কার্যক্রম
বিগত ১৫ বছরের অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে বাকৃবি প্রশাসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত সাড়ে ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিচার কার্যক্রমের শুরুতেই অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) অফলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণের করে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে অনলাইনেও অভিযোগ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বেলা সাড়ে ১২টায় অভিযোগনামা বক্সের উদ্ভোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে অভিযোগ কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা কামনা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাকৃবির গণতদন্ত কমিশন।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজিসহ সব অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছে বাকৃবির তদন্ত কমিশন। গত সাড়ে ১৫ বছর সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন ফর্মপূরণ, অভিযোগ পত্রের ফর্ম ডাউনলোড করে হাতে পূরণ বা সরাসরি ফর্মটি হাতে লিখে প্রশাসন ভবন, ছাত্রবিষয়ক বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্থাপিত নির্দিষ্ট অভিযোগ বাক্সের জমা দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় এবং সার্বিক গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ-কে চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশের উদ্দেশ্যে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগ দায়েরের অনুরোধও জানানো হয়েছে।
অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ হলে যথাযুক্ত শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে। তবে অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় চলমান শিক্ষার্থী অন্যারকারী হলে ছাত্রত্ব বাতিল, সাময়িক বহিষ্কার বা বহিষ্কারও করা হতে পারে। যদি অপরাধী চাকরিতেও চলে যায় তাকে/ তাদের সার্টিফিকেট বাতিলসহ ফৌজদারি মামলার জন্যও প্রশাসনকে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিশন। আমাদের সঙ্গে আইনজীবী প্যানেলও থাকবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হলে সেভাবে আগানো হবে।
চাকরিতে চলে গেছেন বা বিদেশে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানান, চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না এসেও অনলাইনে সংযোগ থেকে তাদের অভিযোগ কিংবা প্রমাণ দিতে পারবে। অন্যায়কারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হলে তার সার্টিফিকেট বাতিল বা তার কর্মক্ষেত্রে নোটিশ পাঠিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব করে এবং ময়মনসিংহ জজ কোর্টের আইনজীবী মো. খালেদ হোসেন টিপুকে উপদেষ্টা করে মোট ২৬ সদস্যের তদন্ত কমিশনটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে: ডিএসসিসি প্রশাসক
সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনিযুক্ত প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শের আলী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, একটা বিশেষ প্রেক্ষাপটে সরকার আমাকে ডিএসসিসির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে আজ সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: শেখ সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএসসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক এ কথা বলেন।
প্রশাসক বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে কাজে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা, সে বিষয়ে অবহিত হয়েছি। সেগুলো বিশেষ করে নাগরিক সেবা আরও সুন্দরভাবে, আরও দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে প্রদানের দিকনির্দেশনা দিয়েছি।’
এছাড়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে অব্যাহতভাবে সেসব সেবা প্রদান করতে পারব বলে আমরা আশা করছি বলে জানান ড. মোহাম্মদ শের আলী।
তিনি বলেন, যে সেবাগুলো ডিএসসিসি থেকে দেওয়া হয়, সেগুলো অব্যাহত আছে ও অব্যাহত থাকবে। কাউন্সিলরগণের মাধ্যমে যে সেবাগুলো দেওয়া হয় সে বিষয়গুলোর কি হবে এবং কাউন্সিলরদের অবস্থানের বিষয়ে সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কাউন্সিলরদের যে অফিসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে অফিসগুলোর বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি। যাতে করে সেবাগুলো আমরা আরও সুন্দরভাবে দিতে পারি। আমরা আশা করছি, সাম্প্রতিক সময়ের কোনো বিষয়ই নাগরিক সেবাদান কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না। সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল সেটি দূর হয়েছে। এখন আমরা কেন্দ্রীয় সার্ভারের এই সেবা দিচ্ছি। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য সেবা প্রদানে আমরা সর্বোচ্চ ওয়াকিবহাল।’
শের আলী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কারণে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদান কার্যক্রমে কোনো ধরনের সমস্যা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: এবার কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নামে সাংবাদিকের মামলা
রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
৪ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যার যে দায়িত্ব সেই বিভাগ কিংবা ডিপার্টমেন্টকে সক্রিয় করুন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আমাদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কার্যক্রম যেন স্থবির অবস্থার মধ্যে না থাকে সেটা আগে নিশ্চিত করুন। আশা করি বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে আমরা দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো কিছু উদ্যোগ নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। অনেক কিছুই স্থবির হয়ে আছে। সবকিছু আবার সক্রিয় করতে হবে।’
এসময় মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন ও কার্যাবলি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও, চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৭ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে: উপদেষ্টা ফাওজুল
৪ মাস আগে
৪ দিন পর সিরাজগঞ্জের ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু
প্রায় চার দিন পর স্বল্প পরিসরে সিরাজগঞ্জের ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এদিকে থানাগুলোর কার্যক্রম চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সেনাবাহিনী, র্যাব ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে জেলার প্রায় সবকয়টি থানায় কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর সেনা নিরাপত্তায় বগুড়ায় ১২টি থানায় পুলিশি কার্যক্রম শুরু
এ সময় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি সোয়াইব রিয়াজ আলম।
এদিকে র্যাব-১২ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বেলকুচি থানার কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘জেলার সবকয়টি থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই থানা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।’
এসময় র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মারুফ হাসান, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আসমা খাতুন ও ওসি এনামুল হকসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: থানার কার্যক্রম ফেরাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটি গঠন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
৪ মাস আগে
আরও ১৭৭ থানার কার্যক্রম শুরু: পুলিশ সদর দপ্তর
শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের আরও ১৭৭টি থানায় কার্যক্রম চালু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী ৬৩৯টি থানার মধ্যে মোট সক্রিয় থানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৮টিতে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
এর মধ্যে মেট্রোপলিটন থানা ৮৪টি এবং জেলা থানা ৪৫৪টি।
টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার দেশের ৩৬১টি থানা ফের চালু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকার প্রায় সব থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
যেসব স্টেশনে ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব স্টেশনে এখন আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যে কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৪ মাস আগে
ভারতের টাইটান ও বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের চুক্তি সই
বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটান।
বিখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্কের ঘড়ি, চশমা, পারফিউম বাংলাদেশে বাজারজাত করবে রিদম গ্রুপ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে টাইটানের সদর দপ্তরে টাইটান কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের মধ্যে এ সংক্রান্ত এক যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ২০০ ব্রডগেজ বগি কেনার চুক্তি সই
টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি.কে. ভেঙ্কটরামান এবং রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাইটানের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সিইও কুরুভিলা মার্কোস।
চুক্তির আওতায়, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তানিষ্কের গয়না তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করা হবে। এই কারখানা স্থানীয় বাজারের জন্য গয়না তৈরি করবে এবং পরে খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে।
গত তিন বছরে, তানিষ্ক সফলভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করেছে। রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ তানিষ্কের বাংলাদেশি বাজারে প্রবেশের একটি বড় পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে তৈরি গয়না স্থানীয় চাহিদা মেটাবে এবং ভারতের ৪৫০টি আউটলেট ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হবে, যা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
কুরুভিলা মার্কোস বলেন, ‘আমরা রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমাদের সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কারিগর, বিক্রেতা ও গ্রাহকদের কাছে সেরা মূল্য দিতে চাই।’
সি.কে. ভেঙ্কটরামান বলেন, ‘বাংলাদেশি বাজারে টাইটানের প্রবেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পকে উঁচুতে নিয়ে যেতে এবং তানিষ্কের পণ্য তৈরি কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘টাটা গ্রুপের অধীনে ভারতের প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটানের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমাদের দেশ ও ব্যবসার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের পর শিগগিরই তারা ঢাকায় তানিষ্কের পাঁচটি জুয়েলারি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, টাটা গ্রুপের অধীনে টাইটানের জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্ক গ্যারান্টিযুক্ত পণ্যের মানের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই নগর উন্নয়ন অপরিহার্য: বিশেষজ্ঞরা
৫ মাস আগে
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় মিরপুর-২ এর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, 'আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২'শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতোগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।'
মেয়র বলেন, 'এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।'
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রত্যাশিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী 'মার্স্ক দাভাও' নামের একটি কন্টেইনার জাহাজ আজ সকালে টার্মিনালে নোঙর করার মধ্য দিয়ে নিয়মিত পরিচালনা কার্যক্রম শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে টার্মিনালটি বছরে প্রায় ৫ লাখ বিশ-ফুট সমতুল্য ইউনিট (টিইইউ) পরিচালনা করবে।
পিসিটি চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে প্রথম টার্মিনাল যা একটি বিদেশি সংস্থা ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটি বিদেশি বিনিয়োগ এবং অপারেশনাল মডেলের নতুন যুগের সূচনা করে। এই রূপান্তর চট্টগ্রামকে একটি ল্যান্ডলর্ড বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের সামুদ্রিক অবকাঠামোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন।
সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) সঙ্গে ৬ মাস আগে চুক্তি হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা লাইটার জাহাজে আগুন, আহত ৩
কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা ও প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করে রেড সি গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড সোমবার থেকে কাজ শুরু করছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এ টার্মিনালে বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা। কমে আসবে জাহাজের গড় অবস্থানকাল। নতুন নির্মিত এ টার্মিনাল বছরে ৫ লাখ টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে। গত বছর দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
এর আগে সোমবার ‘মায়ের্কস দাবাও’ নামের একটি কনটেইনার জাহাজ ভেড়ানোর কথা বলেছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি আরও বলেছিলেন, এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি টার্মিনালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সমুদ্রগামী জাহাজের তথ্যসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্যে দেখা গেছে, শনিবার দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পিসিটিতে আসা প্রথম জাহাজ মায়ের্কস দাবাও। এটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী। মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং হয়ে কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৫ দশমিক ৯৯ মিটার ও ড্রাফট (পানির নিচে থাকা অংশ) ৯ মিটার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা উপকূলে নির্মিত হয়েছে পিসিটি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সৌদি আরবের আরএসজিটি এ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তারা শর্তসাপেক্ষে আগামী ২২ বছর টার্মিনাল পরিচালনা করবে। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আরএসজিটির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়। অবশ্য তার আগেই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে এখানে পণ্যও খালাস করা হয়। তবে গ্যান্ট্রি ক্রেন না আসায় শুরুতেই তারা পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে পারছে না বলে জানা গেছে। আপাতত ক্রেনযুক্ত জাহাজ ভেড়ানো হবে। গ্যান্ট্রি ক্রেন আসলে ক্রেনবিহীন জাহাজও হ্যান্ডলিং করা হবে। গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে অল্প সময়ে জাহাজে অধিক কনটেইনার ওঠানো-নামানো যায় ।
এর আগে একটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানিয়েছিলেন, সব সরঞ্জাম সংগ্রহ করে পিসিটি পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে দায়িত্ব পাওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে চার্জ পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পিসিটি’তে তিনটি কনটেইনার ও একটি তেল খালাসের (ডলফিন) জেটি রয়েছে। এগুলোতে একসঙ্গে চারটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে। কনটেইনার জেটির দুটিতে গ্যান্ট্রি ক্রেন থাকবে। যেখানে ভিড়তে পারবে গিয়ারলেস (ক্রেনবিহীন) জাহাজ এবং অপরটিতে গিয়ার্ড (ক্রেনযুক্ত) জাহাজ। পিসিটির চারটি জেটিতে একসঙ্গে চারটি জাহাজ বার্থিং নিয়ে পণ্য ওঠানামা করার সুযোগ রয়েছে। ফলে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজের চাপ কমে যাবে। পণ্য খালাসের অপেক্ষায় জাহাজকে দীর্ঘদিন বসে থাকতে হবে না।
৬ মাস আগে
টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে প্রক্রিয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত ১০টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে।
২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।
৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচার চালানো কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।
৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।
৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।
৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে জানাবে।
১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এ মামলার বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনুসের গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও একজন প্রোগ্রাম অফিসার পাওনা আদায়ের দাবিতে ২০২১ সালে রংপুরের শ্রম আদালতে শ্রম আইনে মামলা করেন। ওই মামলা তারা করতে পারেন না-এমন দাবিতে শ্রম আদালতে আবেদন করি। কিন্তু শ্রম আদালত সেটা খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটির কার্যক্রম ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।
২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।
মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়।
এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
৭ মাস আগে