মানহানি
মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক-ফখরুলসহ ৫ জন
পাঁচ বছর আগে আওয়ামী লীগ নিয়ে মানহানির অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
একইসঙ্গে এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন। তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তবে দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী আসেনি। এজন্য আসামিপক্ষে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ২৪৭ ধারায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেন। এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাকরির সন্ধানে এসে মিয়ানমারের নাগরিক আটক
২ মাস আগে
শমী কায়সারের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কটূক্তি করায় শমী কায়সারের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের নামে মামলাটি করেন শহরের দরিমাগুরা সরদার পাড়ার গাজী ইমামের ছেলে রেজোয়ান কবির।
আরও পড়ুন: গাংনীতে জোড়া হত্যা: তিন জনকে আসামি করে মামলা
মামলায় বলা হয়েছে, জিয়াউর রহমানের খ্যাতি-সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্যে শমী কায়সার বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার আইনজীবী কাজী মিনহাজ বলেন, আসামি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, বাদী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
২ মাস আগে
দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আইনজীবী আনোয়ারুল করিম ফারুককে 'ডামি প্রার্থী' উল্লেখ করায় দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরে দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী কামরুল হাসান। সভায় সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল করিম ফারুক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এম. শাহজাহান সাজু, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন বাহার, দিলীপ কুমার সাহা, আহসান কবির বেঙ্গল, রসিক শেখর ভৌমিক, গাজী তারেক আজিজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
১ বছর আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আর কারাদণ্ডের বিধান থাকছে না। কারাদণ্ড বাতিল করে সেখানে শাস্তি জরিমানা রাখা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো- সাইবার সিকিউরিটির জন্য যেসব ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল সেসব ধারা এ আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, এজন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
আইনমন্ত্রী এ ধারার সংশোধনের বিষয়ে বলেন, মানহানির যে ধারাটি ছিল সেখানে আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন সেটা পরিবর্তন করে সাজা জরিমানা রাখা হয়েছে। এখন একমাত্র সাজা জরিমানা।
তিনি আরও বলেন, তবে জরিমানা আদায় করা না হলে জরিমানার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে শাস্তি তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মূল শাস্তি হবে জরিমানা। নতুন আইনে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
হিরো আলমের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মনসুর রিপন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় হিরো আলম অভিযোগ করেছেন- তাকে নিয়ে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগে রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবিতে অভিযোগের পর মামলা করতে ঢাকার আদালতে যান হিরো আলম। তিনি আদালতে প্রবেশ না করে একটি হাইয়েস গাড়ির ভেতরে বসেছিলেন। এ সময় গাড়িটি পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে ছিল। এ সময় তিনি গাড়িতে বসে আইনজীবী মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
গত ১৮ জুলাই রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিরো আলমের সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
১ বছর আগে
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
মানহানিকর মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ‘হিরো আলম’ খ্যাত আশরাফুল আলম। রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম এ তথ্য জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আমি ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি প্রধান আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য আমি আদালতে যাব।’
গত ১৮ জুলাই রাজশাহীর ভুবনমোহন শহীদ মিনারে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হিরো আলমকে ‘অশিক্ষিত’ বলে তিরস্কার করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হিরো আলম বলেন, ‘তার (রিজভী) মতো একজন রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না যে আমি 'অর্ধপাগল’ ও 'অশিক্ষিত'। আমি তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং আমি অর্ধপাগল হলে নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিত না।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন আমি অশিক্ষিত, কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। বিএনপি নেতা এমন মন্তব্য করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মনে করে আমি বিএনপির কর্মী, কিন্তু বিএনপি নিজেই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা আমার সম্পর্কে তুচ্ছভাবে কথা বলেছে। এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেছেন।’
হিরো আলম বলেন, কারোরই অন্য কাউকে অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত বলার অধিকার নেই।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ঢাকা-১৭ নির্বাচনের সময় হিরো আলম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, হামলাসহ বিভিন্ন কারণে অতীতে আমাদের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) অভিযোগ জানাতে আমাদের কাছে এসেছেন।’
হারুন বলেন, ‘হিরো আলম যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা দেখেছি যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ ডিবির মানহানির মামলা করার কোনো অধিকার নেই।’
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় রবিবার (২১ মে) ‘আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে, প্রস্তুত সরকার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত সংবাদের একটি অংশে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে হেয় করতে, ‘তিনি মন্ত্রী হওয়ার আগে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন’ মর্মে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সর্বৈব (পুরোপুরি) মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এতে আরও বলা হয়েছে যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নামে এ ধরনের মিথ্যাচারের মাধ্যমে তার মানহানির পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের (গাসিক) সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে করা মানহানি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। এর আগে এ মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এ মামলায় গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
এরপর গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
২ বছর আগে
মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
মানহানির অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ দুটি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পরে কায়সার জানান, রুল নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে এই দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী। ২০১৯ সালে ১৮ জুন এ দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাস করে জামিন দেন হাইকোর্ট। সে সময় হাইকোর্ট এ দুটি মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
২ বছর আগে
মানহানির মামলায় জনি ডেপের জয়, অ্যাম্বারকে ১০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা
সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জয় পেলেন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। অ্যাম্বার হার্ডকে ১০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ভার্জিনিয়ার একটি আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে যে সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড, তা ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’। এ কারণে অ্যাম্বারকে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ ছিল বলেও জানিয়েছেন আদালত।
তবে ডেপের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের রায় হার্ডের পক্ষে গেছে।
জুরিরা প্রমাণ পেয়েছেন, ডেপের আইনজীবীও হার্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছেন। এজন্য হার্ডকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
রায়ের পর হার্ড তার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অন্য নারীদের ওপর এই রায় কি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আমি আরও বেশি হতাশ।
আরও পড়ুন: স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘টপ গান’-এর দ্বিতীয় কিস্তি
এদিকে বুধবার আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও গণমাধ্যমকে ৫৮ বছর বয়সি জনি ডেপ জানান,‘জুরি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও ২০১৬ সালে জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন ‘অ্যাকোয়াম্যান’-খ্যাত অ্যাম্বার হার্ড।
স্ত্রীর সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি।
সেই সময়ে আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।
তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জনি ডেপের বিরুদ্ধে আবারও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড।
হার্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেন ডেপ। পত্রিকায় নিজের নামে মিথ্য অভিযোগ আনায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ডেপ ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টে সাবেক স্ত্রী হার্ডের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির জন্য মামলা করেছিলেন ডেপ।
পরে হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: কান উৎসব ২০২২: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলেনস্কির ভাষণ
ঈদে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে 'ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস'
২ বছর আগে