পানি
চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ও বালিয়া ইউনিয়নে পৃথক দুটি ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন— চান্দ্রা ইউনিয়নের খাদিজা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে আবু বকর (৭) এবং বালিয়া ইউনিয়নের শিশু মাকসুদা (২)।
নিহত খাদিজা স্বজনরা জানান, গতকাল স্বামী লোকমানসহ দুই ছেলেকে নিয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তারা ঢাকায় থাকেন, আজই (বুধবার) তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
স্বজনরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে খাদিজা গোসল করতে নামেন তাদের বাড়ির পুকুরে। তারা কেউই সাঁতার জানতেন না।
পুকুরে নামার পড়ে দুই ছেলেই পানিতে তলিয়ে গেলে মা বড় ছেলেকে উদ্ধার করে। পরে ছোট ছেলে আবু বকরকে উদ্ধার করতে খাদিজা আবার ডুব দিলে দুজনেই পানিতে তলিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিল্লাল রহমান তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে, সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাকসুদা নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ওসি মো. বাহার মিয়া ইউএনবিকে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৭ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে নয়ন মিয়া (১৩) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন নয়ন। এ সময় তারা জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে নয়ন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে তার সঙ্গী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৬ দিন আগে
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে জোয়ারের পানিই ভরসা, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
সুন্দরবনে নদ-নদী ও খাল জালের মতো বিস্তৃত। জোয়ারে পানি বাড়লে উপচে পড়ে নদী-খালের পানি, প্রবেশ করে সুন্দরবনে। কিন্তু সেই সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পর্যাপ্ত পানি মেলে না। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় একের পর এক বনভূমি পুড়তে থাকে। এমতাবস্থায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীদের। অনেক সময় আগুন নেভানোর জন্য ভরসা করতে হয় জোয়ারের পানির ওপর—কখন জোয়ার হবে। এমনকি ভাটার সময় নদীতে পানি না থাকলে, বন্ধ হয়ে যায় আগুন নেভানোর কাজও। এ অবস্থায় পানির উৎস তৈরি করতে সুন্দরবনের মধ্যে বড় বড় পুকুর খনন করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বন অধিদপ্তর। একই সঙ্গে পানি প্রবাহ বাড়াতে সুন্দরবনের নদী-খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনে জরুরি প্রয়োজনে পানির চাহিদা মিটবে। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী তাদের পানির চাহিদাও মেটাতে পারবে সহজে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সুন্দরবনের শাপলার বিলে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে বন বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়েছে—কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায়। পানির জন্য প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের ভোলা নদীতে পাম্প মেশিন বসিয়ে পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। তবুও চাহিদা মাফিক সার্বক্ষণিক পানি মেলেনি ভোলা নদীতে। জোয়ারের পানির জন্য ফায়ার সার্ভিসের এবং বন কর্মীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। জোয়ারে সময় পানি মিললেও ভাটার সময় নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে আগুনে পানি ছিটানোর কাজ—দীর্ঘায়িত হয় আগুন নেভানোর কাজ। পুনরায় জোয়ারের জন্য তাদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ভোলা নদীর তলদেশ পলিমাটি জমে ভরাট হওয়ার কারণে জোয়ারের সময়েও পর্যাপ্ত পানি প্রবেশ করে না। আর ভাটার সময়তো নদীতে পানি থাকে না। ভোলা নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলে অনেক আগেই শাপলার বিলের আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হতো বলে জানিয়েছে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ৪ একর বনভূমি পুড়ে ছাই, আগুন নিয়ন্ত্রণে
শুধু সুন্দরবনের শাপলার বিলের আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়েছে—এমন নয়। বনের এই অংশ বিভিন্ন সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় একই অবস্থা তৈরি হতে দেখা গেছে অতীতেও। দ্রুত পানি দিতে না পারায় আগুনের ব্যাপকতা বেড়েছে। কয়েক কিলোমিটার দূরে নদীতে পাইপলাইন স্থাপন করে পানি নিয়ে আগুনে ছিটানো হয়। কাছাকাছি পানির উৎস থাকলে সহজে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো যেত। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় প্রায় প্রতিবার আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয়।
কয়েকটি সূত্র জানায়, শুধু ভোলা নদী নয়। সুন্দরবনের মধ্যে খড়মা, আড়ুয়ারবের নদীসহ বিভিন্ন নদী এবং খাল পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। জোয়ারে পর্যাপ্ত পানি নদী-খালে প্রবেশ করতে পারে না। আর ভাটার সময় অনেক নদী-খাল পানিশূন্য থাকে। নদী-খালে পানি না থাকলে বনসংলগ্ন গ্রামের মানুষ অহরহ সুন্দরবনে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে অনেকে আবার তাদের গবাদি পশু সুন্দরবনে চড়ায়। নদী-খালে পানি প্রবাহ থাকলে মানুষ যত্রতত্র সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পরবে না। আর গবাবি পশু নদী-খাল পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনে বিচরণ সম্ভব হতো না। আর সুন্দরবনে আগুনের মতো ঘটনা ঘটলে নদী-খাল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো সহজ হতো। যুগযুগ ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খাল পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে আছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল নদী-খাল খননের।
সুন্দরবন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে প্রায় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল রয়েছে। এসব নদ-নদী ও খাল সমগ্র সুন্দরবনে জালের মতো ছড়িয়ে আছে। অধিকাংশ নদ-নদী ও খাল দীর্ঘদিন ধরে পুনঃখনন না করায় তলদেশ পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এসব নদ-নদী ও খাল পুনঃখনন করা হলে পানি সংকট দূর হবে। পাশাপাশি বন সংলগ্ন গ্রামের মানুষ যত্রতত্র সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে না। আর সুন্দরবনে গবাদি পশুর বিচরণ ঠেকানো যাবে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সাকরিয়া হায়দার জানান, সুন্দরবনের শাপলার বিল এলাকায় রবিবার দুপুরে জ্বলতে দেখা আগুন নেভানোর কাজে ৮টি ফায়ার স্টেশন, বন বিভাগ এবং স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ভোলা নদীতে পাইপ লাইন স্থাপন করে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। শুধুমাত্র জোয়ারের সময় ভোলা নদীতে পানি পাওয়া গেছে। ভাটার সময় নদীতে পানি না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ রাখতে হয়। পুনরায় জোয়ারের পানির জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভোলা নদীতে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত পানি পাওয়া গেলে একদিনের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো যেত।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ওই এলাকার কাছাকাছি পানির উৎস নেই। একারণে ৩ কিলোমিটার দূরে ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে আগুনে ছিটানো হয়। শুধুমাত্র জোয়ারের সময় পানি মিলেছে ভোলা নদীতে। পানির অভাবে ভাটার সময় আগুনে পানি ছিটানো যায়নি। সার্বক্ষণিক পানি থাকলে অনেক আগেই আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হতো।
ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম আরও জানান, সুন্দরবনের ভোলা, আড়ুয়ারবের এবং খড়মা নদীসহ বিভিন্ন নদী-খাল পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে আছে। এ কারণে নদী-খালে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ভাটার সময় নদী-খালে পানি না থাকায় বনসংলগ্ন গ্রামের মানুষ অবৈধভাবে অহরহ সুন্দরবনে প্রবেশ করছে। সেই সঙ্গে আইনভঙ্গ করে মানুষ তাদের গবাদি পশু সুন্দরবনে বিচরণ করাচ্ছে। নদী-খালে পানি প্রবাহ থাকলে মানুষ এবং গবাদি পশু এইভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন, পানির উৎসের অভাবে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন পিসি বারুইখালী গ্রামের ধানসাগর টহল ফাঁড়ি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের লিডার লুৎফর রহমান জানান, সুন্দরবনের শাপলার বিলে জ্বলতে থাকা আগুন নেভানোর কাজে অন্যদের সঙ্গে সে নিজেও অংশ নিয়েছে। ভোলা নদীর জোয়ারের পানি আগুন নেভানোর একমাত্র ভরসা ছিল। জোয়ারের সময় আগুনে পানি দিতে পারলেও ভাটায় সময় নদীতে পানি না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ ছিল। নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বনসংলগ্ন গ্রামের মানুষ যত্রতত্র সুন্দরবনে প্রবেশ করে। কেউ কেউ তাদের জ্বালানি কাঠ সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করে। দ্রুত নদী-খাল খনন করার দাবি জানান লুৎফর রহমান।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনে শাপলার বিল এলাকার কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়। একারণে সুন্দরবনের মধ্যে পানির উৎস তৈরি করতে ফাঁকা স্থানে বড় বড় পুকুর খননের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে পানি প্রবাহ বাড়াতে সুন্দরবনের ভোলা, খড়মা ও আড়ুয়ারবের নদী এবং খাল পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জোয়ারের পানি যাতে সহজে বনভূমিতে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য নদীর উঁচু পার নিচু করা হবে। সুন্দরবনের মধ্যে পানির উৎস সৃষ্টি এবং পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা গেলে জরুরি প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বন্যপ্রাণী তাদের পানির চাহিদা মেটাতে পারবে।
২০ দিন আগে
ঠান্ডা না গরম পানি পান করবেন?
পানি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে পানির তাপমাত্রা আপনার শরীরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন যে গরম বা ঠান্ডা পানি কোনটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পান করা বেশি উপকারী। এটি আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ, পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।
গরম পানি পান করার উপকারিতা
ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ অনুযায়ী, ২০২০ সালের একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে গরম পানি কাশি (৭১ শতাংশ), শ্বাসকষ্ট (৭১ শতাংশ) এবং স্থূলতা (৫৭ শতাংশ) কমাতে সহায়ক। উষ্ণ পানি পানের কয়েকটি মূল উপকারিতা নিম্নরূপ:
হজমে সহায়তা করে
গরম পানি খাবার ভেঙে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে। এটি হজম এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, যার ফলে খাবার ভালোভাবে পরিপাক হয়। খাবারের আগে গরম পানি পান করা হজমে সহায়ক হতে পারে।
তবে খুব বেশি গরম পানি পান করা উচিত নয়, কারণ এটি জিহ্বা, তালু এবং খাদ্যনালীর ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত গরম পানীয় গ্রহণ খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরো পড়ুন: ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর? সাবধানতা ও করণীয়
নাক ও বুকে জমে থাকা কফ দূর করে
যদি নাক বা বুকে কফ জমে থাকে—তাহলে গরম পানি তা শিথিল করতে সহায়তা করতে পারে। এটি গলা ব্যথা উপশম করতে পারে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সহায়ক।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
গরম পানি রক্তনালী প্রসারিত করে, যা অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক।
৪৯ দিন আগে
বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে খালের পানিতে ডুবে ফাহিমা বেগম নামে তিন বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নকিখালী এলাকায় লিলু মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহত ফাহিমা হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার যাত্রাপাশা গ্রামের আবিদুর ইসলাম সাগরের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই শিশু পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির পাশে একটি খালের পাড়ে খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরিবারের লোকজন খালের পানিতে তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পিতা আবিদুর ইসলাম সাগর বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ কলোনিতে বসবাস করছেন। সকাল ১০টার দিকে তার মেয়ে ফাহিমাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরে সকাল ১১টার দিকে কলোনির পাশে খালে মেয়ের লাশ ভেসে উঠতে দেখে তাকে উদ্ধার করে কাদিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মামুন মিয় বলেন, ফাহিমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
১৬৩ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে গোসল করতে নেমে জাওয়াত আহমেদ নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নিহত জাওয়াদ (২৫) ময়মনসিংহ জেলা শহরের নাহার রোডের ডা. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাওয়াত আহমদসহ কয়েকজন মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে জাওয়াদ স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
১৮৬ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্ট ৬৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, শহরের হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৬২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার। অন্যদিকে কাজিপুর পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, যমুনার শাখা নদীগুলোর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আরও দুই দিন ধরে যমুনার পানি বাড়তে থাকবে উল্লেখ করে মোখলেসুর রহমান বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া বন্যারও কোনো আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
১৯৮ দিন আগে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ও শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বেড়েছে ভাঙনের আতঙ্ক।
উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার কৃষক ছামাদ আলী বলেন, ‘বানের পানি নামছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকা শাক-সবজির ক্ষতি নিয়ে অনেক চিন্তিত আমরা। এর মধ্যে পানি নামার পর নদী ভাঙন হতে পারে। ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটা হারিয়েছি, এবার যে আবার কপালে কী আছে কে জানে।’
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। এতে বন্যার ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু হয়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার রাত থেকে তিস্তার পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
সোমবার দুপুর ১২টায় পাউবো জানায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, তিস্তাপাড়ে বন্যায় আগাম শীতকালীন শাক-সবজির অনেক খেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে এসব ফসলের বেশ ক্ষতি হবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হতে পারে।
এছাড়া নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী।
লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র,
রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী রক্ষা বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা এলাকা মনির মিয়া জানান, ঘরের ভেতর নদীর পানি ঢুকে পড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছি। বাঁধের ওপর পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হচ্ছে।
পাকার মাথা এলাকার বাসিন্দা নবিয়ার রহমান জানান, আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির ধান চালসহ সবকিছু পানির নিচে। এখন বাঁধে এসে থাকতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামা শুরু হয়েছে। তিস্তাপাড়ে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি হারে ১৫ টন জিআরের চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
১৯৮ দিন আগে
মেহেরপুরে পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ফাতেমা খাতুন (১২) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ফাতেমা খাতুন করমদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমারুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে প্রতিবন্ধী ফাতেমা খাতুন তার চাচা এনামুল হকের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সন্ধানী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
২০০ দিন আগে
নওগাঁয় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নওগাঁয় পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে হুজায়ফা (৩) ও মাইশা আক্তার (৩) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপির উত্তর ভীমপুর গ্রামের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পরে মাইশার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে শনিবার মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের উত্তর পারইল দিঘিপাড়া এলাকায় একটি দিঘির পানিতে পরে হুজায়ফার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
হুজায়ফা ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং মাইশা আক্তার ওই একই গ্রামের ট্রাক ডাইভার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
হুজায়ফার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হুজায়ফা দিঘির পাড়ে ফারজানা নামের এক শিশুর সঙ্গে খেলা করছিল। খেলাধুলার এক পর্যায়ে হুজায়ফা দিঘির পানিতে পাড়ে যায়। পরে হুজায়ফাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মাইশার মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মাইশার দাদি অসুস্থ অনুভব করায় রাত ৯টার সময় গ্রাম ডাক্তারের বাসায় ওষুধ নিতে যান। মাইশাও তার দাদির পেছনে পেছনে যায়। তার দাদি বুঝতে না পারাই সে নিজ বাসায় চলে আসেন। বাসাতে শিশুটি না থাকায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে নওহাটা পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়। ফাঁড়ি পুলিশ রাত ১১টার সময় নিহত শিশুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
মাইশা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জিয়া।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু
২০০ দিন আগে