আইএমএফ
অবশেষে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মত আইএমএফ
বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুই কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
এর ফলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করা এবং কর-জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বুধবার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে। গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
২০৫ দিন আগে
আইএমএফের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত
বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে (ওয়াশিংটন সময়) প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফ চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পেছাল আইএমএফ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বহুপক্ষীয় ঋণ সংস্থাটি বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি উচ্চতর থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে, যা ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে সংস্থাটি আরও বলেছে, পরবর্তী অর্থবছরে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশে।
আইএমএফ আশা করছে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া বসন্তকালীন এই সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে, যা ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ঋণের বাকি অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
২২৫ দিন আগে
আইএমএফ ঋণের বাকি অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ জানিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে।
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে মূলত দেশের করব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও মাত্র ৭ শতাংশ। সেটি বাড়ানোর কথা বলেছে আইএমএফ। এছাড়া রাজস্ব বিভাগের প্রশাসনিক পদক্ষেপের ব্যাপারেও অনেক আলাপ হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশের বাজেট এবং বাজেট ঘাটতি কেমন হবে তা নিয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএমএফ করব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
তিনি বলেন, ‘কর কাঠামোর বাইরে ব্যাংকিং খাত নিয়েও আইএমফের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারসহ পুরো খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষপে নিয়েছে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। আমরা খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে নতুন আইন কাঠামো তৈরি করছি। সে ব্যাপারে আইএমএফকে অবগত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সংস্থাটি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।’
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। আলোচনা শেষে মে-জুনের দিকে ঋণের বাকি ২৩৯ কোটি ডলার বাংলাদেশ পাবে কিনা সে বিষয়ে সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
২৪২ দিন আগে
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করল আইএমএফ
বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এর আগে আইএমএফ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ন্যূনতম নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৪৩ কোটি ডলার রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া চলতি ডিসেম্বর শেষে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার বজায় রাখার শর্ত ছিল। গত সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার, যা আইএমএফের পরবর্তী ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষ করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দলের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইএমএফ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন এমন মূল ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেছে।
বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশকে আরও বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি সহজতর করতে বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য শিগগিরই একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। আইএমএফ দুর্বল ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
এছাড়া, এটি জোর দেয় যে, এমন কোনো নতুন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়, যা অর্থ সরবরাহ বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়াবে।
আইএমএফ তার সুপারিশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো এবং আর্থিক খাতে আরও ভালো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এই পদক্ষেপগুলোর বেশিরভাগই ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে আর্থিক তদারকি বাড়াতে হালনাগাদ অর্থনৈতিক সূচক ও নিয়ন্ত্রক তথ্যের সময়মতো প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।
৩৫০ দিন আগে
ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
ঢাকায় চলমান মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনা বৈঠকে ডলারের বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীল পদ্ধতি খুঁজছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চলমান স্থবিরতা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আলোচনা করেছেন তারা।
বিনিময় হারে আপেক্ষিক স্থিতিশীলতা সত্ত্বেও, রূপান্তরগুলো ধীর হয়ে গেছে। দর পরিবর্তনের প্রত্যাশায় অনেকে তাদের ডলার ধরে রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
শিখার মতে, এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকরা আরও কার্যকর এবং অভিযোজিত বৈদেশিক মুদ্রার বাজার নিশ্চিত করতে বিনিময় হারে নিয়ন্ত্রিত ওঠানামা তৈরির কৌশলগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন।
আলোচিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি ক্রলিং পেগ সিস্টেমের প্রবর্তন রয়েছে, যা মুদ্রার মূল্যে ধীরে ধীরে এবং পূর্বঘোষিত সমন্বয়ের অনুমতি দেয়।
শিখা বলেন, ‘আমরা বাজারে স্থিতিশীলতা এবং নমনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রক্রিয়াগুলো অন্বেষণ করছি। ক্রলিং পেগের বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকলেও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনা শেষ হলে আরও স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠবে।’
বৈশ্বিক মুদ্রার অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এই আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইএমএফ ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতার অংশ এই মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনায় বর্তমান আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির অগ্রগতিরও মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈঠক শেষ হওয়ার পরে আরও বিস্তারিত আশা করা হচ্ছে।
৩৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে আইএমএফ: অধ্যাপক ইউনূসকে জর্জিয়েভা
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি দল পাঠিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএমএফের এমডি।
বৈঠকে তিনি বলেন, 'আইএমএফ বাংলাদেশের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে এবং টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধির জন্য সংস্কার এজেন্ডা এগিয়ে নিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।’
বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রশংসা করেন আইএমএফ প্রধান।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কানাডা: ড. ইউনূসকে জাস্টিন ট্রুডো
স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কাছে সংক্ষেপে তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘এ এক অন্য দেশ। এটা বাংলাদেশ ২.০।’
নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সে সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানের কাছে তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এসব উদ্যোগের বিষয়ে সমর্থন ব্যক্ত করেন আইএমএফের প্রধান নির্বাহী। আইএমএফ এই সরকারকে দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানান তিনি।
জর্জিয়েভা বলেন, আইএমএফের একটি দলকে 'দ্রুত' বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন তিনি এবং এটি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা বোর্ডে দলটি এ সফর নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
জর্জিভা বলেন, এই দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করতে পারে। অথবা গত বছরের শুরুতে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আরও ঋণ দিতে পারে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও ছিলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আইএমএফ প্রধানকে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরাধের কাঠামো ভেঙে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে।
দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট জোরদার করতে আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে আইএমএফের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অধ্যাপক ইউনূস
৪৩৬ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত সংস্কার, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ ও কর সংস্কারসহ উদ্বেগের মূল ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার মোকাবিলা ও কর সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।’
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত তহবিলের বিধানসহ সম্ভাব্য সংস্কার অনুসন্ধানের জন্য এক সপ্তাহব্যাপী সফরে এসেছে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।
এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে সমর্থন করার জন্য বাহ্যিক সংস্থানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্থানীয় সম্পদ যতটা সম্ভব ব্যবহার করব, তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য আমাদের বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এই সফরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হবে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে আরও আলোচনায় জড়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেসব আলোচনায় সহায়তা ও নীতি নির্দেশনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঋণদাতা সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে।
এছাড়াও আইএমএফের প্রতিনিধি দল উচ্চ ভর্তুকি ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও সরকারি ব্যয়ে সম্ভাব্য কর্তনের খাতগুলোসহ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করবে।
চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্য সরকার এরইমধ্যে আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে।
৪৩৬ দিন আগে
আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ২০.৪৬৭ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) কাছে গত মে ও জুন মাসের জন্য ১৪২ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই লেনদেনের ফলে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৭১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের বিপিএম৬ নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৬৭ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা এসিইউ’র সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনদেনের সুবিধা দেয়। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির পরিমাণ র্নিধারণ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৫১২ দিন আগে
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফ ছাড়াও আমরা কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ইত্যাদি অন্যান্য উৎস থেকেও প্রায় ৯০ কোটি ডলার পেয়েছি। ফলে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি। চূড়ান্ত পরিমাণ শুক্রবার জানা যাবে।’
এর আগে ২৪ জুন আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্যাকেজের প্রথম কিস্তি অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার গ্রহণ করে। আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ বছরে ৭ কিস্তিতে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
৫২৫ দিন আগে
আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: শ্রিংলা
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো যায়। এখানে অনেক আলোচনা আছে। আমরা যেটা আশা করছি, এ সমস্যা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি।’
আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, আমরা সঠিক পথে আছি। আমরা যে কাজ করছি, সমস্যা সমাধানে সেটাতে তাদের সমর্থন আছে।
জুনে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছি কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুন মাসেই তারা দেবে। সেখানে বাধা তো নেই।
আরও পড়ুন: মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫৫৭ দিন আগে