অ্যাটর্নি জেনারেল
মব সন্ত্রাস জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি।’
শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর এফডিসিতে ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে তথাকথিত সুশীল সমাজ স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে বিতার্কিকদের একটি সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দলকে হারিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল বিজয়ী হয়।
১৫২ দিন আগে
বাংলাদেশে আর কোনো দিন দিনের ভোট রাতে হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন দিনের ভোট রাতে হবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি আপনাদের গোপন বুথ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার। সেখানে গিয়ে আপনার ভোট যাকে ইচ্ছা, তাকে দিতে পারবেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সপ্তাহব্যাপী কয়েকটি সভা ও সেমিনারে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেনদের মত কুলাঙ্গাররা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে ভোটের অধিকার হরণ নিশ্চিত করেছিলেন। বিচারাঙ্গনে কোন মাফিয়া থাকবে না, কোন চক্রের সিন্ডিকেট থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক থেকে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে: রিজভী
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এ লড়াইয়ে সফলও হচ্ছেন। তিনি মাদক ও দুর্নীতির তথ্য দিয়ে সগযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা শৈলকুপাকে মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলবো। কথা দিচ্ছি মাদকের তথ্যদাতাদের নাম পরিচয় গোপন রেখে কেবল মাদকের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: আগে বিচার, তারপর সংস্কার, এরপর নির্বাচন: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান সপ্তাহব্যাপী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সভা, সমাবেশ, সেমিনার ও ব্যাংকার্স ফোরাম অব শৈলকুপার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, শৈলকূপায় এখন যে উন্নয়নের কাজ চলছে, তা আপনাদের করের টাকায়। এ উন্নয়ন কাজে যদি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত হন, তবে তথ্য দেবেন। শৈলকুপার চলমান উন্নয়ন কাজে কাউকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করলেই তাকে শাস্তি পেতে হবে—সতর্ক করেন তিনি।
১৭৬ দিন আগে
শেখ মুজিবের কালো আইনেই আ.লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের করা ‘কালো আইনের’ (বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪) ১৯ ধারাবলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের নতুন বাজার এলাকায় শৈলকুপা বণিক সমিতির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট একটি দল। জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে তারা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে, পঙ্গু করেছে ৩০ হাজার মানুষকে। ফলে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ মানুষ খুন করা হয়েছে, সাড়ে চার হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন, ১৭ বছরে ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এসবই মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় কবি হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তি করে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভীরু-কাপুরুষের উপমা হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করব।’
‘আওয়ামী লীগ ও তার দোসরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আস্ফালন করুক, দেশের সংবিধান ও আইনের হাত অনেক লম্বা। আর তাদের বিচার করার জন্যই এখনও লাখো-কোটি জনতা রাজপথে রয়েছেন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে গুম, হত্যা ও খুনের বিচার হবে।’
আরও পড়ুন: রাতভর পুলিশি অভিযানের পর সাবেক নাসিক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে কোথাও একটি মানুষও গুম হয়নি। কোনো থানায় পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবি মামলা করেনি। গত ১৭ বছর বিএনপি-জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার করা না হলে শহিদ মুগ্ধ, ওয়াসিম ও শিশু আনাসের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, জুলাই বিপ্লবের শহিদদের বিচার করার জন্য সরকার নতুন আইন প্রণয়ের কথা ভাবছে বলে জানান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। সে আইনে জুলাই বিপ্লবের শহিদদের খুনিদের বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০৯ দিন আগে
২১ আগস্ট মামলার রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: অ্যাটর্নি জেনারেল
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে আজ (রবিবার) রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আজ তা ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাতিল চান অ্যাটর্নি জেনারেল
‘শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছিল। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন— এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই।’
এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘আদালত বলেছেন, দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি যেটি বলেছিলেন, সেটিও পরে মুফতি হান্নান প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এজন্য এই অভিযোগ আমলে নেওয়ার ভিত্তিতে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট।’
রায়ের বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ‘এ মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে, সেটি আইনিভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ দ্বিতীয় অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া হয়নি, সরাসরি দায়রা জজ আদালতে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এই অভিযোগপত্র গৃহীত হতে পারে না।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়াও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
রায়ের পর ২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এটি সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন: হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
আইনজীবীরা বলেন, কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল, নিয়মিত আপিলসহ বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। ডেথ রেফারেন্স এবং এসব আপিল ও আবেদনের ওপর সাধারণত একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনার তদন্তকে ভিন্ন খাতে নিতে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নানা তৎপরতা চালায় বলে সেসময় অভিযোগ ওঠে।
পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। এরপর ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তাতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারক এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে: অ্যাটর্নি জেনারেল
৩৬৮ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারক এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বিগত সময়ে যেসব বিচারক ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা পালন করেছেন, তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয় চলমান থাকলে জাতির কাছে ভুল মেসেজ যাবে। তাই আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির অফিসকে এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।
শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিগত দেড় দশক সময়ে খুন, গুম, হামলা, মামলা, দমন, পীড়ন ও লুটপাটের মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম মানবাধিকার কিংবা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ৭০০–এর বেশি মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। ৬০ লক্ষাধিক মানুষ গায়েবি মামলার আসামি হয়েছিল। কথা বলার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীন ও মৌলিক অধিকারগুলো হরণের মাধ্যমে বিরোধী মত দমনের নিকৃষ্টতম ইতিহাস রচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মামলা দায়েরে ভিকটিম ফ্যামিলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের গণ্ডি অতিক্রম করেছে বলে আমরা লক্ষ করেছি। এ বিষয়ে আমি উদ্যোগ নিয়ে জনমনে ভীতি দূর করতে আমার শিক্ষকদের কাছে আহ্বান রাখার ফলে সরকারের নিকট বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছিলাম আমার অফিস থেকে। তার একটি ছিল—মামলা হওয়া মানেই গ্রেপ্তার নয়। যার ফলে জনমনে অনেক স্বস্তি ফিরে এসেছে ইতোমধ্যেই।’
বিচার বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা অর্থনৈতিক কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হতে পারে। জাতি প্রত্যাশা করে, বিচার বিভাগ যেকোনো ধরনের দুর্নীতি কিংবা সিন্ডিকেটমুক্ত থাক। দুর্নীতির প্রচলিত ধারণা অর্থনৈতিক লেনদেনে বোঝালেও, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি ডিনামাইটের চেয়েও ধ্বংসাত্মক। অ্যাটম বোমার চেয়েও ভয়াবহ। ক্যানসারের চেয়েও মরণঘাতী। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সব স্তর থেকে দুর্নীতি দূরীকরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব ও বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি বিশ্বাস করি।’
৪৩৯ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের আবেদন জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি রিট খারিজ চান।
আরও পড়ুন: ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
শুনানিতে অংশ তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘যিনি রিট করেছেন তার কোনো এখতিয়ার নেই এটা করার। রিটে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করা হয়নি। সারডা নামের সংগঠন যে রিট করেছে তার গঠনতন্ত্রও এ ধরনের রিট করার অনুমোদন দেয় না। অতীতে অনেক রাজনৈতিক বিষয়কে কোর্টে টেনে আনা হয়েছে। যার মূল্য আমাদেরকে দিতে হয়েছে। যে গণঅভ্যুত্থানটি হয়েছে তা বিচার বিভাগের ওপরেও এসেছে। কোর্টে কোনো ঘটনা হলে আইনজীবী হিসাবে আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এজন্য মাঠের রাজনীতি মাঠেই থাকুক। সেজন্য রিট সরাসরি খারিজ করে আবেদনকারীর ওপর কষ্ট (খরচ) আরোপ করা হোক। পরে রিটকারী সময় চাইলে ১ সেপ্টেম্বর আদেশে দিন ধার্য করে দেন। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
এর আগে, ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত
৪৬৪ দিন আগে
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিলেও কোনো কারণ উল্লেখ করেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, 'দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২'-এর ধারা ৪(১) এর অধীনে ডিএজি ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন আইন কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির সময় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং তার পদত্যাগের জন্য নির্ধারিত কোনো কারণ ছাড়াই রাষ্ট্রপতি যে কোনো সময় তার চাকরি বাতিল করতে পারেন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিশ্ব নেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রস্তুত করা একটি বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ডিএজি ইমরান অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ডিএজি ইমরান) অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নিযুক্ত। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলতে হবে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিতে হবে। তিনি সেগুলোর কোনোটি করেননি।’
আরও পড়ুন: ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
৮১৯ দিন আগে
তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, পলাতক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোর্টে হাজির না হয়ে আইনি লড়াই করার কোনো নজির নেই। করোনার সময়ে দুই ভাই (রণ হক শিকদার) দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন শোনেননি। উল্টো দেশের বাইরে থেকে জমিন আবেদন করায় আদালত তাদের জরিমানা করেছিলেন। তাই পলাতক থেকে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানেরও আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পলাতক হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী কখনো কোনো পলাতক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কোনো ধরনের আইনগত প্রতিকার চাইতে পারেন না।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ মামলায় পলাতক তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুজনের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।
তবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে? তিনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে, আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।
দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাই তাদের আবেদন খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি নিয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে আইনজীবী থাকবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
৯৬৯ দিন আগে
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছুই নেই। সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে সমিতির নির্বাচনের বিষয়টির সমাধান করতে বলেছেন।প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে এটা আমাদের বিষয় না। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিচারপতিদেরকে ডেইলি স্টারের একটি ছবি দেখিয়ে বলেছি বাঁশ হাতে ভাঙচুরে জড়িত আইনজীবী বিএনপিপন্থী। তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী না। উভয়পক্ষই যখন এমন করে তখন কি করণীয় জানতে চাইলে আমি বলেছি যে মমতাজ উদ্দিন ফকির ও আবদুন নূর দুলাল যখন নির্বাচন করতে গেল তখন বাধা দিচ্ছিল। সেই পর্যায়ে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে। আগের দিনই বারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। কারণ আগের দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক লোকজন ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে, অপর পক্ষ বাধা দেবে; তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।এর আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বুধবার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা।আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে আজ সকালে তালা লাগিয়ে দেওয়া ও বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো তারা আদালতে তুলে ধরেন। এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বেলা ১১টায় তার খাসকামরায় যাওয়ার জন্য বলেন। প্রয়োজনে এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও ডেকে নেয়া যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আদালতের কাজ করতে দিন। আপনারা দু’জন বেলা ১১টায় খাসকামরায় এসে সব বলেন। আমরা শুনব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’
পরে বেলা ১১টার পরে সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়। এরপরই প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বিএনপিপন্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদিন জানান, আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। আমাদের সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী তাদের সব বক্তব্য ও অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সব শুনে বলেছেন যে আমি এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব।
তিনি বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতি সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে ডাকেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান বিচারপতি বলেছেন তার নাকি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান এই অঙ্গনের অভিভাবকের কাছে এ ধরনের ঘটনার বিচার না পেলে আর কোথায় যাব।
এদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আজও নির্বাচনের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরাও স্লোগান দিচ্ছেন। পাশপাশি পুলিশের প্রহরায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে এক তরফাভাবে নির্বাচন চলছে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত আজও ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ আদালতের
৯৯৪ দিন আগে
রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচিত হওয়ার পর পদটি লাভজনক বলে প্রশ্ন তোলাকে অবান্তর মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, একদম সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতি বৈধ। এটাতে কোনও প্রশ্ন করা উচিত না।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেপ্তারদের বিচার দ্রুত শেষ করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
রাষ্ট্রপতির নিয়োগ যথাযথভাবে হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, একদম সম্পূর্ণভাবে তিনি বৈধ। এটাতে কোনও প্রশ্ন করা উচিত না।
এছাড়া আমার মতে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে সেটা অবান্তর।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৪৮, ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ মিলিয়ে পড়লে দেখা যাবে, এটা কোনোভাবেই লাভজনক পদের মধ্যে পড়ে না।
রাষ্ট্রপতি কেনোক্রমেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনও ব্যক্তি নন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্র দিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ
দুই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ
১০২৩ দিন আগে