সিলেটের ওসমানীনগরে ট্রাকভর্তি চোরাই চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা। একই সঙ্গে চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাদিপুর সেতু এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমার বারখলার ৪৫ রূপালি আবাসিক এলাকার মো. সোলেমান হোসেন সুমন (৪২) এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভার্থখলার সোনালি ২২ আবাসিক এলাকার মো. আবদুল মান্নান (৪৩)।
এছাড়াও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সিলেট সদর উপজেলার বটেশ্বরের মলাইটিলার মনির আহমদ (৩২), জৈন্তাপুরের বাঘেরখালের তোফায়েল আহমদ (২৬), একই এলাকার মো. শাহীন আহমদ (২৫) ও গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর তৃতীয়খণ্ডের নজরুল ইসলাম (৪২)।
ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) আরাফাত জাহান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিলেট সীমান্ত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাকটিকে সিলেট থেকে পিছু ধাওয়া করেন আটক হওয়া বিএনপির দুই নেতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। তারা শেরপুর এলাকায় পৌঁছার পর ট্রাকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। জনতা বুঝতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। তখন আটক দুজন নিজেদের বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা চিনির ট্রাকটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিলেট থেকে ধাওয়া করেন।
আরাফাত জাহান জানান, সাদিপুর সেতুর সামনে থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ভারতীয় চিনিভর্তি একটি ট্রাক, দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল। এদের মধ্যে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত চারজন এবং চিনির চালান ছিনতাইয়ের চেষ্টার দায়ে দুইজনকে আটক করা হয়।
ওসি জানান, আটক হওয়া ছয়জনের মধ্যে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং অপর চারজনের বিরুদ্ধে চোরাচালান দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।