বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘের পাড় থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কাঠমিস্ত্রীর স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈসহ (৪০) চারজনকে আটক করেছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেণ বাড়ৈ দাবি করেন, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈর সাথে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মম্মথ বাড়ৈর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝড়গা হত। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। কিন্তু, এতেও কোনো কাজ হয়নি। সুবর্ণা প্রেমিককে দিয়ে কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হয়। কমলেশের নিখোঁজের ঘটনায় গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডির সূত্রধরে পুলিশ তদন্তে নামে।
মঙ্গলবার মম্মথের মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামে এক লোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পরে। এ ঘটনায় জড়িত কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ, সুবর্ণার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ, সহযোগী বিষ্ণু বাড়ৈ ও মম্মথের বন্ধু কালু বাড়ৈকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত মম্মথ বাড়ৈকে আটকে অভিযান চলছে, বলেন তিনি।