সজীব ওয়াজেদ জয়
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পরপরই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও ধর্ষণ করতে শুরু করে।
সজীব ওয়াজেদ তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টে লিখেন, এমনকি উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ ও তালিকা দিয়ে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে তারা।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির ৮ জন নেতার মাধ্যমে জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো খালেদা জিয়ার সরকার।‘
সজীব ওয়াজেদের পোস্টে বলা হয়, এমনকি মন্ত্রীদের চাপের কারণে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যও বাধ্য হয়েছিল জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে।
এতে বলা হয়, পুলিশের হাত দিয়ে জঙ্গিদের কাছে নিরাপদে অর্থ পাঠাতো বিএনপি সরকারের নেতারা। এমনকি কখনো পুলিশ এই জেএমবি জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করলেও সরকারের চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো, অথবা আদালত থেকে তাদের জামিন দেয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশ আসতো সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী
পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
রংপুরে বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি: জয়
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে।
সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে। এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে।
জয় বলেন, হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকান্ড বাঙালি জাতির জন্য করুণ বিয়োগগাথা হলেও ভয়ঙ্কর ওই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার।
তিনি বলেন, ‘আজ এই শোকের দিনে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের।’
পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে
বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। বৈশ্বিক বেশ কিছু সংস্থার প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এক ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি করেন তিনি।
জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে বিএনপি সরকারের ২০০১-০৬ সাল মেয়াদে ‘বাংলাদেশ থেকে কে, কিভাবে, কখন ও কোথায় অর্থপাচার করেছে’ এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিও প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা তারেক জিয়ার অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেছে বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান (কোকো) ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিঙ্গাপুরে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছে। তার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে থেকে তিন ধাপে ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতির তথ্য এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটেও রয়েছে বলে দাবি করেন সজীব ওয়াজেদ।
ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারাডাইজ পেপারেও অসংখ্য বিএনপি নেতার নাম এসেছে। তাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী ও তিন ছেলের নাম রয়েছে। বিশ্বের যেখানেই দুর্নীতি নিয়ে কোনো তদন্ত হয়েছে সেখানেই বিএনপি নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
ফাঁস হওয়া পানামা পেপারস এ অর্থ পাচার করা ৩৪ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফাইসাল মোর্শেদ খান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই বৈশ্বিক অনুসন্ধানকারীরা কে ক্ষমতায় আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির তথ্য পেলে এভাবেই প্রচার করবে। কিন্তু তেমন কিছু তারা করেনি।
সম্প্রতি প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে এক কোটি ২০ লাখের বেশি গোপন নথি রয়েছে। কিন্তু পানামা পেপারস বা প্যান্ডোরা পেপারস কোনটিতেই দুর্নীতি অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কোনো নেতার নাম উঠে আসেনি। কিন্তু প্রতিটি পেপারসে বিএনপি নেতাদের নাম মিলছে বলে ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়।
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
বঙ্গবন্ধুর জেল মুক্ত দিবসের ৫০তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তানের কারাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই ইতিহাস জানতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘একদিকে ত্রিশ লাখ শহীদের লাশের স্তূপ, চার লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের আহাজারি; অন্যদিকে পাকিস্তানি দানবদের হাত থেকে বাংলার মাটি ও সাত কোটি মানুষের চির মুক্তি; হাজার বছরের শৃঙ্খলভাঙার উল্লাসে যখন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলো স্বজন হারানোর বেদনা; ঠিক তখনই পাকিস্তানের কারাগারে হত্যার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য এটাই প্রথম অপচেষ্টা নয়, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ফলাও করে প্রচারিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে চারপাশ থেকে গুলি চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে, গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর সংসদ ভবন এলাকা, আদমজী ক্যান্টমেন্ট স্কুল, ঢাকা সেনিনাবাসের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখা হয় বাঙালি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। অবশেষে ১ এপ্রিল তাকে কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে পাঠানো হয় পশ্চিম পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে।’
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
জয় লেখেন, ‘করাচি, লাহোর হয়ে তাকে পাঠানো হয় উষ্ণতম অঞ্চল লায়ালপুর শহরের এক নির্জন কারাগারে।
পাকিস্তানি বর্বর শাসকগোষ্ঠী কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, কি ছিল তাদের পরিকল্পনা সেই ঘটনাগুলো জানতে পড়ুন এই আর্টিকেলটি। https://www.albd.org/bn/articles/news/38179
নিজে জানুন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানাতে উদ্বুদ্ধ করুন সঠিক ইতিহাস। অনেক অজানা ইতিহাস নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার ফেসবুকে কিছু আর্টিকেল শেয়ার করতে থাকবো। সবাই কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনার মন্তব্য।’
তার পোস্টের শেষে তিনি সত্য ইতিহাস শেখার এবং ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে অনাবিষ্কৃত ইতিহাসের আরও নিবন্ধ ভাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা আজিজ পাশাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয় খালেদা জিয়া। এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারও চাকরিতে বহাল করে সে। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে “মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।’
তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে আজিজ পাশা তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল সে।’
জয় লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে উপহার স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয় জিয়াউর রহমান। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেয় তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় লেখেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সে আর দেশে ফেরেনি। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপন করে খুনি আজিজ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশেষে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যায় সে।'
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বার্তায় জয় বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই হোক আমাদের সকলের প্রত্যয়।’
তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসের শুরুতে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে। একই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, যাদের নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কাছে হেরে গিয়েছিল বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী; অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০তম বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জাতি হিসেবে যা আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইতোমধ্যেই আমরা সফলভাবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য তথ্য জানুন: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ করেছেন, ‘সম্প্রতি দেশে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।’
তার অভিযোগ, ‘প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি তিন টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।’
শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে দিয়ে তিনি এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: সজীব ওয়াজেদ
‘ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কিছু তথ্য: গুজব থেকে দূরে থাকুন-সত্য তথ্য জানুন’ শিরোনামে ফেসবুক ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এবছরের জুন মাসে লিটার প্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা, জুলাই মাসে ৩ টাকা ৭০ টাকা, আগস্টে ১টাকা ৫৮ পয়সা, সেপ্টেম্বরে ৫ টাকা ৬২ পয়সা ও অক্টোবরে ১৩ টাকা ০১ পয়সা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৭.৬০ কোটি টাকা। একইসাথে ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫ টাকা ৭৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর ফলে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন: বর্ধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
প্রতিবেশি দেশেগুলোর তথ্য তুলে ধরে জয় লিখেন, ‘ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ নেপালি রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।’
‘সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এর ফলে এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।’
রাজাকারদেরকে আমরা মোকাবিলা করতে জানি: হেফাজতের সমালোচনায় জয়
স্বাধীনতা বিরোধীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। আমরা সেটা হতে দেব না।’
সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে চান জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা
দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২০’বিজয়ী তরুণরা জীবন ঘুরে দাঁড়ানো এবং সমাজের পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
সতর্ক থাকুন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জয়ী হবো: জয়
করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবার বলেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই।