তিনি বলেন, ‘প্রতিটা থানায় যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে তা কমিশনার কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় (মিট দ্যা প্রেস) এ কথা বলেন তিনি।
এসময় সিএমপিকে আরও ঢেলে সাজানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র হলো থানা। থানাকে নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সেবা দেয়ার সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। থানার কর্মকাণ্ডের কিছু অংশ ডিজিটালাইজেশন করবো। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীরা যাতে প্রয়োজনীয় সেবা পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, সবার আগে থানাগুলোকে সুসজ্জিত করার কাজ করবো। যে কোনো ঘটনায় জনগণ থানায় ছুটে যান। তাই থানায় কারা আসা যাওয়া করছে, কি ধরনের কাজ হচ্ছে সব কিছু মনিটরিং করা হবে।
চট্টগ্রাম নগরবাসীকে নিরাপদ শহর উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক মহানগরে সেইফ সিটি কনসেপ্টের কথা আছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এটি নিয়ে একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ ছিলে। পরবর্তীতে এটি এলাকা ভিত্তিক করা হয়েছে। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য ও নগরবাসীর সহায়তায় চট্টগ্রামেও শুরু করতে চাই। চলমান কাজগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা, আওতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
সিএমপিতে একটি মিডিয়া সেন্টার চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ও সাধারণ জনগণের কাছে তথ্য প্রবাহে কাজ করে মিডিয়া। আমরা মিডিয়ায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই। সাধারণ জনগণ ও পুলিশের মাঝে কোনো দূরত্ব রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও জঙ্গিবাদ, মাদক, কিশোর গ্যাং, সাইবার অপরাধ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং নিয়ে ব্যাপক কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানান সিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) আমেনা বেগম, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেন।