প্রতিরোধ
কৃমিজনিত রোগে গবাদিপশুর মৃত্যু: প্রতিকার ও প্রতিরোধ
গবাদিপশুর হওয়া রোগগুলোর বেশিরভাগই কৃমিজনিত রোগ। এর ফলে ওজন কমে যায়, দুধ উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মৃত্যুর কারণও হতে পারে। গবাদিপশুর কৃমি সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যা একজন খামারির অর্থনৈতিক ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া গবাদিপশুর রোগ নিয়ে আগাম কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে খামারিরা তাদের গবাদিপশুকে কৃমিজনিত রোগ থেকে অনেকাংশেই নিরাপদ রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মো. সহিদুজ্জামান ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কৃমি রোগের চিকিৎসা অনেকটা অবহেলিত। সাধারণ খামারিরা নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়ান না বললেই চলে। গবাদিপশুর অন্ত্রে বসবাসকারী কৃমি পুষ্টিকর উপাদান শোষণ করে, ফলে পশুটি পুষ্টিহীনতায় ভোগে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে কিছু কিছু কৃমি আক্রমণ করায় পশু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক সময়ে কৃমি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা না হলে পশু মারা যেতে পারে। তাই পশুকে কৃমি পরীক্ষা ও কৃমিনাশক খাওয়ানো জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষাকালে ও শীতের শুরুতে পরজীবীর আক্রমণ অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। এর পূর্বেই খামারিদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কৃমি সংক্রমণের কারণগুলোর মধ্যে সংক্রমিত চারণভূমি বা ঘাস খাওয়া, অপরিষ্কার পানি পান করা, সংক্রমিত পশুর মল দ্বারা দূষিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত কৃমিনাশক না দেওয়া, খামারের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও কৃমি সংক্রমণ সম্পর্কে অসচেতনতা অন্যতম।’
তিনি বলেন, ‘বর্ষার আগে বিশেষ করে এপ্রিল ও মে মাসে কৃমিনাশক প্রয়োগ করা ভালো। এতে করে যকৃতকৃমি ও পেটের কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব। চারণভূমি ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হবে ও জলাবদ্ধ এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব জায়গায় কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়। অনেক খামারি নিয়মিত কৃমিনাশক প্রয়োগ করেন না, ফলে দেহে কৃমি সংক্রমিত হয়ে উৎপাদন কমিয়ে দেয়। গরুর ক্ষেত্রে কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত কৃমিনাশক ব্যবহার, খামার পরিচ্ছন্ন রাখা ও সংক্রমিত গরুকে আলাদা করা জরুরি। এছাড়া সংক্রমিত পশুর ওজন কমে যায়, দুর্বলতা দেখা দেয়, খাওয়ার অনীহা তৈরি হয় ও অনেক ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা হতে পারে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীর ফুলে যাওয়া ও মলে কৃমির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।’
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কোনো গবাদিপশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে সেটির চিকিৎসা সম্পর্কে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, ‘অ্যালবেনডাজল, লেভামিজোল, আইভারমেকটিন ও ট্রিকলাবেনডাজলসহ বিভিন্ন কৃমিনাশক ওষুধ সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।’
‘সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ওষুধের প্রয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণের জন্য অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গবাদিপশুর কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ করে গরুর ক্ষেত্রে, জন্মের ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে প্রথম কৃমিনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এরপর প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর কৃমিনাশক প্রয়োগ করতে হবে। খামার পরিচ্ছন্ন রাখা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খামারিরা এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করলে পশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে।’
২০ দিন আগে
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে হটলাইন চালু
দেশে নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে হটলাইন চালু করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন। সোমবার (১০ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভটিজিং, হেনস্থা, যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে এই হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে। দেশের যেকোনো স্থানে এরূপ ঘটনা ঘটলে এ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ দেওয়া যাবে।
হটলাইন নম্বরসমূহ হলো: ০১৩২০০০২০০১, ০১৩২০০০২০০২, ০১৩২০০০২২২২। এগুলো দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
এছাড়া, সাইবার অপরাধের শিকার নারীদেরকে আইনি সেবা ও সুরক্ষা দিতে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ফেসবুক পেজ পূর্বের মতই চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনের পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
৩৮ দিন আগে
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে করণীয় সুপারিশ জমার দেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণের সুপারিশ আগামী দশ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যদের এই সুপারিশ দিতে নির্দেশ দেন ড. ইউনূস।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে আমরা কী করতে পারি- সে বিষয়ে সুপারিশ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। দশ দিনের মধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সুপারিশ তুলে ধরব।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তাদের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ চেয়েছেন যাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো থাকে। সচিবালয়ে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেন আর না ঘটে, তার জন্য যত রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার সেগুলো যেন নেওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশসমূহ তুলে ধরবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
গত ২৫ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। আজ কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি ব্রিফিংয়ে জানান, বিদ্যুতের তারের লুজ কানেকশন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় কোনো নাশকতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
১০৭ দিন আগে
বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও রেগুলেটর মেরামতেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাঁধ ভেঙে যাতে বন্যা না হয়, সেজন্য আধুনিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নদীর অবৈধ দখলও উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বাঁধ রক্ষায় অবৈধ লিজ বাতিল করা হবে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে জেলার পরশুরাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নিজ কালিকাপুর ও বল্লামুখা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও স্থান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
ওই সময় উপদেষ্টা বলেন, সময়মত বন্যার তথ্য দেওয়ার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
২০৭ দিন আগে
এমপক্স প্রতিরোধে দেশের প্রবেশ পথ-বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা
এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দেশের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য প্রবেশ পথগুলোতে নতুন নির্দেশিকা এবং ব্যবস্থা চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের উপপরিচালক দাউদ আদনান জানান, গতকাল এক বৈঠক শেষে তিনটি প্রধান বিমানবন্দর ও প্রবেশ পথে হেলথ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'স্ক্রিনিং ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে আমরা এসব ক্যাম্প স্থাপন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ২২ আগস্ট নির্ধারিত পরবর্তী সভায় জনসাধারণের প্রতি পরামর্শসহ আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
আরও পড়ুন: এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
আদনান বলেন, 'বিমানবন্দরে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্বাস্থ্য বিভাগ নির্ধারণ করেছে। তবে এসব ব্যবস্থা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিমানবন্দরের ব্যবস্থা ছাড়াও, স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে এমপক্সের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপক্সের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
২৩৯ দিন আগে
ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তাদের নির্ভীকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় অর্থ উপদেষ্টা এই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, 'দেশের স্বার্থে কাজ করলে কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ
প্রায় দুই বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোথায়, কীভাবে টাকা পাচার হয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করব। বিদেশ থেকে টাকা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব।’
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। আজকের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আসাদুজ্জামানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিএফআইইউর
২৪৬ দিন আগে
তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ২ শ্রমিক নিখোঁজ, আহত ১১
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ব্লকের নৌকা উল্টে আতোয়ার ও রাজু নামে দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
এসময় ব্লকের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিকের নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
এছাড়া নিখোঁজ দুইজনকে উদ্ধারে সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি দল কাজ করছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুরে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, মানিক মিয়া, রশিদ মিয়া, শাহ আলম মিয়া, মনজিল মিয়া, খায়রুল ইসলাম, হাসু মিয়া, বিশ্বজিৎ দাস, নুর আলম, মুকুল মিয়াসহ আর দুইজন।
নিখোঁজ দুইজনসহ অন্যদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘শনিবার বিকালে সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুরে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছিলেন ৩০ জন শ্রমিক। এসময় কাজ করতে গিয়ে ব্লকের নৌকা উল্টে আতোয়ার ও রাজু নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় ব্লকের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মাদরাসার পাশের পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের লাশ
মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
২৬৪ দিন আগে
মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান ও নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ নৌপরিবহন এবং অতি মুনাফালোভী মালিকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহনই নৌ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’ আয়োজিত দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদ স্মরণে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবি ও ঢাকা নদী সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, বালু-খেকো, নদী-খেকোসহ যারা শিল্প-কারখানার বর্জ্য কেমিক্যাল পদার্থ নদীতে ঢেলে দেয় তারা দেশ ও সমাজের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুলের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের নদ-নদী দেশের প্রাণবাহী শিরা-উপশিরার ন্যায়, দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় নদীরক্ষার বিকল্প নেই। তাই নদীকে ভালোবাসুন, নদীরক্ষায় ব্রতী হন।’
নদী দখলের তীব্র সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিত্তের ক্ষমতা অনেক সময় পদের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিত্তবানরা নিজেদের সুবিধার জন্য মিডিয়া লালন করে। ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে। বুড়িগঙ্গা নদীর দুপাশে পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বুড়িগঙ্গা দখল হচ্ছে।’
এ সময় আঞ্চলিক নদী সহযোগিতা বিষয়েও আলোকপাত ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষা এবং সুষম পানি বণ্টনে আরও সমন্বয়, প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক উদ্যোগ দরকার ছিল। সুষমভাবে পানি বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দাঁড় করানো গেলে সবার উপকার হবে।
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা বেসিন বা অববাহিকা নিয়ে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম খুব প্রয়োজন বলে জানান ড. হাছান।
২০০৪ সালের ২৩ মে একই রাতে মেঘনা নদীতে এমভি লাইটিং সান, এমভি দিগন্ত ও এমভি মজলিশপুর তিন জাহাজডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ও গত ৫৩ বছরে দেশে নৌদুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নদী ও নদী নিরাপত্তার শপথে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার জন্য 'নোঙর' উত্থাপিত দীর্ঘদিনের দাবির সাথে একাত্মতা জানান।
নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস জানান, ২০০৪ সালের ২৩ মে জাহাজডুবিতে তার মা আছিয়া খাতুন মেঘনার তলদেশে চিরনিদ্রিত। এ দিনটিকে 'নোঙর' নদী দিবস পালন অব্যাহত রাখবে।
নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, রিভারাইন পিপল সংগঠনের মহাসচিব শেখ রোকন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বইয়ে সই করেছেন ফখরুল
৩২৯ দিন আগে
অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনের আগে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক প্রভাবের শিকার। অপতথ্য ও ভ্রান্ত তথ্য প্রতিরোধ তাই এখন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্ক দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে বাংলাদেশর তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
আরও পড়ুন: আরএসএফ'র প্রতিবেদনে ভুল তথ্য আছে, বাস্তবতার প্রতিফলন নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪১৮ দিন আগে
তামাক ও ই-সিগারেট প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা করতে হবে: সায়মা ওয়াজেদ
ক্রমবর্ধমান তামাক সেবন ও ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ জোরদার করতে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এতে বলা হয়, কয়েক বছরের ধরে তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, এই অঞ্চল এখনও বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারের হারের দিক থেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি ই-সিগারেটের ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।
তিনি বলেছেন, 'এই অঞ্চলে এখনও তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে তাদের ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্র ও হৃদরোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের জন্যও জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর আগে ধূমপান বন্ধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা, কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন বাঁচাতে তামাক ও ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।’
জানা গেছে, এ অঞ্চলে ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
তবে এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, আনুমানিক ৪১ কোটি ১০ লাখ মানুষ এখনও তামাক ব্যবহার করছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্থায়ী ঝুঁকি।
এই অঞ্চলে বিস্ময়করভাবে ২৮০ মিলিয়ন ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩-১৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কিশোর তামাক ব্যবহারকারী, যা বিশ্বব্যাপী মোট তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এছাড়া ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধি (বিশেষত যুবকদের মধ্যে) একটি নতুন হুমকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। সেখানে ২০১৫ সালের এর ব্যবহারকারী ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশে।
ক্রমবর্ধমান সংকটের সমাধানে এই অঞ্চলের দেশগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' এবং ভারত 'টোব্যাকো এন্ডগেম' উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়া, ডিপিআর কোরিয়া, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুরের মতো দেশগুলো ই-সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর মালদ্বীপে এটি নিয়ন্ত্রিত তামাকজাত পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এ অঞ্চলজুড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
একই সময়ে নারী ব্যবহারকারীর হার ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কমেছে এ অঞ্চলে।
অসংক্রামক রোগ (এনসিডি)-২০২৫ অনুযায়ী তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রার পূরণে আফ্রিকা ও এই অঞ্চলের এসব অর্জন সহায়তা করবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমপাওয়ার প্যাকেজ এবং অন্যান্য উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশগুলো চাহিদা কমানোর কৌশল প্রয়োগ করছে। এ অঞ্চলের ২০০ কোটির বেশি মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নীতিমালার আরও জোরালো প্রয়োগ প্রয়োজন। আর এজন্য তামাক শিল্পসংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
৪২২ দিন আগে