ফটো সাংবাদিক
কুষ্টিয়ায় ভিডিও ধারণকালে ফটো সাংবাদিকের ওপর ‘হামলা’
কুষ্টিয়ায় ট্রলিচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনা নিয়ে লাইভ ভিডিও ধারণকালে স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফটো সংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ফুলতলা প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই সাংবাদিকের কাছে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
ইমরান হোসেন বলেন, ‘ট্রলিচাপায় স্কুলছাত্রের নিহতের ঘটনা নিয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার কাস্টম মোড়ের হাশেম ডাক্তারের গলির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি ও আরিফুলসহ আরও ১০-১২ জন আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার নাক, পিঠ ও মাথা কেটে গিয়ে গেছে।’
এই হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ইমরান হোসেনের কাছে থাকা প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের একটি ভিডিও ক্যামেরা ও ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়।’
হামলার পর অন্য সাংবাদিকরা তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। আসামিদের বাঁচাতে মামলা নিতে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, হামলাকারী গ্রেপ্তার
হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ রিপন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি রাখছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘আমরা লিখিত এজাহার পেয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি মামলা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।’
৪২ দিন আগে
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এ আদেশের ফলে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে আর কোনও বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শহিদুল আলম। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলেন। সে অনুযায়ী লিভ টু আপিল করলে আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তা খরিজ করে দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। তবে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে শহিদুল আলম। ওই লিভ টু আপিলও আজ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
৮৫৫ দিন আগে
ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন।
এসময় সাংবাদিক কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বিচারক জানুয়ারির ২ তারিখে তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গত ২১ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য ছিল। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন করে শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন।
১২৩৯ দিন আগে
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশি সাংবাদিকের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ফটো সাংবাদিক এ হাই স্বপন মারা গেছেন।
১৮২৬ দিন আগে