প্রতিরোধ
বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও রেগুলেটর মেরামতেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাঁধ ভেঙে যাতে বন্যা না হয়, সেজন্য আধুনিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নদীর অবৈধ দখলও উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বাঁধ রক্ষায় অবৈধ লিজ বাতিল করা হবে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে জেলার পরশুরাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নিজ কালিকাপুর ও বল্লামুখা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও স্থান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
ওই সময় উপদেষ্টা বলেন, সময়মত বন্যার তথ্য দেওয়ার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
২ মাস আগে
এমপক্স প্রতিরোধে দেশের প্রবেশ পথ-বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা
এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দেশের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য প্রবেশ পথগুলোতে নতুন নির্দেশিকা এবং ব্যবস্থা চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের উপপরিচালক দাউদ আদনান জানান, গতকাল এক বৈঠক শেষে তিনটি প্রধান বিমানবন্দর ও প্রবেশ পথে হেলথ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'স্ক্রিনিং ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে আমরা এসব ক্যাম্প স্থাপন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ২২ আগস্ট নির্ধারিত পরবর্তী সভায় জনসাধারণের প্রতি পরামর্শসহ আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
আরও পড়ুন: এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
আদনান বলেন, 'বিমানবন্দরে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্বাস্থ্য বিভাগ নির্ধারণ করেছে। তবে এসব ব্যবস্থা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিমানবন্দরের ব্যবস্থা ছাড়াও, স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে এমপক্সের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপক্সের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
৪ মাস আগে
ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তাদের নির্ভীকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় অর্থ উপদেষ্টা এই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, 'দেশের স্বার্থে কাজ করলে কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ
প্রায় দুই বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোথায়, কীভাবে টাকা পাচার হয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করব। বিদেশ থেকে টাকা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব।’
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। আজকের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আসাদুজ্জামানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিএফআইইউর
৪ মাস আগে
তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ২ শ্রমিক নিখোঁজ, আহত ১১
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ব্লকের নৌকা উল্টে আতোয়ার ও রাজু নামে দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
এসময় ব্লকের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিকের নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
এছাড়া নিখোঁজ দুইজনকে উদ্ধারে সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি দল কাজ করছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুরে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, মানিক মিয়া, রশিদ মিয়া, শাহ আলম মিয়া, মনজিল মিয়া, খায়রুল ইসলাম, হাসু মিয়া, বিশ্বজিৎ দাস, নুর আলম, মুকুল মিয়াসহ আর দুইজন।
নিখোঁজ দুইজনসহ অন্যদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘শনিবার বিকালে সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুরে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছিলেন ৩০ জন শ্রমিক। এসময় কাজ করতে গিয়ে ব্লকের নৌকা উল্টে আতোয়ার ও রাজু নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় ব্লকের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মাদরাসার পাশের পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের লাশ
মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান ও নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ নৌপরিবহন এবং অতি মুনাফালোভী মালিকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহনই নৌ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’ আয়োজিত দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদ স্মরণে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবি ও ঢাকা নদী সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, বালু-খেকো, নদী-খেকোসহ যারা শিল্প-কারখানার বর্জ্য কেমিক্যাল পদার্থ নদীতে ঢেলে দেয় তারা দেশ ও সমাজের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুলের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের নদ-নদী দেশের প্রাণবাহী শিরা-উপশিরার ন্যায়, দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় নদীরক্ষার বিকল্প নেই। তাই নদীকে ভালোবাসুন, নদীরক্ষায় ব্রতী হন।’
নদী দখলের তীব্র সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিত্তের ক্ষমতা অনেক সময় পদের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিত্তবানরা নিজেদের সুবিধার জন্য মিডিয়া লালন করে। ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে। বুড়িগঙ্গা নদীর দুপাশে পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বুড়িগঙ্গা দখল হচ্ছে।’
এ সময় আঞ্চলিক নদী সহযোগিতা বিষয়েও আলোকপাত ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষা এবং সুষম পানি বণ্টনে আরও সমন্বয়, প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক উদ্যোগ দরকার ছিল। সুষমভাবে পানি বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দাঁড় করানো গেলে সবার উপকার হবে।
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা বেসিন বা অববাহিকা নিয়ে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম খুব প্রয়োজন বলে জানান ড. হাছান।
২০০৪ সালের ২৩ মে একই রাতে মেঘনা নদীতে এমভি লাইটিং সান, এমভি দিগন্ত ও এমভি মজলিশপুর তিন জাহাজডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ও গত ৫৩ বছরে দেশে নৌদুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নদী ও নদী নিরাপত্তার শপথে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার জন্য 'নোঙর' উত্থাপিত দীর্ঘদিনের দাবির সাথে একাত্মতা জানান।
নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস জানান, ২০০৪ সালের ২৩ মে জাহাজডুবিতে তার মা আছিয়া খাতুন মেঘনার তলদেশে চিরনিদ্রিত। এ দিনটিকে 'নোঙর' নদী দিবস পালন অব্যাহত রাখবে।
নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, রিভারাইন পিপল সংগঠনের মহাসচিব শেখ রোকন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বইয়ে সই করেছেন ফখরুল
৬ মাস আগে
অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনের আগে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক প্রভাবের শিকার। অপতথ্য ও ভ্রান্ত তথ্য প্রতিরোধ তাই এখন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্ক দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে বাংলাদেশর তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
আরও পড়ুন: আরএসএফ'র প্রতিবেদনে ভুল তথ্য আছে, বাস্তবতার প্রতিফলন নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
তামাক ও ই-সিগারেট প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা করতে হবে: সায়মা ওয়াজেদ
ক্রমবর্ধমান তামাক সেবন ও ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ জোরদার করতে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এতে বলা হয়, কয়েক বছরের ধরে তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, এই অঞ্চল এখনও বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারের হারের দিক থেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি ই-সিগারেটের ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।
তিনি বলেছেন, 'এই অঞ্চলে এখনও তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে তাদের ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্র ও হৃদরোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের জন্যও জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর আগে ধূমপান বন্ধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা, কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন বাঁচাতে তামাক ও ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।’
জানা গেছে, এ অঞ্চলে ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
তবে এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, আনুমানিক ৪১ কোটি ১০ লাখ মানুষ এখনও তামাক ব্যবহার করছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্থায়ী ঝুঁকি।
এই অঞ্চলে বিস্ময়করভাবে ২৮০ মিলিয়ন ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩-১৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কিশোর তামাক ব্যবহারকারী, যা বিশ্বব্যাপী মোট তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এছাড়া ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধি (বিশেষত যুবকদের মধ্যে) একটি নতুন হুমকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। সেখানে ২০১৫ সালের এর ব্যবহারকারী ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশে।
ক্রমবর্ধমান সংকটের সমাধানে এই অঞ্চলের দেশগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' এবং ভারত 'টোব্যাকো এন্ডগেম' উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়া, ডিপিআর কোরিয়া, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুরের মতো দেশগুলো ই-সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর মালদ্বীপে এটি নিয়ন্ত্রিত তামাকজাত পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এ অঞ্চলজুড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
একই সময়ে নারী ব্যবহারকারীর হার ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কমেছে এ অঞ্চলে।
অসংক্রামক রোগ (এনসিডি)-২০২৫ অনুযায়ী তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রার পূরণে আফ্রিকা ও এই অঞ্চলের এসব অর্জন সহায়তা করবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমপাওয়ার প্যাকেজ এবং অন্যান্য উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশগুলো চাহিদা কমানোর কৌশল প্রয়োগ করছে। এ অঞ্চলের ২০০ কোটির বেশি মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নীতিমালার আরও জোরালো প্রয়োগ প্রয়োজন। আর এজন্য তামাক শিল্পসংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
১০ মাস আগে
নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা বাসার ভেতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিষ্কার করার উপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরানের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গতবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এবছর তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি।
এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চলতি বছরে সারা দেশব্যাপী ডেংগু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।
সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১১ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে বিলম্বের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও অমানবিক বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি।
বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) 'আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্রসিডিউর'-এর আওতায় গৃহীত এক সিদ্ধান্তে কমিটি বলেছে, সাত দিনের 'বিরতির' পর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর অধিকৃত গাজা উপত্যকায় নৃশংস শত্রুতা পুনরায় শুরু হওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
অধিকৃত গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে তীব্র, নৃশংস এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অধিকৃত গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি সামরিক স্থল অভিযানের সম্প্রসারণে এটি গভীরভাবে মর্মাহত করে। ইসরায়েলি এই সামরিক অভিযানের ফলে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়, অধিকৃত গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েল ও অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারেদ বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহিংসতা ও গণহত্যার উসকানি এবং ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে অমানবিক বক্তব্যের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
কমিটি গত কয়েক সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক প্রাণঘাতী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বৃদ্ধি, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনিদের আটকসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
একই সঙ্গে কমিটি অধিকৃত গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
এতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে তাদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের অন্তত ১৩৬ জন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কমিটি। ইসরায়েলকে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে বলেছে সংস্থাটি। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
কমিটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি চলমান সশস্ত্র সংঘাতের অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
১ বছর আগে
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুসংগঠিতভাবে প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের সব অঞ্চলে এই অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি কোনো জায়গায় এ ধরনের অগ্নিসংযোগ করে, তাহলে আপনাকে সেখানে কতজন বিএনপি বা জামায়াতের লোক আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দলের দায়িত্ব, যাতে এসবের কোনো ক্ষতি না হয় তা দেখা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘আমাদের কিছুই নেই। আমাদের কোনো পরামর্শদাতা নেই (মুরুব্বি)। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সংযোগ-জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার: ১ নভেম্বর ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা-মোদি
শেখ হাসিনা তার দলের সব নেতা-কর্মীকে এমনভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত একজন অপরাধীও ছাড়া না পায়। তিনি বলেন, 'আগুন লাগানোর সময় যদি কেউ হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে একই আগুনে নিক্ষেপ করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেই পুড়িয়ে দেন... ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে তারা শিক্ষা নেবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম, তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন (রিমি), সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
১ বছর আগে