বাংলালিংক
তিন মোবাইল কোম্পানিকে পরিশোধ করতে হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা
তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছে পাওনা দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এছাড়া সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রায়ে গ্রামীণফোনের এক হাজার ৪০০ কোটি, রবির ৫০০ কোটি ও বাংলালিংকের ৬৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব ও মোবাইল কোম্পানির পক্ষে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের জন্য সরকার যে তরঙ্গ বরাদ্দ করে তার ওপর চার্জ করা হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করা হয়। এই ভ্যাটযুক্ত করার কারণে তারা (তিন কোম্পানি) হাইকোর্টে এসে মামলা ফাইল করে। হাইকোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তারা আপিলে আবেদন করা হলে আদালত শুনানি নিয়ে তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর এবং বিটিআরসি ভ্যাটসহ তরঙ্গ বরাদ্দ ফি হিসেবে পাওনা আদায় করবে।
এর আগে, ২০১২ সালে সরকার বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স নিচ্ছে মর্মে হাইকোর্টে রিট করে তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। তবে ওই তিন কোম্পানির রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এরপর কোম্পানিগুলো আপিল বিভাগে আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগও তাদের আবেদেন খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে দুই দশমিক তিন গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ফোরজি চালু করেছে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) খুলনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস এই ঘোষণা দেন। পরে বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা থেকে এই নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহার শুরু হয়।
চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত বিটিআরসি’র সর্বশেষ স্পেকট্রাম নিলাম থেকে নতুন স্পেকট্রাম নেয়া প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি ) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
তিনি বলেন, বাংলালিংক যেভাবে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দেখে, তা দেখে আমি আনন্দিত। এই ধরনের উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, খুলনা বাংলালিংকের কাছে সবসময়ই বিশেষ একটি মার্কেট। আজকের এই উদ্যোগে বাংলালিংককে সমগ্র দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যও প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুততর ইন্টারনেট এবং মানসম্মত ডিজিটাল সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আরও পড়ুন: দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতি পেলো বাংলালিংক
সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা দ্রুততর ইন্টারনেট ও আরও উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবেন। টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স ( টিডিটি ) প্রযুক্তির মাধ্যমে এই স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলালিংক গত আট মাসে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিন হাজারটি নতুন বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশনও ( বিটিএস ) স্থাপন করেছে। চলতি বছরে বিটিআরসি’র কাছ থেকে ৪০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম নেয়ার ফলে বাংলালিংকের স্পেকট্রামের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মেগাহার্জে উন্নীত হয়। গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রামের হিসেবে বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক। এছাড়াও ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক ২০২২ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়। সম্প্রতি টানা তিন বছর দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলালিংক ।
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ডিভিশনের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো.মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুরকার , বাংলালিংকের ক্লাস্টার ডিরেক্টর এফ এম শাহরিয়ার ওমর প্রিন্স ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বেআইনিভাবে ছবি ও ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করার অভিযোগে বেসরকারি যমুনা ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কাছে জরিমানা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নোটিশে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে মোট পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রবিবার আইনজীবী আশরাফুল হাদী বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি তুলে নিতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজ নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তি হয়। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, কিন্তু এরপরও প্রতিষ্ঠানটি সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি ব্যবহার করায় এ নোটিশ দেয়া হয়।
যমুনা ব্যাংককে কেন নোটিশ পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে আশরাফুল হাদী বলেন, 'যমুনা ব্যাংকের বুথে সাকিব আল হাসানের ছবি সংবলিত বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তার মানে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের মধ্যে আন্ত ব্যাবসায়িক সম্পর্ক আছে। পরোক্ষভাবে হলেও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে।’
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী আশরাফুল হাদী বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও শর্ত ভঙ্গ করে ছবি, ব্র্যান্ড ব্যবহার করায় আইনভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহৃত সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত সাকিব
ফের বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
তিন অপারেটর থেকে পৌনে তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় বিটিআরসি’র
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) পরিচালনার অভিযোগে দেশের তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রবি, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের কাছ থেকে মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১২ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে রবি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা, গ্রামীণফোন ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বাংলালিংক ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
১০ এপ্রিল, অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এর ধারা ৬৫ এর উপ-ধারা ৫ এর অধীনে কমিশনের শুনানির পর অপারেটরদের জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৪ মোবাইল অপারেটরকে ৭.৬৫ কোটি টাকা জরিমানা বিটিআরসির
গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছেন ৩৫ লাখের বেশি সিম ব্যবহারকারী
বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৩৫ লাখেরও বেশি সিম ব্যবহারকারী ঈদুল আযহা উদযাপন করতে শুক্রবার রাজধানী ছেড়েছেন।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৮ জুলাই মোট ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৭৩২জন সিম ব্যবহারকারী রাজধানী ছেড়েছেন।
এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিমের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩২। রবির ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৩, বাংলালিংকের ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬০ ও টেলিটকের ১ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ সিম এদিন ঢাকার বাইরে গেছে।
পড়ুন: বোন ও নাতনির সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন খালেদা জিয়া
দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার জেমস ও মাইলসের
টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাসসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জেমস ও মাইলস।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুই বাদী জেমস ও হামিন আহমেদ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
শুনানির সময় মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ আদালতকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির জন্য মামলা দায়ের করা হয়। এখন আর মামলা পরিচালনা করতে চাচ্ছি না। শুনানির সময় মামলার চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মতিউর রহমান মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীরা স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলার শুনানি ২৬ মে
মামলার অপর আসামিরা হলেন, বাংলালিংকের প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার আসামি বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে যান। তিনি আর দেশে ফিরবেন না এমনটা জানতে পারে বাদীপক্ষ। এজন্য বাদীপক্ষ মামলা থেকে তাকে বাদ দেন।
মামলাটি দুইটির অভিযোগে বলা হয়, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুইটি আসামিরা তাদের বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরণের অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জেমসের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার জামিন
জেমসের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার জামিন
কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলার শুনানি ২৬ মে
অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে করা পৃথক দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
দুই মামলার বিবাদীরা হলেন- বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ ডিজিটাল অফিসার সঞ্জয় ভাঘাসিয়া, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও ভিএএসের প্রধান অনিক ধর।
আরও পড়ুন: জেমসের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার জামিন
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে মাহফুজ আনাম ওরফে নগরবাউল জেমস, ব্যান্ড দল মাইলসের হামিন আহমেদ ও মানান আহমেদ কপিরাইট আইনে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
আদালত অভিযোগ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এ দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলালিংককে মৌখিকভাবে বলা হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশও দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের বলা হয়। বারবার বলার পরও তারা গানগুলো সরায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হই।’
আইনজীবী আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
কোনো ধরনের ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা।
এছাড়াও, বাংলালিংক গ্রাহকরা গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপ-স্টোর থেকে উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করে সেলফ-রেজিস্ট্রেশন করে উপায় গ্রাহক হলে পাবেন ৫০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ-রিওয়ার্ড এবং ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট। পাশাপাশি, বাংলালিংক গ্রাহকরা উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ৪৪ টাকায় ১ জিবি এবং ২৫ মিনিট টকটাইমের একটি বিশেষ প্যাক কিনলে পাবেন আরও ১ জিবি বোনাস ইন্টারনেট।
উপায় এর সর্বশেষ এই পার্টনারশিপের ফলে, দেশের প্রধান তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটর- গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক এর গ্রাহকরা কোনো ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড’ এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্র্যান্ড উপায় এর যাত্রা শুরু হয় ১৭ মার্চ ২০২১ থেকে।
আরও পড়ুন: ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেল ‘উপায়’
ইন্টারনেট ছাড়াই ‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন রবি গ্রাহকরা
বছরের সবচেয়ে বড় কনসার্ট ‘ঢাকা রক ফেস্ট ২.০’ হবে ২৩ ডিসেম্বর
বছর শেষে জমে উঠেছে কনসার্টের আমেজ। আগামী ২৩ ডিসেম্বর দেশের সবচেয়ে বড় কনসার্ট ‘ঢাকা রক ফেস্ট ২.০’ আয়োজন করছে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ।
বুধবার বাংলালিংক এর অফিসে আয়োজক, শিল্পী, সকল পার্টনার ও বাংলালিংক-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় বলা হয়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)‘ঢাকা রক ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে পারফর্ম করবে অর্থহীন, ওয়ারফেজ, ক্রিপ্টিকফেট, অ্যাভয়েড রাফা, ইন্দালোসহ দেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ডগুলো।
আরও পড়ুন: দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতি পেলো বাংলালিংক
আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত বলেন, ‘আমরা সবসময়ই তরুণদের জন্য আয়োজিত সকল বিশেষ প্রোগ্রাম ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সক্রিয়ভাবে সমর্থন ও প্রচার করে এসেছি। এরই অংশ হিসেবে বছর শেষের এই আনন্দঘন আয়োজনে আমরা ঢাকা রক ফেস্টের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি। রক সঙ্গীত নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত ধারাগুলোর একটি এবং দেশে এর অসংখ্য ভক্তও রয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো ভক্তদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় রক মিউজিক্যাল ইভেন্টের আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৪.০ বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা
বাংলালিংক প্রিয়জন গ্রাহকদের প্রাভা হেলথে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
জেমসের করা মামলায় বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার জামিন
কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘নগর বাউল’ খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেমসের করা মামলায় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তাকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বাংলালিংক কর্মকর্তারা হলেন- বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক আস, টাইগার্স ডেন, এর প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার নুরুল আলম, চিফ ডিজিটাল অফিসার সঞ্জয় ভাঘাসিয়া, চিফ কর্পোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান এবং ভিএএসের প্রধান অনিক ধর।
চার আসামি আত্মসমর্পণ করলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলা
গত ৩০ নভেম্বর একই আদালত তাদের আজ (সোমবার) পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।
এর আগে ১০ নভেম্বর সংগীতশিল্পী জেমস মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। ঢাকা মহানগর হাকিম কে এম ইমরুল কায়েশের সামনে হাজির হয়ে কপিরাইট ইস্যুতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, জেমসের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর ঢাকা মহানগর হাকিম বাংলালিংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে ৩০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে বলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১৮ মামলা, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
এছাড়া মাইলস ব্যান্ডের হামিন আহমেদ ও মানাম আহমেদও কপিরাইট ইস্যুতে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে একই আদালতে আরেকটি মামলা করেছেন।
তাদের অভিযোগে জানানো হয়, বাংলালিংক ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তাদের অনুমতি ছাড়াই রকস্টার জেমসের ৬টি গান এবং মাইলস ব্যান্ডের দু’টি গান নিজেদের রিংটোন, ওয়েলকাম টিউন এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে, যা কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন।