যানবাহন
ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ধীরগতির যানবাহন নিষিদ্ধ: ডিএমপি
ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ধীরগতির যানবাহন আর চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার(১৩ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমরা এই যানবাহনগুলোর জন্য কিছু ছোট রাস্তা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ধানমন্ডি এলাকার কিছু সড়ক নির্বাচন করা হয়েছে। মিরপুরের প্রধান সড়কে এসব যানবাহন এখন আর চলছে না। প্রগতি স্মরণি ও ভিআইপি রোডের মতো প্রধান সড়কে অটোরিকশাসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। আমরা পরিকল্পনা ও প্রয়োগ দুটোই একসঙ্গে সমন্বয় করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশা শুধু ছোট রাস্তায় চলবে। প্রধান সড়কে তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে এতে অটোরিকশা চালকদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
৪ মাস আগে
শব্দদূষণে নাকাল রাজধানীবাসী, নেই আইনের কার্যকর প্রয়োগ
শব্দদূষণে নাকাল ঢাকাবাসী। দিনকে দিন বেড়েই চলেছে শব্দদূষণের মাত্রা। যানবাহনে অকারণে হর্ন দেওয়া, সাউন্ড বক্স বা মাইকের উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। শব্দদূষণ অসহনীয় হয়ে উঠলেও এটি রোধে নেই আইনের কার্যকর প্রয়োগ।
মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে নগরীর বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষ শব্দদূষণের ভুক্তভোগী। এছাড়াও শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব প্রকট হয়ে উঠছে। তবুও এই শব্দদূষণ রোধে নেই মানুষের সচেতনতা।
এমনকি শব্দদূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না ট্রাফিক পুলিশও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দদূষণের কারণে ট্রাফিক পুলিশেদের কানে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন সড়কে কাজ করায় অতিরিক্ত শব্দের কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান যানবাহনে অহেতুক হর্ন, যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে উচ্চশব্দ সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শব্দদূষণের অনেক ক্ষতিকর প্রভাব মানুষ জানেই না। বিশেষ করে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি তো আছেই, শহরে উদ্ভিদের বংশবিস্তারও দিন দিন কমে যাচ্ছে। গাছ-গাছালির পরাগায়ন হচ্ছে না। এতে শস্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে যারাই রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে, তারা অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণ সমস্যা বৃদ্ধি পাবে: উপমন্ত্রী
অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু শব্দদূষণের অন্যতম উৎস হলো হর্ন। এটি বন্ধ করতে পারলেই ঢাকা শহরের ৬০ শতাংশ শব্দদূষণ কমে যাবে। কিন্তু এটি বন্ধ করার জন্য আইনগত যে ভিত্তি রয়েছে সেটি দুর্বল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শব্দদূষণ রোধে আমাদের যে দুটি আইন রয়েছে সেটি ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া আইন অনুযায়ী স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ এলাকায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী পুরো ঢাকা শহরই নীরব এলাকা। কোথাও হর্ন দেওয়া যাবে না। আইন প্রয়োগ করতে গেলে এটা একটা বড় সীমাবদ্ধতা।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, শব্দদূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। প্রয়োজনের বাইরে হর্ন বাজানো যাবে না, পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় মাইক ও উচ্চ আওয়াজ থেকে দূরে থাকতে হবে। এখন দেখা যাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা সারাক্ষণ হেডফোন কানে লাগিয়ে রাখেন, এটাও ক্ষতিকর।’
শব্দদূষণ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার উল্লেখ করে অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে গাড়ির হর্ন দিলে জরিমানার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশের সেই পরিস্থিতি নেই। এখানে আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং যথাযথ আইন তৈরি করে এর জোরালো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় শব্দদূষণের বিভিন্ন উৎস উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে- গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্প-কারখানা ও ইনডোর—বাসাবাড়ির কাজ, টাইলস কাটা ও ড্রিল মেশিনের শব্দ।
তিনি বলেন, শব্দদূষণ বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময় ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।
এই আইনে শাস্তি হিসেবে বলা আছে, আইন অমান্য করলে প্রথমবার অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে এ আইনের তেমন প্রয়োগ দেখা যায় না বলে জানান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, সব স্থানেই শব্দের তীব্রতা প্রায় একই রকম। আইনের মান্যতায় সাজার বিধান থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।
শুধু শব্দদূষণ আইন নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ সালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তে গাড়ির লাইসেন্স থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন কীভাবে হবে- প্রতিটি বিষয় আলাদা আলাদা করে বলা আছে। চালক কখন হর্ন বাজাবেন, কখন বাজাবেন না তাও উল্লেখ করা আছে, যা অনেক জরুরি আইন। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে এ আইনের বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ইউএনবিকে বলেন, ঢাকার শব্দদূষণের মাত্রা গ্রহণযোগ্য মাত্রার দ্বিগুণের বেশি হওয়ার কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে। কানে কম শোনা ছাড়া ডায়াবেটিস এবং হার্ট সংক্রান্ত জটিলতা বেড়েছে। শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক অসুস্থ মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১২০ ডেসিবেল শব্দ সঙ্গে সঙ্গেই কান নষ্ট করে দিতে পারে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে তাহলে ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হবে।’
শব্দদূষণ নিয়ে ক্যাপসের সর্বশেষ গবেষণায় জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছর ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের শব্দের তথ্য-উপাত্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে ক্যাপস। এই ১০টি স্থানের নীরব এলাকায় ৯৬.৭ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৫০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে, আবাসিক এলাকায় ৯১.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৫৫ ডেসিবল) অতিক্রম করেছে, মিশ্র এলাকায় ৮৩.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৬০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬১ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে এবং শিল্প এলাকায় ১৮.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৭৫ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে।
ঢাকা শহরের ১০টি স্থানেই ৮২ শতাংশ সময় ৬০ ডেসিবেলের ওপরে শব্দ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৪ মাস আগে
দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ যানবাহনবিরোধী অভিযানের দাবি জাতীয় কমিটির
আসন্ন ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধে ত্রুটিপূর্ণ ও রুট পারমিটবিহীন বাসসহ সব ধরনের অবৈধ যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, নিকট অতীতে বিভিন্ন সময়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার জন্য ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ যানবাহন এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দায়ী করেছেন। অথচ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে দৃশ্যত সড়ক ও মহাসড়কগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ও ধারাবাহিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সড়ক-মহাসড়কে অহরহ দুর্ঘটনা ও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব মহল উদাসীন রয়েছে।
নিকট অতীতের মতো প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে ব্যাপারেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএকে সতর্ক করেন বিবৃতিদাতারা।
এজন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
অবৈধ যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকসহ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য বিআরটিএ, পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিও আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে : জাতীয় কমিটি
ঈদযাত্রা: পোশাক কারখানায় ৮ দিনের ছুটির আহ্বান জাতীয় কমিটির
৭ মাস আগে
নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উপলক্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল ডিএমপি
নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে:
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক বহনকারী যানবাহন।
২. জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ পণ্য ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন।
৩. বিমানবন্দর থেকে আত্মীয়-স্বজন বা আত্মীয়-স্বজনের নিজ বাসভবন বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণপত্র প্রদর্শন) এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত যানবাহন।
৪. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও তার নির্বাচনী এজেন্টের জন্য একটি করে গাড়ি (জিপ, গাড়ি, মাইক্রোবাস ইত্যাদি) যথাযথ নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র প্রদর্শন এবং স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে।
৫. রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে জরুরি কাজে ব্যবহৃত সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া।
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি;
৭. প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত যানবাহন।
৮. ঢাকা মহানগরী বা এ জাতীয় সব সড়ক থেকে প্রস্থান বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও সংযোগকারী প্রধান সড়কে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার
১০ মাস আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ পালনের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যানবাহন চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) জারি করা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা ও দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই এলাকায় যান চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থানরত লোকজন ও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনকে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
সেনানিবাসের ভেতরের রাস্তাগুলো যানজটমুক্ত রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বছরে জাতিসংঘ মিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আয় ২৭,৯৪১ কোটি টাকা: আইনমন্ত্রী
জাতির সেবার মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা সমুন্নত রাখুন: সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
বিরোধী দলগুলোর চলমান অবরোধের কারণে অন্যান্য সাধারণ দিনের তুলনায় গণপরিবহন চলাচল তুলনামূলকভাবে কম হলেও ঢাকার বাতাসের মান 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ২০৮ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ৪৬৩, ৪৫৮ এবং ২৩৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা চতুর্থ
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী বিএনপির ৩ দিনের অবরোধকে সামনে রেখে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সোমবার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার দুপুরে ঢাকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অবরোধ অমান্য করে যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ১৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন নাঈম নামে অসিম পরিবহনের এক কর্মী।
এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিনসহ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তাতে দেশের জিডিপিতে বছরে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে টানেলটি।
আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেলটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারা প্রান্তে ইপিজেড মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।পরদিন ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউএনবিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নির্মাণকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ বা ‘এক নগর দুই শহর’-এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
সেতুমন্ত্রী বলেন, দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে এ পথে। নদীর মধ্য ভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ সড়কটি অবস্থান করবে মাটি থেকে ১৫০ ফুট গভীরে। এর নির্মাণকাজ শেষ করে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। এই সুড়ঙ্গ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে আগলে রেখেছে যে কর্ণফুলী, তার বুক চিরে তৈরি হয়েছে ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ। দেশের এ প্রবেশদ্বারে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আলাদা শক্তি জোগাবে এই টানেল। বাণিজ্যিক এই রাজধানীতে আরও স্থাপন হবে নতুন নতুন শিল্প ও কলকারখানা, পরিধি বাড়বে আমদানি-রপ্তানির, গতি পাবে অর্থনীতি। সমৃদ্ধির অধিগম্যতায় প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম।
কাদের বলেন, টানেলটি চালুর পর চট্টগ্রাম মূল শহরের সঙ্গে সাগর ও বিমানবন্দরেরও দূরত্ব কমে আসবে। অর্থনীতির গতিপথ আরও গতিশীল করতে এই টানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এই উপজেলায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আমানত শাহ সেতু হয়ে যেতে অনেক সময় লাগত। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হয়ে যেতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের সে পথ তিন মিনিটেই যাওয়া যাবে। এতে বাঁচবে খরচ ও সময়।
২৯ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত
২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এটা কোনো সাধারণ ব্রিজ বা কালভার্ট নয়, এটা টানেল। থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেল কোনোভাবেই টানেলে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে। সেখান থেকে সবকিছু মনিটর হবে। এফ এম রেডিওতে যেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় বা তথ্য জানানো হয়, এখানেও সার্বক্ষণিকভাবে সেটা থাকবে। বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট্রি দেওয়া হবে।’ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত টোল হার ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল টোল
বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য গত আগস্টে টোল হার চূড়ান্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হলে ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), জিপ ও পিকআপকে দিতে হবে ২০০ টাকা করে। আর মাইক্রোবাসের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
টানেলে দিয়ে যেতে হলে ৫ টন পর্যন্ত ট্রাককে ৪০০ টাকা, ৫ দশমিক ১ টন থেকে ৮ টনের ট্রাককে ৫০০, ৮ দশমিক ১ টন থেকে ১১ টনের ট্রাককে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলবিশিষ্ট ট্রাক-ট্রেইলরের টোল চূড়ান্ত করা হয়েছে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রাক-ট্রেইলরকে দিতে হবে ১০০০ টাকা। এর বেশি ওজনের ট্রাক-ট্রেইলরকে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুই দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান জানান, পানি নেমে যাওয়ায় সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুয়েক জায়গায় পানি রয়েছে, বৃষ্টি না হলে দুপুর নাগাদ তাও কমে আসবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলার রাস্তা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া কসাইপাড়া থেকে সাতকানিয়ার কেরানী হাট কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়।
চন্দনাইশ কলেজ গেট এলাকা থেকে কেরানিহাট অংশে সড়কে পানি বাড়তে শুরু করলে সোমবার রাতে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে রাত ৩টার পর থেকে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়, তাতে দুর্ভোগে পড়েন বয়স্ক ও শিশুসহ অন্য যাত্রীরা।
গত দুই দিন কিছু কিছু যানবাহন বিকল্প সড়ক বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়া করছিল।গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সরে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন চলাচল।
সাতকানিয়ার কেরানী হাটের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও চন্দনাইশ সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হতে আরও ২/৩ দিন লাগবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
১ বছর আগে
ঈদযাত্রা: গাজীপুর মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মঙ্গলবার থেকে চারদিনের ছুটি শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
চান্দিনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ডবাজার, গাজীপুরাসহ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকবে ১০ দিন
এছাড়া রাজধানী থেকে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে।
এদিকে চন্দ্রা ত্রিমোরে প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। তবে গাজীপুর মহাসড়কে এখন পর্যন্ত যানজট দীর্ঘ হয়নি।
এ বছর সড়কে দীর্ঘ যানজট নেই বলে জানিয়েছে ঘরমুখো মানুষ।
কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে তাদের অভিযোগ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম জানান, টঙ্গী থেকে চান্দিনা মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে আরামদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমান বলেন, যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ১২টি টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে কাজ করছে।
এছাড়া কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিলে এসব দলও ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনে খুলে দেওয়া হলো সিরাজগঞ্জের নলকা ফ্লাইওভার
১ বছর আগে