মাছ ধরা
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় আপন ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোশারফ হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশের একটি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবি, নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ওসি বলেন,‘হাসপাতালের আপডেট পাওয়ার পর আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।’
১ দিন আগে
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও চরজানপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে জানিয়ে ভেদরগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশের ডিম পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এখন মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চল পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের আওতাধীন নদীগুলোতে আসে। আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। তাই মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষা ও অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে জল ও স্থলপথে প্রচারণা চলছে।
সরকার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাদিউজ্জামান আরও জানান, অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নদীতে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ মোতায়েন থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট আনা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ কেনাবেচা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
১৭৬ দিন আগে
‘২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ’
২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ সময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে।
এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে।
সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেজন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এছাড়াও মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন এবং সভায় সরাসরি ও জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
৩৪১ দিন আগে
রূপগঞ্জে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ভাতিজার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত নুরুল হক (৪৫) শুক্রবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে গত ১৬ মার্চ সেহরির পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছনি এলাকায় হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১৫ মার্চ বিকালে বাড়ির পাশে বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে নুরুল হকের সঙ্গে তার চাচা আব্দুল হাশেমের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে ১৬ মার্চ ভোরে সেহরি খেয়ে নুরুল হক মাছ ধরতে বের হন। সে সময় তার চাচা আব্দুল হাশেম, তার ছেলে বাবু ও সোহাগ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
খবর পেয়ে নুরুল হকের পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল হক।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় আগেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে গৃহীত হবে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বাবু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে খুন, আটক ৪
৩৭৩ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৮ জনের জেল-জরিমানা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়আশ্রম মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করায় আট জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩ ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, দুই মাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার সময় অভিযান চালিয়ে দুই জেলে ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ও মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনোসিস সেন্টার সিলগালা, ২টির জরিমানা
মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলেকে জরিমানা
৪০২ দিন আগে
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
৪০৩ দিন আগে
মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলেকে জরিমানা
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় আটক ১৫ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান হাইমচর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলেরা হলেন, খোরশেদ, মো. সোহাগ, মো. রাছেল, রিয়াদ মিজি, মো. মোহন মীর, মো. শাওন, মো. শান্ত মোল্লা, মো. বাবু, মো. রাজিব বেপারী, মো. হৃদয় মীর, সেলিম মীর, মো. রুবেল, মো. রিয়াদ, সোহাগ খান ও আবু বকর বেপারী।
অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা হতে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর চরভৈরবী এলাকায় উপজেলা টাস্ক ফোর্স যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ১০০ কেজি জাটকা, চেউয়া মাছের একটি ব্রুড স্টক এবং অন্যান্য প্রজাতির মাছ আহরণ করার সময় ১৫ জেলেকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
তিনি জানান, জব্দকৃত জাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩ ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
যশোরের অভয়নগরে ৩টি ক্লিনিককে ১.৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
৪০৮ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মশারি ও অন্যান্য জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
আরও পড়ুন: আবেদন খারিজ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যানকে লাখ টাকা জরিমানা
রেশমা খাতুন জানান, অর্থদণ্ড প্রাপ্ত এসব জেলে পাশের শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনার পশ্চিমে অবস্থিত রাজরাজেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
এ সময় মেঘনা নদীর সদর উপজেলার কাছিকাঠা এলাকায় মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা অবস্থায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় ১০টি মশারি জাল এবং নিষিদ্ধ ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। জব্দ করা জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
৪৫০ দিন আগে
সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামী ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবন। এ সময় পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।
এছাড়া এবারের মওসুমে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির শনিবার শেষ দিন, তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করমজলে ভিড় করছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভান্ডার নামে পরিচিত। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণী বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালীবোটসহ সকল প্রকারের জেলে বাওয়ালি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
এছাড়া আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারবেনা জেলেরা। পাশাপাশি ঢুকতে পারবে না কোনো পর্যটকও।
এ সময়ের মধ্যে কোন নৌযানও চলাচল করতে পারবে না সুন্দরবনসহ কোনো পর্যটক স্পটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ১০০ দিন ও বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বন বিভাগ এ মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মওসুম তাই বনবিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সকল প্রকারের পাস পারমিট বন্ধ রাখা হবে।
বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সকল ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মওসুম চলছে, এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
এদের মধ্যে প্রধান বন্যপ্রাণী হলো- বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বন বিড়াল ও মেছ বাঘ।
এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রজননের ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।
এই সময় নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা বনের অভ্যন্তরে চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হবে। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
আর পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জিরোন পযেন্ট, নিল কমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।
সব মিলিয়ে পর্যটক ও জেলেদের মাছ আহরণ এই তিন মাস বন্ধ ঘোষণা করছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সে জন্য মওসুমের শেষ সময় দেশের দূর দূরন্ত থেকে পর্যটকরা করমজলে ভিড় করছে, আসছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
এ ব্যাপারে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং বনের গহীন মাছের ও বন্য প্রাণীর বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং পশু পাখির প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধের এই তিন মাস হরিণসহ সকল প্রকারের বন্যপ্রাণী শিকার ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
৬৮০ দিন আগে
ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
জাতীয়ভাবে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার অবসান হওয়ায় জেলেরা আবারও রবিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য জাল ও নৌকা তৈরিতে এখন ব্যস্ত জেলেরা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
ইলিশের অভয়ারণ্য বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী- এই ছয় জেলা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
অভয়ারণ্য এলাকাগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলে ৯০ কিলোমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় ২০ কিলোমিটার এবং হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে ৮২ কিলোমিটার।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে।
একক মাছের প্রজাতি হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দুই মাসের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
৭০৯ দিন আগে