অপহরণ
কুষ্টিয়ায় অপহৃত সেই ব্যবসায়ীকে বাড়ির সামনে ফেলে গেল অপহরণকারীরা
কুষ্টিয়ায় অপহরণের একদিন পর ব্যবসায়ী মো. জাহা বক্সকে (৩৮) অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে গেছে অপহরণকারীরা।
সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অপহরণের পর তাকে মারধর করা হয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জাহা বক্স কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন আব্দালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে। তিনি বাড়ির পাশে ‘প্রান্ত স্টোর’ নামে একটি পাইকারি মুদি দোকান চালাতেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে অপহৃত যুবককে হত্যা
এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকাসহ তাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। অপহরণকারীরা একটি চিঠির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। চিঠিতে পাঁচ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা হিসেবে পরিচিত আলী রেজা সিদ্দিক কালুর ভাই।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে জাহা বক্সের ছেলে প্রান্ত জানান, ‘রাত ১২টার দিকে আমাদের বাড়ির বারান্দায় কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি বাবা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তার মুখ ও চোখ বাঁধা ছিল।’
‘পরে জানতে পারি দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। বাবাকে মারধর করা হয়েছে, মাথায় দাগও রয়েছে। তিনি এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
অপহরণের রাতে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল তা জানাতে গিয়ে প্রান্ত বলেন, ‘একজন ব্যক্তি স্যালাইন নেওয়ার কথা বলে বাবাকে ডেকে নিয়ে যায়। বাবা তাকে পরিচিত কেউ ভেবেছিলেন, কিন্তু বাইরে গিয়ে দেখেন তিনি অপরিচিত। প্রথমে একজন থাকলেও পরে আরও একজনকে দেখা যায়। দোকান খোলার পরপরই পেছন থেকে বাবার মুখ, চোখ ও হাত বেঁধে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। ক্যাশ বাক্সের নিচে রাখা টাকাও তারা নিয়ে গেছে। রাতেই পুলিশ বাড়িতে এসে কথা বলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। বাবা জীবিত ফিরে এসেছেন, এটাই যথেষ্ট।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘জাহা বক্সকে উদ্ধারে পুলিশ, ডিবি ও অন্যান্য বাহিনী সক্রিয় ছিল। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে আছেন। সুস্থ হলে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
আটক ইউপি চেয়ারম্যান সম্পর্কে ওসি জানান, ‘তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাকে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
১৭১ দিন আগে
বানরেরাও অপহরণ করে! বিজ্ঞানীদের অদ্ভুত আবিষ্কার
উত্তর আমেরিকার দেশ পানামার ছোট্ট একটি দ্বীপে প্রাণীজগতের অদ্ভূত এক আচরণের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সেখানে ক্যাপুচিন প্রজাতির বানররা হাওলার প্রজাতির বানরের বাচ্চা অপহরণ করছে। দ্বীপটিতে এমন ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা গেছে।
স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এমন আচরণে হতবাক হয়ে গবেষক দলটি এ নিয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। সোমবার (১৯ মে) কারেন্ট বায়োলজি নামের এক সাময়িকীতে এ-সংক্রান্ত গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সেসব ক্যামেরায় অন্তত ১১টি হাওলার বানরের বাচ্চা ক্যাপুচিন বানরদের হাতে অপহৃত হওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে।
জার্মানির দ্য ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের গবেষক জো গোল্ডসবরো বলেছেন, ‘এটি খুবই চমকপ্রদ আবিষ্কার। প্রাণীজগতে আমরা এ রকম কিছু আগে দেখিনি।’
ক্যাপুচিন প্রজাতির বানরের আকার পোষা বিড়ালের মতো, এরা দীর্ঘজীবী ও চালাক। এ প্রজাতির বানরেরা একে অপরের কাছ থেকে নতুন নতুন আচরণ শেখে। এমনকি, পানামায় ক্যাপুচিন বানরদের একটি দল শক্ত আবরণযুক্ত খাবার, যেমন: বাদাম ও সামুদ্রিক খাবার ভাঙার জন্য পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করতে শিখে গেছে বলে জানান গবেষকরা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী
ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ও স্মিথসোনিয়ান ট্রপিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা ক্যাপুচিন বানরের হাতিয়ার ব্যবহার প্রত্যক্ষ করতে ৮০টিরও বেশি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন। তবে, ২০২২ সালের প্রথম দিকে প্রথমবারের মতো ক্যাপুচিন বানরের সঙ্গে হাউলার বানরের বাচ্চাকে দেখে তারা অবাক হয়ে যান।
ভিডিও ফুটেজে গবেষকরা দেখেছেন, ক্যাপুচিন বানরেরা তাদের পিঠে বাচ্চা ও হাতে পাথরের হাতিয়ার নিয়ে হাঁটছে। এ সময় তারা চেঁচামেচি ও একটু পরপরই হাতে থাকা পাথরে আঘাত করে শব্দ করছিল। তবে সেসব ফুটেজে অপহরণের মুহূর্তগুলো ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
হাওলার বানরেরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই গাছে কাটায়। সেখানেই অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ম্যাক্স প্ল্যাংক ও স্মিথসোনিয়ানের সহ-লেখক মার্গারেট ক্রোফুট বলেছেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের ধারণা খুবই সীমিত।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চা হাওলার বানরগুলো মারা গেছে। সাধারণত, হাওলার বানরশিশুরা তাদের মায়েদের দুধ খায়। ভিডিওতে আসা সব বাচ্চা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস বয়সী। দুধ ছাড়ানোর মতো বয়স এগুলোর হয়নি। সম্ভবত মায়ের দুধ না পাওয়ার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষক ক্রোফুট বলেন, ‘আমার আশাবাদী মন বলছে, কিছু বাচ্চা পালিয়ে তাদের মায়ের কাছে গেছে, যদিও এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
কেন ক্যাপুচিন বানরেরা এমন আচরণ করছে— এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন গবেষকরা। গবেষক দলটি প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, ক্যাপুচিন বানররা হয়তো শিকার করা কিংবা সহিংসতার প্রবণতা থেকে এমন আচরণ করছে।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, অপহরণের পর ক্যাপুচিন বানরের বাচ্চাগুলোর প্রতি কোনো ধরনের আক্রমণাত্মক আচরণে করেনি, উল্টো বাচ্চাগুলোকে আদর-যত্ন করছিল।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি একধরনের আচরণগত বিভ্রান্তি হতে পারে। এটির সূত্রপাত হয়তো কোনো এক ক্যাপুচিনের মাতৃত্বের ভুল প্রবৃত্তি কারণে। পরে এটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: কৃষকের ভাগ্য বদলে দিল বিএডিসির সেচ প্রকল্প
এটিকে বন্যপ্রাণীর বিরল সামাজিক ও আচরণগত ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন ফ্রান্সের সিএনআরএস ইনস্টিটিউট ফর কগনিটিভ সায়েন্সেসের গবেষক ক্যাথেরিন ক্রকফোর্ড।
ক্যাথেরিন একজন প্রাইমাটোলোজিস্ট। সাধারণত, যারা বানর ও মানুষসহ বুদ্ধিমান স্তন্যপায়ী প্রাণী বিশেষজ্ঞ তাদের প্রাইমাটোলোজিস্ট বলা হয়। তবে তিনি এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ক্যাথেরিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা একই প্রজাতির মধ্যে ব্যাপক বৈচিত্র্যের ইঙ্গিত দেয়।’
১৯৬ দিন আগে
অপহরণের ৫ বছর পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরল সামাউন
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অপহরণের পাঁচ বছর পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরেছে সামাউন আলী (২০) নামে এক তরুণ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে অপহরণকারীরা তাকে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে পুলিশ ও সামাউন আলীর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে।
সামাউন আলী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের গোগবস্তি গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।
সামাউন আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, পাঁচ বছর আগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সামাউনকে ঢাকায় নিয়ে যান তার চাচাতো ভাই জমিরুল ইসলাম ওরফে মিঠুন। ঢাকায় যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে একাধিকবার ছেলেকে ফেরত চেয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করেন সামাউনের বাবা সোবহান। তাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলে মিঠুন কয়েক দফা টাকাও নিয়েছেন সামাউনের বাবার কাছ থেকে, কিন্তু তার ছেলেকে আর ফেরত দেননি।
ছেলের খোঁজে ব্যর্থ হয়ে সাত মাস আগে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন সোবহান। এতে মিঠুন ও তার বাবা আব্দুল খালেককে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশকে এটি এজাহার হিসেবে রুজু এবং সামাউনকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সিএনজি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহত ৫
সোবহান বলেন, ‘সালিস বসিয়ে ছেলেকে ফেরতে চেয়েছি। আসামিরা কোনো কথা শোনেনি। মামলা করার পর পুলিশ যখন আসামিদের ধরতে চাইল, তখন তারা ছেলেকে ফেরত দিল।’
সামাউন বলেন, ‘তাকে নরসিংদী জেলার কোনো এক গুদামে রাখা হয়েছিল। তিনি কাজ করতেন, বেতন তুলতেন অন্য কেউ। কিছুদিন এভাবে চলার পর সবার সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন—কিছুই বলতে পারছেন না।’
২২১ দিন আগে
অপহরণের সাত দিনেও উদ্ধার হননি রবির টেকনিশিয়ান ইসমাইল
খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ হওয়া মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবির টেকনিশিয়ান ইসমাইল মিয়ার সাত দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) নরসিংদী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের সামনে ইসমাইলকে ফিরে পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: কাজের জন্য কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ ৬
নরসিংদীর বাসিন্দা ইসমাইল রবির টেকনিশিয়ান হিসেবে খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বেলাবো উপজেলার বীর বাগবের এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
গত ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন এই যুবক। এ ঘটনায় মাকিছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।
এদিকে আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণির সঙ্গে দেখা করেন অপহৃত ইসমাইলের পরিবার। এ সময় শিগগিরই তাকে খুঁজে বের করা হবে বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেন জ্যেষ্ঠ সচিব। তবে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ইসমাইলের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, গত দুই বছর ধরে রবির টাওয়ার মেরামতের চাকরি করে আসছেন ইসমাইল। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে রবির ৭/৮টি টাওয়ার বিকল হয়ে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে কোম্পানির নির্দেশে গত ১৯ এপ্রিল সকালে মানিকছড়ির ময়ুরখীল এলাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাওয়ার পথে মানিকছড়ি কলেজ এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা ইসমাইল ও তার সহযোগী আব্রে মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ‘তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবি কোম্পানির সঙ্গে দুর্বৃত্তদের লেনদেন-সংক্রান্ত কোনো বিষয় রয়েছে, আর সে কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
২২২ দিন আগে
অপহরণের সাত দিন পর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী
অপহরণের সাত দিন পর মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী। তবে বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে একদিন পর বৃহস্পতিবার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিবৃতি দিয়েছে যে তারা তাদের সংগঠনের শিক্ষার্থীদের ফিরে পেয়েছে। আমরা ওই ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করেছি। তারাও নিজেদের পরিবার সদস্যদের ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাহলে এখন মোটামুটি ধরে ধরে নেওয়া যায় যে ওই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিবারের হেফাজতে আছেন।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে
বিজু উৎসব উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিল।
পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
২২৪ দিন আগে
বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
ডিবি পরিচয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে একদল লোক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে তারা অপহরণ করেছিল ওই যুবকদের।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে রাবার বাগান থেকে ২৬ শ্রমিককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
গ্রেপ্তাররা হলেন— শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মো. মাহবুর আলম, মো. বাশির আলী ও মেহেদী হাসান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি হ্যান্ডকাফ ও ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া অপহরণের শিকার দুই ফ্রিল্যান্সার হলেন— ধুনট উপজেলার দিগলকান্দি গ্রামের রাব্বি (১৯) ও জাহাঙ্গীর (২৪)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম।
অপহরণের শিকারদের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি তাদের বাড়িতে আসে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। রাতেই জাহাঙ্গীরের পরিবার ২ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাব্বির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠালে তিনিও ছাড়া পান। রাব্বি মুক্তি পাওয়ার পর তার পরিবার মোটরসাইকেল নিয়ে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নেয়। পরে নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের কাছে তারা ঘটনা জানান। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘রাতের টহলের সময় খবর পাই যে, একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
২৫৫ দিন আগে
চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে গ্রেপ্তার করেছে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন গ্রেপ্তার মাধব।
রবিবার (২ মার্চ) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রাম থেকে জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়দীপ চৌধুরী মাধব সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার অজিত চৌধুরীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জয়দীপের নেতৃত্বে গত শুক্রবার নগরীর জেলা পরিষদের সামনের ফুটপাত থেকে কাজল মিয়া নামের এক হকারকে অপহরণ করে কয়েকজন জিন্দাবাজার সিতারা ম্যানশনে নিয়ে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। এছাড়া আরও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ও কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে। পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় তাকে ছেড়ে দেয়।’
‘এ ঘটনায় গতকাল (শনিবার) জয়দীপকে প্রধান আসামি করে ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে কাজল মিয়া অভিযোগ করেন। এরপর শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জয়দীপকে গ্রেপ্তার করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ দিকে, জয়দীপের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় দুজন হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক হকার। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি, উল্টো পুলিশকে ধাওয়া দেন হকাররা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।
হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবদল নেতা মাধব তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ওই ব্যক্তি শুক্রবার দুজন হকারকে উঠিয়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
পরে সেদিন রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সে সময় তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
২৭৭ দিন আগে
অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কুবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ১
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজ নামের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লা শহরের তোয়া হাউজিং এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তিনি উদ্ধার হন।
এ ঘটনায় অপহরণকারীদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার সাতরা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাহিদ (২০)।
ভুক্তভোগী শাকিলের ভাষ্যমতে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউশন শেষ করে কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তিনি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। অপহরণকারীরাও ওই অটোরিকশায় ছিল। এরপর দৌলতপুর এলাকায় যাওয়ার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি অটোরিকশা থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশায় চড়লে অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে অস্ত্র (ছুরি) দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে আটকে রাখে। শাকিল জিম্মি করে ফোন দিয়ে তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে মো. নাহিদ বলেন, তারা পাঁচজন মিলে শাকিলকে অপহরণ করেন। বাকি চারজন হলেন— বিষ্ণপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলা এলাকার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারি এলাকার শাহিন (২০) ও আকাশ (২০)।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়টি জেনে শাকিলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তোয়া হাউজিং এলাকায় তার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহরের কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং পুলিশের সঙ্গে গিয়ে শাকিলকে সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয়।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অপহরণকারীদের একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
৩০৭ দিন আগে
সুন্দরবনে ১৫ জেলে অপহরণ, তিন দিনেও খোঁজ নেই
সুন্দরবন থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছেন বনদস্যুরা। অপহরণের তিনদিনেও জেলেদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্য ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জেলেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, ,মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস। এদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ৩ জলদস্যুকে কোষ্টগার্ডে দিলেন জেলেরা, অস্ত্র ও গুলি জব্দ
গেল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। এ সময় আরও জেলেদের অপহরনের চেষ্টাকালে তিন দস্যুকে মারধর করে আটক করে জেলেরা। পরবর্তীতে আটক দস্যুদের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, কোস্টগার্ড আমাদের কাছে তিনজন দস্যুকে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দস্যুদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ জেলে ও মাছ ধরার একটি ট্রলারসহ দস্যুদের হাতে জিম্মি আছে। জেলেদের পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। জেলেদের অতিদ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, ‘সুন্দবনের দুবলার চরের অপহৃত ১৫ জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৩১০ দিন আগে
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জনকে অপহরণ
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কক্সবাজারের টেকনাফে থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুইটি সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ তাদের অপহরণ করা হয়।
শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক সাতজনকে অপহরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতদল সিএনজি (অটোরিকশার) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (পরিদর্শক) শোভন কুমার শাহা বলেন, ‘হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি।‘
তিনি বলেন, কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ১৯ বনকর্মী অপহরণ
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপহৃতদের কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবার। সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরা হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
৩৩৮ দিন আগে