বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার দুইশ টন ইলিশ শর্তসাপেক্ষে ভারতে রপ্তানির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১,২০০ (এক হাজার দুইশত) ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের নিকট হতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
সরকার প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই যারা আবেদন করেছেন, তাদেরকেও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
৮৮ দিন আগে
ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট বিজনেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে প্রশাসক নিয়োগ
ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট বিজনেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপসচিব মো. রেজাউল করিমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রেহান উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মো. রেজাউল করিম প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: আটাবে প্রশাসক নিয়োগে সদস্যদের ক্ষোভ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রশাসক হিসেবে তার দায়িত্ব হবে নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা।
১১৫ দিন আগে
আটাবে প্রশাসক নিয়োগে সদস্যদের ক্ষোভ
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা না করায় সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোতাকাব্বীর আহমেদকে আটাবের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপে হতবাক হয়েছেন আটাব সদস্যরা। তাঁদের দাবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সোমবার আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আটাবের বর্তমান কমিটি অবৈধভাবে নয়, বরং বৈধ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। কমিটি বাতিলের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনিক মোচড়ের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও বলা হয়, ‘আটাব অনলাইন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক শেয়ারহোল্ডারের টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ–সংক্রান্ত প্রমাণসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেসব দালিলিক প্রমাণ উপেক্ষা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ‘আটাব অনলাইন’–সংক্রান্ত এই ঘটনা বর্তমান কমিটির মেয়াদকালে ঘটেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে আটাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে যে মানববন্ধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা পুরোপুরি সাজানো ও বানোয়াট। ওই মানববন্ধনে আটাবের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। বর্তমান কমিটিকে হেয় করতে এটি একটি সাজানো নাটক। মানববন্ধনের ছবি ও ভিডিওচিত্র আটাবের বর্তমান কমিটির কাছে সংরক্ষিত আছে। অফিস আদেশে ‘আটাব সংস্কার পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা একটি ভূইফোঁড় সংগঠন এবং এর কোনো নিবন্ধন নেই। চার হাজার ট্রাভেল এজেন্টের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এই সংগঠনটি তৈরি করেছে। এমন একটি সংগঠনের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় আটাব সদস্যদের মধ্যে আরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন–২ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আটাব সংস্কার পরিষদের পক্ষ থেকে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার প্রশাসক নিয়োগ দেয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, নতুন প্রশাসক আগামী ১২০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে, নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এবং তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
১২২ দিন আগে
বন্যার প্রস্তুতি: ৪ লাখ টন চাল কিনবে সরকার, বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টনের অনুমতি
বন্যার কারণে আমন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিবেচনায় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চার লাখ টন চাল কেনা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেবে সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধান কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। সভা শেষে খাদ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদনসহ আমাদের অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য আমরা হিসাব করেছি নভেম্বর পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য মজুতের ক্ষেত্রে কিছুটা কম পড়বে। নিরাপদ খাদ্য মজুত বলতে বুঝায় সাড়ে ১৩ লাখ টন চাল-গম মিলিয়ে মজুত রাখা।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমনে বন্যার কোনো ঝুঁকি রাখিনি। আমনে বন্যা হতে পারে, সেটা ধরে নিয়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমরা চার লাখ চাল সরকারিভাবে আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছি। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বলেছি। গত বছরও ১৫-১৬ লাখ টন চাল আনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এনেছিল ৫ লাখ টনেরও কম।’
‘এখন যদি তাদের (ব্যবসায়ী) এনে পোষায়, তাহলে তারা আনবে। আর আমরা সরকারিভাবে চার লাখ টন আনবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যার কারণে তরি-তরকারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আউশ কিছুটা আছে। আমনের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। এখনকার বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হবে না।’
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে তিন লাখ টন। ২৬ হাজার টন অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সাড়ে ৯ লাখ টনের মতো চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৪ লাখ টনের মতো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি ইনশাআল্লাহ আমরা কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবো। আমরা আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাল সংগ্রহ শেষ করে দেব।’
তিনি বলেন, ‘বাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিতে হয়। শুধু রেগুলেটরি কার্যক্রম, এগুলো নিলে চলে না। কিছু আর্থিক কার্যক্রম নিতে হয়। এখন বাজারে সরকারও ক্রেতা হিসেবে আছে, কারণ আমরা কিনছি।’
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, আমন সংগ্রহ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই আগামী আগস্ট মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিটা চালু করব। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হচ্ছে খাদ্য সংক্রান্ত সব আর্থিক কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে ফলপ্রসূ ও সবচেয়ে বেশি পরিমাণের। আগে ৫০ লাখ পরিবার প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পেতেন। মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা এটাকে এবার ৫৫ লাখ (সুবিধাভোগী) করে দিয়েছেন। এ ৫৫ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে ৬ মাস।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের খাদ্য মজুত সন্তোষজনক আছে। চাল, ধান ও গম, এই তিনটা এগুলো মূল। কী কী কিনব সেটার একটা লক্ষ্যমাত্রা আমরা দিয়েছি।’
আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজন হলে আমরা ওখান থেকে আনবো। আমরা চেষ্টা করছি যেকোনো মূল্যে বাজারে স্থিতিশীল করার। কারণ উত্থান-পতন থাকবে। একসঙ্গে সব পণ্যের দাম কমে যাবে সেটা কোনোদিন সম্ভব নয়। একসঙ্গে সকল পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এটাও কাম্য নয়। এ দিক দিয়ে আমরা একটু সজাগ আছি।
১৪৩ দিন আগে
খুলনা বিভাগে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪টি কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে এ বছর কোরবানির ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) খুলনা বিভাগ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসারে, গরু ও মহিষের চামড়া ১ লাখ ১৯ হাজার ১১২টি এবং ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮২টি।
আরও পড়ুন: চামড়া শিল্পে ১৫ বছরে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
জেলাগুলোর মধ্যে খুলনায় সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা ২২ হাজার ৭৪২টি, যশোরে ৭৫ হাজার ১৮৫ টি, চুয়াডাঙ্গায় ৬ হাজার ৭২টি, বাগেরহাটে ১৩ হাজার ৫৭টি, নড়াইলে ৩০ হাজার ৭১৫টি, মাগুরায় ৭ হাজার ১৫২টি, মেহেরপুরে ১৮ হাজার ৮৫টি, ঝিনাইদহে ৯৩ হাজার ৭৩৬টি, কুষ্টিয়ায় ৩৬ হাজার ৭৩৭টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ২৩ হাজার ৩১৩টি।
সরকারের সরবরাহ করা বিনামূল্যের লবণ দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসব চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্যবৃদ্ধি ও এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা, মসজিদ ও মাদরাসায় বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করা হয়। এই লবণ দিয়ে স্থানীয়ভাবে ২ থেকে ৩ মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব।
১৭৮ দিন আগে
এবারও চামড়া নিয়ে হতাশা, দাম ওঠেনি হাজারও
রাজধানীতে চামড়ার দাম প্রতি ফুটে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে তার প্রভাব পড়েনি বাস্তবে, আগেরবারের মতো এবারও কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
প্রতি বর্গফুট গরুর চমড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে গতবারের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কুরবানিদাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
উত্তরার চামড়া ব্যবসায়ী হেফাজ উল্লাহ বলেন, ‘কুরবানিদাতাদের থেকে ৭৫০ টাকায় চামড়া সংগ্রহ করে রীতিমতো বিপদে পড়তে হয়েছে। এই এলাকায় ভালো মানের চামড়ার দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা। এর ওপরে কোনোভাবেই চামড়া বিক্রি করা যায়নি।’
বাড্ডার চামড়া ব্যবসায়ী সিরজা বলেন, ‘কাঁচা চামড়ার চাহিদা এবারও তলানিতে। ভালো দামে চামড়া বিক্রি করতে পারিনি। একটি ভ্যান আর দুইজন লেবার নিয়ে যে খরচ হয়েছে তার তুলনায় মুনাফা হয়নি বললেই চলে। সারাদিনের কষ্ট বৃথা।’
খিলক্ষেতের চামড়া ব্যবসায়ী মিজানুর বলেন, ‘আগে জানলে এত দাম দিয়ে চামড়া কিনতাম না। প্রতিবারই ট্যানারি মালিকরা চামড়ার দাম দিতে অনাগ্রহ দেখায়। এতে আমাদের মধ্যেও দাম দিয়ে চামড়া কেনার প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে কড়া অবস্থানে বিজিবি
তবে এ ব্যাপারে ট্যানারি পরিচালক ও এজেন্টরা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লবণ দেয়া প্রস্তুতকৃত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ট্যানারি থেকে কাঁচা চামড়া কেনায় দাম কম পড়েছে। তবে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় সব চামড়া কেনা হয়েছে; এমন তথ্য ভুল দাবি করেছেন তারা। অনেক ভালো মানের চামড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়ও কেনা হয়েছে বলে জানান ট্যানারি সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, গতবারের মতো এবারেও ছাগলের চামড়া চাহিদা নেই বললেই চলে। অনেকেই বিনামূল্যে ছাগলের চামড়া দিয়ে দিয়েছেন, অনেকক্ষেত্রে দাম উঠেছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
এবারের ঈদে সবমিলিয়ে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ট্যানারি মালিকরা যার সিংহভাগ সংগ্রহ হয়েছে ঈদের প্রথম দিনেই।
১৮০ দিন আগে
ঈদের দিনসহ পরবর্তী ১০ দিন ঢাকায় চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে রাজধানী ঢাকায় সকল ধরনের চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদের সময় চামড়ার বাজারে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ১০ দিন ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে যারা চামড়া সংরক্ষণ করবেন, তাদের সুবিধার্থে সারা দেশে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের ১০ দিন ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধ: বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ
তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্যানারি মালিকদের জন্য ২৫০ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা ইতোমধ্যে ছাড় করা হয়েছে, যা তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, কাঁচা চামড়া রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে—যাতে স্থানীয় বাজারে মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়।
বশিরউদ্দিন বলেছেন, ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধের ফলে গ্রামাঞ্চলের চামড়া সংরক্ষণকারীরা লবণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারবে। যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা চামড়া মাদরাসা বা এতিমখানায় দিয়ে দিতে পারবেন, যা সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করা হবে।
১৮৫ দিন আগে
মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মাংস ও ডিম আমদানি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরুৎসাহিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
কোনো অবস্থাতেই মাংস ও ডিম আমদানি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে আমদানি করলে দেশিয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।’
সোমবার( ১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করার কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করে থাকেন।’
এ ধরণের আমদানির ফলে সংক্রামক রোগ জুনোটিক ডিজিজ দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে বলে সতর্ক করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠারও আগ্রহের কথা জানান তিনি।
তার ভাষ্যে, এ ব্যাংক গঠিত হলে খামারিরা ঋণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে, একদিকে তাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতেও বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
এসময় তিনি গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে টিকা দেওয়ার পরিধি বৃদ্ধির জন্যও কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এছাড়াও ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করবে।’
২৯৮ দিন আগে
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৫ কোটি পিস। বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে ১ কোটি পিস, মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস ও মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
আমদানির জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে-
(ক) দ্য ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিম্যাল হেলথের গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের কমপোনেন্ট অথরিটির জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(খ) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(গ) সরকারের নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(ঘ) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
(ঙ) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(চ) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
৪২৩ দিন আগে
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কার্গো ভাড়া কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এর আগে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে কেআইবি চত্বর পর্যন্ত ফলমেলা উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ—স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে ৮ জুন।
এবারের ফলমেলায় ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৫৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মোট ৬৩টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতেও পারছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৫৪৭ দিন আগে