ঢাবি শিক্ষার্থী
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
দ্রুত বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি 'টিচার্স ওয়ার্ল্ড: জার্নাল অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ' শিরোনামে একটি গবেষণার প্রতিবদেন প্রকাশ করেছেন সাইফুল ইসলাম ও এ বি এম নাজমুস সাকিব। তাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে।
গবেষণার ফলাফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ধরন সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিবর্তনের ধরন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণার মূল ফলাফল
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর জন্য কাঠামোগত জরিপ এবং আধা-কাঠামোগত সাক্ষাৎকারসহ একটি মিশ্র-পদ্ধতি পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছিল।
সামাজিক শিক্ষা তত্ত্বের (এসএলটি) মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এ গবেষণা। এতে ফেসবুক ও ইউটিউবের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা আনুষ্ঠানিক একাডেমিক অধ্যয়ন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
তত্ত্বটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে শেখার উপর জোর দেয়।
ডেমোগ্রাফিক অন্তর্দৃষ্টি
উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক ছেলে-মেয়ের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
২০ বছরের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ১৩.১% এবং ২২ বছরের উপরে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৪০% গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। স্নাতকে অধ্যয়নরত, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সব একাডেমিক স্তরেই বিস্তৃত।
শিক্ষায় ফেসবুক
গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ফেসবুক একাডেমিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৯২.৩% উত্তরদাতারা তাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য এটি ব্যবহার করে। সাধারণত যেসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে:
· অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
· মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে একাডেমিক উপকরণ বিনিময় করে নেওয়া।
· লাইভ সেশনের সময় প্রতিক্রিয়া প্রদান।
· গ্রুপ আলোচনায় অংশ নেওয়া।
ফেসবুক সহযোগিতামূলক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, শিক্ষার্থীরা কোর্সের সামগ্রী এবং ক্লাসের বক্তৃতা লিংকগুলো আপলোড এবং বিনিময় করে নেন।
ইউটিউবের ভূমিকা বাড়ছে
একাডেমিক প্রেক্ষাপটে ফেসবুক আধিপত্য বিস্তার করলেও ইউটিউব অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বহুল ব্যবহৃত। প্রায় ৭৫.৪% শিক্ষার্থী অনানুষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করেন, যেখানে ৭৯.২% শিক্ষার্থী ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন।
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টেন মিনিট স্কুল, ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি এবং ফাইভ মিনিট ক্রাফটস গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে স্পোকেন ইংলিশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের কন্টেন্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনেক উত্তরদাতা ইউটিউবকে "সব শিক্ষকের শিক্ষক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিনামূল্যে, অ্যাক্সেসযোগ্য শিক্ষামূলক উপকরণগুলোর বিশাল ভাণ্ডারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
মহামারির প্রভাব
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, লকডাউনের সময় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষের জায়গা নিয়েছে।
অনলাইন শিক্ষা আদর্শ হয়ে ওঠে, শিক্ষার্থীরা কোর্সওয়ার্ক, টিউটোরিয়াল ও ভার্চুয়াল গ্রুপ আলোচনার জন্য ক্রমবর্ধমান ফেসবুক ও ইউটিউবের উপর নির্ভর করেন।
এই পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতের বাধাগুলো মোকাবিলায় সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায়েএকীভূত করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও গবেষণার আহ্বান জানান
গবেষকরা শিক্ষামূলক কার্যক্রমে লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা বিশ্লেষণের জন্য আরও সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার সুপারিশ করেছেন।
তারা একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর গভীরতর অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন।
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারের ধরনগুলো বিকশিত হতে থাকায়, বাংলাদেশের শিক্ষায় তাদের গভীর প্রভাব থেকে যাচ্ছে।
৩ সপ্তাহ আগে
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু শিক্ষার্থী।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' হিসেবে আখ্যায়িত করা নিয়ে সমাবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র আন্দোলনে অধ্যাপক সামিনা লুৎফার উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের ভিত্তিহীন লেবেলিং বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেও এর দুই সদস্যের বিষয়ে কিছু ধর্মীয় সংগঠনের আপত্তির পরে তা বাতিল করে দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
২ মাস আগে
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের সমাগমে চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে ঢাবি।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। ঈদের ছুটি শেষে ১ জুলাই থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
কিন্তু 'বৈষম্যমূলক' পেনশন ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যার ফলে গত ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়ে গেলে গত ১৬ জুলাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
৩ মাস আগে
রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাহফুজুর রহমান আলিফ, বায়েজিদ, নাসিফ, আজিম মাহমুদ তৌহিদ, সিফাতুল ইসলাম, আজাহা, মাহিন ও জুনায়েদ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব দোকানের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন জানান, রেস্টুরেন্টের আহত কর্মচারীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- হাবিব, আরিফ, রিপন, আল আমিন ইসলাম, আলিম মিয়া, আরিফ, আলামিন ও বোরহান উদ্দিন। তারা সবাই ওই এলাকার ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব শপ এবং জুস বার ও কাবাব দোকানের কর্মী।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কয়েকজন বন্ধু রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে একটি দোকানে আড্ডা দেয় ও তাস খেলে। দোকানের এক কর্মী তাদের অন্য কোথাও বসতে বলেছিলেন এবং তাদের সেখানে তাস খেলতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে কর্মচারীরা এক ছাত্রীকে গালিগালাজ করেন।
বিষয়টি শোনার পর আমাদের কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধু বিষয়টি সমাধানের জন্য সেখানে গেলে দোকানের কর্মীরা রড ও লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দোকানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে তাদের দোকান ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ বক্স থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন অভিযোগ করেন, শতাধিক শিক্ষার্থী দোকানে এসে কর্মচারী ও মালিককে মারধর করে ও ভাংচুর করে। আমাদের ক্যাশ বক্স খোলা থাকায় তারা আমাদের ১ লাখেরও বেশি টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, যখন তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এসেছিল, আমি ও আমার কর্মীরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো পাত্তা দেয়নি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাবি প্রক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা বলার কথা রয়েছে। তিনি কোনো অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
চট্টগ্রামে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
১ বছর আগে
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফ দিয়ে জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কাজী ফিরোজ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের চীনা ভাষার শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ফিরোজের রুমমেট বিন ইয়ামিন বলেন, ‘ফিরোজ কিছুদিন ধরে হতাশ ছিল। আমরা সবসময় তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে কক্ষে এসে নামাজ পড়ে এবং জিজ্ঞেস করে, আমাদের কাছে টাকা পাওনা আছে কি না।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যখন সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল, তখন তাকে বেশ বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। আমি তার ফিরে আসার পরে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর শুনলাম বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ আত্মহত্যা করেছে।’
ইয়ামিন বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই এবং দেখি ওই শিক্ষার্থী ফিরোজ।
ফিরোজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরে তার টেবিল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটটিতে লেখা ছিল, 'মানুষ মর্যাদার জন্য বাঁচে। মর্যাদা না থাকলে জীবন অর্থহীন... মা, আমি দুঃখিত যে আমি আমার কথা রাখতে পারিনি।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, 'ঘটনাটি হৃদয় বিদারক।’
হল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
১ বছর আগে
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনের কুমারখালীর কয়া গড়াই রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তানভীর (২৩) ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মাদরাসার টয়লেট থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও কুমারখালী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে আসেন। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং পরে কুমারখালীর লালনের আখড়াবাড়িতে যান। পরে কুমারখালী লাহিনীপাড়া এলাকায় গড়াই নদী রেলসেতুর নিচে তিন বন্ধু নামেন। তারা সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ওপারে পার হওয়ার সময় দুই বন্ধু তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তানভীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সেখানে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, ১৩ জনের মধ্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের ছেলেও ছিলেন।
তিনি বলেন, ১২ জন সুস্থ আছেন। তানভির নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জ থানা হাজতের টয়লেটে ঝুলছিল আসামির লাশ
টয়লেটে পড়ে যাওয়া মোবাইল তুলতে গিয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
১ বছর আগে
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, আদালত বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। এটাই আমাদের সংবিধানের স্পিরিট। কাউকে কানসহ মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাবির বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। ঢাবি ভিসি,বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক সাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮/৯/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন),মিডটার্ম পরীক্ষা,চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬/১২/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ‘১৮/৯/২০২২ তারিখে গৃহীত উপরোক্ত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১ বছর আগে
ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে শনিবার রাতে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্য হলো-নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
এরা দুই জনেই ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, নিহতের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার রাতে ওই দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ভুক্তভোগী জোবায়েরের মা সাদিয়া আফরোজ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহাবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা 'প্রলয়' নামে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ঢাবি ছাত্রদের দ্বারা গঠিত একটি দলের অন্তর্ভুক্ত।
এর সদস্যরা ক্যাম্পাসে বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শহীদ মিনার এলাকায় রাতে মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও বহিরাগতদের হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
১ বছর আগে
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যক্তিরা হলেন-বাবু, তারিকুল ইসলাম, খায়রুল বাশার এবং সুমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। এর পাশাপাশি ব্যবসা করতেন তিনি ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকালে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন বিপু। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম ডেকে নিয়ে যান।
এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৩০ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণ’ মামলায় গ্রেপ্তার ২ সন্দেহভাজন রিমান্ডে
ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ২১ ঢাবি শিক্ষার্থীসহ উদ্ধার প্রায় ১০০
টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে বন্যায় আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জনকে সুমনগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।উদ্ধারকৃতদের সিলেটে আনা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে একটি ট্রলার রেস্তোরাঁ থেকে তাদের উদ্ধার করলেও ছাতকে তা আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: ভ্রমণে গিয়ে সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকা পড়েছেন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী
তিন দিন আগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন পানসি রেস্টুরেন্টে আশ্রয় নেয়।
আটকে পড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শোয়েব আহমেদ এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের খাদ্য ও পানীয় জলের ভীষণ প্রয়োজন এবং এখানে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এখানে, আমাদের বেশিরভাগ ফোনের ব্যাটারি শেষ। এবং দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে সেটা সঠিকভাবে কাজ করছে না।’
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
২ বছর আগে