ফটো সাংবাদিক
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এ আদেশের ফলে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে আর কোনও বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শহিদুল আলম। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলেন। সে অনুযায়ী লিভ টু আপিল করলে আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তা খরিজ করে দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। তবে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে শহিদুল আলম। ওই লিভ টু আপিলও আজ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
১ বছর আগে
ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন।
এসময় সাংবাদিক কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। বিচারক জানুয়ারির ২ তারিখে তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গত ২১ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য ছিল। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন করে শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন।
৩ বছর আগে
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশি সাংবাদিকের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ফটো সাংবাদিক এ হাই স্বপন মারা গেছেন।
৪ বছর আগে