অপহরণ
বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
ডিবি পরিচয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে একদল লোক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে তারা অপহরণ করেছিল ওই যুবকদের।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে রাবার বাগান থেকে ২৬ শ্রমিককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
গ্রেপ্তাররা হলেন— শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মো. মাহবুর আলম, মো. বাশির আলী ও মেহেদী হাসান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি হ্যান্ডকাফ ও ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া অপহরণের শিকার দুই ফ্রিল্যান্সার হলেন— ধুনট উপজেলার দিগলকান্দি গ্রামের রাব্বি (১৯) ও জাহাঙ্গীর (২৪)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম।
অপহরণের শিকারদের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি তাদের বাড়িতে আসে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। রাতেই জাহাঙ্গীরের পরিবার ২ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাব্বির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠালে তিনিও ছাড়া পান। রাব্বি মুক্তি পাওয়ার পর তার পরিবার মোটরসাইকেল নিয়ে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নেয়। পরে নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টহল দলের কাছে তারা ঘটনা জানান। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘রাতের টহলের সময় খবর পাই যে, একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
২৩ দিন আগে
চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে গ্রেপ্তার করেছে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন গ্রেপ্তার মাধব।
রবিবার (২ মার্চ) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রাম থেকে জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়দীপ চৌধুরী মাধব সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার অজিত চৌধুরীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জয়দীপের নেতৃত্বে গত শুক্রবার নগরীর জেলা পরিষদের সামনের ফুটপাত থেকে কাজল মিয়া নামের এক হকারকে অপহরণ করে কয়েকজন জিন্দাবাজার সিতারা ম্যানশনে নিয়ে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। এছাড়া আরও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ও কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে। পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় তাকে ছেড়ে দেয়।’
‘এ ঘটনায় গতকাল (শনিবার) জয়দীপকে প্রধান আসামি করে ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে কাজল মিয়া অভিযোগ করেন। এরপর শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জয়দীপকে গ্রেপ্তার করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ দিকে, জয়দীপের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় দুজন হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক হকার। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি, উল্টো পুলিশকে ধাওয়া দেন হকাররা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।
হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবদল নেতা মাধব তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ওই ব্যক্তি শুক্রবার দুজন হকারকে উঠিয়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
পরে সেদিন রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সে সময় তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
৪৫ দিন আগে
অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কুবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ১
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজ নামের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লা শহরের তোয়া হাউজিং এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তিনি উদ্ধার হন।
এ ঘটনায় অপহরণকারীদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার সাতরা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাহিদ (২০)।
ভুক্তভোগী শাকিলের ভাষ্যমতে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউশন শেষ করে কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তিনি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। অপহরণকারীরাও ওই অটোরিকশায় ছিল। এরপর দৌলতপুর এলাকায় যাওয়ার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি অটোরিকশা থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশায় চড়লে অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে অস্ত্র (ছুরি) দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে আটকে রাখে। শাকিল জিম্মি করে ফোন দিয়ে তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে মো. নাহিদ বলেন, তারা পাঁচজন মিলে শাকিলকে অপহরণ করেন। বাকি চারজন হলেন— বিষ্ণপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলা এলাকার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারি এলাকার শাহিন (২০) ও আকাশ (২০)।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়টি জেনে শাকিলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তোয়া হাউজিং এলাকায় তার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহরের কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং পুলিশের সঙ্গে গিয়ে শাকিলকে সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয়।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অপহরণকারীদের একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
৭৫ দিন আগে
সুন্দরবনে ১৫ জেলে অপহরণ, তিন দিনেও খোঁজ নেই
সুন্দরবন থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছেন বনদস্যুরা। অপহরণের তিনদিনেও জেলেদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্য ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জেলেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, ,মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস। এদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ৩ জলদস্যুকে কোষ্টগার্ডে দিলেন জেলেরা, অস্ত্র ও গুলি জব্দ
গেল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। এ সময় আরও জেলেদের অপহরনের চেষ্টাকালে তিন দস্যুকে মারধর করে আটক করে জেলেরা। পরবর্তীতে আটক দস্যুদের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, কোস্টগার্ড আমাদের কাছে তিনজন দস্যুকে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দস্যুদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ জেলে ও মাছ ধরার একটি ট্রলারসহ দস্যুদের হাতে জিম্মি আছে। জেলেদের পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। জেলেদের অতিদ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, ‘সুন্দবনের দুবলার চরের অপহৃত ১৫ জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৭৮ দিন আগে
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জনকে অপহরণ
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কক্সবাজারের টেকনাফে থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুইটি সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ তাদের অপহরণ করা হয়।
শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক সাতজনকে অপহরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতদল সিএনজি (অটোরিকশার) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (পরিদর্শক) শোভন কুমার শাহা বলেন, ‘হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি।‘
তিনি বলেন, কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ১৯ বনকর্মী অপহরণ
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপহৃতদের কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবার। সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরা হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
১০৬ দিন আগে
টেকনাফে ১৯ বনকর্মী অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯ বনকর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ জাদিমুড়ার পশ্চিমে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- আইয়ুব খান, আইয়ুব আলী, আনসার উল্ল্যাহ, আয়াত উল্ল্যাহ, সামছু, ইসলাম, সামছু, ইসমাইল, মোহাম্মদ হাসিম, নূর মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিন, সফি উল্ল্যাহ, আইয়ুব, মাহাতা আমিন, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ ও রফিক। বাকি দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বনবিভাগের ১৯ জন কর্মী সকালে পাহাড়ে কাজ করতে যায়। এ সময় তাদের কিছু লোক ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘অপহরণের শিকার বনবিভাগের ১৯ জন শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে।’
১০৮ দিন আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
১১৮ দিন আগে
সিলেটে মধ্যরাতে আ.লীগ নেতাকে অপহরণের অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার
সিলেট নগরীতে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে অপহরণের পর কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাগরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত হওয়ার আগে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিএনজি অটোরিকশায় করে সুবিদবাজার এলাকায় একটি বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকটি মোটরসাইকেল আরোহী যুবক তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় মিসবাহ উদ্দিনকে। পরে রাত সাড়ে ৩টায় সাগরদিঘীরপাড় এলাকায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাগীব বাবেয়া হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সিলেটে আদালত ও থানায় একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বিষয়টি জানতে আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, রাত ৮টার দিকে আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মেয়ে মুনতাহা আহমদ মিসবাহ জানান, তার বাবার অবস্থা ভালো নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবুও আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’
১২৪ দিন আগে
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
১৬৩ দিন আগে
সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটকসহ গাড়ি চালাককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় অপহরণকারীরা তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিও করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ভুক্তভোগী পর্যটকরা হলেন, এসএম নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মামুন ফকির(৩৮) এবং জোবায়ের আলম (২৮)। সকলের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।
মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী এসএম নাহিদ উজ্জামান।
দীঘিনালার এলাকায় পৌঁছালে তাদের গাড়ি গতিরোধ করে কয়েকজন অচেনা ব্যাক্তি। গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দরকষাকষি করে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার কথা বললে পরিবারের লোকজন খাগড়াছড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ সুপার অপহরণকারীদের নাম্বারে যোগাযোগ করলে ট্রু কলারে পুলিশ সুপারের নাম দেখে তাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, এ বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হবে। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০৪ দিন আগে