ঢাবি শিক্ষার্থী
ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন ঢাবি শিক্ষার্থী আহসান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ সেশনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুর রহমান (২২) মারা গেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আহসানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার লাশ গ্রামের বাড়ি পলাশে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার (৬ জুলাই) রাতে ব্রেন স্ট্রোক করে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শরীরের বাম অংশ অবশ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহসান। এরপর আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলেন না তিনি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র খুন
শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, আহসানের মৃত্যুতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ আজ (মঙ্গলবার) এক দিনের শোক পালন করবে। এই উপলক্ষে বিভাগের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান হলে আজ এশার নামাজের পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বুধবার আসরের নামাজের পর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদেও তার জন্য দোয়া করা হবে।
১৫০ দিন আগে
সাম্য হত্যার বিচারসহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের চার দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডর ঘটনা রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। এ সময়ে সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাম্য হত্যাকাণ্ডর দ্রুত বিচার, দোষীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনিক গাফিলতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতা, দেশজুড়ে নাগরিক নিরাপত্তার বেহাল দশা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে তারা সাম্য হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্তের দাবি জানান।
এ ছাড়া, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসমক্ষে তুলে ধরা এবং দায়িত্বহীনতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়র প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, রাতের আধাঁরে শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভে গ্রাফিতি মুছে ফেলা, বিশ্ববিদ্যালেয়ের চারুকলার শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।
সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নানা স্তরে গভীর শূন্যতা ও সংকট দেখা দিয়েছে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বেহাল দশা ও অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান মিশু। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে তাদের দায়িত্বহীনতার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা।’
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্য ছিল একজন সদা সক্রিয় তরুণ, যিনি গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড তাই ব্যক্তিগত শোক নয়, এটি আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বুকে এক রক্তাক্ত আঘাত। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার চাই। পাশাপাশি আমরা চাই এই হত্যার পেছনে কাঠামোগত ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক গাফিলতির ও স্থায়ী সংস্কার।’
চার দফা দাবিগুলো হলো— দ্রুততম সময়ে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, দায়িত্বগ্রহণের পর গত নয় মাসে ক্যাম্পাসে দুই হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, গত নয় মাসে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সব ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস এবং নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মাদক-সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উদ্যানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করাসহ সার্বিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
১৯৯ দিন আগে
দুর্বৃত্তের হাতে ঢাবি শিক্ষার্থী খুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিলে বহিরাগত!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তবে, ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বর, মধুর ক্যান্টিন, কলাভবন হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে, সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী ছাড়াও নিউমার্কেট থানা, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুইজন সদস্যকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক জানান, ‘ভিসি চত্বরে অবস্থানকালে তিনি বন্ধুর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকউল্লাহ এসে তাকে মারধরের হুমকি দেন। তাৎক্ষণিক আরেক সাংবাদিক প্রতিবাদস্বরূপ রফিকউল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠিক সম্পাদক আবু সাইদ তার পথরোধ করেন। এরপর সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও ওই প্রতিবেদককে ধাক্কাধাক্কি ও গালিগালাজ করেন সাইদ।
এদিকে, বহিরাগত দুর্বৃত্তদের হাতে ঢাবি ছাত্র নিহতের প্রতিবাদ মিছিলে বহিরাগতের অংশগ্রহণ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এ নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রিপন মিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বহিরাগতদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারালেন, সেই বহিরাগতকেই আবার এই প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হলো কেন? আপনারা বুঝতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্নিহিত স্পন্দন—এই ক্যাম্পাসের হৃদয়ের স্ফুলিঙ্গকে ধরতে আপনাদের ব্যর্থতা পরিষ্কার।’
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
আরেক শিক্ষার্থী হুসাইন আহম্মেদ লিখেছেন, ‘যে বহিরাগতদের কারণে সাম্য ভাই খুন হলো, সেই বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে এনে ছাত্রদল সাম্য হত্যার প্রতিবাদ করছে—বাহ!’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সাম্য হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক মিছিল করে ছাত্রদল। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যকে হেনস্তা করছেন–এমন অভিযোগ উঠেছে।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের মিছিলটি পৌঁছালে বাসার ভেতর থেকে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বেরিয়ে আসেন। তখন একদল বিক্ষোভকারী তার দিকে তেড়ে আসেন। উত্তপ্ত মুহূর্তে ভিসিকে বলতে শোনা যায়, ‘মার, আমাকে মার।’
ওই বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।
এ নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলের এক পোস্টে লিখেন, ‘গতকাল রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সাম্য ভাইয়ের হত্যার প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে পৌঁছালে ছাত্রদলের কয়েকজন এসে আমাদের ভিসির বাসভবনের সামনে যাওয়ার আহ্বান জানায় এবং দাবি করে আমাদের তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করতে হবে। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা হট্টগোল শুরু করে এবং ‘ফুটেজখোর’ বলে গালাগালি করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গালি শুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
এসব অভিযোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
২০৪ দিন আগে
রাজধানীতে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন হাতিরপুলের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি বাসা থেকে পিনাক রঞ্জন সরকার (২৪) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
নিহত পিনাক ঢাবির ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা সদরের টি এন রায় সড়ক এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন সরকারের সন্তান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
নিহতের রুমমেট জাহিদ হাসান বলেন, সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে দেখি, তার কোনো সাড়াশব্দ নাই। রুমের দরজাও বন্ধ, ভেতর থেকে লক করা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে খবর দিলে কলাবাগান থানা পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা বলতে পারছি না। তবে মাসখানেক ধরে সে সম্ভবত ডিপ্রেশনে ছিল। সবসময় চুপচাপ থাকত, কারণ জানতে চাইলে কিছুই বলত না।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ৩৮৭/৫ নম্বর বাসার নবম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ওই বাসায় কয়েকজন মিলে ভাড়া থাকতেন পিনাক। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা— প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানা যায়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২২৬ দিন আগে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
দ্রুত বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি 'টিচার্স ওয়ার্ল্ড: জার্নাল অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ' শিরোনামে একটি গবেষণার প্রতিবদেন প্রকাশ করেছেন সাইফুল ইসলাম ও এ বি এম নাজমুস সাকিব। তাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে।
গবেষণার ফলাফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ধরন সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিবর্তনের ধরন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণার মূল ফলাফল
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর জন্য কাঠামোগত জরিপ এবং আধা-কাঠামোগত সাক্ষাৎকারসহ একটি মিশ্র-পদ্ধতি পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছিল।
সামাজিক শিক্ষা তত্ত্বের (এসএলটি) মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এ গবেষণা। এতে ফেসবুক ও ইউটিউবের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা আনুষ্ঠানিক একাডেমিক অধ্যয়ন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
তত্ত্বটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে শেখার উপর জোর দেয়।
ডেমোগ্রাফিক অন্তর্দৃষ্টি
উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক ছেলে-মেয়ের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
২০ বছরের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ১৩.১% এবং ২২ বছরের উপরে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৪০% গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। স্নাতকে অধ্যয়নরত, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সব একাডেমিক স্তরেই বিস্তৃত।
শিক্ষায় ফেসবুক
গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ফেসবুক একাডেমিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৯২.৩% উত্তরদাতারা তাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য এটি ব্যবহার করে। সাধারণত যেসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে:
· অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
· মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে একাডেমিক উপকরণ বিনিময় করে নেওয়া।
· লাইভ সেশনের সময় প্রতিক্রিয়া প্রদান।
· গ্রুপ আলোচনায় অংশ নেওয়া।
ফেসবুক সহযোগিতামূলক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, শিক্ষার্থীরা কোর্সের সামগ্রী এবং ক্লাসের বক্তৃতা লিংকগুলো আপলোড এবং বিনিময় করে নেন।
ইউটিউবের ভূমিকা বাড়ছে
একাডেমিক প্রেক্ষাপটে ফেসবুক আধিপত্য বিস্তার করলেও ইউটিউব অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বহুল ব্যবহৃত। প্রায় ৭৫.৪% শিক্ষার্থী অনানুষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করেন, যেখানে ৭৯.২% শিক্ষার্থী ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন।
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টেন মিনিট স্কুল, ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি এবং ফাইভ মিনিট ক্রাফটস গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে স্পোকেন ইংলিশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের কন্টেন্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনেক উত্তরদাতা ইউটিউবকে "সব শিক্ষকের শিক্ষক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিনামূল্যে, অ্যাক্সেসযোগ্য শিক্ষামূলক উপকরণগুলোর বিশাল ভাণ্ডারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
মহামারির প্রভাব
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, লকডাউনের সময় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষের জায়গা নিয়েছে।
অনলাইন শিক্ষা আদর্শ হয়ে ওঠে, শিক্ষার্থীরা কোর্সওয়ার্ক, টিউটোরিয়াল ও ভার্চুয়াল গ্রুপ আলোচনার জন্য ক্রমবর্ধমান ফেসবুক ও ইউটিউবের উপর নির্ভর করেন।
এই পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতের বাধাগুলো মোকাবিলায় সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায়েএকীভূত করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও গবেষণার আহ্বান জানান
গবেষকরা শিক্ষামূলক কার্যক্রমে লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা বিশ্লেষণের জন্য আরও সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার সুপারিশ করেছেন।
তারা একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর গভীরতর অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন।
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারের ধরনগুলো বিকশিত হতে থাকায়, বাংলাদেশের শিক্ষায় তাদের গভীর প্রভাব থেকে যাচ্ছে।
৩৭৫ দিন আগে
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু শিক্ষার্থী।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' হিসেবে আখ্যায়িত করা নিয়ে সমাবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র আন্দোলনে অধ্যাপক সামিনা লুৎফার উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের ভিত্তিহীন লেবেলিং বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেও এর দুই সদস্যের বিষয়ে কিছু ধর্মীয় সংগঠনের আপত্তির পরে তা বাতিল করে দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
৪৩০ দিন আগে
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের সমাগমে চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে ঢাবি।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। ঈদের ছুটি শেষে ১ জুলাই থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
কিন্তু 'বৈষম্যমূলক' পেনশন ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যার ফলে গত ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়ে গেলে গত ১৬ জুলাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
৪৩৮ দিন আগে
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাহফুজুর রহমান আলিফ, বায়েজিদ, নাসিফ, আজিম মাহমুদ তৌহিদ, সিফাতুল ইসলাম, আজাহা, মাহিন ও জুনায়েদ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব দোকানের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন জানান, রেস্টুরেন্টের আহত কর্মচারীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- হাবিব, আরিফ, রিপন, আল আমিন ইসলাম, আলিম মিয়া, আরিফ, আলামিন ও বোরহান উদ্দিন। তারা সবাই ওই এলাকার ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব শপ এবং জুস বার ও কাবাব দোকানের কর্মী।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কয়েকজন বন্ধু রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে একটি দোকানে আড্ডা দেয় ও তাস খেলে। দোকানের এক কর্মী তাদের অন্য কোথাও বসতে বলেছিলেন এবং তাদের সেখানে তাস খেলতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে কর্মচারীরা এক ছাত্রীকে গালিগালাজ করেন।
বিষয়টি শোনার পর আমাদের কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধু বিষয়টি সমাধানের জন্য সেখানে গেলে দোকানের কর্মীরা রড ও লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দোকানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে তাদের দোকান ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ বক্স থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন অভিযোগ করেন, শতাধিক শিক্ষার্থী দোকানে এসে কর্মচারী ও মালিককে মারধর করে ও ভাংচুর করে। আমাদের ক্যাশ বক্স খোলা থাকায় তারা আমাদের ১ লাখেরও বেশি টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, যখন তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এসেছিল, আমি ও আমার কর্মীরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো পাত্তা দেয়নি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাবি প্রক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা বলার কথা রয়েছে। তিনি কোনো অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
চট্টগ্রামে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
৮০৩ দিন আগে
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফ দিয়ে জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কাজী ফিরোজ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের চীনা ভাষার শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ফিরোজের রুমমেট বিন ইয়ামিন বলেন, ‘ফিরোজ কিছুদিন ধরে হতাশ ছিল। আমরা সবসময় তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে কক্ষে এসে নামাজ পড়ে এবং জিজ্ঞেস করে, আমাদের কাছে টাকা পাওনা আছে কি না।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যখন সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল, তখন তাকে বেশ বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। আমি তার ফিরে আসার পরে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর শুনলাম বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ আত্মহত্যা করেছে।’
ইয়ামিন বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই এবং দেখি ওই শিক্ষার্থী ফিরোজ।
ফিরোজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরে তার টেবিল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটটিতে লেখা ছিল, 'মানুষ মর্যাদার জন্য বাঁচে। মর্যাদা না থাকলে জীবন অর্থহীন... মা, আমি দুঃখিত যে আমি আমার কথা রাখতে পারিনি।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, 'ঘটনাটি হৃদয় বিদারক।’
হল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
৮০৬ দিন আগে
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনের কুমারখালীর কয়া গড়াই রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তানভীর (২৩) ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মাদরাসার টয়লেট থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও কুমারখালী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে আসেন। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং পরে কুমারখালীর লালনের আখড়াবাড়িতে যান। পরে কুমারখালী লাহিনীপাড়া এলাকায় গড়াই নদী রেলসেতুর নিচে তিন বন্ধু নামেন। তারা সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ওপারে পার হওয়ার সময় দুই বন্ধু তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তানভীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সেখানে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, ১৩ জনের মধ্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের ছেলেও ছিলেন।
তিনি বলেন, ১২ জন সুস্থ আছেন। তানভির নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জ থানা হাজতের টয়লেটে ঝুলছিল আসামির লাশ
টয়লেটে পড়ে যাওয়া মোবাইল তুলতে গিয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
৯০৬ দিন আগে