বাতিল
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের জন্য সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে রিক্রুটমেন্ট (নিয়োগ), বিভিন্ন ব্যাপারে পুলিশের ভেরিফিকেশন একটা ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) জিনিস। এটা আমরা না রাখার সুপারিশ করছি। এটি কোথাও থাকবে না।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনি নাগরিক, পাসপোর্ট নেবেন আপনার নাগরিক অধিকার। আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে? ইংল্যান্ডে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট চলে আসে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা কমিশন আছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানি না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হল এটি।’
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে একটি জিনিস মনে হয়- খারাপ লোক যখন দেশে আসে, তাকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ কী? বরং সে ভেতরে এলে আমার সুবিধা হলো, তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে। যদি কেউ চলে যেতে চায়, চলে গেল, অসুবিধা কি? বিমানবন্দরে এগুলো করা হয়, আমি মনে করি, এটি সময়ের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয়। কে করে এটি? এই যে অদৃশ্য শক্তি- আমার ব্যক্তিগত অভিমত- সেগুলো হওয়া উচিত নয়।’
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
আরও ৩০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল
ইমদাদুল হক মিলন, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও আহমেদ জোবায়েরসহ আরও ৩০ সাংবাদিকের স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে প্রেস ইনফরমেশন বিভাগ (পিআইডি)।
গত ৩ নভেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবিরের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা-২০২২-এর ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ এবং ৯.৬ ধারা অনুযায়ী এই অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- নিউজ টোয়েন্টিফোরের রাহুল সাহা, ডিবিসি নিউজের মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম, দৈনিক জাগরণের আবেদ খান, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, বাসসের ওমর ফারুক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির মাসুদা ভাট্টি, ডিবিসি নিউজের নাজনীন নাহার মুন্নী, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।
এর আগে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফারজানা রূপা ও ফরিদা ইয়াসমিনসহ ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে সরকার।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সোমবার বলেছে, ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিলের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় তারা 'উদ্বিগ্ন'। এসব সাংবাদিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থনের দায়ে চারজনকে আটক রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
১ মাস আগে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে তাদেরকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালাসপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন— একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, আজকে শাহদীন মালিক সাহেব শুনানি করেছেন। আমরাও সেখানে ছিলাম। এই মামলার শুরুইটাই বেআইনি। তাই আব্দুস সালাম, তারেক রহমানসহ সবার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দেখানো, প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়।
পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
১ মাস আগে
চাঁবিপ্রবি’র প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল
নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কারণে অবশেষে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভূমি অধিগ্রহণ বাতিলের বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এদিকে জোর করে দখল করা জমিগুলো ফেরত চাচ্ছেন মালিকরা। এসব জমি সদরের ৩ খেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে বহরিয়া এলাকায়।
ওদিকে দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি বতর্মান শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭০ জন। এরা তিন ব্যাচের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামে চাঁবিপ্রবি’র জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের আলোচিত বালু খেকো সেলিম খানের বিরুদ্ধে। এরা অনেক পরিবারকে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এছাড়া জমির বাজার দরের চাইতে কম দাম দেওয়া হয়েছে তাদের। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
ভুক্তভোগী জমির মালিক কালু খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় করার নামে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক নিয়ে নেয় সেলিম। আমি জমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেয়। দাম হয়েছে ৩৭ লাখ, দিয়েছে ১২ লাখ। আমার জমি ফেরত চাই।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. কাজল ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান দীপু মনির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু এখনতো আর বিশ্ববিদ্যালয় হলো না। আমাদের জমি আমরা ফেরত চাই। এলাকার বহু পরিবারকে নিজবাড়ি থেকে চলে যেতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য বহু বসতভিটা ও ফসলি জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে। ওইসব জমি এখন পড়ে আছে।
প্রায় তিন বছর যাবত চাঁদপুর শহরের ওয়াবদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) খলিশাডুলি এলাকায় চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশেই ভাড়া বাড়ির ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম ও নিহাল বলেন, দীপু মনি ও তার ভাইয়ের দুর্নীতির কারণে ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করে দেয়। যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থাসহ জমি বরাদ্দ দেওয়া হোক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আমি চাঁদপুরে যোগদানের পূর্বেই অধিগ্রহণ প্রস্তাব বাতিল করা হয়। যে স্থানে ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাতিল করা হয়েছে। ওই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
১ মাস আগে
৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, 'অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’
তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
'রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।
২ মাস আগে
রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
রাষ্ট্র সংস্কারে মোট ৪১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে অন্যতম বিচার বিভাগ সংস্কার, ইভিএম বাতিল, পুলিশি আইন সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর করা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছে আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছিল। হাজার হাজার মামলা দায়ের করে জুলুমের রাজনীতি কায়েম করেছিল।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।
জামায়াত নেতা এসময় সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর, আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর।’
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
এ সময় সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পরপর দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাবনা দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগভাগি থাকতে হবে।
এ সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন সেক্টর নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সকল শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট অশ্লীলমুক্ত করতে হবে।
চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে বলেও জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রস্তাব দেন। এতে হজ্জ ও ওমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যেগ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের, আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেনো অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণকে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
২ মাস আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান: টিআরএনবির সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
সাইবার নিরাপত্তা আইনটিতে কিছু বিতর্কিত বিষয় থাকলেও, এটি দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো রক্ষা, অনলাইন লেনদেনের নিরাপত্তা এবং সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তারা।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও আনোয়ার টেকনোলজিসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন: নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ভারসাম্য’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে।
এ গোলটেবিল আলোচনায় নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এ জরুরি সংশোধনের আহ্বান জানান আইন বিশেষজ্ঞ, আইসিটি প্রতিনিধি ও মিডিয়া পেশাজীবীরা।
বক্তারা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বর্তমান ডিজিটাল যুগে অপরিহার্য, যা হ্যাকিং, পরিচয় চুরি ও সাইবার প্রতারণার মতো ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে সুরক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রদান করে। এটি আর্থিক ও জ্বালানি খাতসহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করে, নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ বাড়ে এবং অনলাইন সেবার প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করে।
বক্তারা আরও বলেন, সাইবার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সাইবার আইন একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করে এবং ই-কমার্স ও প্রযুক্তির উন্নয়নে উৎসাহ দেয়। এটি নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে নাগরিক, ব্যবসা ও দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
তারা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা যেমন ডিজিটাল বিষয়বস্তু ব্লক করা এবং ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার উদ্বেগ তৈরি করছে। এই আইনটি ভিন্নমত দমন এবং বাক স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য ব্যবহার হতে পারে। 'অপপ্রচার ছড়ানো' বা 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা' এর মতো অস্পষ্ট শব্দগুলো সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। এতে আইনটি নাগরিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং বৈধ অনলাইন অভিব্যক্তিকে দমন করতে পারে। এ কারণে তারা বিতর্কিত ধারা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় সাইবার সুরক্ষা আইন হালনাগাদ করা হচ্ছে জানিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ‘সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না নীতি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত: আসিফ নজরুল
তিনি বলেন, সুরক্ষার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বড় ইস্যু। আইনের ভাষায় নেতিবাচক কিছু আছে কি না সেটা দেখতে হবে। আইন নিবর্তনমূলক হওয়া যাবে না।
সাইবার সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বলেন, ৩৬ আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা বাক-স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। একে অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আমার দপ্তর থেকে মাত্র তিন-চার জন ব্যক্তি দিয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (এনসিএসএ) চলছে। অথচ একে আরও শক্তিশালী করা দরকার। একইসঙ্গে নাগরিকদের নিয়ে বেশি বেশি নাগরিক সংলাপ করতে চাই। সব পক্ষের মত নিয়েই এই আইন সংশোধন করা হবে।
অপর মুখ্য আলোচক বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী বলেন, ডেটা সুরক্ষা ও তথ্য শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা সহজ নয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ভেদের দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে সবচেয় বড় চ্যালেঞ্জ বাক-স্বাধীনতায় ভারসাম্য রক্ষা। সংস্কৃতি, জাতীয়তার সীমার মধ্যে যদি আমরা দূরত্ব কমাতে পারি তাহলে সমাধান সহজ হবে। এই সমাধানটা নিজেদের মতো করে ‘সেলাই’ করতে হবে। ডিজিটাল অপরাধ সনাক্তের জন্য আইন করতে হবে। কোন প্রযুক্তি আমরা কীভাবে ব্যবহার করব সে জন্য আগাম চিন্তা করে আগামীতে কোন মূল্যবোধ নিয়ে চলব, কতটুকু যন্ত্রের ওপর নির্ভর করব তা নির্ধারণ করতে পারব।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, অপরাধকে অপরাধের গুরুত্ব ও প্রভাবের মাত্রা অনুযায়ী বিচার হওয়া দরকার। আসলে নতুন মাধ্যমে অপরাধ প্রমাণের সক্ষমতা আমাদের দরকার। রাষ্ট্রীয়ভাবে তথ্যের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আইন করে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
রবির কোম্পানি সচিব ব্যারিস্টার সাহেদ আলম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬০টি ধারারর মধ্যে ৩৭টি ধারাই ছিল অপরাধ চিহ্নিত করার জন্য। এতে ১৮টি অপরাধ গণ্য করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক সাইবার অপরাধের দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে আছে। তবে ই-গভর্নেন্সে আমরা পিছিয়ে আছি। তাই আমাদের কিসের জন্য কোন আইন দরকার তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। আমার মনে হয়, বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করার কিছু নেই। তাই এটি পুরোপুরি বাতিল করে নতুন করে করা উচিত। ডিজিটাল ইকোনমি যুক্ত করে টেলিকম আইনটিও হালনাগাদ বা নতুন করে করা দরকার।
বেসিস সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, বাকস্বাধীনতায় ভারসাম্য রক্ষায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য স্কুল থেকেই গঠনমূলক সমালোচনা করার সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। এভাবেই সেলফ সেন্সরশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি ডিজিটাল ফরেনসিক কীভাবে ও কতটুকু পর্যন্ত আদালতে গ্রহণযোগ্য সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের দেশে ডেটা প্রাইভেসি না থাকায় আমাদের ব্যবসাও হুমকির মুখে পড়বে। তাই সবার আগে সেন্সেটিভিটির ওপর ভিত্তি করে ডেটা ক্যাটাগারাইজেশন করা দরকার। একইসঙ্গে আমরা নাগরিককে কতটা সার্ভিলেন্সে আনতে পারি, লিগ্যাল ইন্টারসেপশন করতে পারি সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই আইন করতে হবে। তা না হলে মানুষ আইন ভাঙতে চেষ্টা করবে। তাই আইন তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার নতুন আইন করার ক্ষেত্রে অপরাধকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে উপধারাগুলোকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশোধনের সুযোগ রাখতে হবে। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। অপরাধ শনাক্তকরণে বিচারকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে।
বিডি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ বলেন, দেশের আর্থিক খাত খুবই ঝুঁকিপ্রবণ। প্রতিদিন দেশের আর্থিক খাতে ৬৩০টি সাইবার আক্রমণ হয়। তাই সাইবার অপরাধ কীভাবে ঘটে তা নির্ধারণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ঠিক করতে হবে। ডেটাসুরক্ষা আইন করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যকরভাবে সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার তথা ছক বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি ম্যানেজড ছক গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে দেশে কোন তথ্য রাখা বাধ্য করতে হবে তা নির্ধারণ করা দরকার।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই নাবিল বি আরিফ বলেন, সাইবার নিরাপত্তার আইনে শাস্তি নয় সুরক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সাম্প্রতিক সময়ের দুর্ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সামালোচনার জন্য যে ধরনের কাণ্ড ঘটেছে তা দুঃখজনক। এটা আইনের কাজ নয়। তাই আমাদের আইনের ভাষা পরিচ্ছন্ন ও বোধগম্য হতে হবে। মানুষের নিরাপত্তাকেই সবার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে যেন তারা ভীত না হন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধের ক্ষত তৈরি হয়। এজন্য বিচার বিভাগীয় তদারকি থাকা দরকার। ফেসবুক পোস্ট কন্টেন্ট সংশ্লিষ্ট অপরাধ। এটাই সব নয়। তাই বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ সাইবার সুরক্ষা আইনে প্রাধান্য পাওয়া উচিত নয়। এজন্য আমাদের ছাত্র-শিক্ষক-ব্যাবসায়ী-জনতার অংশগ্রহণে এই আইন করা দরকার। তা না হলে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রযুক্তি বিভাগ আনোয়ার টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওয়ায়েজ আর হোসেন বলেন, সাইবার ক্রাইমের মধ্যে বাক-স্বাধীনতা, অনলাইন হ্যারাজমেন্ট, সাইবার বুলিং ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণদের পাশাপাশি, নাগরিক ও ব্যবসাকেও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
২ মাস আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত: আসিফ নজরুল
আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই আমরা যাব।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো আইন বাতিল করা হবে, নাকি কেবল স্পিচ অফেন্স বাতিল করা হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু আলটিমেটলি এটা বাতিল হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগের বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন করা হবে, তখন তার মৌলিক একটি অনুচ্ছেদে নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে অবশ্যই নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সেজন্য এরকম সেমিনার অব্যাহত রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সংশোধন বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তবে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। এরপর এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে অনেকেই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার পরামর্শ দেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ইতোমধ্যেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নাগরিক পরিসরে একটি ধারণা আছে আইন মন্ত্রণালয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিতে পারে। এটা সত্যি না। একটি মামলা বিভিন্ন পর্যায় বা স্তরে থাকে। সব মামলা ইচ্ছে করলেই প্রত্যাহার করা যায় না। মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে মামলার কনভিকশন হয়ে যায়, সেখানে যিনি কনভিকটেড (দোষী সাব্যস্ত) হয়েছেন ওনার আবেদন ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মামলাগুলো কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। এর উত্তরে তিনি বলেন, মামলায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে যায়, যত ভুয়া মামলাই হোক, চাইলেই তা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এজন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: অচিরেই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আসিফ নজরুল
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পর্যায়ক্রমে সব ধরণের কালা-কানুন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, আমাদের আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে তার প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ( যা পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত করা হয়েছে) মূলত অপ্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এর প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই এই আইনকে আমরা যতভাবেই সংশোধন করি না কেন, এর প্রতি মানুষের অনাস্থা থেকে যাবে। তাই আলোচনা সভার যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনাগুলোকে আমলে নিয়ে এবং আরও যেসব বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা প্রয়োজন তা বিচেনায় নিয়ে নতুনভাবেই আইনটি করা উচিত।
আলোচনা সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম, টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, ইংরেজি দৈনিক দ্য ঢাকা ট্রিবিউন এর নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ভিকটিম খাদিজাতুল কোবরাসহ প্রমুখ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল
২ মাস আগে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল করে ‘এডহক’ কমিটি গঠন
‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’ বাতিল করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘এডহক’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ‘এডহক’ কমিটির আহ্বায়ক এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিতে নাহিদ ইসলামের নির্দেশনা
‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’ গঠন-সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ১২ মার্চের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে।
কমিটির অন্য সদস্য হিসেবে থাকবেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, উপজেলা প্রকৌশলী। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত নিকটস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন প্রধান শিক্ষক (একজন পুরুষ ও একজন নারী)।
পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘এডহক’ কমিটি বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ওএসডি হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার; জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার: অধ্যাপক ইউনূস
৩ মাস আগে
রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তিপত্রের শর্তানুসারে এসব কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে