কর্মবিরতি
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা, রোগীদের দুর্ভোগ
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে করে হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এদিকে এই বিষয় সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সভা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর ছেলে মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বামী ইরফান বলেন, আমার স্ত্রীর বুধবার সকালে ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সব কার্যক্রম চালু হবে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
২ মাস আগে
১১ দফা দাবিতে অনড় খুলনা পুলিশ, চলছে কর্মবিরতি
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)
সম্প্রতি দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে পুলিশ হত্যার দাবিতে শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজের পর শোক র্যালি ও কর্মবিরতি পালন করেন কেএমপি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির হাতে আটক এসবিএসি’র সাবেক চেয়ারম্যান
তাদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার।
২. ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা।
৩. বেশি ডিউটি করলে ওভার টাইম সুবিধা প্রদান।
৪. শুক্র ও শনিবারসহ সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান।
৫. দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসেবে আর্থিক সুবিধা প্রদান।
৬. সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া।
৭. পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
৮. নিরাপত্তা বেষ্টনি জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা।
৯. পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা।
১০. বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলায় প্রাধান্য নিশ্চিত করা।
১১. পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
র্যালি থেকে পুলিশ সদস্যরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এখনও চিন্তিত। তাই থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছি না। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না।
এছাড়া পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলে জানান তারা।
র্যালিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
৩ মাস আগে
পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবারও বাকৃবিতে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বাকৃবি করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাকৃবির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ববি
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন।
বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কিম থেকে ভালো অন্য কোনো স্কিম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’
পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা এবং কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব বৈষম্য চাই না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির কর্মচারীরা।
বাকৃবির বাকৃবি শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করলাম।’
আরও পড়ুন: প্রত্যয় পেনশন স্কিম: তৃতীয় দিনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি
বাকৃবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কর্মচারীদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন
৪ মাস আগে
প্রত্যয় পেনশন স্কিম: তৃতীয় দিনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি
'প্রত্যয়' পেনশন স্কিম থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
এর আগে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রবর্তিত নতুন পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাস্তবায়নের প্রতিবাদে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ বর্জনের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও।
৪ মাস আগে
দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ববি
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ববি শিক্ষক সমিতি ও ববি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
এসময় সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালুর দাবিও জানানো হয়।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাস, পরীক্ষা, সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম- সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ববি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি: মার্কিন দূতাবাস
৪ মাস আগে
শিক্ষকদের কর্মবিরতি, চবি ও চুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে চবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সচিব এস এম আকবর হোছাইন।
সরকারঘোষিত পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।
আরও পড়ুন: 'বৈষম্যমূলক' পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
এদিকে উদ্বোধনী ক্লাস না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা।
মোহাম্মদ পরাগ নামে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ক্লাস হয়নি। কবে হবে, সে বিষয়েও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। আমরা বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে এসে বসে আছি, অথচ আমাদের ক্লাসই হচ্ছে না; বিষয়টি অত্যন্ত হতাশার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম আকবর হোছাইন বলেন, ‘ক্লাস শুরুর বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ফ্যাকাল্টির ডিনদের ওপর নির্ভর করে। উনাদের কর্মবিরতি পালনের জন্য ক্লাস শুরু করা যায়নি।’
ক্লাস কবে নাগাদ শুরু হতে পারে- জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ-উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে আমরা রবিবার প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারিনি। আন্দোলন চলাকালে ক্লাস শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে।
এদিকে, একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষকরাও। এ কারণে চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে চলমান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে চলমান লেভেল-৩ টার্ম-১ এবং লেভেল-২ টার্ম-১ পরীক্ষা ২০২৩ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত ঘোষণা করা হলো। স্থগিত করা পরীক্ষাসমূহের তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে স্ব স্ব বিভাগ ও ইন্সটিটিউট থেকে ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালনে এক সমন্বিত সভায় চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
স্থগিত পরীক্ষাগুলো কখন হবে, এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনার তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
৪ মাস আগে
'বৈষম্যমূলক' পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
'বৈষম্যমূলক' পেনশন ব্যবস্থার আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেওয়ার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এর আগে রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রধান ফটকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে ফেডারেশন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: খুলনার তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত, সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম, প্রফেশনাল প্রোগ্রাম, অনলাইন ক্লাস ও অফলাইন ক্লাস, প্রশাসনিক কাজসহ সব শ্রেণির ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান কার্যালয়, হল প্রভোস্ট অফিস, গবেষণা কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ডিন অফিস, কম্পিউটার ল্যাব ও সেমিনার বন্ধ থাকবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা বলেছিলাম, আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাব। এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে। আমরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করছি।’
একইভাবে সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত 'বৈষম্যমূলক' প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট-প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে তার মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রবাসী, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি প্রকল্প নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প যাত্রা শুরু করে।
পরে সব স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয় স্কিম' নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়।
অর্থনীতিবিদ ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে প্রত্যাবর্তনের আকর্ষণীয় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন পাওয়া তহবিলের প্রতি আস্থা না থাকায় মানুষ খুব ধীর গতিতে নিবন্ধন করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশন (প্রত্যয়) স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষকদের এ আন্দোলনের দিকে নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতির মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১ জুলাই থেকে শিক্ষকদের এ কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে।
শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে সেশনজটে পড়লে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন। সেই অধিকার তাদের আছে। অনেকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। এ আন্দোলনের মাধ্যমে তো এটা বোঝা যাচ্ছে যে, তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। এখনো সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়নি। তাদের কর্মসূচি শুরু হোক, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় কারা আসবে, সেটা সরকারের নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটার সঙ্গেই আছে। শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে জানাচ্ছেন, সরকারই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
কয়েক দফা দাবিতে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, শিক্ষকদের প্রস্তাবিত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এ সময় ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে সব শিক্ষকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
৩ দফা দাবি নিয়ে গত ৯ মে মানববন্ধন, ১১ মে কালো ব্যাজ ধারণ, ২৫-২৭ জুন ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতিসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে আসলেও শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর জানান, টানা আন্দোলনে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয় নাই। তাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আগামী সোমবার থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘১ জুলাই থেকে আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। তবে সরকার আমাদের দাবি যতদিন না মানবে ততোদিন সব বন্ধ থাকবে আর সরকার দাবি মেনে নিলে আমরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরে যাব।’
৪ মাস আগে
পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
ঈদের ১২ দিন ছুটি শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
তবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকরা সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর দিন মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকেই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বাকৃবির শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এছাড়া বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ ও ২৭ জুন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।
একইসঙ্গে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন আমতলায় কর্মসূচি পালন করবেন বলে এতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষা কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘২৭ জুন পর্যন্ত বাকৃবির সকল শিক্ষক সম্মিলিতভাবে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। এছাড়া ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে এই দিনগুলোতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে।’
৪ মাস আগে