বন বিভাগ
খুলনায় ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রাম থেকে ১০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধার করা সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার মহেশ্বীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছন থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
স্থানীয়রা জানান, মহেশ্বরীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছনে অজগরটি দেখা যায়। পরে তারা সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কয়রা টহল ফাঁড়ির স্টাফদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জের অধীনস্থ বানিয়াখালি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের স্টাফরা গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিপিজি সদস্য, ভিটিআরটি সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের ৫০ কর্মী ও ড্রোন মোতায়েন
১ সপ্তাহ আগে
সুন্দরবনের বনদস্যুদের হাতে আটক ১০ জেলে উদ্ধার
মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলের দিকে বনবিভাগের পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ সময় বনদস্যুদের সঙ্গে বনবিভাগের সদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যুদের ফেলা যওয়া তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর জেলেদের রাতে বুড়িগোয়ালিনি স্টেশনে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ১১টি
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন-সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর চুনকুড়ি এলাকার আব্দুল আলিম, একই এলাকার নুর ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ছোট ভেটখালী এলাকার হাফিজুর রহমান, একই এলাকার রাজু ফকির, শফিকুল ইসলাম, নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী এলাকার রফিকুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার মফিজুর, একই এলাকার মুছাক সানা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী এলাকার নজরুল ইসলাম।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তাদের বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু মঞ্জুর বাহিনী সদস্যর অপহরণ করে। এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে মঞ্জুর নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের এসও সোলায়মান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা বনবিভাগের সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে।
জবাবে বনবিভাগের সদস্যরাও পাল্টা ৫ রাইন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায় প্রতিরোধের মুখে বনদস্যুরা জিম্মি করে রাখা জেলেদের রেখে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
এ সময় বনদস্যুদের একটি আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত ১০ জেলে, তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল, ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে নাইলনের বেড়া
২ সপ্তাহ আগে
বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
কক্সবাজারের চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ সংলগ্ন ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইনে রবিবার ট্রেনের ধাক্কায় আঘাতপ্রাপ্ত বন্য মাদি হাতিটির সু চিকিৎসা ও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১০৮
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশে চিকিৎসাসহ ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় এড়ানো এবং হাতিটির নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত সাফারি পার্কের চিকিৎসা দলের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইনসেস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডাক্তার বিবেক চন্দ্র সূত্রধর। তার পরামর্শ অনুযায়ী সাফারি পার্কের ভেটেনারি কর্মকর্তা, তার সহকারী এবং দুজন মাহুত আহত হাতিটির চিকিৎসা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতি
১ মাস আগে
সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
শনিবার (১ জুন) খেকে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত সুন্দরবনে এ নিষেধাজ্ঞা কর্যকর হবে। এই সময়ে বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম।
তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত।
পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনোভাবে অবাঞ্চিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বনে যাতে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে না পরে, সেজন্য বন বিভাগ সতর্ক থাকবে।
বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী ও গেওয়া গাছ বেশি।
এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, ৮টি প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।
এর মধ্যে মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৫ মাস আগে
সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের ৫০ কর্মী ও ড্রোন মোতায়েন
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৫০ জন কর্মী মোতায়েন করেছে বন বিভাগ। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও দুই দিন সতর্ক নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিধি জানাতে তিন সদস্যের বিশেষায়িত কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
বন সংরক্ষক মিহির কুমার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
গত শনিবার (৪ মে) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণাধীন বনাঞ্চলে আগুন লাগে। সোমবার সকালেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ধোঁয়া দেখা গেলে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো হয়।
সোমবার বিকালে প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের ঘোষণা করেন।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোকে সভাপতি ও খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর অগ্নিকাণ্ডের যে প্রভাব পড়েছে তা বের করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকর সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধান বন সংরক্ষক।
৬ মাস আগে
সুন্দরবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের সঙ্গে গ্রামবাসী
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে পান বরজে আগুন, ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
শনিবার (৪ মে) বিকালে সুন্দরবনের লতিফের ছিলা নামে একটি জায়গায় আগুন দেখতে পায় বন কর্মীরা।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, শনিবার বিকালে সুন্দরবনে আগুন লাগার খবর আসে। এর পর বন বিভাগের স্টাফরা, সিপিজি, মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নেভানোর কাজে আংশ নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কাপড়ের মার্কেটে আগুন, ৮ লাখ টাকার ক্ষতি
৬ মাস আগে
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদ থেকে মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্ধারকারী দল।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা।
উদ্ধারকারী দলটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেই কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে কুমিরটি কয়েকবার ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার খবর পেয়ে আমরা থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানাই। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও সতর্ক করা হয়।
খুলনা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোন সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম আরও জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কুমির। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল থেকে আরও একটি মিঠাপানির কুমির উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিরটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার’- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
শেরপুরে ফের বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার, পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ
শেরপুরে ঝিনাইগাতীর ছোট গজনী পাহাড় সংলগ্ন এলাকার ধানখেত থেকে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বন্যহাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বনবিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত হাতিটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ।
ধানখেতে হাতি তাড়ানোর জন্য পেতে রাখা বিদ্যুতের তারের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এনিয়ে গত পাঁচ মাসে একই এলাকা থেকে দুটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন খাদ্যের খোঁজে বন্যহাতির দল এই এলাকার ধানখেতে আসছিল। এতে ফসল নষ্ট হচ্ছিল। তাই স্থানীয়রা তাদের ফসল রক্ষা করতে বিভিন্ন উপায়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এভাবেই হয়তো হাতি তাড়ানোর জন্য পাতা বিদ্যুতের তারের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে বন বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হাতিটির শরীরের বিভিন্ন অংশ সংরক্ষণ করে মরদেহটি পুঁতে রাখা হবে।
এদিকে গত পাঁচ মাসে শেরপুরে ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ী এলাকায় দুটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়ন তাওয়াকুচা বীট এলাকার গত ৬ মে সকালে বিদ্যুতের পাতা ফাঁদে একটি বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল।
তাছাড়া ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ এলাকা থেকে ২০২২ সালে ২ জুন বন্যহাতির এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারও আগে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইগাতীর গজনী সীমান্তের আঠারোঝোরা এলাকা এবং ২০২১ সালের ৯ নবেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা ও ১৯ নবেম্বর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রাম থেকে তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিলো।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
নাগরিক প্ল্যাটফরম ‘জনউদ্যোগ’ এর আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, ‘শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি’র সভাপতি সুজয় মালাকার এবং ‘সবুজ আন্দোলন’ এর সভাপতি মো. মেরাজ উদ্দিন জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে গারো পাহাড়ে বন্যহাতির স্বাভাবিক বিচরণে কিছু মানুষ ফসল রক্ষার নামে বাঁধা দিয়ে আসছে। অথচ সরকার হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। তারপরও প্রায়ই গারো পাহাড়ে জিআই তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কিংবা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্যহাতি হত্যা করে আসছে।
তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবারও ঝিনাইগাতীর ছোট গজনীর ধানখেতের পাশ থেকে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই হাতিটিকেও হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এ হাতি হত্যার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক আমরা তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
১ বছর আগে
বনভূমি সংরক্ষণে বন বিভাগের কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের বন ও বনভূমি সংরক্ষণে বন বিভাগের কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুধবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি কক্ষে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন যে শুধু চাকরি করার জন্য নয়, দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। অবৈধ বনভূমি পুনরুদ্ধার ও বনের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সকল শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বন সংরক্ষণে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী। তাই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশের বন রক্ষায় কাজ করতে হবে।
কোনো ভয়ভীতির কাছে নতিস্বীকার না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আইন বিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
সুন্দরবনে বাঘ শুমারি শুরু হতে যাচ্ছে
নানা জটিলতার শেষে এবং অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর সুন্দরবনে বাঘ শুমারি শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত অর্থ ছাড়ের চেষ্টা চলছে। অর্থ ছাড় হলে প্রথমেই সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু হবে।
বন বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন হয়। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের একটি অংশে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়ে বাঘ গণনা করা হবে। চলতি অক্টোবর মাস থেকে এই কাজ শুরুর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থ ছাড় না হওয়ায় প্রকল্পটি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনা মাতিয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও প্রকল্পের পরিচালক আবু নাসের মহসিন বলেন, গত সপ্তাহে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৩ কোটি টাকা ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। এখন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় করলেই অর্থ পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রথমেই বাঘ গণনার কাজ শুরু হবে। মন্ত্রণালয়ের কাজে কতো সময় লাগবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। এজন্য কোন মাস থেকে বাঘ গণনা শুরু হবে-সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আশা করছি আগামী বছরের শুরু থেকেই শুমারির কাজ শুরু করা যাবে, সবই নির্ভর করছে অর্থছাড়ের ওপর।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমানে বাঘ সারা বিশ্বে একটি বিপন্ন প্রাণী। বিশ্বের ১৩টি দেশে তিন হাজার ৮৪০টি বাঘ টিকে আছে।
২০১৮ সালের জরিপ মতে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০০৯-২০১৭), ২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের অঙ্গীকার, দ্বিতীয় টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৬-২০২৭) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সিদ্ধান্তের আলোকে দেশে বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ এবং সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও এর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
প্রকল্পের অন্য কাজের মধ্যে রয়েছে-বাঘ যেন লোকালয়ে চলে না আসে, সে জন্য জনবসতি আছে এমন ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া দেয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাঘ যেন নিরাপদ আশ্রয় পায় সেজন্য বনের মধ্যে ১২টি মাটির কেল্লা নির্মাণ করা হবে। সুন্দরবনের যে অংশে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি, সেসব জায়গায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণসহ বনে আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে তা নেভানো যায় সেজন্য যন্ত্রপাতি, পাইপ ও ড্রোন কিনবে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আরও ৪ ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হচ্ছে
‘সুন্দরবনকে র্যাবের দস্যুমুক্ত করাই মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা’
২ বছর আগে