প্রয়োজন
বাংলাদেশের প্রয়োজন 'ব্যাপক ও দূরদর্শী' নিরাপত্তা এজেন্ডা: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ এখন যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি তা কার্যকরভাবে মোকাবিলায় একটি ‘বিস্তৃত ও দূরদর্শী নিরাপত্তা এজেন্ডা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) 'বাংলাদেশ ২.০: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা এজেন্ডা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদ থেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের সঙ্গে গণতন্ত্রের সহজ ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রথম যে কাজটি হাতে নেওয়া দরকার তার মধ্যে একটি হচ্ছে সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশসহ নিরাপত্তা খাতের ব্যাপক সংস্কার।
মিয়ানমারের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে ও লিবিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক, বিআইপিএসএস সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির এবং ডেইলি স্টারের সাবেক সহযোগী সম্পাদক ও ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সের সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহেদুল আনাম খান গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন।
শহীদুল হক বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার পাশাপাশি এই ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কী নীতি গ্রহণ করা উচিত সে বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশকে এমন একটি নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, যা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ও বাণিজ্য রুট নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির মতো অরাষ্ট্রীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করবে তা নির্দেশ করে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে মিয়ানমার সংকটকে বাংলাদেশের কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত সে বিষয়েও কথা বলেন শহীদুল হক।
সব দেশের সঙ্গে আলোচনার সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখবে, সে বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
শাফকাত মুনির সার্বক্ষণিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) এবং পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় নিরাপত্তা সমন্বিত সচিবালয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, এই জাতীয় সচিবালয়ের ডোমেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ থাকা দরকার।
মুনির সাইবার নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তার মতো নতুন ও উদীয়মান হুমকি মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় অব্যাহতভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকি ও চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা এবং জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়নের এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা এজেন্ডা পুনরুজ্জীবিত না হলে 'বর্ষা বিপ্লবের' আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না। তিনি বাংলাদেশ ২.০ এর বিশ্বব্যাপী সমর্থন আদায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাপক কার্যক্রম বিশেষ করে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক-সামরিক সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুনির।
তিনি বাংলাদেশে সামরিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়েও কথা বলেন। নিরাপত্তা খাতের সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন মুনীর।
শাহেদুল আনাম খান তার নিজের মন্তব্যে সর্বপ্রথম শ্রোতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন বিপ্লব ঘটানোর প্রয়োজন।
তিনি নিরাপত্তা এজেন্ডা নিয়ে কথা বলার আগে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ সুরক্ষিত না হলে জাতি গঠন হতে পারে না।’
সবকিছুর ঊর্ধ্বে জনগণের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সুশাসন ছাড়া কোনোভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের সুশাসনের কোনো বৈশিষ্ট্যই ছিল না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনাম বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সেবক, প্রভু নন এবং তাদের পরিচালনা করতে হবে, শাসন নয়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার ও রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণ হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, দোষ এজেন্সিগুলোর নয় বরং হাসিনা সরকারের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের। যারা তাদের নিজের স্বার্থে এগুলোর অপব্যবহার করেছে।
প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতিবিষয়ক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ (অবসরপ্রাপ্ত) গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে তার চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
সঞ্চালক মুনিরুজ্জামান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে সংসদীয় তত্ত্বাবধান পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বিশেষ করে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গণতান্ত্রিক তদারকির ওপর জোর দেন, যাতে আর কখনো আয়নাঘরের মতো অতীতের ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তি না করতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই নতুন ও উদীয়মান হুমকি যেমন হাইব্রিড যুদ্ধ এবং 'গ্রে জোনে' লড়াই করার সক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।
এক আলোচনা পর্বে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ, সীমান্ত নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কৌশলের গুরুত্ব, জাতি যে বিশাল ঋণের মুখে পড়েছে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে ইত্যাদি বিষয় উত্থাপিত ও আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রদূত, সিনিয়র কূটনীতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষাবিদ এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন-মোদির আলোচনা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
চলমান ভয়াবহ বন্যায় ফেনীসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আটটি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় এর পরিমাণ অপ্রতুল বলে জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে, নগদ ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ১৯ হাজার ৬৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন, সে তুলনায় খুব কমই এখন পর্যন্ত সেখানে পৌঁছেছে। সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্রুত স্পিডবোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারের আবেদন করা হয়
বন্যা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে দুর্গত এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে বেশ কিছু মোবাইল টাওয়ার বিকল্প উপায়ে চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় নেটওয়ার্কেও সমস্যা হচ্ছে। জেলায় বসবাস করা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে দেশের বাইরে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত স্বজনরা উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
প্রবল বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলা।
ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের ১২ জেলায় বন্যায় ২ লাখ ৩০ হাজার হেক্টরের ফসল তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে প্রাথমিকভাবে এ প্রতিবেদন দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সংস্থাটি বলছে, ১২ জেলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ হেক্টরের আমন ধান, ৫৭০ হেক্টরের বোনা আমন ও ১২ হাজার ৯১০ হেক্টরের আমন বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৬৮ হাজার ২০৯ হেক্টরের আউশ, ৯ হাজার ৫১৯ হেক্টরের শাক-সবজি, ৩৮ হেক্টরের আখ এবং ১৯১ হেক্টরের পান প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সহযোগিতার জন্য পৌঁছেছে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীরাও সেখানে যাচ্ছেন।
এছাড়া বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভি-স্যাটসহ বিকল্প উপায়ে প্রচেষ্টা চালানোর পরও অচল মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যার তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় দেশের ১২টি জেলার ২ হাজার ২৫টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর:
অন্যদিকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালুসহ আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দুই বিভাগে ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়। এসব এলাকায় ১১৯৬টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। আক্রান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল টিমসহ পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন, কলেরা স্যালাইন ও অ্যান্টি-ভেনমসহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ মজুদ আছে। এসব এলাকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ:
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লা অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়াও বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক হতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
স্থানীয় সরকার বিভাগ:
সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক বন্যার্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশের থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারসহ বন্যা উপদ্রুত জেলাসমূহে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুইজন সদস্য হলেন- সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম ইউএনবিকে জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার সার্বিকভাবে মানুষের জালমাল রক্ষায় চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি নেই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বন্যার বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'প্রথম হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব মানুষের জীবন বাঁচানো। মানুষের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেগুলো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয় সঙ্গে কাজ করে, তাদের সবাইকে নিয়োজিত করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেসব ছাত্র ছিলেন তারাও উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সার্বিকভাবে প্রশাসন চেষ্টা করছে, সরকার চেষ্টা করছে যাতে মানুষের জানমাল, গবাদি পশু ইত্যাদি যাতে রক্ষা করা যায়।'
'ত্রাণ হিসেবে নগদ এবং চাল বরাদ্দের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে। দুর্গত অঞ্চলে সব শক্তি নিয়োজিত করা হয়েছে। বৃষ্টি কমলে দ্রুত পানি নামবে, তখন আমরা পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করব।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, বন্যার পূর্বাভাস ছিল না, এটি ছিল ফ্ল্যাশ ফ্লাড। কেউ বলছেন উজান থেকে ভারতীয় অঞ্চল থেকে পানি নেমে এসেছে, বন্যা যেভাবে প্রাকৃতিকভাবে হয়, খুব দ্রুতই হয়েছে। পানি এত দ্রুত বেড়েছে যে অনেক এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'এ বিষয়েও যোগাযোগ হচ্ছে। আমি সঠিকভাবে আপনাদের কাছে বলতে পারছি না। শুনেছি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের ওখানেও বন্যা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।'
ফারুক-ই আজম বলেন, 'ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে এটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। সরকারিভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শেভরনের কাছে পেট্রোবাংলার বকেয়া ২৬০ মিলিয়ন ডলার
৩ মাস আগে
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও হিমবাহ গলার মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য অস্ত্বিত্বের সংকট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
এসব সিস্টেম দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি ও স্থিতিস্থাপকতাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, যা অন্যান্য জাতির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন উপমহাসচিব ও পরিবেশমন্ত্রী। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
এই বাধা অতিক্রম করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবিলা এবং সবুজ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য কনফারেন্স অব পার্টিগুলোতে কীভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করা যায় তাও তারা আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে আরও তহবিল সুরক্ষিত করার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
৫ মাস আগে
বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়নে চীনকে প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, দ্রুত শিল্পায়নের জন্য চীনকে বাংলাদেশের প্রয়োজন। গত ১৫ বছরে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত এক দশকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক গভীর হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শিল্পোন্নত বাংলাদেশের জন্য চীনকে প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, গত এক দশকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) এক গোলটেবিল আলোচনায় উদ্বোধনী বক্তব্যে শাহরিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্যের কথা স্মরণ করেন। পাশাপাশি গত দেড় দশকে চীনের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তুলনা করার কোনো কারণ নেই।
শাহরিয়ার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে ঘিরে চলমান অপপ্রচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) আয়োজিত এই আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-জাপানের আলোচনা
সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের (সিএ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান, বিজিএমইএর পরিচালক শামস মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ওক্যাবের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলম, অধ্যাপক রুমানা ইসলাম, ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব, ডিক্যাবের সাবেক সভাপতি রাহীদ এজাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সহ চালু করা নতুন বিষয়গুলোও আলোচনায় এসেছে।
আলোচনার শুরুতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
প্রবন্ধে বলা হয়, ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়, ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর দুই দেশের মধ্যে বর্তমান উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে 'সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে' উন্নীত করেছে।
ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ২১টি চুক্তি সই হয়। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসহ বড় বড় প্রকল্পে সহযোগিতা করে অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। এ পর্যন্ত ২১টি সেতু, ১১টি মহাসড়কসহ ৫৫০ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৭টি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে চীন।
আরও পড়ুন: আইওসি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক: আইওসিইন্ডিও কার্যক্রমের জন্য বাজেটের বিধান নির্ধারণ
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যও বাড়ছে। ২০২০ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। পরে তা বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ করা হয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরে, চীন ছিল বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর খুবই ফলপ্রসূ হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর খুবই ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
চীনের মন্ত্রী বলেছেন, 'সুতরাং আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই দেশের সরকার ও সরকারি সংস্থাগুলো আগামীতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি সাধারণ পরিকল্পনা তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, সম্পর্কের ইতিহাস এবং বন্ধুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর ও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
জিয়ানচাও বলেছিলেন, ‘প্রায় ৫০ বছরে এই বন্ধুত্ব পাকাপোক্ত হয়েছে। যেহেতু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জনের অভিযান, ভিশন-২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ও দৃঢ় অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের অংশীদার চীন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আধুনিকায়ন অভিযানে প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে চীন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে রয়েছে। তাই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাঠামোর মধ্যেই আমরা এটা করব।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ভালো সুযোগের পক্ষে ফ্রান্স
৫ মাস আগে
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সব মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে যা আমরা চাই না। তাই বিদেশ থেকে ডিম আমদানি দরকার নেই।’
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু হ্যাচারি মালিক চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধানের অজুহাতে স্থানীয় বাজারে ডিমের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত।
কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১৩-১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি সহ মোট ১ হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সব ধরনের ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলেছেন, সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করার জন্য জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজন।
৪ বছর আগে