পানি
বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে খালের পানিতে ডুবে ফাহিমা বেগম নামে তিন বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নকিখালী এলাকায় লিলু মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহত ফাহিমা হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার যাত্রাপাশা গ্রামের আবিদুর ইসলাম সাগরের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই শিশু পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির পাশে একটি খালের পাড়ে খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরিবারের লোকজন খালের পানিতে তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পিতা আবিদুর ইসলাম সাগর বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ কলোনিতে বসবাস করছেন। সকাল ১০টার দিকে তার মেয়ে ফাহিমাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরে সকাল ১১টার দিকে কলোনির পাশে খালে মেয়ের লাশ ভেসে উঠতে দেখে তাকে উদ্ধার করে কাদিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মামুন মিয় বলেন, ফাহিমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
১ সপ্তাহ আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে গোসল করতে নেমে জাওয়াত আহমেদ নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নিহত জাওয়াদ (২৫) ময়মনসিংহ জেলা শহরের নাহার রোডের ডা. আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাওয়াত আহমদসহ কয়েকজন মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে জাওয়াদ স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্ট ৬৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, শহরের হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৬২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার। অন্যদিকে কাজিপুর পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, যমুনার শাখা নদীগুলোর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আরও দুই দিন ধরে যমুনার পানি বাড়তে থাকবে উল্লেখ করে মোখলেসুর রহমান বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া বন্যারও কোনো আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
১ মাস আগে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ও শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বেড়েছে ভাঙনের আতঙ্ক।
উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার কৃষক ছামাদ আলী বলেন, ‘বানের পানি নামছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকা শাক-সবজির ক্ষতি নিয়ে অনেক চিন্তিত আমরা। এর মধ্যে পানি নামার পর নদী ভাঙন হতে পারে। ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটা হারিয়েছি, এবার যে আবার কপালে কী আছে কে জানে।’
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। এতে বন্যার ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু হয়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার রাত থেকে তিস্তার পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
সোমবার দুপুর ১২টায় পাউবো জানায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, তিস্তাপাড়ে বন্যায় আগাম শীতকালীন শাক-সবজির অনেক খেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে এসব ফসলের বেশ ক্ষতি হবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হতে পারে।
এছাড়া নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী।
লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র,
রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী রক্ষা বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা এলাকা মনির মিয়া জানান, ঘরের ভেতর নদীর পানি ঢুকে পড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছি। বাঁধের ওপর পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে থাকতে হচ্ছে।
পাকার মাথা এলাকার বাসিন্দা নবিয়ার রহমান জানান, আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির ধান চালসহ সবকিছু পানির নিচে। এখন বাঁধে এসে থাকতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামা শুরু হয়েছে। তিস্তাপাড়ে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি হারে ১৫ টন জিআরের চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
১ মাস আগে
মেহেরপুরে পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ফাতেমা খাতুন (১২) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ফাতেমা খাতুন করমদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমারুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে প্রতিবন্ধী ফাতেমা খাতুন তার চাচা এনামুল হকের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সন্ধানী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
১ মাস আগে
নওগাঁয় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নওগাঁয় পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে হুজায়ফা (৩) ও মাইশা আক্তার (৩) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপির উত্তর ভীমপুর গ্রামের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পরে মাইশার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে শনিবার মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের উত্তর পারইল দিঘিপাড়া এলাকায় একটি দিঘির পানিতে পরে হুজায়ফার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
হুজায়ফা ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং মাইশা আক্তার ওই একই গ্রামের ট্রাক ডাইভার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
হুজায়ফার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হুজায়ফা দিঘির পাড়ে ফারজানা নামের এক শিশুর সঙ্গে খেলা করছিল। খেলাধুলার এক পর্যায়ে হুজায়ফা দিঘির পানিতে পাড়ে যায়। পরে হুজায়ফাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মাইশার মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মাইশার দাদি অসুস্থ অনুভব করায় রাত ৯টার সময় গ্রাম ডাক্তারের বাসায় ওষুধ নিতে যান। মাইশাও তার দাদির পেছনে পেছনে যায়। তার দাদি বুঝতে না পারাই সে নিজ বাসায় চলে আসেন। বাসাতে শিশুটি না থাকায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে নওহাটা পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়। ফাঁড়ি পুলিশ রাত ১১টার সময় নিহত শিশুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
মাইশা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জিয়া।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে সানজিদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাণীশংকৈল পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভান্ডারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত সানজিদ ওই গ্রামের ফল ও সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, রান্নাঘরে সানজিদের মা কাজ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর সানজিদকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি থেকে সানজিদকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু
১ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং যমুনা নদীর পানি কমতে পারে।
এছাড়াও আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর পানির স্তরও অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা কমতে পারে।
অন্যদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির স্তর বাড়ছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে এবং তা বিপৎসীমার নিচেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়াও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়লেও কমছে সুরমা নদীর পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে সাঙ্গু নদীর পানি বাড়ছে। অন্যান্য প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় এ অঞ্চলের প্রধান নদী মুহুরী, গোমতী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী প্রভৃতি নদীর পানি কমতে পারে।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত আরও আটজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ১১ জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে নিহতদের মধ্যে ফেনী ও কুমিল্লায় তিনজন এবং নোয়াখালীতে দুজন মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত ফেনীতে ২৬ জন, কুমিল্লায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
২ মাস আগে
আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি, ২ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে ১৬টি জলকপাট
কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছালে বাঁধের ১৬টি জলকপাট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) থেকে দুই ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে পানির স্তর ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এর আগে শুক্রবার জলকপাট এক ফুট খোলা থাকলেও রাতেই পানি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩৯ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। তবে পানি ছাড়লেও ভাটি অঞ্চলের কোনো ক্ষতি হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, হ্রদের পানির স্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে হ্রদের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। ওইদিন রাত ১০টায় পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পর্যবেক্ষণ করার পর সময় পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৪ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
২ মাস আগে
দিনাজপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ভানু রানী রায় নামে ১৫ মাসের শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার শতগ্রাম ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভানু রানী রায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী দেবারুপাড়া এলাকায় ধর্ম নারায়ণ রায়ের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ভানুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বসতবাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
শতগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর আলী বলেন, ‘অভিভাবকরা বাসার কাজে ব্যস্ত থাকায় অসাবধানতার করণে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
বীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে শিশুর লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২ মাস আগে