তাপপ্রবাহ
সারা দেশে গরম কমার পূর্বাভাস, বাড়বে বৃষ্টি
গত সপ্তাহজুড়ে সারা দেশের ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর এসেছে স্বস্তির বৃষ্টি। দেশের সব জায়গায় একবারে না হলেও বিভিন্ন জেলায় কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এবার গরম নিয়ে আরও সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গরম কমে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে এমন তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও বান্দরবান জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পরবর্তী দুদিনও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আগামী সোম ও মঙ্গলবার দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এই সময়ে গরমও কিছুটা কমে যেতে পারে।
তবে তার পর থেকে ফের জৈষ্ঠ্যের ঝাঁঝ ফিরে আসবে বলেও পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
২০৩ দিন আগে
তাপপ্রবাহের মধ্যেই বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে আটটা থেকে পরবর্তী ১-৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।
এছাড়া, প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে এই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবানকে বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে।
তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর
এদিকে, সোমবার সারা দেশের সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এদিন দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া, আজ (সোমবার) রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরের ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পশ্চিম দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে গতকাল (রবিবার) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
দেশের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে ।
তাপমাত্রা নিয়ে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও যশোর জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, জামালপুর এবং শেরপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হয়ে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
২০৭ দিন আগে
আজ সারা দেশে বইতে পারে তাপপ্রবাহ
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে কিছুটা। এমনকি তাপপ্রবাহও বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (৭ মে) সারাদেশের সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য স্থানে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
এছাড়া, রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ (বুধবার) রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া খুলনার কয়রাতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২১২ দিন আগে
চলতি মাসে আরও তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
চলতি মে মাসে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন দেওয়া হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এ ছাড়াও এই সময়ে দেশে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। পাশাপাশি তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু, মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের আট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।
মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চাল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।
২১৭ দিন আগে
চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম
কয়েকদিন ধরে কমবেশি বৃষ্টিপাত এবং দিনের আকাশ বেশিরভাগ সময় মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গ্রীষ্মের শুরুতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল জনমনে। তবে বৃষ্টির প্রভাব সরে গিয়ে ফের আসছে গরম। এর মধ্যে আগামীকাল দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে আজ মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।
তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামীকাল সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়ার আভাস দিয়ে রাষ্ট্রী সংস্থাটি বলছে, পরের ২৪ ঘণ্টায়ও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরের দুদিন দিন-রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে পঞ্চম দিন (শনিবার) থেকে সারা দেশে আবারও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এতে করে তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
আজ (মঙ্গলবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও যশোরে। ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল এই দুই জেলায়। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে।
২২৬ দিন আগে
তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই, চুয়াডাঙ্গায় বসন্তেই গ্রীষ্মের আঁচ
চলছে বসন্ত; গ্রীষ্ম আসতে এখনও বাকি অন্তত দুই সপ্তাহ, এর মধ্যেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৮ শতাংশ থাকায় গরমের অনুভূতি আরও বেড়েছে।
রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এমন তীব্র গরমে নাকাল জেলার সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। কেউ কেউ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ভুগছেন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রোজা রেখে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের পর বাইরে বের হওয়া যায় না। গরমে মাথা ঘুরছে, শরীরও দুর্বল লাগছে।’
নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট আরও বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাম না প্রকাশ করতে চাওয়া এক রিকশাচালক বলেন, ‘কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কিন্তু এই গরমে রোজা রেখে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর; গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে পারদ বেড়ে যাচ্ছে।’
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ফাঁকা। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে দিনমজুর, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোদ-গরম উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা কম আসছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ বের হচ্ছে না। আমরা তো ঘরে বসে থাকতে পারি না, বিক্রি না করলে সংসার চলবে কীভাবে?’
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাস ও রেল স্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২৫১ দিন আগে
আবারও তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবুও জীবিকার তাগিদে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষকে।
একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে বিদ্যুতের লো ভোন্টেজ আর লোডশেডিং। ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্তও মিলছে না স্বস্তি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সকাল থেকেই থাকছে প্রখর রোদের তাপ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত চার দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলা। যা অব্যহত থাকতে পারে আরও তিন থেকে চার দিন।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা বাড়ায় এমন তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঝড়ছে শরীরের ঘাম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (৭ জুন) থেকে চলতি মাসে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে ইইউ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
৫৪২ দিন আগে
আশার বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তি
টানা এক মাসেরও বেশি মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সাত বিভাগের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। তবে তার আগে আজও জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
এদিকে অনেক দিন পর বৃষ্টি পেয়ে অনেককেই ভিজতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সড়কে, বাড়ির ছাদে ভিজছেন।
তবে সদরের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। তারা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখীর তাণ্ডব
৫৭৭ দিন আগে
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং নীতি প্রণয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
দেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. রওশন আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী রওশন আলী বলেন, দেশের তাপপ্রবাহের এমন অবস্থা কয়েক বছরে হয়নি। কমপক্ষে ১০-১২ বছরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তাই এর প্রতিকার হওয়া দরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ কারণে এ রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
৫৭৭ দিন আগে