পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
পঞ্চগড় শহরে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে জাবেদ রহমান জয় (১৮) নামে ছাত্রদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় আলী চটপটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাবেদ রহমান জয় পঞ্চগড় পৌরসভার আখেরি রোড এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় বাজারের ফল হাটির একটি আড়তে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রদল কর্মী আল আমিন ও পারভেজের সঙ্গে জয়ের ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার দুপুরে টিনপট্টি এলাকায় তিনজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে আপাত মীমাংসা হয়। এরপরও রাতে ফোন করে জয়কে সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় ডেকে নেয় আল আমিন ও পারভেজ। সেখানে তারা ১০ থেকে ১৫ জন নিয়ে জয়কে আক্রমণ করে এবং একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় জয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে ওই তিনজনের সঙ্গে কী নিয়ে বা কেন কথাকাটাকাটি হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমঘটিত বিরোধ থেকে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আল আমিন ও পারভেজকে গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশের ভাষ্য, শহরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হেল জামান জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং বিষয়টির তদন্ত চলছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১১৯ দিন আগে
বিদ্যুতায়িত হয়ে পঞ্চগড়ের তিনজন নিহত
বিদ্যুতায়িত হয়ে পঞ্চগড়ে এক শিক্ষার্থীসহ দুই ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এতে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) সকালে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ব্যাংহারি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সপিজ উদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক রব্বানী (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহিন (৩৮) এবং শফিজুল ইসলামের ছেলে জামিদুল ইসলাম (২১)। জামিদুল এবারে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। তারা তিনজন একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, আজ সকালে গ্রামের একটি এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানান। এরপর সেখান থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় স্থানীয় লোকজন মাঠে ভুট্টার খেতে কাজ করতে যান। কিন্তু হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। এ সময় মাঠে প্রায় ১৪ জন কাজ করছিলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী জামিদুল ইসলাম মারা যান। আহত হন আরও পাঁচজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানের চিকিৎসকরা আরও দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত জয় ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুলের কারণেই এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ বিচার দাবি করেছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড়ের ডিজিএম মোহাম্মদ মাজহারুল আলাম জানান, পল্লী বিদ্যুতের লাইনে কোনো সমস্যা হয়নি। লাইনটি ছিল নেসকোর।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে রাজমিস্ত্রী নিহত
এ বিষয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবুল কাশেম জানান, বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দুইজন মৃত অবস্থায় আসেন এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮৩ দিন আগে
পঞ্চগড়ে পশুর হাটে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ইজারাদারকে জরিমানা
পঞ্চগড়ের বোদায় পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে এক হাট ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৩১ মে) বিকালে উপজেলায় পৌরসভার নগরকুমারী পশুর হাটে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফূয়াদ।
অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোদা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জাহিদ আল মাসুদ, বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত ফি দিয়ে পশু বিক্রির নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ বিক্রেতার সেই অনুমতি ছিল না। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর সেই সুযোগে ইজারাদার অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে আদায় করছিলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে হাটে অভিযান চালানো হয় এবং প্রায় ৫০ জনের অভিযোগ শোনা হয়। এতে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অপরিপক্ব আম বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরকুমারী পশুর হাটের ইজারাদার শাহানারা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফূয়াদ। হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা হয়। একইসঙ্গে তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
অতিরিক্ত ফি আদায় হওয়া ক্রেতাদের অর্থও পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফূয়াদ বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং অভিযোগের সত্যতা মেলায় জরিমানা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
১৮৭ দিন আগে
পঞ্চগড়ে লাশ দেখে ফেরার পথে লাশ হলেন আরও তিনজন
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিশু ও দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এক স্বজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তারা, পথেই ঘটে দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে উপজেলার বোদা-দেবীগঞ্জ সড়কের পাকুড়িতলা মোড়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—শ্যামলী রানী (৩০), তার বড় বোনের কন্যা দেবশ্রী রানী (৭) ও বর্ষা রানী (৩৫)। তারা সবাই দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের জোত ভুবনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতরা পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে দিনাজপুরের ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের মৃত্যুতে গিয়েছিলেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে দেবীগঞ্জ ফিরছিলেন তারা। পথে পাকুড়িতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছ বহনকারী ট্রাক অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
এতে গুরুতর আহত হন অটোরিকশায় থাকা শ্যামলী রানী, দেবশ্রী রানী, বর্ষা রানী, অজয় কুমার রায় ও পার্বতী রানী।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে শ্যামলী ও দেবশ্রীসহ তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে নেওয়ার পথেই মারা যান শ্যামলী এবং দেবশ্রী হাসপাতালে পৌঁছেই মৃত্যুবরণ করে। এরপর আহত বর্ষা রানী, অজয় কুমার ও পার্বতী রানীকেও রংপুরে স্থানান্তর করা হলে বর্ষা রানী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাকটিতে মাছ বহনের ড্রাম ছিল এবং চালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।
নিহত শ্যামলী ভাই গৌতম চন্দ্র জানান, ‘আমার শাশুড়ির মৃত্যুতে আমরা কয়েকজন মিলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় আমার বোন, ভাগ্নি ও বউদি মারা গেছেন।’
ঘটনার বিষয়ে ওসি সোয়েল রানা জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘাতক ট্রাকটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৮৯ দিন আগে
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা: পঞ্চগড়ে দালাল ও শিশুসহ তিন বাংলাদেশি আটক
পঞ্চগড়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এক দালাল ও শিশুসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪২ এর ৯ নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন তারা।
আটকরা হলেন— ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের আলমপুর গ্রামের শ্রী নিতাই চন্দ্র রায় (৩৫), তার সাত বছরের মেয়ে শ্রী ভূমি রানী শ্রেয়া এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার শিবচন্ডি এলাকার সাদ্দাম হোসেন (৩০)। সাদ্দাম হোসেন তাদের অবৈধ পথে ভারত যেতে সহায়তার চেষ্টা করেন।
বিজিবি জানায়, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুরমারী বিওপির সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে কাঁটাতারের বেড়া কাঁটার ১ টি প্লাস, ২ টি মোবাইল ফোন, রুপার নুপুর ১ জোড়া এবং বাংলাদেশি নগদ ২০ হাজার ১৬০ টাকা জব্দ করা হয়। চোরাচালানকারী ও দালাল সাদ্দাম হোসেন ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করেন বলে জানায় বিজিবি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কুবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ১
৩০৭ দিন আগে
পঞ্চগড়ে ক্লিনিকের তিনতলা থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
পঞ্চগড়ে ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে সোলায়মান (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার প্রাইম ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স অ্যান্ড ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সোলায়মান পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ধনীপাড়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি রহিবুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভাইকে ক্লিনিকের দুই তলায় দেখতে গিয়েছিল সোলায়মান। এক পর্যায়ে ক্লিনিকের তিনতলায় উঠে ঘোরাঘুরি করছিল সে। পরে মা সালমা বেগম ছেলেকে দেখতে না পেয়ে ক্লিনিকের আশেপাশে খুঁজতে শুরু করেন। এ সময় শিশু সোলায়মানের নাম ধরে ডাক দিলে ক্লিনিকের তিনতলার বারান্দায় থেকে নিচে উঁকি মারছিল শিশুটি। একপর্যায়ে তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে পাশের একটি একতলা ভবনের ছাদে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাতে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে টমটমের ধাক্কায় আহত শিশুর মৃত্যু
পরে স্বজনদের সহযোগিতায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখনও তারা আমাদের কাছে আসেনি। যদি কোন অভিযোগও থাকে তারা দিতে পারেন।
৩১১ দিন আগে
পঞ্চগড়ে চার বিচারকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে পঞ্চগড় আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিসহ সমন্বয়ক মোজাহার ইসলাম সেলিম, মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যা: ইসকন নিষিদ্ধ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
এ সময় তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সম্প্রতি জেলা জজ আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে মেধার মূল্যায়ন না করে নিয়োগের নামে বাণিজ্য করেছেন। ছাত্র-জনতা ও পরীক্ষার্থীরা নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
তারা আরও বলেন, তারা এখনও আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন। আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক।
আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুকসহ ওই চার বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট। আদালতের নিয়োগে দুর্নীতি করে আইনমন্ত্রীর এলাকার লোকদের বারবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। সরকারি বাড়ি থাকা সত্ত্বেও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল আদালতকেই নিজের বাসভবন বানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
তিনি বলেন, ‘হাসিনার সময়ে প্রশাসনের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হলেও তার দোসর এই বিচারকদের এখনও সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তাই তারা শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এখনও নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। তবু আর অন্যায়-দুর্নীতি হতে দেব না।’
এ বিষয়ে জানতে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জমিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
৩১৬ দিন আগে
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়, স্থবির জনজীবন
মাঘ মাসের প্রথম দিনেই পঞ্চগড়ের আকাশ কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। রাস্তাঘাটে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। যানবাহনগুলো কেবল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে পরিবেশ আরও শীতল হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এখানে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩২৪ দিন আগে
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা রেকর্ড ৭.৩
পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। একারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে।
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।
শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ পাই না। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকাল বেল ঘনকুয়াশায় চা গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।
পঞ্চগড় এলাকার জিপু ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা নিচে নেমে এসেছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৩২৯ দিন আগে
বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার (৭৪৬) এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ওয়াসিমের বাড়ি সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর অবৈধ উপায়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো হবে।’
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘ভারতে অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে।’
ইউএনবি/এএস
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশী কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম (১৫) নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার বিকেলে উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৬ এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা। এদিকে, ধরে নিয়ে যাওয়া যুবককে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
আটক কিশোর ওয়াসিমের বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর ভারতে অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল ৪-৫ কিশোর। পরে তাদের একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফের সদস্যরা। আটক কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ওয়াসিম নামে ওই যুবক সহ কয়েকজন ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরে ওয়াসিম তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। আমরা কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। রাতেই ওয়াসিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমরা সীমান্তবর্তী মানুষজনের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে। সীমান্তে সবর্দা বিজিবি টহল অব্যাহত থাকে।
৩৫১ দিন আগে