অপহরণ
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
১ দিন আগে
সিলেটে মধ্যরাতে আ.লীগ নেতাকে অপহরণের অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার
সিলেট নগরীতে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে অপহরণের পর কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাগরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত হওয়ার আগে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিএনজি অটোরিকশায় করে সুবিদবাজার এলাকায় একটি বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকটি মোটরসাইকেল আরোহী যুবক তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় মিসবাহ উদ্দিনকে। পরে রাত সাড়ে ৩টায় সাগরদিঘীরপাড় এলাকায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাগীব বাবেয়া হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সিলেটে আদালত ও থানায় একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বিষয়টি জানতে আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, রাত ৮টার দিকে আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মেয়ে মুনতাহা আহমদ মিসবাহ জানান, তার বাবার অবস্থা ভালো নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবুও আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’
১ সপ্তাহ আগে
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
১ মাস আগে
সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটকসহ গাড়ি চালাককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় অপহরণকারীরা তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিও করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ভুক্তভোগী পর্যটকরা হলেন, এসএম নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মামুন ফকির(৩৮) এবং জোবায়ের আলম (২৮)। সকলের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।
মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী এসএম নাহিদ উজ্জামান।
দীঘিনালার এলাকায় পৌঁছালে তাদের গাড়ি গতিরোধ করে কয়েকজন অচেনা ব্যাক্তি। গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দরকষাকষি করে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার কথা বললে পরিবারের লোকজন খাগড়াছড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ সুপার অপহরণকারীদের নাম্বারে যোগাযোগ করলে ট্রু কলারে পুলিশ সুপারের নাম দেখে তাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, এ বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হবে। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা স্কুলছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে মামুন (৩০) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মাহফুজ চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. মামুনসহ চারজন ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে জানায়। পরে অপরহণের দুদিন পর মাহফুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। সে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন।
মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, ‘রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
৪ মাস আগে
নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে হত্যা ও অপহরণ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ করে টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল এলকার মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা,মরিচপাশা এলকার মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও আড়পাড়া এলাকার মো. আবু বকর শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা,জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার লাশ শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এমদাদুল ইসলাম বলেন,অপহরণ ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা,নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ছাব্বির নামে এক আসামিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারার ১৪ বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অপর ২ আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসামি ছাব্বির ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরে দলবল নিয়ে লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অমরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সাদেকুল আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বিচার কাজের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
গাজীপুরে অপহরণের এক মাস পর উদ্ধার ৮ মাসের শিশু
গাজীপুরে অপহরণের এক মাস পর আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার পাইকরতলী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সুমন (৪০) ও তার স্ত্রী মোসা. আইরিন (৩৪)।
পুলিশ জানায়, শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা মনিরা আক্তার রুমা ও অভিযুক্ত আইরিন সিটি করপোরেশনের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় স্থানীয় মোক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রুমা তার শিশু সন্তানকে গোসল শেষে রুমে শুইয়ে রেখে জামা-কাপড় ধুতে বাথরুমে যান। রুমে ফিরে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের ভাড়াটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পান তার পাশের রুমের ভাড়াটিয়া আইরিন তার রুমে নেই এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিশু অপহরণের অভিযোগে বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আসামি আইরিনের স্বামী আবু সাঈদ ওরফে সুমনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
৭ মাস আগে
অপহরণের ৬ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণের ৬ দিন পর মারুফ হাসান নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৫ টার দিকে ঝুরঝুরি বাজারের তালুকদার মার্কেটের পিছনে সেপটি ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারুফ হাসান ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ও সলঙ্গা থানার একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেপ্তারা হলেন- মো. আবুল হাশেম হাসু, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন হোসেন, মো. ওমর ফারুক ও মো. কাওছার হোসেন।
র্যাব-১২’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ তারিখ বিকেল ৩টার দিকে ঝরঝুরি বাজার থেকে আর বাড়ি ফেরেনি মারুফ।ওই রাতে তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা মোশারফ হোসেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর মারুফকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে র্যাব-১২। এক পর্যায়ে অপহরণের সন্দেহে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তারদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
উদ্ধার করা মারুফ হাসানের লাশ ও গ্রেপ্তারদের তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৮ মাস আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৩০০ শিক্ষার্থী অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিদ্যালয় থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে সশস্ত্র ইসলামিক চরমপন্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কাদুনা রাজ্যের কুরিগা শহরের প্রত্যন্ত শহরের একটি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংস হত্যাকাণ্ড, অনাচার ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ওই রাজ্যে অপহৃত হওয়া শিশুদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন ১২ বছর বা তার চেয়ে কমবয়সী।
কুরিগার এ ঘটনাটি উত্তর নাইজেরিয়ায় গত সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তৃতীয় গণ-অপহরণের ঘটনা। এর আগে গত সপ্তাহে শনিবারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য সোকোটোর একটি স্কুল থেকে ১৫ জন শিশুকে অপহরণ করা হয়। তারও আগে উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যে ২০০ জনকে অপহরণ করা হয়।
বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কোনো গোষ্ঠী এখনো এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামিক চরমপন্থীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ চালাচ্ছে। তারা বোর্নোতে অপহরণ চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর বিদ্যালয়ে অপহরণের জন্য ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত পশুপালকদের দায়ী করেছে স্থানীয়রা।
নাইজেরিয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপহরণের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ইসলামিক চরমপন্থীরা বোর্নোর চিবোক থেকে দু’শোর বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল।
অপহরণের কথা স্মরণ করে এলইএ প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক নুরা আহমেদ এপিকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেবলই শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিচ্ছিল সে সময় মোটরসাইকেলে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে।
গত বছরে নাইজেরিয়া জুড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে অপহরণ করা হয়। এমনকি রাজধানীতে বাড়ি থেকেও কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়।
নাইজারের সঙ্গে দীর্ঘ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্তের অনেকটা জুড়ে সাভানা বনভূমি। এই পথে অস্ত্র পাচার করে সেসব অস্ত্র অপহরণের কাজে ব্যবহার করে ইসলামিক চরমপন্থী বিদ্রোহীরা আর অপহৃতদের বনের গভীরে লুকিয়ে রাখে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, চরমপন্থীরা অপহৃতদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে যে কারণে আকাশপথেও বনে বোমাবর্ষণ করে হামলা চালানো সম্ভব হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের পশ্চিম আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ গবেষক জেমস বার্নেট বলেন, এই দলগুলো নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আরও ছড়িয়ে পড়ছে।
কুরিগা শহর থেকে কাদুনা শহরে যেতে ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। এ রাস্তায় এখন এক ডজনেরও বেশি চেকপয়েন্ট এবং সামরিক ট্রাককে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সৈন্যদের শিগগিরই অন্যত্র মোতায়েন করা হতে পারে।
শুক্রবার নাইজেরিয়ার পুলিশ এবং সৈন্যরা নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানের জন্য বনের দিকে রওনা করেছে বলে জানায় সামরিক বাহিনী।
কুরিগার বাসিন্দারা কেবল আশা করছেন তাদের সন্তানরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবে এবং সামরিক কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা এখন যে সুরক্ষা অনুভব করছে তা যেন স্থায়ী হয়।
৯ মাস আগে