হৃদরোগ
ধরাছোঁয়ার বাইরে শহরের এক নীরব ঘাতক শব্দদূষণ
সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেন না, ধূমপান করলেন না। তা সত্ত্বেও তিনি রোগাক্রান্ত হলেন! কারণ আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে এক নীরব ঘাতক।
ধরাছোঁয়ার বাইরে, কিন্ত আমাদের শরীর ও মন কোনোকিছুই রেহাই পাচ্ছে না এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে। হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এমনকি মস্তিস্ক থেকে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক ক্ষতি করতে পারে এই ঘাতক।
এই নীরব ঘাতক কোনো অস্ত্র কিংবা বিষ নয় বরং এটি শব্দ দূষণ। এটি শুধু যে শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয় তা নয়, এটি মানবদেহে নানা ক্ষতি করে থাকে।
অবাক করার মতো বিষয় হলো আমাদের রাজধানী ঢাকা বিশ্বে শব্দ দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে রাস্তায় নামলে মাঝে মাঝে মনে হয়, গাড়ি চালকেরা যেন হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কোনো কিছু সামনে পড়ে গেলেই কানফাটা শব্দে বেজে উঠছে হর্ন।-খবর বিবিসির
আরও পড়ুন: শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
এছাড়া নানা উৎসব আয়োজনে উচ্চশব্দে গান বাজানো, নির্মাণ কাজ, গ্রিল-টাইলস কাটা, মেশিনে ইট ভাঙা, নানা প্রচারণায় মাইক বাজানো, জেনারেটরের শব্দে কানের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। এই শহরের মানুষ বাধ্য হয়েই এই শব্দের তাণ্ডবের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। কিন্তু এই শব্দদূষণ কীভাবে আমাদের ক্ষতি করছে, তা আমরা সবাই জানি তো?
সেন্ট জর্জেসের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক শার্লট ক্লার্ক বলেছেন, ‘শব্দদূষণ এমন একটি জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা, প্রচুর মানুষ এই সমস্যায় পড়ে থাকেন। কিন্তু এমন একটি সমস্যা নিয়ে আমরা খুব কমই কথা বলি।’
শব্দদূষণ কখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে, সেটি কিভাবে মানুষের ক্ষতিসাধন করে, তা জানতে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বিবিসির এক সাংবাদিক জেমস গ্যালাঘের। এ সময় তিনি কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, এই ঘাতকের হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে কিনা সে উত্তরও খুঁজে দেখেছেন।
প্রথমেই জেমস অধ্যাপক ক্লার্কের সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ ল্যাবরেটরিতে যান। সেখানে তিনি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখান কোন ধরনের শব্দে মানবশরীর কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়। এজন্য তাকে মোটা স্মার্টওয়াচের মতো যন্ত্র পড়ানো হয়।
সাধারণত এই কাজে হার্টরেট মনিটর (যা হৃদস্পন্দন পরিমাপ করে), গ্যালভানিক স্কিন রেসপন্স (ত্বকের ঘাম থেকে স্নায়বিক উত্তেজনা পরিমাপ করে), ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (অ্যামিগডালার সক্রিয়তা পরিমাপ করে) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
যন্ত্রটি জেমসকে পরানোর পরে তাকে ঢাকার যানজটের সময় রেকর্ড করা ভিন্ন পাঁচটি শব্দ শোনানো হয়। তিনি জানান, ‘তীব্র এক যানজটের মধ্যে রয়েছেন— এমন মনে হচ্ছিল তার। তার পরিহিত যন্ত্রের সেন্সরে এই শব্দের কারণে তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার রেকর্ড হয়। শুধু তাই নয়, ঘামছিলেনও।’
অধ্যাপক ক্লার্ক বলেন, ‘এই পরীক্ষা প্রমাণ করে শব্দ মানুষের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। কারণ উচ্চশব্দে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।’
জেমস জানান, ‘ঢাকার ওই পাঁচটি শব্দের মধ্যে বাচ্চাদের খেলা করার সময়ে আনন্দপূর্ণ কোলাহলের শব্দটি তার শরীরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, বাকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ কিংবা গভীর রাতে অন্য বাসায় উচ্চশব্দে গান বাজানোর শব্দে তার শরীরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
কিন্তু একেক রকম শব্দে কেন শরীর ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে জানতে চাইলে ক্লার্ক বলেন, ‘আমাদের শরীর শব্দ সংবেদনশীল। রাগ, উত্তেজনা, ভয়ের মতো শব্দেও শরীর প্রতিক্রিয়া করে।’
ক্লার্ক জানান, ‘কানই প্রথমে যেকোনো শব্দ গ্রহণ করে। এরপর সেটি ককলিয়ার নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। এরপর অ্যামিগডালা নামে মস্তিস্কের একটি অংশ এই শব্দ চিহ্নিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়।’
যখনই কোনো উচ্চমাত্রার শব্দ মস্তিষ্কে পৌঁছায়, এরপর অ্যামিগডালা সেটি শনাক্ত করলে তা আমাদের নার্ভার্স সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। এতে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
প্রথমদিকে এতে ক্ষতি না হলেও কয়েকবছর ধরে একইরকম শব্দ শুনতে থাকলে তা মানুষের রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চরক্তচাপ, লেভেল ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে বলে জানান অধ্যাপক ক্লার্ক। তাছাড়া এটি শ্রবণশক্তিও কমিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।
আরও আশঙ্কার কথা হলো, আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখনও শব্দ ঠিক একইভাবে আমাদের ক্ষতি করে। ক্লার্ক বলেন, ‘মানুষের কান সদা জাগ্রত। তাই আমরা ঘুমিয়ে থাকলেও শব্দ শুনতেই থাকি। একারণে আশপাশে উচ্চশব্দ থাকলে তা ঘুমন্ত অবস্থাতেও ক্ষতি করে।’
আসলে শব্দদূষণ একটি অবাঞ্ছিত বিষয়। ধরুন, আপনার পাশের বাড়িতে কারো বিয়ে, তারা আনন্দ করতে গান বাজাচ্ছে। এই আনন্দ তাদের পাশাপাশি অন্যদেরও ক্ষতিসাধন করে চলে। আর এটি আমরা বুঝতেই পারি না, আবার নিজে বুঝলেও অন্যকে বুঝাতে পারি না।
বিবিসির প্রতিবেদনে শব্দদূষণে ক্ষতির শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর কথা উঠে এসেছে। জেমসের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন স্পেনের বার্সালোনার ভিলা দে গ্রাসিয়া এলাকারনিবাসী কোকো।
তিনি জানান, ‘ইতোমধ্যেই বুকের ব্যথা নিয়ে দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বাসার আশপাশের উচ্চ শব্দের কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে কোকোর ধারণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য শব্দদূষণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনাকারী গবেষক ড. মারিয়া ফোরাস্টারের মতে, শুধু ট্র্যাফিক শব্দের কারণে বার্সেলোনায় প্রতি বছর আনুমানিক ৩০০টি হার্ট অ্যাটাক ও ৩০টি মৃত্যু ঘটে।
ড. মারিয়া জানান, ইউরোপে প্রতিবছর ১২ হাজারের মতো অকাল মৃত্যু, নিদ্রাহীনতা ও নানা ধরনের মানসিক সম্যসার সঙ্গে শব্দদূষণ জড়িত। ৫৩ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দই হার্টের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মারিয়া বার্সোলোনার একটি সড়ক ঘুরিয়ে দেখান জেমসকে, যেখানে শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবলের চেয়ে কম। তিনি জানান, এই এলাকার যানবাহনগুলো ধীরে চলার কারণে ও অতিরিক্ত হর্ণ না বাজানোর কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও সড়কের পাশ পথচারীদের হাঁটার জায়গা, ক্যাফে ও ফুলের বাগানের জন্য ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কিছু শব্দ যে আমাদের জন্য ভালো তাতো জেমস তিনি ল্যাবরেটরিতে বুঝতে পেরেছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ৬৫ ডেসিবেল (ডিবি) এর উপরে শব্দের মাত্রা দূষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যার মধ্যে ৭৫ ডিবি ক্ষতিকারক এবং ১২০ ডিবি সরাসরি যন্ত্রণাদায়ক। ২০১৮ সালে ডব্লিউএইচও স্বাস্থ্যগত কারণে ট্র্যাফিক শব্দকে ৫৩ ডিবিতে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল।
বাংলাদেশে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় গ্রহণযোগ্য শব্দসীমা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় দিনের জন্য ৫৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৪৫ ডিবি। মিশ্র অঞ্চলে দিনের জন্য ৬০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৫০ ডিবি। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের জন্য ৭০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৬০ ডিবি এবং শিল্পাঞ্চলে দিনের জন্য ৭৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৭০ ডিবি।
কিন্তু, ঢাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন বাসাবাড়িতে, কর্মস্থলে, স্কুল এমনকি হাসপাতালগুলোতে বিপজ্জনক মাত্রার শব্দের সম্মুখীন হচ্ছেন। শব্দদূষণ কেন এত বৃদ্ধি পাচ্ছে— এই প্রশ্নের উত্তরে জেমসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নগরায়নের ফলের শহরগুলোতে এই সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিয়মিতই সম্প্রসারণ ঘটছে মেগাসিটি ঢাকার। এটি বিশ্বের অন্যতম বর্ধনশীল নগরী। যার ফলে যানবাহন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঢাকায়। আর হর্ন বাজানো সম্ভবত ঢাকার গাড়ি চালকদের একটি বড় বদভ্যাস। ট্রাফিক সিগনাল ও জ্যামে আটকে থাকার সময় সামনে এগনো যাবে না জেনেও হর্ন বাজান তারা।
ঢাকার শহরের এই শব্দদূষণ প্রতিরোধ করতে আন্দোলন করে অনেকের নজর কেড়েছেন শিল্পী মোমিনুর রহমান রয়াল। তিনি ‘একাকী নায়ক’ নামে পরিচিত। তিনি প্রতিদিন ঢাকার কোনো এক ব্যস্ত সড়কে ১০ মিনিট একটি হলুদ প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রচণ্ড শব্দে হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে তিনি এই কাজ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণকারীদের প্রতিহত করতে হবে: পরিবেশ সচিব
শুধু ঢাকাই নয়, তিনি সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই এই উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো বন্ধ করতে চান। শব্দ দূষণের জন্য তিনি কেবল মানুষকেই দায়ী করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, তিনি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর শব্দদূষণের প্রভাব নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘দুয়েক বছরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবে ঢাকার শব্দদূষণ অব্যশই কমিয়ে আনা সম্ভব। কম শব্দে মানুষ যখন ভালো অনুভব করবেন, তখন নিজেরাই তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করবেন।’
তবে শব্দদূষণ দূর করা কঠিন, জটিল ও চ্যালেঞ্জপূর্ন বল মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এদিকে শব্দ দূষণকে ‘এক নীরব ঘাতক ও ধীরে কাজ করা বিষ’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের অধ্যাপক ড. মাসরুর আবদুল কাদের।
১ দিন আগে
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
মান্নার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শোয়েব মুহাম্মদ বলেন, ‘তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। এছাড়া ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত নন।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ মামলা: মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক আনোয়ারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে মান্নাকে গুম করে সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মিথ্যা মামলায় দুই বছর কারাভোগ করেন তিনি। কারাগারে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেসময় তার হার্টে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। তৎকালীন সরকার মান্নাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
কারামুক্ত হওয়ার পরও তার পাসপোর্ট আটকে রাখা হয়। এ কারণে তিনি বিদেশে উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারেননি।
দেশবাসীর কাছে তার আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছে নাগরিক ঐক্য।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
১৭৯ দিন আগে
উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের প্রধান কারণ: বক্তারা
বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের এই প্রতিরোধযোগ্য কারণটি মোকাবিলা করা যেতে পারে।
শনিবার (০২ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে 'ইমপ্রুভিং কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (এনএইচএফবি), প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রেজলভ টু সেভ লাইভসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও এবং ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সাবেক পরিচালক ড. টম ফ্রিডেন বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। সংক্রামক রোগে মৃত্যু ঠেকাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এখন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধেও বিশ্বনেতা হতে পারে দেশটি। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২০ গুণ বৃদ্ধি এবং চিকিৎসার মান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ নাটকীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। রক্তচাপের চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রাথমিক যত্ন পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালীকরণে বিনিয়োগ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ এবং বাঁচাতে পারে অনেক জীবন।’
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
তিনি বলেন, বয়স্ক জনসংখ্যা, দ্রুত নগরায়ণ, অলস জীবনযাত্রা বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার কারণে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য উচ্চ রক্তচাপজনিত অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে আরোপিত অসংক্রামক রোগের বোঝা হ্রাস করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মধ্যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং এই প্রচেষ্টা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।
সোডিয়ামকে উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ড. ফ্রাইডেন বলেন, 'সরকারি নীতি সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ মারা যায়। এই পাঁচজনের মধ্যে চারটিই ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং এনএইচএফবি ২০১৮ সাল থেকে প্রাথমিক পরিচর্যায় উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং ফলোআপ জোরদার করার লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য অলাভজনক সংস্থা আরটিএসএল’র সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, 'বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ‘বর্তমানে ১৭১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম চলমান এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ২৬ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়ার অর্থ হবে সারা বাংলাদেশে আরও বেশি মানুষের জীবন উন্নত ও বাঁচানো।’
জিএইচএআই তার অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও পরামর্শ দেয়। জিএইচএআইয়ের বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘স্বাস্থ্য কার্যক্রম অবশ্যই ব্যাপক হতে হবে। আমরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ওষুধের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি এবং লবণের ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতিকে সমর্থন করতে আগ্রহী।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।আরও পড়ুন: বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
৩৮২ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের মৃত্যুর খবরে মায়ের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলে সাগর মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মা মোর্শেদা বেগমের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে মারা গেলে সেই খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মায়ের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মৃত সাগর মিয়া জেলার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার উত্তর পাড়া (পাবলা সার) গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
সাগরের চাচাতো ভাই মনির হোসেন জানান, সাগর মিয়া আগে থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সাগর মিয়া হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
পরে রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সাগরের মা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাছিহাতা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল জানান, সাগর মিয়া পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। সাগরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সাগরের মাও মারা যায়। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদায়ক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভরাট হচ্ছে ৪০ বছরের পুরনো পুকুর
৪২৫ দিন আগে
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন আর নেই
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আবুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী সমীর রঞ্জন দাস ইউএনবিকে জানান, মঙ্গলবার বিকালে আবুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
আবুল হোসেন মাদারীপুর-৩ আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে, আবুল হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৫১২ দিন আগে
যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান ৪২ বছর বয়সে মারা গেছেন
দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি।
তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিব এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
মিরপুর শাইনপুকুর হাউজিং জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন।
তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছিলেন।
তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পৃথক শোক প্রকাশ করেন।
তারা হাবিবের বিদেহী আত্মর মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
৫৭৫ দিন আগে
গাড়ি চালানো অবস্থায় চালক হৃদরোগে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় নিহত ২
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় গাড়ি চালানো অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন জাহাঙ্গীর হোসেন নামে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালক। এ সময় জাহাঙ্গীর গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে কয়েকটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় চাষাঢ়ার সান্ত্বনা মার্কেটের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা জানান, ফতুল্লায় অগ্নিকাণ্ডের স্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন জাহাঙ্গীর। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ও প্রাইভেটকারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফায়ার সার্ভিসের চালক জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত রিকশাচালকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আমাদের ফায়ার ফাইটার জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। আমরা একটি আগুনের খবরে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় আমাদের এক কর্মী ও একজন নাগরিক মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের উপপরিচালক আকতারুজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় একটি কারখানায় সকালে আগুন লাগে। সেখানে ফায়ার সার্ভিস থেকে বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভায়। ঘটনাস্থলে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর হোসেন মারা যান। এ সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালে চাষাঢ়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সঙ্গে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, ফতুল্লার বিসিকে একটি শিল্প কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি যাওয়ার সময়ে সান্ত্বনা মার্কেটের সামনে চালক হঠাৎ করে অসুস্থ হন।এতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ও প্রাইভেটকারসহ অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে আনন্দ গাড়ির নিচে ছিটকে পড়ে গিয়ে গাড়ি চাপায় একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হতাহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন:ঢ় চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু
৬০৪ দিন আগে
‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন’ বললেন সুস্মিতা সেন
প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স এবং বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন বলেছেন যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বৃহস্পাতিবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেন বলেছেন, কয়েকদিন আগে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শফি মণ্ডল-চন্দনা মজুমদারের কণ্ঠে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার টাইটেল গান
তিনি তার বাবা সুবীর সেনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আপনার হৃদয়কে সুখী এবং সাহসী রাখো, এবং যখন আপনার সবচেয়ে বেশি শোনা প্রয়োজন হবে, তখন এটি আপনার পাশে দাঁড়াবে’ (আমার বাবা সুবীর সেনের জ্ঞানী কথা)। কয়েকদিন আগে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল...অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে...স্থানে স্টেন্ট আছে...এবং সবচেয়ে বড় কথা, আমার কার্ডিওলজিস্ট আবার নিশ্চিত করেছেন 'আমার একটা বড় হার্ট আছে।’
তিনি পোস্টে আরও লিখেছেন যে, ‘অনেক লোককে তাদের সময়মত সাহায্য এবং গঠনমূলক পদক্ষেপের জন্য অন্য পোস্টে ধন্যবাদ জানাবেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনাকে (আমার শুভাকাঙ্খী এবং প্রিয়জনদের) সুসংবাদ সম্পর্কে জানানোর জন্য ... যে সবকিছু ঠিক আছে এবং আমি আবার কিছু জীবনের জন্য প্রস্তুত। আমি আপনাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি!!!!’
তথ্য বলছে, ‘বিবি নম্বর ১’, ‘ম্যায় হুন না’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া’, ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, এবং ‘নো প্রবলেম’ এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। সেন আন্তর্জাতিক এমি-এর মনোনীত সিরিজ ‘আয়ারা’ -তে তার অভিনয়ে ফিরছিলেন এবং শোয়ের দ্বিতীয় কিস্তিতেও অভিনয় করেছেন। শিগগিরই ধারাবাহিকের তৃতীয় সিজনে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।
আরও পড়ুন: আফরান নিশোর প্রথম সিনেমার মহরত
‘রাতাড্ডা উইথ তানভীর’ পূরণ করল অর্ধযুগ
৭৪৮ দিন আগে
হৃদরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৪ বছরে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কার্ডিয়াক কেয়ারে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ কার্ডিওভাসকুলার রোগের চিকিৎসার ক্ষমতা রয়েছে কারণ দক্ষ জনশক্তি, আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দেশে এখানে পাওয়া যায়।’
শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিসিআরএফ) আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক বেশি সহজলভ্য এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা দেশের রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে এবং এভাবে (দেশের) বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে শিশু কার্ডিয়াক রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ধরনের সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু হৃদরোগের চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি এবং পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের ফলে শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তৈরির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে কৃষি নিয়ে গবেষণা বাড়ান: বিজ্ঞানীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০ শয্যার একটি বিশ্বমানের 'ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে কার্ডিয়াক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ সংক্রান্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ধূমপান এবং অতিরিক্ত ডায়াবেটিসসহ নানা কারণে দেশে দিন দিন হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের যত্নের বিকাশের পাশাপাশি আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হৃদরোগ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে মারা যায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ২৭ শতাংশই কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে। বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু কার্ডিওভাসকুলার রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তরুণ হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ২০০৯ সালে ৫০টি থেকে এখন ১১৫টিতে উন্নীত হয়েছে, যেখানে এমবিবিএস কোর্সের আসন সংখ্যা ২০০৯ সালে মাত্র ২ হাজার ৫০টি থেকে ১০ হাজার ৭৮৯ এ দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করবে এবং ইতোমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তৃতীয় বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবিত ও বিকাশে গবেষণা অত্যাবশ্যক: প্রধানমন্ত্রী
৭৫৫ দিন আগে
কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যু
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী মো. মামুনুর রশিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার বাটিকামারী গ্রামের বাসিন্দা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক সার্জেন্ট মামুনুর গত বছরের ১১ অক্টোবর কঙ্গোতে মনুসকো শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত ১৩১ জন বাংলাদেশি সৈন্য মৃত্যুবরণ করেছেন ও ২৩২ জন সৈন্য আহত হয়েছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সাহস ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আইইডি বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
৭৫৫ দিন আগে