মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বলেন, রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা সাইদুরকে রবিবার সকালে পিবিআই অফিসে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিকালে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সাইদুরের দেয়া খবরের ভিত্তিতেই রায়হানকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসে। তাই তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর রাতে সাইদুরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই রায়হানকে ধরে এনেছিল পুলিশ। এরপর তার ওপর পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে নগরীর নেহারিপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।