রাণীশংকৈলের আরবি ব্রিক্স এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করেন।
স্বর্ণ পাওয়ার আশায় গত এক মাস ধরে উপজেলার রাজোর ইউনিয়নের কাতিহার এলাকার ‘আরবি ব্রিকস’ নামের একটি ইটভাটায় স্তূপ করা মাটি খুঁড়ে যাচ্ছিলেন নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা। ভাটাটির মালিক রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৪ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
ইটভাটার ঢিবির মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণ- এমন খবরে কোদাল, খুনতি, শাবল ও বসিলা নিয়ে দিনরাত স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ইটভাটায় মাটি খুঁড়ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইটভাটার মাটির স্তূপে হাজার হাজার লোকজনের ভীড় সামলাতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘আরবি ব্রিকস’ নামের একটি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে- এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুনতি, কোদাল, বাসিলা দিয়ে মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করছে। এতে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ইটভাটা এলাকা ও আশপাশে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, ভাটার মাটির স্তূপে স্বর্ণ পেয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু কে পেয়েছেন- একথা স্বীকার করছেন না কেউ। তাদের দাবি, অনেকেই পেয়েছেন। তাই আমরাও খুঁড়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে
এ ব্যাপারে উপজেলা ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, মাসখানেক ধরে মানুষ ইটভাটায় গিয়ে মাটি খুঁড়ছেন। সেখানে মাটি খোঁড়ায় কোদাল,খুন্তিসহ সরঞ্জাম নিয়ে দলবদ্ধ হচ্ছেন। সে কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইটভাটার আশপাশ এলাকা ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
রবিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকল লোকজনকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ভাটা এলাকা জনমানবশূন্য। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ওইসব মাটি অপসারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ।