পানি
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলার গোহাট গ্রামের পুকুরে ডুবে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাবুল হোসেনের মেয়ে ইভা সুলতানা ও ওই গ্রামের আরিফুর রহমানের মেয়ে সায়রা রহমান আদিবা। মেয়ে দুইটি সম্পর্কে চাচাতো বোন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
এদের দুইজনের বয়স পাঁচ বছর এবং এরা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে খেলার সময় শিশুরা পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে শিশুরা খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পাবনায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
জামালপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
জামালপুরের ইসলামপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার সিরাজাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো-উপজেলার সিরাজাবাদ গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে মো. সীমান্ত (৭) এবং একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে মো. মিনাল (৮)।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, তারা দুজন একসঙ্গে সিরাজাবাদ গ্রামে নির্মাণাধীন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় পলাবান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পানিতে ডুবে একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় সিরাজাবাদ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ঈদে নানাবাড়িতে এসে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে খাদ্যনালিতে পানি আটকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু!
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পানি পান করার সময় খাদ্যনালিতে পানি আটকে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ মে) বেলা ১১টায় কাজিপুর পৌর এলাকার বিয়াড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
মৃত আইয়ুব সরকার ওরফে রতন (১৬) ওই গ্রামের মৃত বাহাদুর সরকারের ছেলে। সে স্থানীয় শ্যামপুর মাধ্যমিক ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের বিল্ডিং মেইনটেইন্স টেড্রের পরিক্ষার্থী হিসেবে চলতি বছর উপজেলা সদর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩ মে) সকালে রতন ভাত খাওয়ার পর পানি পান করার সময় তার খাদ্যনালীতে পানি আটকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্বজনরা তাকে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার বলেন, মর্মান্তিক ঘটনাটি শুনেছি।
তবে এটি থানা পুলিশের করণীয় কোনো বিষয় নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু, আহত ১
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পানিতে ডুবে আপন দুই চাচাত-জ্যাঠাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের আলসিয়া পাড়া এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহাদী (১৩) ও ফারাবী (১২) ওই পাড়ার সাজিদুল ইসলাম সাজু ও সোহান মিয়ার ছেলে। সাজিদুল প্রবাসী দেশের বাহিরে আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে মাটি উত্তোলন করে নিহতের পরিবার। সেই খালটি অনেক গর্তে পরিণত হয়ে পানি জমে যায়। দুপুরের দিকে পরিবারের অজান্তেই শিশু দুটি খালের পানিতে পরে। পরিবারের লোকজন তাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে খালটিতে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খাল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিমখাঁন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক পাটোয়ারী নয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার ইউনিয়নের আলসিয়ার পাড়া এলাকায় দুপুরের দিকে দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে শুনেছি।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ অফিসিয়ালি আমাকে জানায়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাজি ধরে নদে ঝাঁপ: ৫ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ধানখেতের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
‘পানির প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার ও অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে’
পানি আমাদের এই বিশ্বের প্রাণের উৎস। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অবকাঠামো পর্যন্ত সবকিছুতেই মানুষের টিকে থাকা ও ভালো থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য পানি অপরিহার্য।
কিন্তু এই প্রাণের উৎসের প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার হচ্ছে, অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে। এদিকে চলতি দশকের শেষ দিকে পানির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন পানির প্রাকৃতিক চক্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে দূষণ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পানিজনিত দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, পানির স্বল্পতা ও খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃংখলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য এসব ব্যর্থতার কারণে শত কোটি মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মানুষগুলো নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন: প্রথম জাতিসংঘ পানি সম্মেলন নিউইয়র্কে শুরু ২২ মার্চ
বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে এখন পানির সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে উন্মুক্ত জলপ্রবাহ ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে, নতুবা উচ্চমূল্যে তথাকথিত নিরাপদ পানি কিনে। ২২ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত পরিবেশে কিংবা অপরিচ্ছন্ন, বিপজ্জনক অথবা ভাঙাচোরা শৌচাগারে মলমূত্র ত্যাগ করছে এবং ৪৪ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্জ্য পানি অপরিশোধিত অবস্থায়ই প্রকৃতিতে ফিরছে। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হচ্ছে।
সংক্ষেপে বললে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে আমাদের যে লক্ষ্য তা থেকে আমাদের বিশ্ব বিপজ্জনকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে।
এ বছরের বিশ্ব পানি দিবস মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষা, টেকসই ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের ব্যক্তি ও সামগ্রিক পর্যায়ে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
জাতিসংঘ পানি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এই সময়টা সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকার, স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়িক সমাজ, বিজ্ঞানী, তরুণ সমাজ, নাগরিক সংগঠন ও সমাজকে সম্মিলিতভবে কাজ করার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন ধারণা প্রণয়ন ও বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে জি-২০ এর নেতৃত্বে সরকার, ব্যবসায়িক সমাজ ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি কাটিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করতে হবে।
অপচয় করার মতো এক মুহূর্তও আমাদের হাতে নেই। আসুন, ২০২৩ সালকে আমরা পরিবর্তন এবং মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষায় বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করি।
আসুন, পানির সুরক্ষা, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সবার জন্য সমহারে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি পানে ১২ গরু-মহিষের মৃত্যু
চট্টগ্রামে কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি পানে ১২ গরু-মহিষের মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে ১২টি গরু-মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জড়ো হয়ে মরা গরু-মহিষগুলো নিয়ে রাষ্ট্রয়াত্ব সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) ভিতরে অবস্থিত ডিএপি সার কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া খালের পাড়ে গবাদি পশুগুলো মারা যায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএপি কর্তৃপক্ষ। ডিএপি সার কারখানার পক্ষ থেকে এদের মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে পোস্টমর্টেমের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ৩
স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ জানান, সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের মিশ্রিত পানি গ্রামের খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। প্রায় সময় এসব বিষাক্ত পানি খেয়ে গাবাদি পশুর মৃত্যু হয়।
এছাড়া বুধবার বিকাল থেকে ১২টি গরু মহিষ মারা গেছে।
এর মধ্যে মো. এরফানের একটি মহিষ, মো. ইব্রাহিমের একটি গরু, মো. কাশেমের তিনটি গরু, জহুরলাল সিংহের একটি গরু, মো. ছৈয়দ জামালের একটি গরু, মো. একরামের দুইটি মহিষ, মো. জাকিরের একটি মহিষ, মো. কামাল হোসেনের একটি মহিষ, মো. পারভেজের একটি গরু রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ইউএনবিকে বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার বিষাক্ত পানির কারণে অনেক গরু-মহিষ মারা গেছে। আমরা বার বার স্থায়ী একটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে আসলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। এবার গরু-গহিষ মারা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছে।
রাতে মৃত পশুগুলোর পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিবে বলেছে ডিএপি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান জানান, সিইউএফএল তিন মাস ধরে বন্ধ। কারখানা এখন উৎপাদনে নেই। আমাদের বিষাক্ত পানি বের হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
তবে ডিএপি সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, আমাদের কারখানা থেকে যে পানি বের হয় তাতে পশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তারপরও মৃত পশুগুলো পোস্টমর্টেম করে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ মে বারশত ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামে কারখানার বজ্রমিশ্রিত পানি খেয়ে ১২ মহিষ মারা যায়। ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল মারা যায় ১৩টি মহিষ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন এসিল্যান্ড
চট্টগ্রামে সালিসি বৈঠকে হামলা, যুবক নিহত
তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের আরও দুটি খাল খনন পরিকল্পনায় বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন করে একতরফাভাবে সাধারণ নদী থেকে আরও বেশি পানি প্রত্যাহার করার জন্য কথিত পদক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘(স্থায়ী কমিটির) বৈঠকে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি সই না করেই আরও দুটি খাল খননের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে (অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে) বঞ্চিত করার চেষ্টা।’
সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ‘হাঁটু গেড়ে’ বৈদেশিক নীতি এবং পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতীয় সংবাদ আউটলেট দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের অধীনে আরও দুটি খাল খনন ও সেচের পানি চ্যানেলাইজ করতে প্রায় এক হাজার একর জমির অধিগ্রহণ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিস্তা ও জলঢাকা থেকে পানি তোলার জন্য একটি ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত খনন করা হবে এবং তিস্তার বাম তীরে আরেকটি ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল তৈরি করা হবে। এতে প্রায় এক লাখ কৃষক উপকৃত হবে।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ১৯৭৫ সালে ভারত সূচনা করেছিল। উত্তরবঙ্গের ৯ দশমিক ২২ লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি নদীর উভয় তীরে খালের মাধ্যমে চ্যানেলাইজ করে।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী থেকে পানি ভারতের প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর অংশ শুকিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পটি কৃষি, বাস্তুতন্ত্র এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের অপেক্ষায় থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর বিরোধিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় বালতির পানিতে ডুবে ১৩ মাস বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম লাবিবা আক্তার রিমু। সে রাজাগাঁও ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি বাড়ির পাশে দাদির সঙ্গে হাঁটছিল। এক সময় শিশুটি দাদির অজান্তে বাড়ির দিকে ফিরে টিউবওয়েলের কাছে চলে যায়। সেখানে পানি ভর্তি একটা বালতি রাখা ছিল। বালতিতে সে উল্টে পড়ে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বালতি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে নদীর পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নগরকান্দায় ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নিকলীতে নদীর পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় নদীর পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সিংপুর এলাকায় ধনু নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহমুদুল হাসান (৬) উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতারকান্দি গ্রামের হাদিস মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধানখেতের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে ধনু নদীর পাড়ে চলে যায় মাহমুদুল হাসান। এক পর্যায়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় সে। এ সময় একই এলাকার আরেক শিশু ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মাহমুদুলের বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহমুদুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পৌর এলাকার পুয়ালী-মাদারীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দেড় বছর বয়সী মাইসা পৌর এলাকার পুয়ালী-মাদারীপুর গ্রামের আব্দুল রহিম মুন্সির মেয়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশু মাইসা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। এ সময় হঠাৎ করে পা পিছলে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত মাইসার বাবা বলেন, আমার আদরের মেয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। এই শোক আমরা কীভাবে সইবো।
এ ব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান লাবু তালুকদার বলেন, শিশুটি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু