তারা বলছেন, দুজনই অপকর্মের পর সিলেট নগর ছেড়ে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সতর্ক নজরদারির কারণে তাদের ভারতে পালানো সম্ভব হয়নি।
তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে। অর্জুন লস্কর চার নম্বর আসামি ও জকিগঞ্জ উপজেলার আট গ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রবিবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাইফুরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল।
অপরদিকে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, রবিবার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দূলর্ভপুর গ্রাম থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
মামলার অপর চার আসামি হলেন- মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। মামলার অপর তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার দিন গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।