টি-টোয়েন্টি
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য যে একেবারেই মামুলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলাররা কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারলে সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শুরুতে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.১ ওভার বা ৪৯ বল হাতে রেখেই তা টপকে গিয়েছে ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা
১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন ভারতীয় ব্যাটাররা। মাঝে তিনটি উইকেট পড়লেও ভারতের রানের ফোয়ারা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেনি তাসকিন-মোস্তাফিজরা।
দলের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২৯ এবং ১৯ বলে ২৯ রান করেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
২ মাস আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক ওভারে ৩৯ রানের রেকর্ড
রান তোলায় নতুন উচ্চতা দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেটি এক ইনিংস বা ম্যাচে নয়, এক ওভারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভানুয়াতুর বিপক্ষে এক ওভারে ৩৯ রান নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে সামোয়া।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সামোয়ার এপিয়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ভানুয়াতুর বোলার নালিন নিপিকোর ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকান সামোয়ার ডারিউস ভিসের। ওভারে আরও তিনটি নো বল হওয়ায় মোট ৩৯ রান ওঠে, আর তাতেই হয়ে যায় বিশ্বরেকর্ড।
এটি শুধু আন্তর্জাতিক টি-টেয়েন্টিতেই নয় ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়েই এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্রুততম ফিফটি হাঁকালেন স্টোকস
ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিপিকোর প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন ভিসের। এর পরের বলটি নো বল হলে পরের বলে ফ্রি হিটে আবারও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলে সোজা শট দিলে বল গিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডের স্টাম্পে লাগলে ডট বল হয়। এরপর টানা দুটি নো বল করেন নিপিকো, যার শেষটি লং লেগের ওপর দিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে দেন ভিসের। আর ওভারের শেষ ডেলিভারিটিও উড়িয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এক ওভারে ৩৬ রানই ছিল সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড। সেটিও হয়েছে পাঁচবার। এর মধ্যে তিনবার ছয়টি ছক্কায়, বাকি দুবারের একবার দুই ব্যাটার এবং আরেকবার এক ব্যাটারের কৃতিত্বে।
৪ মাস আগে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিলেটে সোমবারের এই ম্যাচ দিয়েই পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই দুই দলের শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল তিনটি আর বাংলাদেশ দুটি। ঐতিহাসিকভাবে, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের জন্য একটি কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লঙ্কার সিংহদের সামনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই হাজির হচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের আগে, শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউড বলেছিলেন, তারা মনে করেন এই সিরিজে দল হিসেবে তারা ভালো পজিশনে আছে। তবে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ
এই ম্যাচে জাকের আলীর হাতে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ তুলে দেয় বাংলাদেশ। আলিস ইসলাম ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর তাকে দলে যোগ করা হয়। জাকের মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলবেন, এমনটা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নাজমুল।
বাংলাদেশ তিন পেসার- তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম ও লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনকে দলে নিয়ে মাঠে নেমেছে। একাদশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: আবিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাউইক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, চরিথ আশালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মহেশ থেকশানা, আকিলা ধনঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্দো, মাথিশা পাথিরানা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের জন্য বিসিবির দল ঘোষণা
৯ মাস আগে
টি-টোয়েন্টি সিরিজ: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঐতিহাসিক ধবলধোলাই টাইগারদের
বাংলাদেশ এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করেছে। মঙ্গলবার ঢাকায় শ্বাসরুদ্ধকর তৃতীয় ম্যাচে, টাইগাররা ১৬ রানের জয় অর্জন করে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হতবাক করে দিয়েছে।
আগের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও, টাইগাররা শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে এবং সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে পরাজয় বাংলাদেশের জন্য একটি অস্বাভাবিক ধাক্কা হলেও টি-টোয়েন্টি জয় তা পূরণ করেছে।
ম্যাচের পর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার বলেছেন, ‘আমরা সিরিজ হেরে সত্যিই হতাশ; বাংলাদেশকে অভিনন্দন, তারা আমাদেরকে সর্ম্পূর্ণরূপে ছাড়িয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে কিছু সুযোগ মিস করেছি, যা হতাশাজনক।’
তিনি বলেছেন যে তারা ১০০ করার পরেই দুটি উইকেট হারানোয় ম্যাচটি খারাপের দিকে মোড় নেয় এবং শেষ পর্যন্ত এরই মাশুলও দিতে হয়েছে তাদের।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ৫৭ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করেন। এরমধ্য দিয়ে প্রধম দুই উইকেট হারিয়ে টাইগাররা ১৫৮ রান করতে সক্ষম হয়। ২২ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন রনি তালুকদার।
স্বাগতিকদের বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে শক্ত ভিত গড়ে দেন ওপেনাররা। রনি আউট হওয়ার পর লিটন ও শান্ত দায়িত্ব নেন এবং দলকে পথ দেখান।
তবে লিটনের আউট হওয়ার ফলে বাংলাদেশের গতি কমে যায় এবং শেষ ১৮ বলে শান্ত ও সাকিব আল হাসান বোর্ডে মাত্র ১৯ রান যোগ করতে পারেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই প্রথম উইকেট হারালেও সম্ভাবনাময় ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ম্যালান ও জস বাটলার জুটি ৭৬ বলে ৯৫ রান সংগ্রহ করেন।
১৩তম ওভারের পরে তারা এক উইকেট হারিয়ে ১০০ রানে পৌঁছেছিল, কিন্তু ১৭তম ওভারের পরে তারা ১২৩ রান করতে গিয়ে পাঁচ উইকেট হারায়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড
জেতার জন্য সফরকারীদের শেষ দুই ওভারে ৩১ রান দরকার ছিল, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৯তম ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব মাত্র চার রান দিয়ে ইংল্যান্ডকে সিরিজের চতুর্থ পরাজয়ের দিকে ঠেলে দেয়।
শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাকে ইংলিশরা এবং তৃতীয় বলে একটি সিঙ্গেল রান হয়।
শেষ তিন বলে তাই ইংল্যান্ডের তিনটি ছক্কা দরকার ছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।
ম্যালান অর্ধশত রান করেন এবং বাটলার ইংল্যান্ডের হয়ে ৪০ রান করেন। সবমিলিয়ে তারা ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে ১৬ রানে ম্যাচটি হেরে যায়।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ২৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন এবং তানভীর, সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট পেয়েছেন। মুস্তাফিজুর এই ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে তার ১০০ তম উইকেট পূর্ণ করেছেন।
ম্যাচের পর বলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমরা এই সিরিজে সত্যিই ভাল খেলেছি, ব্যতিক্রমীভাবে ফিল্ডিং করেছি এবং এটি একটি বড় পরিবর্তন ছিল।’
ম্যাচের রান সংগ্রহের জন্য তিনি লিটন, রনি ও শান্তকে কৃতিত্ব দেন।
বাংলাদেশ শিগগিরই পরবর্তী খেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ ১৮ মার্চ সিলেটে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
১ বছর আগে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ব্রিসবেনে সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ।
মূল আসরের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ অক্টোবর একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
এই দুই ম্যাচে বাংলাদেশ তাদের চূড়ান্ত স্কোয়াড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারাল স্কটল্যান্ড
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়েছিল। সেখানে তারা স্বাগতিক দল ও পাকিস্তানের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ হেরেছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে এশিয়া কাপেও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা ব্যর্থতার কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কাছে তেমন কিছু আশা করছেন না ক্রিকেট ভক্তরা।
বাংলাদেশের একাদশ:
সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নামিবিয়ার চমক
২ বছর আগে
আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম পরাজয়ের পর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে তাদের উন্নতি করতে হবে।
এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় হারের পর বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও সোহানের সুর মিলিয়ে বলেন, ‘আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন টি-টোয়েন্টির কথা আসে তখন বাংলাদেশকে এমন একটি দল মনে হয় যাদের কী করা উচিত সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে মনে হয়।
ম্যাচ শেষে সাকিব সম্প্রচারককে বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম বটে কিন্তু আমরা তাদের মানসম্পন্ন স্পিনারদের সামলাতে পারিনি এবং কোনো ম্যাচে কোনো গতিও পাইনি।
আশ্চর্যজনকভাবে দলের সেরা তিন ব্যাটার ব্ল্যাকক্যাপদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরির জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল তা করতে পারেনি এবং তারপরও সাকিব ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নামেন। এর কারণ কী হতে পারে? সাকিব জানান, ইনিংসের মাঝপথে ডানহাতি-বামহাতির সমন্বয়ের জন্য তিনি এমনটা করেছিলেন।
সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিং এমন একটি অন্যতম ক্ষেত্র যেখানে আমাদের উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে এবং সেটা নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। দুটি ম্যাচ হারলে নিজেদের শক্তি ধরে রাখা কঠিন, কিন্তু বিশ্বকাপ আসছে, তাই পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব
গত দুই বছরে ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও স্থায়ী ওপেনিং জুটি নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবালের অবসরের পর সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।
সাম্প্রতিক ম্যাচে বাংলাদেশ পরীক্ষামূলক ওপেনিং জুটি হিসেবে মেহেদী হাসান ও সাব্বির রহমানকে মাঠে নামিয়েছে। নতুন অবস্থানে এখন পর্যন্ত ভালো করছে মেহেদী। কিন্তু সাব্বির এরই মধ্যে প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রকৃতপক্ষে তার কাছে দেয়ার মতো তেমন কিছু নেই। এখন, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে এনেছে। অথচ এই ফরম্যাটে জায়গা পাওয়ার মতো কিছুই করেননি তিনি।
সামগ্রিকভাবে, বিশ্বকাপ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করার জন্য একটি পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
২ বছর আগে
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের
চলমান নারী এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে এই পরাজয় হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের।
ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ৭০ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে সালমা খাতুন সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন এবং নিগার সুলতানা (১৭) ও লতা মণ্ডল (১২) রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: টানা দুই জয় বাংলাদেশের
জবাবে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ওপেনার সিদ্রা আমীন ও অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ যথাক্রমে ৩৬ ও ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের পক্ষে ডায়ানা বেগ ও নিদা দার দুটি করে উইকেট নেন।
এই আসরে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাও দু’টি ম্যাচ খেলে একটি জয় নিশ্চিত করেছে।
আগামী ৬, ৮, ১০ ও ১১ অক্টোবর স্বাগতিক বাংলাদেশ মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে।
আসরের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে।
আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে চোট পাওয়ায় মুশফিকের পায়ে ৬টি সেলাই
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সোমবার ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ
২ বছর আগে
প্রথম টি-টোয়েন্টি: আরব আমিরাতের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় সোহানদের
দুবাইয়ে রবিবার রাতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৭ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে। জবাবে ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত সাত রানে হেরে যায় আরব আমিরাত।
শেষ দিকে চিরাগ সুরি ২৪ বলে ৩৯ রান করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়া অয়ন আফজাল খান ১৭ বলে ২৫ রান করেন।
শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আফিফ হোসেনের ৫৮ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের উপর ভর করে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ।
পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ইনিংস ওপেন করা সাব্বির রহমান শূন্য রানে ফিরে যান। সাব্বিরের উদ্বোধনী সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ বলে ১২ রান করেন। এছাড়া লিটন দাস (১৩), ইয়াসির আলী (৪), এবং মোসাদ্দেক হোসেন (৩) ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হন।
৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আফিফ ও নুরুল হাসান সোহান ৮১ রান যোগ করেন।
আফিফ সাত চার ও তিন ছক্কায় ৭৭, নুরুল ২৫ বলে দুই ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে কার্তিক মিয়াপ্পান নেন দুটি উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
সিরিজ শেষে বাংলাদেশ দল ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে এবং দুই-তিন দিনের বিরতির পর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হবে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। সিরিজে অপর দল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজের পর বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ।
পড়ুন: বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয়ের নতুন ধারা শুরুর আশা নুরুলের
২ বছর আগে
জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ
শেষ ম্যাচে ১০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ১৭ রানে জিতে সিরিজের লিড নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সাত উইকেটে জয়লাভ করে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু এটি পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এই ম্যাচে এনামুল হক বিজয় আবারও ব্যর্থ হয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্কোয়াডের ফিরলেও ভালো খেলতে ব্যর্থ হন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ভিক্টর নিয়াউচি তিনটি ও ব্র্যাড ইভান্স দুটি উইকেট নেন।
এর আগে রায়ান বার্লের ২৮ বলে ৫৪ রানে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫৬ রান করে।
ফিফটি করার পথে বার্ল নাসুম আহমেদের এক ওভারে পাঁচটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতোই টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে তারা ১৩ ওভারে ৬৭ রানে ছয় উইকেট হারায়।
কিন্তু শেষের পাঁচ ওভারে বার্লের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে তারা ৭৯ রান করে।
বার্লের পাশাপাশি লুক জংওয়েও ব্যাট হাতে ভালো করেন। তিনি ২০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ ২৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ মাত্র দুই ওভারে ৪০ রান দেন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুনিম শাহরিয়ারের পরিবর্তে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনের। নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি নুরুল হাসানের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। নুরুল আঙুলে চোট পেয়ে সফর থেকে ছিটকে গেছেন।
দুই দল আগাম ৫ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দল ইতোমধ্যেই হারারে পৌঁছেছে।
পড়ুন: সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫৭
‘অঘোষিত’ ফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা তামিমের
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শনিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কয়েক মিনিট পরই নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন তিনি।
পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই সংস্করণ থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছিলেন তামিম। এরপর থেকেই এই সংস্করণে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছিল। বিরতি নেয়ার সময় তামিম বলেছেন, তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন না।
২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। পরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে নেন।
বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সময় তামিম বলেছেন, তরুণ খেলোয়াড়েরা অনেক দিন ধরে ভালো খেলায় তারা এই সংস্করণে আরও সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তামিম ইকবাল টাইগারদের হয়ে ৭৮টি ম্যাচে একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতকসহ ১৭৫৮ রান করেছেন। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতে ওমানের বিপক্ষে তামিম অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, যা এই সংস্করণে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের একমাত্র শতক।
পড়ুন: উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
দলে ফিরতে এনামুলকে আরও অপেক্ষা করতে হবে: ডমিঙ্গো
২ বছর আগে