কারাগার
মডেল মেঘনা আলম কারাগারে
মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনাকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
৬ দিন আগে
সাবেক এমপি ফজলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে একদিনের (১৬ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদ এবং যুবলীগ কর্মী মো. ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে ৯ জন শহীদ এবং ৪৫৯ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলায় আরও অনেকের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সবাইকে চিহ্নিত করার তৎপরতা চলমান আছে।‘
‘সে কারণে আদালত আরও তিন মাসের সময় দিয়েছেন এবং আগামী ৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জামিন মেলেনি আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দিনের, কারাগারে প্রেরণ
তিন পুলিশ সদস্যকে হাজিরের নির্দেশ
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় আরও তিন পুলিশ সদস্যকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন— ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
ট্রাইব্যুনালকে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই তিন আসামি অন্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার আছেন।’
৯ দিন আগে
জামিন মেলেনি আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দিনের, কারাগারে প্রেরণ
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী গোলাম মহীউদ্দীনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। দীর্ঘ সময় শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করলে আদালত এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আরসাপ্রধানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
মানিকগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘গোলাম মহীউদ্দীনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে ৪টি নাশকতা মামলা আছে। মাঝে তিনি জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
৯ দিন আগে
আরসাপ্রধানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তাকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বান্দরবানের আদালতে হাজির করা হয়।
জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে ডিজিএফআই সদস্য হত্যা মামলা ও হামলার ঘটনায় দুটি মামলার আসামি আতাউল্লাহ জুনুনি। তাকে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণ পাল ও আমলি আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, ৩ আসামি কারাগারে
দুটি মামলায় তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। তবে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরাকানের জমি আমাদের। খুব শিগগিরই রোহিঙ্গারা আরাকানের জমি ফিরে পাবেন।’
গত ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গোপন বৈঠক করার সময় জুনুনিসহ ১০ জনকে আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে ডিজিএফআই সদস্য হত্যাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
১০ দিন আগে
প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে মনোয়ন পাওয়ার দিনই কারাগারে ইস্তানবুলের মেয়র
তুরস্কের ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে অবশেষে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। বিচারপূর্ব আটক করে তাকে এমন একদিন কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যেদিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া, ঘুষ, অসদাচরণসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত বছরের স্থানীয় নির্বাচনের আগে বামপন্থি রাজনৈতিক জোটকে সহযোগিতারও অভিযোগ তোলা হয়েছে।-খবর গার্ডিয়ানের
তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তানবুলের এই মেয়রসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে মামলা করা হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একরেম ইমামোগলু।
জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি বলেন, তাকে আটকের এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুরস্কের ভাবমর্যাদাই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, দেশের অর্থনীতি ও বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।
‘গণতন্ত্রের একজন সুরক্ষাকারী ও জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী হিসেবে, আমি মনে করি, সত্যের বিজয় হবে,’ বলেন তিনি। সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার মুখপাত্র মুরাত অনগুন বলেন, ‘এমন এক অপবাদে আমাকে আটক করা হয়েছে, যার সপক্ষে ন্যূনতম কোনো প্রমাণ নেই।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাসহ নিহত ১৯
এদিকে এরদোগানের পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভে ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। চারদিন আগে দেশটির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও রাজধানী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগুলকে আটকের পর শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভাষণে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘রাস্তার সন্ত্রাস কিংবা ধ্বংসোন্মদনার কাছে তার সরকার আত্মসমর্পণ করবে না। জনশৃঙ্খলা ব্যাহত হয়, এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মার্চ) দিনের শেষভাগে ইমামোগলুকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। এরআগে গেল তিন ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির পুলিশ।
এরদোগানের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন একরেম ইমামোগলু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ছাড়া আরও শতাধিক রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২৫ দিন আগে
বগুড়া কারাগারে আরও এক আ.লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়া জেলা কারাগারে এমদাদুল হক ভট্টু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এমদাদুল হক ভট্টু জেলার গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে, এই কারাগারে আটক অবস্থায় আওয়ামী লীগের চার নেতা মারা গেছেন বলে জানান কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ।
তারা হলেন— বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ও বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন।’
আরও পড়ুন: শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে
জেলার বলেন, ‘বিস্ফোরক ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ভট্টুকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। রক্তচাপ-সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতা নিয়ে কারাগারে আসার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সুস্থ হয়েও ওঠেন।’
‘আজ (মঙ্গলবার) সেহরি শেষে সকালে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত তাকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
প্রাথমিকভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা সৈয়দ শাহ শরীফের।
৩৭ দিন আগে
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনু কারাগারে
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে তাকে হাজির করা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয় ও আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কুষ্টিয়া কারাগারে আনা হয় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে। তাকে দেখতে আদালতে জাসদের শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। আদালতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি। এখন পর্যন্ত এ মামলার মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল
এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইমুম হাসান বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় হাজিরা দিতে আনা হয়েছিল ইনুকে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আলোচিত এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা হয়।
৩৯ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ কারাগারে
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা আইনজীবী মো. আব্দুল মজিদ খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলীম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ মো. আব্দুল মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে বানিয়াচং থানার পুলিশ ঢাকায় গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে হবিগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিদ ঢাকায় গ্রেপ্তার
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ২ নম্বর আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও রিপন শীল হত্যা মামলায় তার নাম ৩ নম্বরে রয়েছে।
মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
৬৫ দিন আগে
শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় মিফতাহুল মাওয়া নামের চার বছরের এক শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শাহজাহান ফজলুর নামের এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে ওই ঘটনা ঘটে। সেদিন বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়িতে সড়কের পাশে থাকা বালু নিয়ে খেলছিল শিশুটি। এ সময় বিষয়টি তার সামনে পড়ায় রেগে তাকে পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলেন।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেদিন রাতেই আহত শিশুর মা সামছুন নাহার তানিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা করেন। তারপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাহজাহান ফজলুর রহমান।
তবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তুললে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
শাহজাহান ফজলুর রহমান মেমোরিয়েল কলেজ অব টেকনোলজির শিক্ষক। আর আহত শিশু মাওয়া পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়ির সৌদিপ্রবাসী নজির আহমেদের মেয়ে।
৮৫ দিন আগে
বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিন মিঠু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে মারা যান তিনি।
মিঠু গাবতলীর বৈইঠা দক্ষিণ পাড়ার মোজাহার আলীর ছেলে। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান।
১২৯ দিন আগে