আসাম
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ঘরছাড়া হয়েছে।
বন্যায় ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী আসাম রাজ্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী এ রাজ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট দ্বীপে চারদিন ধরে আটকে থাকার পর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আসামের ওপর দিয়ে ১২৮০ কিলোমিটার ধরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদের পানি উপচে দুপাড়ে ব্যপক প্লাবনের সৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে নদের দুপাড় এবং এর মাঝে থাকা ২ হাজারের বেশি দ্বীপের বাসিন্দারা আগেভাগেই বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় নারী নিহত
আসামের বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রাণীরাও বন্যার হাত থেকে রেহাই পেতে উঁচু জমিতে গিয়ে উঠছে। পার্কটিতে প্রায় আড়াই হাজার এক শিংওয়ালা গন্ডার রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, পার্ক রেঞ্জাররা প্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বক্ষণ তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে, আসামের পাশের রাজ্য চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের চাংলাং জেলার একটি স্কুল থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এ ছাড়াও, সিকিম, মণিপুর ও মেঘালয় রাজ্যে প্রবল বন্যায় রাস্তা ভেসে গেছে, ভেঙে পড়েছে সেতু।
ভারতের সরকারি হিসাব অনুসারে, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পূর্বের ছয়টি রাজ্যে ৮০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
৫ মাস আগে
হ্যান্ডবল সিরিজ: আসামকে ৪৭-২৪ গোলে হারিয়েছে ঢাকা
ঢাকা-আসাম পুরুষ ও মহিলা হ্যান্ডবল সিরিজ ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে আসাম পুরুষ দলকে ৪৭-২৪ গোলে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে ঢাকা পুরুষ হ্যান্ডবল দল।
রবিবার (৩০ জুন) শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ঢাকা হ্যান্ডবল দলের মোহাম্মদ ফয়সাল।
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
এর আগে তিন দিনব্যাপী এ সিরিজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী বাবু।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আসাম হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অমল নারায়ণ পাটোয়ারী।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন (বিএইচএফ) ও আসাম স্টেট হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সফরকারী আসাম পুরুষ হ্যান্ডবল দলের চারটি এবং আসাম মহিলা দল স্থানীয় দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ড
৫ মাস আগে
ঢাকা-আসামের পুরুষ ও নারী হ্যান্ডবল সিরিজ শুরু রবিবার
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন ও আসাম স্টেট হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা-আসাম পুরুষ ও নারী হ্যান্ডবল সিরিজ'২০২৪ শুরু হচ্ছে।
আগামী রবিবার (৩০ জুন) শহীদ ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজটি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী বাবু সিরিজের উদ্বোধন করবেন। তিন দিনব্যাপী এ সিরিজটি চলবে।
সফরকারী আসাম পুরুষ হ্যান্ডবল দল চারটি ম্যাচ খেলবে। রবিবার বিকাল ৩টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে, সোমবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাবের বিপক্ষে এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২০) হ্যান্ডবল দলের বিপক্ষে। এছাড়া মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ যুব (অনূর্ধ্ব-১৮) হ্যান্ডবল দলের বিপক্ষে খেলবে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশের পুরুষদের তৃতীয় জয়, নারী দলের প্রথম হার
একইভাবে আসাম নারী ক্রিকেট দল তিনটি ম্যাচ খেলবে। রবিবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা হ্যান্ডবল ক্লাবের বিপক্ষে, সোমবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাবের বিপক্ষে এবং মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পুনরায় ঢাকা হ্যান্ডবল ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে তারা।
এরই মধ্যে সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে আসামের পুরুষ ও নারী দল।আরও পড়ুন: জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুরুষ দল
৫ মাস আগে
দেশে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প
সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের আসামের গোয়ালপাড়া থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে, ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভারত ও বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
ঢাকায় ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
১২ দিনের মাথায় সিলেটে আবারও ভূমিকম্প
১ বছর আগে
আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে মাসুদ করিমের তথ্যচিত্র
বাংলা ভাষার আন্দোলন মানেই ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি। শুধু সালাম, রফিক, শফিক, বরকত ও জব্বারের নাম। কিন্তু এর বাইরেও যে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন আর আসামের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এক নয়। কেননা, আসামে বহু জাতি উপজাতি ও ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। এই সকল মানুষের নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রাজনৈতিক পটভূমি ও সংস্কৃতিগত স্বাতন্ত্র্যও বিদ্যমান।
তাই ১৯৬১ সালের আসামে ভাষা আন্দোলনটি শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য নয়। ওখানে মনিপুরী, গারো ছাড়াও অন্যান্য ভাষার আন্দোলনকারীও ছিলেন।
তবে ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা আসামের কাছাড় জেলার শিলচর রেলওয়ে স্টেশানে প্রাণ হারান, তারা সবাই বাঙালি ছিলেন। বিষয়টি আরও আলোচিত হয় কমলা ভট্টাচার্যের কারণে। কারণ তিনিই বিশ্বে প্রথম নারী ভাষা শহীদ। সে আলোকে আসামের ভাষা আন্দোলন একটি গুরুত্ব বহন করে।
তাই আসামে বাংলা ভাষার জন্য পৃথকভাবে একটা ইতিহাস তৈরি হয়, যার অবদান বাঙালিদেরই বেশি। কেননা ১১ জন শহীদের বেশিরভাগের আদি নিবাস ছিল অধুনা বাংলাদেশের সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সীগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ককে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছেন অস্কার বিজয়ী অ্যালেক্স গিবনি
আসামের ভাষা আন্দোলন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র এখনও তৈরি করা হয়নি। প্রথমবারের মত আসামের ভাষা আন্দোলনের গবেষণামূলক তথ্যচিত্র ‘আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন’- নির্মাণ করছেন বাংলাদেশের তথ্যচিত্র নির্মাতা মাসুদ করিম।
ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে এই ভাষা আন্দোলন সৃষ্টি হয় তা জানা যাবে এই তথ্যচিত্রে। আসামের ভাষা আন্দোলনটি কোনো রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন ছিল না। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবি ছিল।
তথ্যচিত্রে কমলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন হালের চলচ্চিত্রের ও টেলিভিশনের নায়িকা নিঝুম রুবিনা। কমলার মায়ের ভূমিকায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী শিরন আলম এবং কমলার সেজদির ভূমিকায় অভিনয় করেন মনিষা শিকদার।
বাংলাদেশের বাইরে কলকাতায় আংশিক চিত্রগ্রহণ করা হয় এবং তাতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকার, উনিশে মে পত্রিকার সম্পাদক শান্তনু গঙ্গারিডিসহ কমলা ভট্টাচার্যের ভাইঝি বর্ণালী ভট্টাচার্য কমলার কিছু অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ করেন।
শিলচরে মূল্যবান সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য, শিলচর ভাষা শহিদ স্টেশন আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ডা. রাজীব কর, উনিশের গবেষক নীহার রঞ্জন পাল, এ্যাডভোকেট ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, করিমগঞ্জ এর দিলীপ কান্তি লস্কর এবং ভাষা শহিদ পরিবারের সমস্যদের সাক্ষাৎকার যুক্ত করা হয়।
আগামী বছরের ১৯শে মে আসামের শিলচর, আগরতলা, কলকাতা ও ঢাকায় একযোগে এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী হবে।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নের মাসুদ করিম এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন।
উল্লেখ্য, মাসুদ করিম ২০১৫ সালে ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক অনিসুজ্জামান এবং ২০২০ সালে অমর একুশের গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরীর জীবন ও কর্মভিত্তিক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’
তথ্যচিত্রে সালমানের জীবন
১ বছর আগে
সিলেট-শিলচর উৎসবে যোগ দিতে আসাম গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে ভারতের আসামের শিলচরে গেছেন।
প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সিলেট সীমান্তের শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে আসামে প্রবেশ করে।
সুতারকান্দি আইসিপিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসায় নিউ হ্যাম্পশায়ারের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ বি খান
ভারতীয় অংশের সুতারকান্দি সীমান্তে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ৫০ বছর পর শেওলা-সুতারকান্দি হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করলাম। আমাদের প্রতিনিধিদলকে তারা উষ্ণ, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ দুই প্রতিবেশী আশা-আকাঙ্খার পরিবেশে একত্রিত হয়েছে।
মন্ত্রী ভারতের সুতারকান্দির বর্ডার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টকে তাদের চমৎকার ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আসামের শিলচরে ২-৩ ডিসেম্বর প্রথম শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যালে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ইকবালুর রহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, মহিবুর রহমান মানিক, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মোবিন চৌধুরী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালের পরাজয়কে ‘সামরিক ব্যর্থতা’ বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানামা বন্ধ ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
আসামের ৫৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে ৩৫ জন বিধায়কসহ ৫৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শনিবার এক সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এদিন বিকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন।
২০২১ সালের ২১ মে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রবিবার তারা বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় পরিদর্শন করবেন এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করবেন।
স্পিকার পুরো প্রতিনিধি দলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন।
বিকালে তারা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার বাসায় দেখা করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্স পরিদর্শন করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ২২ নভেম্বর আসামের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
২ বছর আগে
আসামে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে
ভারতের আসাম রাজ্যের রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করার কথা নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ভারতের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নীতিগতভাবে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
বৈঠকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে এ বিষয়ে ঢাকায় কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।মেঘালয় রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব (আইটি) কুমবামুট লাং ননগরি আজকের বৈঠকে অসমীয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই, আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমান ব্যান্ডউদথ আছে ও থাকবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
মন্ত্রী বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব ও ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানে বিদ্যমান ক্যাপাসিটির চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
আসামে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গুয়াহাটিতে আসাম নিজস্ব ব্যয়ে ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করবে। এজন্য বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন-আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার শ্যামল সরকার, আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কনসালটেন্ট সিআর ডেকা, দীপংকর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
২ বছর আগে
বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এ বছর বন্যায় সারা দেশে আনুমানিক ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবিরামভাবে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশেপাশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (সম্পূর্ণ) আনুমানিক আর্থিক মূল্য এক হাজার ২৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ১১২ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (আংশিক) আনুমানিক আর্থিক মূল্য ৫৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৫০৮ টাকা।
আরও পড়ুন: ১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার: এনামুর
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি (সম্পূর্ণ) ৩৬৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ০৪৩ টাকা এবং (আংশিক) এক হাজার ৩৫৫ কোটি তিন লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা।
তিনি বলেন, এভাবে ব্রিজ/কালভার্ট পাকা সড়ক, ইট-নির্মিত সড়ক, কাঁচা সড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা, কমিউনিটি স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির এবং বাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে আনুমানিক বন্যায় সারা দেশে ক্ষতি ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সাত হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লাখ নগদ টাকা, এক লাখ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার , শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ, গৃহ মঞ্জুরী বাবদ দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা, এবং আট হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউ টিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে উদ্যাপন ও স্মরণ করতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে ভারতের আসাম রাজ্যে গেছেন। রবিবার ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলাট যাত্রা শুরু করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ভারতের আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে ভারত সরকার এই সফরটির আয়োজন করেছে।
প্রতিনিধি দলটিতে আসাম সংলগ্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে জড়িত থাকা ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন সাংবাদিক ও চারজন যুব প্রতিনিধি রয়েছেন।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি আসাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রীসহ শীর্ষ সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া তারা আসাম ও পার্শ্ববর্তী মেঘালয়ের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকদের স্মরণ করতে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সফর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
আ.লীগ ও বিজেপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক, সম্পর্ক উন্নয়নে জোর
২ বছর আগে