কার্যক্রম
প্রসূতির মৃত্যু: শ্রীপুরে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
এর আগে রবিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর ঘটনায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এর পরপরই চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। পরে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিভিল সার্জন মাহমুদা বলেন, ‘প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় সবকিছু জানতে হাসপাতালে এসেছি। ফাইল দেখে যা জানতে পারলাম, রোগীর কোনো ওটি নোট নেই। কোনো ধরনের নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়নি। হাসপাতালে এসে আমি একজন নার্সের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি আসলে নার্স নন। তিনি কোনো ধরনের পড়াশোনা করেননি। রক্ত সংগ্রহ করেন। তার কোনো ট্রেনিং নেই। তিনি চিকিৎসা জগতের কেউ নন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই হাসপাতালের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে যাব। এজন্য আমি হাসপাতালের পুরোটা ঘুরে দেখলাম। হাসপাতালে তিনজন ভর্তি রোগী রয়েছেন। তাদের অপারেশন করা হয়েছে। বুধবার তারা চলে যাবেন। প্রতিটি রোগীর ফাইলে একই সমস্যা, কোনো ওটি নোট লেখা নেই। আজকে থেকে এই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি সব কাগজপত্র সঠিক করে আমাদের কাছে জমা দেয়, পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন আরও জানান, ‘আজকে থেকেই সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ। শুধু তিনজন ভর্তি রোগীর চিকিৎসা চালাতে পারবেন। নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তিনজন রোগী বুধবার ছুটির পর সিলগালা করে দেওয়া হবে। আরেকটি বিষয়ে আশ্চর্য হয়েছি, এই হাসপাতালে নার্স না হয়েও অনেকেই অ্যাপ্রোন পরে রয়েছেন। এটি হতে দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বেতন-ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
ডিএসসিসির আওতাধীন ভোটকেন্দ্রে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত সব নির্বাচনি কেন্দ্রে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৪২টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
অঞ্চল-১ এ ৪৮টি, অঞ্চল-২ এ ২৫০টি, অঞ্চল-৩ এ ১০৮টি, অঞ্চল-৪ এ ৯৯, অঞ্চল-৫ এ ৯৭টি, অঞ্চল-৬ এ ১৯টি, অঞ্চল-৭ এ ১৬টি, অঞ্চল-৮ এ ২৫টি, অঞ্চল-৯ এ ২২টি এবং অঞ্চল-১০ এ ৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে আওতায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনি কেন্দ্র রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে এডাল্টিসাইডিং করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্লিচিং পাউডারও ছিটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নাময়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত বন্দর জেটিতে ৫টি জাহাজ ভিড়েছে এবং এসব জাহাজ থেকে মালামাল আনলোড চলছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্তকতা জারির পর বন্দরে শিপ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া কনটেইনার জাহাজগুলো শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম জোয়ারে আবার জেটিতে নিয়ে আসা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ সতর্কবস্থা অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব ধরনের পণ্য উঠা-নামা।
বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
দেশের সব এলাকার পোশাক কারখানায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার কোনো কারখানায় শ্রম অসেন্তোষের সংবাদ পায়নি। সব কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। আশুলিয়া এলাকার বন্ধ পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করায় বুধবার আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মিরপুরের বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে ১৪ নভেম্বর ও ১৫ নভেম্বর আলোচনা হয়েছে। দুই দিনের আলোচনায় শ্রমিকরা কারখানায় কাজে ফিরতে চান। বৃহস্পতিবার থেকে মিরপুরের এবং অন্যান্য সব জায়গার বন্ধ হওয়া পোশাক কারখাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক উদ্যোক্তা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রতি অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিন। এলাকায় সুষ্ঠূ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন, সর্বোপরি, জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ নিন।
একই সঙ্গে শ্রমিক, কর্মচারী ও মালিকরা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ
নভেম্বরে চালু হবে নির্বাচনী অ্যাপের কার্যক্রম
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখতে নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তফসিলের আগে নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয় এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব। অ্যাপ আমরা নভেম্বরে চালু করব।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য হয়। এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক করতে আমরা যাচ্ছি না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।’
নির্বাচনী অ্যাপসে আর কী থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত সম্পর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হবে ওটা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা ও ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২টা ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, অ্যাপসের ফলে নির্বাচনে সহিংসতা বা শক্তি প্রদর্শন কমে আসবে। ভোটাররাও সহজেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রার্থীও কত ভোট পড়েছে তাও জানতে পারবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ম্যানুয়ালি করতে হয়, এতে অনেক সময়ের ব্যয় হয়। এটা কমে আসবে।
ইসি বলেন, এই নির্বাচনের পরে যেন আরেকটি নির্বাচনেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, আমরা এজন্য ছয় বছর মেয়াদি এই উদ্যোগ নিচ্ছি। পরবর্তী কমিশন এসে কী করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা, এতে অর্থ ব্যয়ের বিষয় আছে। সব নির্বাচনেই আমরা এই অ্যাপস ব্যবহার করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বরে এটা আমরা চালু করব।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হার্ডওয়্যারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। আর সফটওয়্যাট যারা দেবে তাদের সঙ্গে আমাদের ছয় বছরের চুক্তি থাকবে। ইসির যে ডাটাবেজ আছে সেখান থেকেই মূল তথ্যগুলো এই অ্যাপে আসবে।ে
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম আবারও শুরু
বারবার ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে বিকল হয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) মেশিন।
এরপর ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) সচল হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
রবিবার (৬ আগস্ট) আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৭ জুলাই থেকে পাসপোর্ট অফিসের এভিআর মেশিন পুড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পুরো সার্ভার। বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে কয়েকজন প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ৬ কার্য দিবস শেষে সচল হয় না এভিআর মেশিন। পরে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা এসে মেশিন পরিবর্তনের পর সার্ভার চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী অর্থায়নের উপকরণ ও কাঠামোতে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী। আমরা সহযোগিতার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং টেকসই ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের জন্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত আইএমএফের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আইএমএফ থেকে নীতি পরামর্শ এবং সক্ষমতা উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আইএমএফ কিভাবে বাংলাদেশকে তার জলবায়ু এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে এবং জলবায়ু অর্থায়নকে গতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করার সুযোগ চাই।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শনে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে অগ্রণী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এখন থেকে সারাবছর অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিলিপিন্সে ১৯ হাজার ৪০৪ জন, জানুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিয়েতনামে ১৫ হাজার ১২৯ জন, জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় ১৪ হাজার ৯৮৯ জন, মালয়েশিয়ায় জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩৮৮ জন, সিঙ্গাপুরে জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। শহুরের এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আমাদের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। এখান থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়, তা বাস্তবায়ন করতে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। যে কারণে অন্য দেশগুলোর চেয়ে আমরা তুলনামূলক ভালো আছি।
চলতি বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গত বছরেও সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো ছিল। কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। সে জন্য আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি আছে কিনা; আরও কিছু করণীয় আছি কিনা; তা খতিয়ে দেখতে এই সভা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আমরা মৌসুমী পরিকল্পনা নিতাম। এখন বছরজুড়ে পরিকল্পনা নিচ্ছি।
তাজুল ইসলাম জানান, আগে আমরা কয়েক মাস, এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধের কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। এখন আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত করছি। আগের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা করবো। তবে এই সময়গুলোতে পিক সিজন ও লিন সিজন ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ এডিসের জন্য একটি উর্বর সময়, অন্যটি অনুর্বর মৌসুম। আমরা সেই অনুসারে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
এ সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, গত বছর যেহেতু আমরা দেখেছি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে আশ্বিন মাস এবং শীতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এ জন্য আমাদের কর্মপরিকল্পনা বছরব্যাপী করেছি।
তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গুপ্রতিরোধী কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে যেমন করা হতো, আষাঢ়,শ্রাবণ ও ভাদ্র পর্যন্ত। এখন আমরা আশ্বিন মাস পর্যন্ত এটি বাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঢাবির শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদের শিক্ষক মো. রহমত উল্লাহকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন,তা বহাল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রুল দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির বিরুদ্ধে রহমত উল্লাহর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৮ জুন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। অব্যাহতি সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
রহমত উল্লাহর পক্ষে আজ শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগ এ-সংক্রান্ত রুল দ্রুত হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। এর মধ্য দিয়ে রহমত উল্লাহকে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রইল। ফলে রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে আইনগত বাধা নেই।
গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান বলে অভিযোগ ওঠে।
খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও আইন অনুষদের রহমত উল্লাহকে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নব উদ্যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে পথচলার শুরুতেই দেশজুড়ে থাকা ইভ্যালির লাখো গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘ধন্যবাদ উৎসব’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ‘ধন্যবাদ উৎসব’ শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের নামীদামী আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে থাকছে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
এতে আরও বলা হয়, পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এখন ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করা যাবে।
এছাড়াও ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন সময় চমকপ্রদ অফার দেবে ইভ্যালি।
ধন্যবাদ উৎসব সফল করার আহ্বান জানিয়ে ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অতীতের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি। ইভ্যালি এখন এমন একটা ব্র্যান্ড যা এই জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের এখন দুইজন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।
শামীমা আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখন থেকে আমরা আর লসে পণ্য বিক্রি করব না। তবে ইভ্যালির গ্রাহকরা আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না, তা নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহার করে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও, গতানুগতিক বাজারের তুলনায় গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো আমরা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি এবং গ্রাহক সেবার দিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব।
শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পূর্বের সকল অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইভ্যালির হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব। আমাদের গতি বেগবান করতে ও ইভ্যালিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের প্রাক্তন সিইও রাসেলের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল জামিন পান শামীমা।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা