ বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ৩৭ সেন্টিমিটার নিচে। শনিবার বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তা প্রবাহিত হয়। শনিবার বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রের্কড করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘তিস্তার পানি বাড়ার ফলে মহিষখোচা এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পরেছে। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কায় মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ছাড়ছে বাসিন্দারা
সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
৫ মাস আগে
বিপৎসীমার ওপরে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা এলাকায় বুধবার (৩ জুলাই) সকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় শহরের মনু সেতুর কাছে চাঁদনীঘাটে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ এলাকায় কুশিয়ারার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নেই। গ্রামীণ সড়কটিই প্রতিরক্ষা বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নতুন করে ভাঙনের ফলে আশপাশের গ্রামগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপরে বইছে ১৬ নদীর পানি
কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। এর মধ্যে বুধবার সকালের দিকে হামরকোনা মসজিদের কাছে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে গ্রামের ভেতর পানি প্রবেশ করছে।
ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদীর পানি অনেক দিন ধরেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার ৯টায় জুড়ীর পানি বিপৎসীমার ১৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনার ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২০ ফুট জায়গা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের দিকে পানি ঢুকছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পানিপ্রবাহ বন্ধ করা না গেলে হামরকোনা, ব্রাহ্মণগ্রাম ও শেরপুর বাজারের একাংশ প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে মৌলভীবাজারে মনু, কুশিয়ারাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মনুর পানি মৌলভীবাজার শহরের মনু সেতুর কাছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। একই জায়গায় বুধবার সকালে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে সদর উপজেলার শেরপুরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল ৮ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার বা বিপৎসীমার নিচে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেখানে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলপুর ইউনিয়নের যেদিকে বাঁধ ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে, সে এলাকায় পাউবোর কোনো বাঁধ নেই। একসময় প্রতিরক্ষা বাঁধ হলেও এটি এখন মূলত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি গ্রামীণ সড়ক। কুশিয়ারা নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলে বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘কুশিয়ারায় পানি বাড়লে মনুর পানি কমবে না। কুশিয়ারা নদীর খলিলপুর এলাকায় পাউবোর স্থায়ী কোনো বেড়িবাঁধ নেই। হামরকোনায় এলজিইডির রাস্তা ভেঙে খলিলপুর ইউনিয়নে পানি ঢুকছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে কিছু ঘর-বাড়ি ও সবজির খেত।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, ‘৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ দশমিক ৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অনান্য নদ নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে নদ-নদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও দুই থেকে একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
চেরাপুঞ্জিতে ঢল, ফের পানিবন্দি সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা
৫ মাস আগে
বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকে ফুলগাজী কাঁচা বাজার-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি-সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী ও পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দক্ষিণ শালধর এলাকার মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। গত বছরের ভাঙা স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন মজুমদার বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার কথা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। লোকালয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আবু হেনা মেহেদী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। পুরো আমন মৌসুমে ৩০০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হবে। তবে আমন ধান রোপণের আরও মাসখানেক দেরি থাকায় ক্ষতির তেমন সম্ভাবনা নেই।’
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি থাকায় নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। সোমবার দুপুর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পানির চাপ আরও বাড়ায় ফুলগাজী বাজারসহ আশপাশে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।’
পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
বন্যার আশঙ্কায় মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ছাড়ছে বাসিন্দারা
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপরে বইছে ১৬ নদীর পানি
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ধরলার পানি তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকলেও এখনও বিপৎসীমার সামান্য নিচে রয়েছে। তবে পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে এসব নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের চর রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙছে। আমার বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পথে থাকায় অন্য স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, আরও ২-৩ দিন নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
যেসব এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে সেখানে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
৬ মাস আগে
হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ পরিবার
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের খোয়াই নদী ছাড়া জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে চারটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু বলেন, এরই মধ্যে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশকিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া পানিবন্দি ৫৫ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু।
এদিকে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী, ইনাতাবাদ, নিউমুসলিম কোয়ার্টার, উমেদনগর, শায়েস্তানগর এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ বলেন, বুধবার দুপুর ১টায় রিডিং অনুযায়ী শেরপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, মারকুলি পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার ও আজমিরীগঞ্জে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
শামীম মাহমুদ আরও বলেন, খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে (ভারতের ত্রিপুরায়) ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ও বন্যার পানিতে হাওরগুলো ডুবতে শুরু করেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
৬ মাস আগে