তাপপ্রবাহ
আবারও তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবুও জীবিকার তাগিদে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষকে।
একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে বিদ্যুতের লো ভোন্টেজ আর লোডশেডিং। ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্তও মিলছে না স্বস্তি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সকাল থেকেই থাকছে প্রখর রোদের তাপ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত চার দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলা। যা অব্যহত থাকতে পারে আরও তিন থেকে চার দিন।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা বাড়ায় এমন তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঝড়ছে শরীরের ঘাম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (৭ জুন) থেকে চলতি মাসে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে ইইউ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
৬ মাস আগে
আশার বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তি
টানা এক মাসেরও বেশি মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সাত বিভাগের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। তবে তার আগে আজও জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
এদিকে অনেক দিন পর বৃষ্টি পেয়ে অনেককেই ভিজতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সড়কে, বাড়ির ছাদে ভিজছেন।
তবে সদরের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। তারা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখীর তাণ্ডব
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং নীতি প্রণয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
দেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. রওশন আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী রওশন আলী বলেন, দেশের তাপপ্রবাহের এমন অবস্থা কয়েক বছরে হয়নি। কমপক্ষে ১০-১২ বছরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তাই এর প্রতিকার হওয়া দরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ কারণে এ রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে জনগণকে প্রস্তুত করে তুলতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন হিট ওয়েভ মেনেজমেন্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং তাপপ্রবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কিত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পানির বোতল, স্যালাইন, ছাতা ও ক্যাপ বিতরণ করছে। এছাড়াও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের মাত্রা ও এর প্রভাব হ্রাসে করণীয়গুলো চিহ্নিত করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তাপপ্রবাহ সম্পর্কিত অংশীজনদের কার্যক্রমকে আরও সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিতে উপায় খুঁজে বের করা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ জাহানারা ইমাম: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহে মৃত্যু-স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে গবাদিপশু, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গবাদিপশুর মৃত্যুসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে এত লম্বা সময় তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি।
তবে দীর্ঘসময় ধরে তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে গবাদিপশুও। মৃত্যুসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির কারণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এটি মাঠ পর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান ও প্রাণি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতাও। তারা মনে করেন বৈশ্বিক উষ্ণতায় জলবায়ু উপযোগী খামার ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও গবাদি পশু-পাখির জাত নির্বাচন নিয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
তীব্র তাপপ্রবাহে গবাদিপশুর উপর কেমন প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
চুয়াডাঙ্গার জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তীব্র গরমে পোল্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাঠপর্যায়ে গবাদিপশুর ক্ষেত্রে খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ শেষ হলে মাঠপর্যায়ে গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে সেটি জানা যাবে।
এসময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কর্ণ চন্দ্র মল্লিকও বলেন, তাপপ্রবাহ শেষ হলে মাঠপর্যায়ের সম্পূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।
তবে বাকৃবির তিনজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান ও ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ তাপপ্রবাহে গবাদিপশুর কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান বলেন, উষ্ণ তাপমাত্রায় মশা-মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-জীবাণু বহনকারী কীটপতঙ্গের প্রজনন বাড়ে। তবে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব কীটপতঙ্গের প্রজনন বন্ধ হয় এবং মারা যায়।
এ প্রাণি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতায় শীত প্রধান দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে এসব কীটপতঙ্গ প্রজনন উপযোগী হওয়ায় অনেক কীটপতঙ্গ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। ফলে পশু-পাখি ও মানুষে পরজীবী আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
মুরগির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে না করারই পরামর্শ থাকবে। কারণ এতে মুরগি তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং ঘরের আর্দ্রতা অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে শ্বাসকষ্টে মুরগি মারা যাবে।
এছাড়া মুরগিকে সকালে ও দিনের উত্তপ্ত সময়ে সার্বক্ষণিক খাবার না দিয়ে বাইরে তাপমাত্রা কিছুটা কমার পর বিকেল থেকে সার্বক্ষণিক খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরেক প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান ইউএনবিকে বলেন, প্রাণীর জন্য গরমের মধ্যে মানুষের মতো শরীর ঠান্ডা করে খাবার খাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা রোদের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘাসসহ নানা রকম খাবার খাচ্ছে। এত গরমে তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের সম্পূর্ণ কিডনি বা কিডনির একটি অংশ বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উচ্চ তাপমাত্রায় গবাদিপশুর মস্তিষ্কে প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী অংশ হাইপোথ্যালামাস ভালোভাবে কাজ না করার আশঙ্কা রয়েছে। তখন শরীরের তাপমাত্রা হয় একদম কমে যাবে না হলে একদম বেড়ে যাবে। এমনকি এ পর্যায়ে গবাদিপশুর হজম ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহের কারণে খুলনা ও রাজশাহীতে শনিবার মাধ্যমিকের ক্লাস বন্ধ
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে বাকৃবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: একজনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং
গ্যাস সংকটের জন্য ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে
সোমবার আগের দিনের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি দেখা দেয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দিনের ব্যস্ত সময়ে বিকেল ৩টায় দেশে ২১০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়। সে সময় ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
যেকোনো সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এবং তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য হলো লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চাহিদা ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠবে এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২,২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, দেশে অন-গ্রিড স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট, তবে জ্বালানি ঘাটতি এবং প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির কারণে এর প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বর্তমানে হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এনএলডিসির তথ্য উল্লেখ করে ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্যাসের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।’
নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে আরও ২ হাজার ১৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২ হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে তারা প্রতিদিন ১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রধান শিকার কারণ অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তার মতে, ‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয়। যেকোনো বিপত্তি হলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ফিরে পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকা অঞ্চলে ৩৬০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ১৬৫ মেগাওয়াট, খুলনায় ১৩২ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ১৮২ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ২৪৫ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৭৫ মেগাওয়াট, সিলেটে ৪৪ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ১৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট স্কুল ও শিক্ষা ব্যুরোর আওতাধীন লার্নিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠান এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম সোমবারের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের নন-এসি স্কুল বন্ধ থাকবে সোমবার
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে ওই ঘোষণায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না হলেও রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। এর আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে ঈদুল ফিতরের পর ফের ছুটি বাড়ানো হয়েছিল।
রবিবার রাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় সোমবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে।
তবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলেও পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বেশি উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু
মূলত, ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিকে খেয়াল রাখতে পিতামাতা এবং অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
৭ মাস আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত
বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না সে বিষয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।'
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। যদি স্কুল খোলা রাখা হয় তবে শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, 'সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে তো সামনে যেটা আছে সেটা শেষ করে নিই।'
কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। দুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।'
দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে, অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে রবিবার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে স্কুল খোলার কথা।
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহে বাকৃবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ শারীরিক সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কর্তৃপক্ষ।
এসময় তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলোতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: একজনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদীয় সভাকক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিন কাউন্সিরের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার।
ড. ছাজেদা আখতার বলেন, প্রবহমান তীব্র্র তাপদাহের (হিটওয়েভ) কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষা চলমান রেখে শুধু ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে ডিন কাউন্সিল সদস্যরা। তবে সব পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কথা বিবেচনা করে ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল প্রতিদিনের ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় অর্থাৎ এই তাপপ্রবাহ চলমান থাকে সেক্ষেত্রে প্রশাসন এই কার্যক্রমকে আরও বর্ধিত করবে। অন্যথায় ক্লাস আবারও পূর্বের ন্যায় সশরীরে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
৭ মাস আগে