পানি
আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
উজানের ঢল ও বর্ষণে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার পানিতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার স্থানীয় ওয়াপদা বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড় থেকে ময়নাল সরকারের কবরস্থান পর্যন্ত তীব্র ভাঙনে কবলে পড়েছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিস, শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল, জালালপুর, কৈজুড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ও বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্য়াটার) নাজমুল হাসান বলেন, ‘যমুনায় পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নজর রাখছেন।’
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনায় আবারও পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা এলাকায় বুধবার (৩ জুলাই) সকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় শহরের মনু সেতুর কাছে চাঁদনীঘাটে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ এলাকায় কুশিয়ারার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নেই। গ্রামীণ সড়কটিই প্রতিরক্ষা বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নতুন করে ভাঙনের ফলে আশপাশের গ্রামগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপরে বইছে ১৬ নদীর পানি
কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। এর মধ্যে বুধবার সকালের দিকে হামরকোনা মসজিদের কাছে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে গ্রামের ভেতর পানি প্রবেশ করছে।
ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদীর পানি অনেক দিন ধরেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার ৯টায় জুড়ীর পানি বিপৎসীমার ১৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনার ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২০ ফুট জায়গা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের দিকে পানি ঢুকছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পানিপ্রবাহ বন্ধ করা না গেলে হামরকোনা, ব্রাহ্মণগ্রাম ও শেরপুর বাজারের একাংশ প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে মৌলভীবাজারে মনু, কুশিয়ারাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মনুর পানি মৌলভীবাজার শহরের মনু সেতুর কাছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। একই জায়গায় বুধবার সকালে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে সদর উপজেলার শেরপুরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল ৮ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার বা বিপৎসীমার নিচে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেখানে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলপুর ইউনিয়নের যেদিকে বাঁধ ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে, সে এলাকায় পাউবোর কোনো বাঁধ নেই। একসময় প্রতিরক্ষা বাঁধ হলেও এটি এখন মূলত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি গ্রামীণ সড়ক। কুশিয়ারা নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলে বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘কুশিয়ারায় পানি বাড়লে মনুর পানি কমবে না। কুশিয়ারা নদীর খলিলপুর এলাকায় পাউবোর স্থায়ী কোনো বেড়িবাঁধ নেই। হামরকোনায় এলজিইডির রাস্তা ভেঙে খলিলপুর ইউনিয়নে পানি ঢুকছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে কিছু ঘর-বাড়ি ও সবজির খেত।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, ‘৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ দশমিক ৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অনান্য নদ নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে নদ-নদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও দুই থেকে একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
চেরাপুঞ্জিতে ঢল, ফের পানিবন্দি সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা
দেশের ৪ জেলায় পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু
সিলেট, কুষ্টিয়া, রংপুর ও দিনাজপুরে পানিতে ডুবে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রংপুরে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রংপুর নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুরারঘাটে ঘাঘট নদীতে গোসল করতে নেমে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু আজমাইন (১১) স্থানীয় নর্থ বেঙ্গল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণি ও জিম (৭) ওই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আজমাইন ভুরারঘাট এলাকার আনিসুল ইসলামের মেয়ে এবং জিম একই এলাকার রতন মিয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার করে বলে জানান রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের টিম লিডার আতাউর রহমান।
এছাড়াও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢেপা নদীতে পড়ে বিশাল হেম্রম নামে এক আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরেকজন পানিতে পড়ে গেলেও তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিশাল হ্রেমম মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকদম গ্রামের অনিল হেম্রমের ছেলে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে বৈঠক হেম্রমের ছেলে লয়েন হেম্রমকে।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঢেপা নদীর পাড়ে খেলার সময় শিশু বিশাল ও লয়েন পানিতে পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা লয়েনকে উদ্ধার করতে পারলেও মারা গেছে বিশাল হেম্রম।
ওসি আরও জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে ডুবে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ছাকির প্রামাণিক (১৮) চর সাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে।
চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ বলেন, ছাকির বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটে পানিতে ডুবে নিম্বার আলী (৭০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিম্বার আলী শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তায় থাকা পানিতে ভুলবশত পা ফেলে গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে।
নিম্বার আলী উপজেলার ৩ নম্বর তেলিখাল ইউনিয়নের তেলিখাল গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফ আহমেদ বলেন, নিহতের লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসআই।
আরও পড়ুন: নদীতে পড়ে আদিবাসী শিশুর মৃত্যু
রংপুরে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বগুড়ায় মুরগির খামারিকে ড্রেনের পানিতে চুবিয়ে হত্যা
বগুড়ায় ইউনুছ আলী নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের পর ড্রেনে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালা কৈগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউনুস আলী বালা কৈগাড়ী গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন মুরগির খামারি।
আরও পড়ুন: বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ
নিহতের ছেলে গোলাম রসুল বলেন, আমার মানসিক বিকারগ্রস্ত বড় ভাই শাহীনের সঙ্গে প্রতিবেশী ওহাব আলীর স্ত্রীর রাস্তায় ধাক্কা লাগে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওহাব আলীসহ আরও কয়েকজন বড় ভাই শাহীনকে মারধর করে। পরে সন্ধ্যার দিকে আমি ও আমার বাবা ইউনুস আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তারা প্রথমে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার বাবা এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে এবং ড্রেনের কাদার ভেতরে মাথা চুবিয়ে হত্যা করে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, ইউনুস আলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রতিবেশী ওহাব আলীর সঙ্গে তার ছেলে শাহীনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউনুছ আলীকে মারধর করে ড্রেনে চুবিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওহাব আলীর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের আটক করা হয়নি। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটের জকিগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় পানিতে ডুবে মুনিয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে আমুয়া ইউনিয়নের বাসবুনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
মুনিয়া ওই গ্রামের সোহাগ হাওলাদারের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, মুনিয়া বাড়ির পেছনে খেলার সময় অন্য শিশুদের অগোচরে পুকুরে পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে মুনিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তাপস তালুকদার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
সিলেটে বন্যার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে সিলেট মহানগরীর মুক্তিরচক এলাকায় অভি (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ১টার দিকে শাহপরান থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিরচক এলাকার একটি খালে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
মারা যাওয়া অভি স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা যায়। তার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজমুল হোসেন।
তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে মুক্তিরচক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের একটি খালে গোসল করতে নেমে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করে।
সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার শহিদুল ইসলাম জানান, পানিতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্র। ফায়ার সার্ভিসের টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী ইউএনবি নিউজ চাঁদপুর PUBLISH-
চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ পরিবার
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের খোয়াই নদী ছাড়া জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে চারটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু বলেন, এরই মধ্যে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশকিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া পানিবন্দি ৫৫ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু।
এদিকে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী, ইনাতাবাদ, নিউমুসলিম কোয়ার্টার, উমেদনগর, শায়েস্তানগর এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ বলেন, বুধবার দুপুর ১টায় রিডিং অনুযায়ী শেরপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, মারকুলি পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার ও আজমিরীগঞ্জে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
শামীম মাহমুদ আরও বলেন, খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে (ভারতের ত্রিপুরায়) ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ও বন্যার পানিতে হাওরগুলো ডুবতে শুরু করেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা ও কুশিয়ারার নদীর পানি। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
এ অবস্থায় ফের বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন সিলেটের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার ও শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সিলেটে বৃষ্টিপাত ছাড়াও উজানে অর্থাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসব বৃষ্টির পানি সিলেটের নদ-নদী দিয়ে নেমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়। সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে। এছাড়া শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি প্রবাহের মাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। সুরমার পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারে।
অন্যদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শুক্রবার থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা আরও বেড়ে ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
হাজীগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে ওমর ফারুক (৬) ও ফাইজা আক্তার (৮) নামে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মে) উপজেলার দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের কিত্তনখোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
নিহত ওমর ফারুক ও ফাইজা আক্তার কিত্তনখোলা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ও মেয়ে।
স্বজনরা জানায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে ওমর ফারুক ও ফাইজা আক্তার বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে এক পর্যায়ে তলিয়ে যায় ও ডুবে মারা যায়। পরে তাদের পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। চিকিৎসক ডা. ফারহানা হোসেন তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. ফারহানা হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তারা উভয়ে মারা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় কোনো মামলাও হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে খালের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার