রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মরিয়ম বেগম(২৩) উপজেলার উত্তর বালাপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার মালগাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফার মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রায় সাত মাস আগে সোহাগের সাথে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোহাগ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। গত ৪ আগস্ট মরিয়মকে ভরণ-পোষণের খরচ ছাড়া বাড়িতে রেখে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেন স্বামী সোহাগ। এতে বিরোধিতা করেন মরিয়ম। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে মরিয়মকে ছুরিকাঘাত করলে নববধূর চিৎকারে স্থানীয়রা সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মরিয়মকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, গত ৪ আগস্ট নিহত মরিয়মের মা আজিমন নেছাঘাতক স্বামী সোহাগসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সোহাগকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।