মুন্সীগঞ্জে চেতনানাশক মিশিয়ে ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান কিংবা হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইকারী একটি আন্তজেলা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে ছিনতাই করা ছয়টি ইজিবাইক, দুটি চেসিস, একটি ওয়্যারলেস সেট ও চেতনানাশক মেশানো বিস্কুট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি যাত্রীবেশে মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় ইজিবাইক চালকদের বিভিন্ন অজুহাতে নির্জন স্থানে নিয়ে চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার বা পানীয় খাইয়ে অজ্ঞান বা হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করছিল। পরে ইজিবাইকগুলো গ্যারেজে নিয়ে চেসিস আলাদা করে রং পরিবর্তন করে বিক্রি করত।
সর্বশেষ গত ২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে সিরাজদিখানের নোয়াপাড়া এলাকায় ইজিবাইক চালক মালয় শেখকে চেতনানাশক মাখানো বিস্কুট খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাই করে চক্রের তিন সদস্য। ঘটনার পর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালায়। রবিবার বিকালে শ্রীনগরের পাটাভোগ ফেরিঘাট আন্ডারপাস এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক মাখানো বিস্কুট ও ওয়্যারলেস সেট জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে আরও তিনজনকে এবং কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্যারেজ মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘ছিনতাইকারীর’ ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল আরেক ছিনতাইকারীর
সেখান থেকে ছিনতাই করা দুটি ইজিবাইক ও দুটি চেসিস জব্দ করা হয়। পরে কেরাণীগঞ্জের একটি গ্যারেজ থেকে আরও চারটি ইজিবাইক জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— রুবেল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩২), মো. জামাল হোসেন (৪০), ইমরান হোসেন ওরফে মোফাজ্জল (৪৫), মো. হৃদয় শেখ (২৫), পলাশ পাঠান (৩৫), মো. বিধান (৪৭) ও মো. সুমন (৩৮)।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’