বিশ্ব
‘জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের নজরে আনবে’
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ১৩ থেকে ১৬ মার্চ নির্ধারিত সফর রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান খুঁজে বের করতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর এই সংকটকে বৈশ্বিক নজর কাড়তে সহায়তা করবে। 'আমরা আশা করি জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে একটি ভালো বার্তা দেবেন।’
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সংকট যাতে আবার বিশ্বের নজরে আসে—তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, বৈশ্বিক নজর সেখানেই রয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান চায়, যাতে তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। ‘এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
আলম বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার(১৩ মার্চ) বিকাল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ একসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য কক্সবাজারে যাওয়ার আগে শুক্রবার(১৫ মার্চ) সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে কমেছে। আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, এই সফরটির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের কিছু উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা তহবিল সহায়তায় কোনো বিঘ্ন দেখতে চাই না। আমরা তাদের পুষ্টি চাহিদার ঘাটতি করতে চাই না।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, জরুরি ভিত্তিতে নতুন তহবিল ছাড়া, মাসিক রেশন মাথাপিছু ১২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে মাথাপিছু ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে তাদের জরুরি প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমের জন্য তহবিলের গুরুতর ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য সহায়তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
সকল রোহিঙ্গা সহায়তার রশিদ পায় যার মাধ্যমে ক্যাম্পে নির্ধারিত খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে তাদের পছন্দমতো খাবার নিতে পারে। পূর্ণ রেশন বজায় রাখতে ডব্লিউএফপির জরুরি ভিত্তিতে এপ্রিলের জন্য দেড় কোটি ডলার এবং ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আলম বলেন, এই সফর সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সামনে রেখে বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও এই আয়োজনের কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছে।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় পৌঁছালেও প্রধানত শুক্র ও শনিবার দুটি কর্মদিবস থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা আশা করছেন এক লাখ রোহিঙ্গা জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে একসঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।
মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি হিসেবে গুতেরেস ও ড. ইউনূস শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও গুতেরেস সকালে (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
বার্ষিক রমজান সফরের অংশ হিসেবে গুতেরেস সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
৩৫ দিন আগে
বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের শিল্পখাতে আরও বিনিয়োগ আনতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বেপজার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য একটি টিম তৈরি করুন এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরুন। এর জন্য প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করুন।’
বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা চীন ও জাপানে আছেন তাদেরকে যুক্ত করে সেসব দেশের বিনিয়োগ আনা যায় কিনা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যেন ভাষাগত সমস্যা অতিক্রম করে এদেশে বিনিয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে বিদেশে থাকা শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতে পারে।’
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তারা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন। গত তিন সপ্তাহে আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। আরও বিনিয়োগের আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে আহতদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও জানান, দেশে ৮টি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে। যেখানে ৪৫২টি কারখানা রয়েছে। এসব জোনে আরও ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন। চালু কারখানার মধ্যে ১০০টির বেশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন এবং বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই যৌথ উদ্যোগ।
বেপজা চেয়ারম্যান জানান, কারখানাগুলোর ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক সামগ্রী, টেক্সটাইল পণ্য ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উৎপাদন করে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো বহুমুখী উৎপাদন করে যেমন- কফিন ও খেলনা সামগ্রী।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড গুদামের সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি ফ্লাইট চলাচল এবং চীনের সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সেলর সার্ভিসসহ বিনিয়োগকারীরা কয়েকটি বিষয়ে জানিয়েছেন। এসব সুবিধা পেলে বিনিয়োগ বাড়তে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বেপজাকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার ও গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন কীভাবে করা যেতে পারে সে বিষয়েও বিশেষভাবে কাজ করতে বলেন।
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি আমদানি করে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেন।
তিনি জানান, সরকার দেশে বিদ্যমান প্ল্যান্টগুলো থেকে শিল্প কারখানায় যেন আরও বেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পৌঁছাতে পারে সেজন্য একটি সমন্বিত বিতরণ ব্যবস্থা তৈরিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের উচিত বেপজার পাশাপাশি বেজাকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং আরও বিনিয়োগ আনার জন্য বিশ্বজুড়ে এসব অঞ্চলে থাকা সুযোগ-সুবিধা প্রচার করা।’
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
১০১ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ২০৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
বায়ুর মান ও দূষণের শহর র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ঢাকার বাতাসকে 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬৭ ও ২৩৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর সূচক ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: আজও ‘বায়ু দূষণের’ শীর্ষে ঢাকা
১২৬ দিন আগে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন: বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করল বেসিস
একাদশবারের মতো বেসিসের উদ্যোগে ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) শুরু হওয়া হ্যাকাথন চলে একটানা ৩৬ ঘণ্টা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এআইইউবিয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নাদিয়া আনোয়ার।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিলের আহ্বান বেসিসের
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহসভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, সহসভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, বেসিসের পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম ও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪ এর আহ্বায়ক অভিজিৎ ভৌমিক, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পর্বের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস গার্ডিনার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪ এ বিজয়ীরা হলেন-
ঢাকা- চ্যাম্পিয়ন কোয়ান্টাম ভয়েজার্স, প্রথম রানার আপ টিম টাইটান, দ্বিতীয় রানার আপ টিম হাইড্রো (ভার্চুয়াল)। বরিশাল- চ্যাম্পিয়ন টিম ফিনিক্স, প্রথম রানার আপ অ্যাকোয়া-অ্যাগ্রোপ্রেডিক্টা, দ্বিতীয় রানার আপ টিম ইয়টাবাইট। চট্টগ্রাম- চ্যাম্পিয়ন আরবান ইউটোপিয়ানস (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ টিম ব্লুসেন্ট্রি, দ্বিতীয় রানার আপ টিম রিকারশন। কুমিল্লা- চ্যাম্পিয়ন টি মাইনাস জিরো (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ হেলিও আলকেমিস্ট (ভার্চুয়াল), দ্বিতীয় রানার আপ এক্সোভার্স (ভার্চুয়াল)। খুলনা- চ্যাম্পিয়ন টিম অ্যাটলাস, প্রথম রানার আপ টিমনভাফ্লেয়ার, দ্বিতীয় রানার আপ গ্লোবাল প্রোটেক্টর। ময়মনসিংহ- চ্যাম্পিয়ন ইকোরেঞ্জার্স (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ মনসুনফাইভ, দ্বিতীয় রানার আপ লুনার_হার্ভেস্টার্স (ভার্চুয়াল)। রংপুর- চ্যাম্পিয়ন টিম ইনোভেটর্স বিডি (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপটিম নভোচারী, দ্বিতীয় রানার আপ এগ্রি ভিশন। রাজশাহী- চ্যাম্পিয়ন এনভো ফাইটার্স (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ কোডব্ল্যাক (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ দ্য অর্বভেঞ্জার্স (ভার্চুয়াল)। সিলেট- চ্যাম্পিয়ন টিম ওআরসিএ (ভার্চুয়াল), প্রথম রানার আপ টিম নভো, প্রথম রানার আপ সাস্ট ব্রেইনস্টর্মারস।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীর সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে টিম ডায়মন্ডস - সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তিতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণে বেসিস আমেরিকা ডেস্ক চালু
১৯২ দিন আগে
পদ্মা সেতু দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। এটি দেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের পর এবং এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গর্বের সঙ্গে চলতে পারবে। এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে যারা মনে করত তাদের ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারবে না, তাদের মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব..... এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম শুনলেই মানুষ সম্মান করে। বাংলাদেশের জনগণকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘পথে যত বাধাই আসুক না কেন, সব বাধা অতিক্রম করে আমরা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাব। জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন করে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: চীনে ৮-১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘোষণা বেইজিংয়ের
বাংলাদেশ-স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২৮৬ দিন আগে
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈষম্য হ্রাস করে সমান সুযোগের বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া ডিজিটাল বিভাজনে সর্বজনীন সেতুবন্ধুন তৈরিতে প্রয়োজন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) আয়োজিত ‘রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সরকারি সেবা দিচ্ছি। সমস্ত সরকারি সেবাকে একটি একক পোর্টালের আওতায় নিয়ে এসেছি। প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছি ও নারীর ক্ষমতায়ন করেছি। এভাবেই আমরা স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, দ্রুত ও দক্ষ সরকারি সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন জি-ব্রেইন নিয়ে কাজ করছি, যা একটি এআই-ভিত্তিক সরকারি পরিষেবা সরবরাহ ব্যবস্থা যেটি প্রথাগত ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সেবা দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট সহজলভ্যতার কারণে গ্রামের লোক অনলাইন সেবা পাচ্ছে।
বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, নাগরিকদের স্মার্ট পরিষেবা প্রদান ও লক্ষ্য অর্জনে হোল-অব-গ্লোব অ্যাপ্রোচ থাকা উচিত।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, জাতিসংঘের আরসিও প্রতিনিধি মিসেস গুইন লুইস।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
২৯৭ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে। প্রতিবার উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার (২৮ মে) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগের ‘কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ অ্যাকশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং নিডস’ শীর্ষক ২ সেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলো সবসময় অপূর্ণ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও খারাপ হতে দিতে পারি না। এজন্য বায়ুতে কার্বন নির্গমন কমাতেই হবে। এছাড়া অভিযোজনের সীমা রয়েছে। যদি আমরা আমাদের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ না করি, তবে আমরা আরও গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে আমরা গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির চাপে রয়েছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ নারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩২২ দিন আগে
বিশ্বে কোথাও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না- প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর
পৃথিবীতে কোথাও সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয় কি না- সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, ‘গভর্নর তো আলাদা কিছু নয়, গভর্নর সরকারেরই একটা অংশ। এর আগে উনি অর্থসচিব ছিলেন। কিছু পত্রিকায় বলা হয় উনি দায়িত্বজ্ঞানহীন, উনার কোনো আইডিয়া নেই। এমনি এমনিই অর্থসচিব হয়েছেন? এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ঢুকতে দেয় না কি? সব খুলে দেয়? ওখানে ওদের লোক আছে, মুখপাত্র আছে। এগুলো আছে তো।’
রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তাহলে কি সাংবাদিকরা আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেটা তো আমি বলতে পারব না।
অন্য দেশে যেকোনো তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। আমরা তো সেসব দেশের নাগরিক নই, তাহলে সেখানকার রেফারেন্স কেন দেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
৩২৬ দিন আগে
ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর', আজও বিশ্বের চতুর্থ দূষিত
ঢাকার বাতাস সোমবার(১৩ মে) সকালেও অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৫৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৭৯, ১৬৩ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ সকালে বিশ্বে বায়ু দূষণের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: আজ সকালে বিশ্বে বায়ু দূষণের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
৩৩৯ দিন আগে
বিশ্বে বায়ু দূষণের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
সোমবার সকালে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী আজ সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৯৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৭, ১৯৩ ও ১৭৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: শনিবার ঈদের ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস বিশ্বে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয়
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
৩৬৭ দিন আগে