ভারতের প্রধানমন্ত্রী
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
৬ মাস আগে
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মোদি
ভারতের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পরও জোটের শরিকদের ওপর নির্ভর করে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার (৯ জুন) নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে শপথ নেন মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসছেন ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা।
২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিপুলভোটে জয় পেলেও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে সরকার পরিচালনার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তবে মোদির ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসন পেয়েছে।
সংসদে এক দশক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর এবারই প্রথম আঞ্চলিক শরিকদের সমর্থন নিয়ে মোদিকে সরকার গঠন করতে হলো।
বুধবার প্রকাশিত চূড়ান্ত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মোদির বিজেপি ২৪০টি আসনে জয়লাভ করেছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে অনেক কম। এনডিএ জোটের দলগুলো মিলে ৫৪৩ সদস্যের সংসদের নিম্নকক্ষে ২৯৩টি আসন পেয়েছে।
মোদির জোট সরকার এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য মূলত দুটি প্রধান আঞ্চলিক মিত্র- দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের তেলুগু দেশম পার্টি এবং পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্যের জনতা দলের (ইউনাইটেড) ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, মোদির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, পুনরুত্থিত কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বাধীন ভারত জোট প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী লড়াই করে গত নির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে ২৩২টি আসন জিতেছে।
ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়, যারা দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ; তাদের কাছে এই কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী একজন ‘চ্যাম্পিয়ন’। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী ভারতের অবস্থানের উন্নতির জন্য কৃতিত্ব দেয় তার সমর্থকরা।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা দেশের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য জায়গা সংকুচিত করে ভারতের গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে এর অবস্থানকেও ক্ষুণ্ন করেছে।
এছাড়াও মোদির রাজনৈতিক বিরোধীরা তার সরকারের অর্থনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছে, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও উচ্চ বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কথা।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মাস আগে
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: 'ভারতে স্বাগতম': দিল্লিজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মোদির ব্যানার
শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতাদেরও মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
৮ হাজারেরও বেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে।
পরে নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেবেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নয়াদিল্লিতে কঠোর ও বহুস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
৬ মাস আগে
রাজনীতি ছাড়ছেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়
রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার পুনর্গঠনের সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার একমাস পর শনিবার ফেসবুকে এক পোস্টে রাজনীতি থেকে অবসরের এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি ... বিদায় ...। যদি আপনি সামাজিক কাজ করতে চান, তাহলে আপনি রাজনীতি না করেই এটি করতে পারেন ... আসুন আগে নিজেকে একটু সংগঠিত করি এবং তারপর ...।’
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই সাংসদ স্পষ্টভাবেই লিখেছেন, তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল, ৪৩ নতুন মন্ত্রী
বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘সবার কথা শুনেছি - বাবা, (মা) স্ত্রী, মেয়ে, দুই প্রিয় বন্ধু ... সবকিছু শোনার পর, আমি বলি যে আমি অন্য কোন পার্টিতে যাচ্ছি না ‘ এই পোস্টে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে হ্যাসট্যাগ দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘সব সময় আমি একটি দলকে সমর্থন করেছি। ফুটবল খেলায় যেমন মোহনবাগানকে। তেমনি পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করেছি।’
বাবুল সুপ্রিয় প্রায় সাত বছর আগে বিজেপির হাত ধরেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দুই দফায় মোদির মন্ত্রীসভায় প্রতিন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বলিউড জুটি আমির-কিরণের বিচ্ছেদ
৫০ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় গায়ক নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বলিউডে প্রবেশ করেন এবং তখন থেকে তিনি অনেকগুলো চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদলের সময় বাবুল সুপ্রিয়সহ ১৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাদ পড়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, মানবজাতি খুব শিগগিরই এই মহামারি কাটিয়ে উঠবে। যোগের একটি সহজাত শক্তি রয়েছে মানুষকে যুক্ত করার। যোগব্যায়াম সম্প্রদায়, রোগ প্রতিরোধ এবং ঐক্য এই তিনের জন্যই উপকারী।
২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এক চিঠিতে আশাবাদ ব্যক্ত করে মোদি এসব কথা লিখেছেন।
এবারের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য “সুস্থতার জন্য যোগ”- যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মোদিবিরোধী আন্দোলন: আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিশিষ্টজনদের
মোদী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, এই অবিস্মরণীয় প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের কোভিড-১৯ যোদ্ধারা উল্লেখযোগ্যভাবে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। মহামারির হুমকির মধ্যে গত আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের পর থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ভাইরাস বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি জনগণকে রক্ষার জন্য এখন একাধিক টিকাও রয়েছে আমাদের কাছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আমি এখনো আশাবাদী যে, মানবজাতি খুব শিগগিরই করোনা মহামারি পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
চিঠিতে তিনি জানান, যোগব্যায়ামের সর্বজনীন আবেদনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিগত বছরের মতো এবছরও কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের মধ্যেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হবে।
মোদি লিখেছেন, শরীরের পাশাপাশি যোগব্যায়াম মনের জন্যও বেশ উপকারী। সকল ধরণের সাবধানতা সত্ত্বেও একজন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবিলার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। যোগব্যায়াম আমাদের সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে, যেমন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সারা বিশ্বেই কোটি কোটি মানুষ মাসের পর মাস ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বেশ প্রভাব পড়েছে। নিয়মিত যোগাভ্যাস তাদের এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদির ধন্যবাদ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য সারা বিশ্বের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রতি উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। এটি এমন একটি উদ্যোগ যা মানুষের শারিরীক সক্ষমতার পাশাপাশি সুস্থতার প্রতিও গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশে সফলভাবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে সকলের সহযোগিতার জন্য প্রত্যেককে মোদী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৫
গত কয়েক বছরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যোগ দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশি ভাই ও বোনেদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে মোদী লিখেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সামনের বছরগুলিতেও আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে আপনার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
চিঠির শেষে মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দেশের জনগণের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করেছেন।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় হেফাজতের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণকে কেন্দ্র করে গতকাল হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চারজন নিহতের প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার হরতালসহ আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
তার অংশ হিসেবে আজ জোহরের নামাজের পর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সমাবেশ পরবর্তী একটি মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ওয়াসা মোড় ঘুরে কাজীর দেউড়ির আলমাস সিনেমা মোড় ঘুরে আবার মসজিদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তারা চারজনের হত্যায় দায়ী পুলিশের শাস্তি, বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং আগামীকাল দেশব্যাপী হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
সমাবেশে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও মহানগর সেক্রেটারি লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলাম নেতা মির্জা ইয়াছিন, মহানগর নেতা ইউছুফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েম উল্লাহ, আলী উসমান বক্তব্য দেন।
এদিকে হেফজতে ইসলামের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নগরীর লালখান বাজার, ওয়াসা, কাজীর দেউড়ি, দামপাড়া এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। পুলিশের জল কামান, বিজিবির সাজোয়া যানও সমাবেশের আশে পাশে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীতে টহল দিচ্ছে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।
৩ বছর আগে
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
সন্ত্রাসবাদের মতো অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সন্ত্রাসবাদের মতো সাধারণ হুমকির কথা উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এই অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং তাদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিত হতে হবে।’
মোদি বলেন, আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নের অংশীদার, আমরা লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোও ভাগাভাগি করি।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাণিজ্য ও শিল্পে আমাদের জন্য একই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তেমনি সন্ত্রাসবাদের মত সমান বিপদও রয়েছে।’
মোদি বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বে আমাকে অংশ করায় আমি আনন্দিত।’
তিনি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান যিনি তার পুরো জীবন বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য উত্সর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটি গর্বের বিষয় যে শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার সুযোগ পেয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বলেছেন, এই অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ হওয়ায় একটি স্থিতিশীল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ১০ দিনের উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১৭ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চল, কিন্তু এই অঞ্চলে বিপুল সম্পদ রয়েছে। আমরা সবাই যদি এই সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ অঞ্চলকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণে সব মতপার্থক্য ভুলে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আসুন প্রতিজ্ঞা করি সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক কর্তৃক প্রণীত আমাদের পররাষ্ট নীতি হলো 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।
ভারতের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদিজির এই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত এখন আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে, ব্যবহার তারা করছে। সেই সাথে মোংলা বন্দরও তারা ব্যবহার করতে পারবে।’
৩ বছর আগে
হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন ।
হেফাজত কর্মীরা হাটহাজারী মডেল থানায়, ভূমি অফিসে ও ডাকবাংলোয় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় ভূমি অফিসের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাদরাসা ছাত্ররা।
নিহতরা হলেন- হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থী মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, জামিল ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে হাটহাজারী সদরে মাদরাসা ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সেখান থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন মাদরাসা ছাত্ররা। এ সময় মাদরাসার মাইক থেকে তাদের মাদরাসায় ফিরে যেতে বলা হলেও তারা মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
পরে মাদরাসার ছাত্ররা থানার সামনে গিয়ে হঠাৎ থানার দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ মাদরাসা ছাত্রদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ ও মাদরাসা ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে হেফাজত কর্মীরা থানা কম্পাউন্ডে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। একই সময়ে মাদরাসা ছাত্ররা হাটহাজারী ভূমি অফিসে হামলা চালিয়ে ভূমি অফিসের একটা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ হেফাজত কর্মীদের ঠেকাতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে নয়জন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার চারজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাটহাজারী থেকে গুলিবিদ্ধ নয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন।
সংঘর্ষে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি- রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ থানায় হামলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোদি বিরোধী মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২৫
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজত অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে।’
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন,‘ থানায় হামলার পর হেফাজতের নেতা-কর্মীরা এখানকার ভূমি অফিসে ঢুকেও ভাঙচুর করেছে। তারা ভূমি অফিসের ফাইলপত্র-আসবাবপত্র সব জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভূমি অফিসের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। শুধু ভূমি অফিস নয়, উপজেলার ডাকবাংলোতে ঢুকেও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে হেফাজতের কর্মীরা।’
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার কোভিড-১৯ এর টিকা কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
৩ বছর আগে