নির্দেশনা
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরে সেবার মান আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। এই বর্ধিত বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় আরও বাড়াতে চেষ্টা করতে হবে এবং তা নিশ্চিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরভিত্তিক সব ধরনের সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে যাতে মানুষ সহজে সেবা পায় এবং তাদের দুর্ভোগ কমে আসে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিমানবন্দরের সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিক ও সময়োচিত মানব সম্পদের উন্নয়নেও এসময় জোর দেন তিনি।
পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকা ভবনে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সঠিক সময়ে বিমান ছাড়া, দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারি দেওয়া এবং ইনফ্লাইট যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিমানকে যাত্রীদের আস্থার পরিবহণে পরিণত করতে সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
নাহার চৌধুরীকে প্রথম বাংলাদেশি এমডি নিয়োগ দিল কোকা-কোলা
থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিএমপির যত নির্দেশনা
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে সব ধরনের অনুষ্ঠান ও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। একইসঙ্গে ডিজে পার্টি, বার বন্ধ রাখা, ফানুস ওড়ানোসহ ১৩ বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে (৩১ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সিএমপি বদ্ধপরিকর। সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গীর্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
জারি ১৩টি নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো যাবে না। এইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না পর্যটকরা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান।
এছাড়াও নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক না চালানো, আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা, মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে এবং অশোভন আচরণ, বে-আইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।
হোটেল মালিকদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না এবং জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়— এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।
উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানোর জন্য অনুরোধসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সিএমপি’র পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সিএমপি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরগুলো হলো— ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
চিকিৎসার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে ভারতে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মেজর হাফিজ ও তার স্ত্রীকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি যেতে ও দেশে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার রিটটি জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।
রিটে বলা হয়েছে, হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তবে তার দেশত্যাগে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়। এমন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার হাফিজ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে বুধবার তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ধরতে স্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরে যান। মালপত্র উড়োজাহাজে তোলা হলেও ইমিগ্রেশন পুলিশ অপেক্ষায় রেখে জানায়, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরে বাসায় ফিরে আসেন। অবশ্য হাফিজের স্ত্রীকে যেতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তিনি চিকিৎসা নেবেন।
কেন যেতে দেওয়া হলো না- জানতে চাইলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কিছু বলতে পারেনি। আমি এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। চিকিৎসার জন্যও সরকার আমাকে দিল্লি যেতে দিল না। আমি মর্মাহত।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রেললাইন কাটাকে নাশকতা বলে তদন্তের দাবি বিএনপির
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে এক দাপ্তরিক আদেশে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেটের পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকশিশের নামে কোনো ধরণের সুবিধা নেওয়া ও দেওয়া নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার (১০ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের কর্মকর্তার সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি এজলাস কক্ষের বাইরে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
বেঞ্চ কর্মকর্তা মো. সিফাতউল্লাহ খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কার্যতালিকায় মামলা ওঠার আগে বা পরে, মামলার রায়, জামিন আদেশ বা অন্য যেকোনো আদেশ হওয়ার আগে বা পরে বা অন্য যেকোনো সময় এই কোর্টের বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার, বিচারপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, কোর্টের জমাদার, কোর্ট বা চেম্বারের এমএলএসএস, বিচারপতির ড্রাইভার এবং গানম্যানসহ অত্র কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বকশিশ বা টিপ্স নেওয়ার নামে কোনো প্রকার অর্থ, উপহারসামগ্রী, গাড়ি সেবা বা অন্যকোনো নামে কোনো ধরণের সুবিধা গ্রহণ করলে দুর্নীতি বলে গণ্য হবে।
এছাড়া এই কোর্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পাওয়া গেলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী এবং এই কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল।
আরও পড়ুন: বকশিশ না পেয়ে ডিম নষ্ট করার ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি প্রত্যাহার
নাটোরে ‘বকশিশ’ না পেয়ে ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট, ছয় পুলিশ প্রত্যাহার
ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বিদেশ থেকে দেশে আসতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে যেকোনো দেশ থেকে দেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা রিপোর্ট দেখাতে হবে, যা পূর্বে ছিলো ৭২ ঘণ্টা।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত যাত্রীরা আফ্রিকা থেকে আসবে বাধ্যতামূলকভাবে তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে নিতে বলেছি। একই সঙ্গে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। যেকোনো দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ আসে, তাদেরকে অবশ্যই ৪৮ ঘন্টার বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোয়ারান্টাইনের জন্য আমাদের আগের যে হোটেলগুলো ছিল, সেগুলোতে লোকজন অনেক কম। তাই অনেকগুলো আবারও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে। আমরা আবারও তাদের আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেগুলোতে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, 'আমরা বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ দেশের প্রবেশ পথগুলোতে নির্দেশনা জারি করেছি যেন ওমিক্রন দেশে প্রবেশ করতে না পারে। আশা করি আমরা সফল হব যদি সকলে আমাদের সহযোগিতা করেন।'
প্রবাসীদের দেশে না আসার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যারা এ দেশ থেকে বিদেশে কর্মরত আছেন, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করেন। কারণ একসঙ্গে যদি আফ্রিকা থেকেই ২০ হাজার লোক দেশে চলে আসেন, আমরা কিন্তু সবাইকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাও করতে পারবো না।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
ওমিক্রন: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন ভ্রমণ নির্দেশনা জারি ভারতের
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখলে লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের সকলকেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
সোমবার সকালে বিজয় সরণি এলাকায় পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এ সব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শপিংমল ও দোকানপাট মালিকদের সরকারি নির্দেশনাসহ প্রচলিত আইন ও বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ডিএনসিসি মেয়র জানান।
আরও পড়ুনঃ যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেয়া হবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে খাদ্য সহায়তাসহ যেকোন জরুরি সেবা গ্রহণের জন্য ৩৩৩ নম্বর সচল রয়েছে। যেকোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করতে পারছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে যেকোন নাগরিক অতি সহজেই এলাকার রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধানও পাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যবসা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আহমদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়
সরকারের নির্দেশনা মেনে সুস্থ-সবল ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকাস্থ আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের জাতীয় আমীর আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। খুতবায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন দোয়া উল্লেখ করে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে বেশি বেশি দোয়া করার আহ্বান জানান আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
মানব সেবার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তখনই প্রকৃত ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারব যখন আমার আমাদের প্রতিবেশী এবং অসহায়দের খোঁজ-খবর নিব এবং সুখে-দু:খে তাদের পাশে দাঁড়াব।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির চাদরে মোড়া আরও একটি ঈদ!
তিনি আরও বলেন, বর্তমান মহামারি করোনার কারণে মানব সেবার এই দায়িত্বটি আমাদেরকে আরও অধিকহারে করতে হবে।
খুতবা শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ঐক্যে এবং বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আল্লাহ যেন বিশ্ববাসীকে রক্ষা করেন এজন্যও দোয়া করা হয়।
পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন মসজিদে। ঈদ জামাত, কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে অংশগ্রহণকারী সবার জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে সারাদেশে আহমদিয়া মসজিদগুলোতে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, শান্তি এবং মহামারি করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সব মানুষের সুরক্ষার জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, মুসলিম বিশ্ব সিয়াম সাধনা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে অতীতের ভুল-ভ্রান্তির ক্ষমা চেয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল পথ এই পবিত্র ঈদ। প্রতি বছর এই ঈদ আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও গত বছর থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এক অন্য আবহে পালিত হচ্ছে ঈদ।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণে হাইকোর্টের ১১ নির্দেশনা
রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং রক্ষণাবেক্ষণে ১১ দফা নিয়ম অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু হচ্ছে বুধবার
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বন্ধের পর সরকারি সব নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী বুধবার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করার সিন্ধান্ত নিয়েছে স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।