খন্দকার মোশাররফ
চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ
ব্রেন টিউমারে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মোশাররফ ও বিলকিস আক্তার হোসেন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ গুরুতর অসুস্থ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন সিঙ্গাপুরে যান।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এই বিএনপি নেতার ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, তার বাবার মস্তিষ্কের বহির্ভাগে ‘মেনেনজিওমা টিউমার’ ধরা পড়েছে।
মারুফ বলেন, তার বয়স বিবেচনা করে সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা তার বাবার টিউমার অপসারণে অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছেন। তাই তারা তাকে অগ্রিম রেডিওথেরাপি দিয়েছেন।
মোশাররফকে আট সপ্তাহ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৮ জুন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
১ বছর আগে
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার তার ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন জানান, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে এই বিএনপি নেতার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়েছে।
মারুফ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। চিকিৎসকরা বলেছেন যে তার মস্তিষ্কের বাইরে একটি স্ফেনয়েড উইং মেনিনজিওমাস শনাক্ত করা হয়েছে।’
বয়সের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা আপফ্রন্ট রেডিও থেরাপির মাধ্যমে টিউমার অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
মা বিলকিস আক্তার হোসেনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে মোশাররফের সঙ্গে অবস্থান করছেন মারুফ।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
তিনি তার বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন সিঙ্গাপুরে যান।
১৮ জুন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসা নেন তিনি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
১ বছর আগে
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মোশাররফ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
তিনি জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন মোশাররফকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৮ দিন চিকিৎসা নেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান বিএনপি নেতা।
খন্দকার মোশাররফের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
১ বছর আগে
এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সকল ইউনিয়নে অনুরূপ কর্মসূচি পালনের পর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকল বিভাগীয় শহরে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
রবিবার রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার বিএনপির সব বিভাগের সব সিটি ইউনিট মিছিল করবে বলে জানান তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকায় তাদের দলের দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো দিবসটি উপলক্ষে পৃথক মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করবে।
এছাড়া বিএনপির সমমনা দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারা শনিবার সকল শহরে একই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
পরে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের নিয়ে মোশাররফ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শ্যামলী থেকে রাজধানীর বসিলার দিকে মিছিল শুরু করেন।
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও বাধার অভিযোগের মধ্যে গতকাল (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করতে চায় বিএনপি
১ বছর আগে
বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশকে যে পরিস্থিতি নিয়েছে সেখান থেকে দেশকে বাঁচাতে আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি..আসলে ১০ দফার মূল পয়েন্ট হলো সরকারের পতন। এই সরকারের পতন করতে পারলে ১০ দফার সবগুলো পূরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ ইতোমধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি এখানে (মিটিংয়ে) শুনেছি যে ১১-দলীয় জাতীয়তাবাদী জোট যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে ১২টি দল জোট গঠন করে ঘোষণা দেয় এই সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে বাঁচাবে। এভাবেই গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ১০ দফা কোনো দলের দাবি নয়, জনগণের দাবি। ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই মানুষের।’
তিনি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের সমস্যা সমাধানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষ অভিযানের নামে গত ১৫ দিনে সারাদেশে প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
১ বছর আগে
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
১ বছর আগে
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারকে যোগ্য জবাব দিতে শুক্রবার ঢাকা মহানগরবাসীকে গোলাপবাগ মাঠে তাদের দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অন্য নয়টি বিভাগীয় শহরের মতো আমরা ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে আমাদের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই।’
শুক্রবার বিকাল ৩টায় দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির ২০৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, শনিবারের সমাবেশের জন্য দলকে অনুমতি দেয়া নিয়ে সরকার অহেতুক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং কর্মসূচি বানচালের অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে সময় নষ্ট করে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার বুধবার নয়াপল্টনে সহিংসতা করেছে, দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, অনেককে আহত করেছে যাতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সমাবেশে যোগ দিতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘শনিবারের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়ে জনগণ সরকারের অপচেষ্টার যোগ্য জবাব দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
মোশাররফ বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ শুরু করবে দলটি।
মির্জা ফখরুল, আব্বাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাতেই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, ‘ফখরুল ও আব্বাসের গ্রেপ্তার সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের চরম বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে দুই শীর্ষ নেতাসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের অন্য সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোলাপবাগে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ জেড এম জাহিদ বলেন, ডিবি প্রধান প্রতিনিধি দলকে অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন এবং গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে বলেন।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করে, ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় পুনরায় খোলার আশ্বাস দিলেও শুক্রবার সকাল থেকে এলাকাটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বুধবার ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের দিনটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
১ বছর আগে
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাদের দল বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপে অংশ নেয়ার কোনো কারণ নেই। কমিশন সংলাপ করুক বা না করুক সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’
শনিবার বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মন্তব্যের একদিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, তাদের দল মনে করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপের কোনো মূল্য নেই। তাই তাদের (ইসি) সঙ্গে কথা বলার প্রশ্নই আসে না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, সরকার যখন বর্তমান ইসি গঠন করে তখন রাষ্ট্রপতি ও সার্চ কমিটির নাটকে বিএনপি অংশ নেয়নি। ‘যারা এখন কমিশনে আছেন, আমরা তাদের কোনভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারি না।’
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই তা অবশ্যই শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার দেশের দায়িত্ব নিলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন করবে। তারপর আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি ও জনগণ আর ক্ষমতাসীন দলের ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো কিছুর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন-মেজাজ ভালো নেই। ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভালো ঘুমাতে পারেন না...অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতির সব সূচক জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না। ‘সরকার রিজার্ভের কথা বলে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার আমাদের রিজার্ভ থেকে ঋণ পরিশোধের তথ্য পুরোপুরি দিচ্ছে না।’
২ বছর আগে
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাদের দলের অংশগ্রহণ নির্ভর করবে জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর, বিদেশিদের পরামর্শের ওপর নয়।
শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। আমরা মনে করি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এখানকার জনগণই পরামর্শ দেবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে দমনে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এ ব্যাপারে জনগণ আস্থা অর্জন করলেই তাদের দল নির্বাচনে যাবে। যখন তারা মেশিনের মাধ্যমে নয়, নিজ হাতে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা বিদেশিদের পরামর্শে নির্বাচনে অংশ নেব না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমেরিকার আনুকূল্য চেয়ে দেশের রাজনৈতিক সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সমাধানের একমাত্র উপায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জানিয়েছেন যা স্পষ্টতই বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির’ মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সরকার ‘নাটক’ এর অংশ হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি বর্তমান সরকারের প্রতি অনুগত থাকবে। এই কমিটিতে শেখ হাসিনা বা সরকার যাদের নাম দেবেন তারাই নির্বাচন কমিশনার হবেন।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আয়োজনের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল মনে করে বর্তমান সার্চ কমিটির অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার কোনো মানে হয় না।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘তাই এই সার্চ কমিটি গঠন হলো পুরনো স্টাইলে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার জন্য সরকারের একটি নাটক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, তাদের দল ও জোটের শরিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তার অধীনে অনুষ্ঠিত আগের দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই আপনি যা করছেন তা দেশের জনগণ পর্যবেক্ষণ করছে। যথেষ্ট হয়েছে। শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে যথেষ্ট হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে এভাবে চলতে দেয়া যায় না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বর্তমান 'স্বৈরাচারী' শাসকসকগোষ্ঠী যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত না করে তাহলে তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
মোশাররফ বলেন, ‘আমরা একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। সবাই সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১০ বছর পার হয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর ও রুনি নিশ্চয়ই সরকারের কিছু গোপন খবর জানতেন। যে কারণে সেদিন তাদের হত্যা করা হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে গত ১০ বছরেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি, বিচারের কথা তো বলাই বাহুল্য।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে