পহেলা বৈশাখ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির
দেশের সকল সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পহেলা বৈশাখ বণার্ঢ্য আয়োজনে বিপুল জনসম্পৃক্ততায় উদযাপন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহেযোগিতায় পহেলা বৈশাখে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে নগরবাসীর জন্য আয়োজন করা হয় ‘ড্রোন শো’ ও ‘কনসার্ট’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল ) বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউতে কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধিরা।
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ‘আনন্দ শোভাযাত্রায়’ বরণ নতুন বছরকে
৫ দিন আগে
যেখান-সেখান দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না: ডিএমপি কমিশনার
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। নিরাপত্তার স্বার্থে এ বছর যেখান-সেখান থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দেন তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের শেষে শেখ মো. সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নববর্ষের শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি ও টিএসসি হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার পুরো রুট নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। পাশ থেকে বিকল্প পথে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ’ শব্দ না ব্যবহারে পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
সাজ্জাত আলী জানান, শোভাযাত্রায় যোগদান করতে হলে শাহবাগ মোড় থেকে যোগ দিতে হবে। আর ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চান— তারা শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় দিয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাবি ভিসির বাংলোর সামনে থেকে অংশ নেবেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বৈশাখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ১৮ হাজার পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, সেনাবাহিনী ও এন্টি-টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থলগুলো ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেড থাকবে।
‘প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোড সমূহ সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াত ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে,’ বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। ‘এ ছাড়াও রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ স্থাপন থাকবে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে।’
গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নববর্ষকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো অপপ্রচার বন্ধ করতে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানান মো. সাজ্জাত আলী।
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজে সহায়তা করতে এবং অনুষ্ঠানস্থলে কোন ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ না নিয়ে আসতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে হবে। কোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস উড়ানো যাবে না। শব্দ দূষণ হয়— এ ধরনের কোনো বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। বিশেষ করে শোভাযাত্রায় ও অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে।
আরও পড়ুন: শোভাযাত্রার আগেই মোটিফে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা গ্রেফতার হবে: ডিএমপি কমিশনার
ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আসতে ইচ্ছুক নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা নারী ও শিশু সঙ্গে নিয়ে আসবেন তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভীড় এড়িয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করবেন। মহিলা ও শিশুদের জন্য নির্ধারিত গেট ব্যবহার করে বের হয়ে চলে যাবেন।’
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। সে সময় বের হওয়ার জন্যও তিনটি গেট ব্যবহার করা যাবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে। বিকেল ৫টার পর প্রবেশ পথগুলোও বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। শোভাযাত্রা সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে সেটি বন্ধ থাকবে। ওই সময় কেউ ওই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবেন না।
৬ দিন আগে
পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
চলতি বছর পহেলা বৈশাখের সময় ইলিশ জাটকা অবস্থায় থাকবে, সে কারণে এ সময় ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ- ২০২৫’ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান উপদেষ্টা। এ সময় জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ বছর প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘ইলিশের জাটকা যেন নিরাপদে বাড়তে পারে, সেজন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস দেশব্যাপী জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ইলিশ সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মুগ্ধকে নিয়ে কথা বললে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়: ফরিদা আখতার
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান অন্তরায় হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল ব্যবহার। এসব জালের ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিশেষ চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় পহেলা বৈশাখে পান্থা ইলিশে না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে যে ইলিশ থাকবে, সেটি জাটকা ইলিশ হিসেবে গণ্য হবে। এটি না খাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।‘
এই উদ্যোগের আওতায় প্রতি বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় নির্ধারণ করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ইলিশসমৃদ্ধ প্রধান প্রধান নদ-নদীতে ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। এসব অভয়াশ্রমে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশসহ সব প্রকার মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মা ইলিশ এবং জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবনধারণের জন্য প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা চাহিদামাফিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
ইলিশসহ উপকলীয় অন্যান্য মৎস্য প্রজাতি ও জলজ জীব রক্ষায় ২০১৯ সালে নিঝুম দ্বীপ ও আশপাশের ৩ হাজার ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) ‘ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি) নিষিদ্ধ থাকে। এতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারি তথ্যে জানা গেছে।
১২ দিন আগে
পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, নদ-নদীর তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একইসঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবাহহীন বলতে পারেন। প্রবাহহীন নদীকে প্রবাহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে। মৃত নদী দেখিয়ে নদীর জায়গা ইজারা বা লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: দূষণ ও দখলের হাত থেকে নদী রক্ষার এখনই সময়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু হাওর ও বিলের একটা তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। পরবর্তী কাজ হচ্ছে খালেরও তালিকা চূড়ান্ত করা।
সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আজকে থেকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে জেলার সব খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার একটা বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করে কাজ শুরু করার জন্য উপদেষ্টা নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার ভেতরে থাকা ২১টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। এটির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় ১টি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা অচিরেই শুরু করে দেব।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
১৩০ দিন আগে
অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে নগরবাসী রাজধানীতে ফিরতে শুরু করলেও ঢাকা শহর এখনো ফেরেনি তার চিরচেনা রূপে।
রাস্তার পাশের বেশিরভাগ দোকান, শপিং মল বন্ধ। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় খুবই কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে গেছে। ঢিাকার অধিকাংশই রাস্তায় ফাঁকা ছিল।
সোমবার সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল কম।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলির মাধ্যমে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।
সকালে মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর ও শাহবাগ এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ বলেন, ‘এখনো শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা নেই। রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছাতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে। এটি ঢাকাবাসীর জন্য সাময়িক স্বস্তির বলা চলে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১, ১২ (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পরে, ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল রবিবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।
তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী।
আরও পড়ুন: ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩৬৯ দিন আগে
বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও সম্মুখীন: রিজভী
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সময় ‘রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিসহ বাংলাদেশি পরিচয়ের মৌলিক দিকগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইছামতি, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সৃষ্ট আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য- যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখেছে, তা ভাঙতে পারবে না আওয়ামী লীগ।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে ঘিরে জাতির পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুরক্ষিত রয়েছে।
রিজভী বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসবের চেতনা ছেয়ে গেছে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য লড়াইকারীদের সংগ্রামে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি। মাত্র কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদযাপনের আনন্দ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
৩৭০ দিন আগে
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং জাপানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
৩৭০ দিন আগে
পহেলা বৈশাখে শেফ জাহিদার রেসিপি চিংড়ি মালাইকারি
কথায় আছে নালে ঝোলে বাঙালি। নববর্ষে বাঙালির মুখে লাগাম থাকে না। রসগোল্লা হোক বা ডাল ভাত সবেতেই জিভে পানি আসে। মিষ্টান্ন, হরেক রকমের আয়োজনে বাঙালির হেঁশেলে বাড়ে ব্যস্ততা। পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হচ্ছে। আর এই উদযাপনকে ঘিরে বাঙালিয়ানা রান্নার কদরও দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে। তেমনই একটি আয়োজন হচ্ছে চিংড়ির মালাইকারি।
কমবেশি সবাই চিংড়ির মালাইকারি খুব বেশি পছন্দ করেন। তবে যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের চিংড়ি এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে যাদের কোনো সমস্যা নেই তাদের জন্য সোনায় সোহাগা। এটি একেবারে বাঙালি খাবার।
বাজার থেকে চিংড়ি এনে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিংড়ি মালাইকারি। পর্যটন করপোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন (রন্ধন প্রশিক্ষণ) বিভাগের প্রধান শেফ জাহিদা বেগম বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ইউএনবির পাঠকদের জন্য শেয়ার করেছেন চিংড়ির মালাইকারি রেসিপি।
পরিবেশন: ৪ জন
উপাদান ও পরিমাণ: চিংড়ি ১ কেজি, পেঁয়াজ ২টি বড় সাইজের, আদা রসুন বাটা ১ থেকে ১/২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ পিস, গরম মসলা ১/৪ চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৩ পিস, তেল ৫০ মিলি, নারকেলের দুধ ১ কাপ, টমেটো ১টি বড় সূক্ষ্মভাবে কাটা এবং লবণ পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি:১. চিংড়ির খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. লবণ এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে চিংড়িগুলো ভেজে মেরিনেট করুন। তারপর একটি প্যানে খুব অল্প পরিমাণে তেল দিয়ে ভেজে নিন।
৩. তারপর চিংড়ি তেল থেকে উঠিয়ে রেখে একই প্যানে আরও তেল দিন এবং পেঁয়াজের পেস্ট, তেজপাতা, আদা রসুনের পেস্ট, টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট নাড়ুন।
৪. হলুদ, মরিচ, জিরা এবং গরম মসলা গুঁড়া যোগ করুন। সামান্য পানি দিয়ে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন।
৫. চিংড়ি ভাজা, লবণ, নারকেল, মরিচ এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ৮ থেকে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৬. এরপর উপরে ঘি দিয়ে দিন। এবং
৭. ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
গার্নিশ:কাটা ধনে পাতা, লেবুর ওয়েজ দিয়ে পরিবেশন করুন।
পুষ্টির পরিমাণ:প্রতি পরিবেশন: ক্যালরি ৭৬০, ফ্যাট ২৮ গ্রাম, কোলেস্টেরল ১০.২৪ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ২৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮০ গ্রাম, সোডিয়াম ২২.৫৮, পটাসিয়াম ৩৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১২.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৪৭ মিলিগ্রাম।
৩৭০ দিন আগে
ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-শেয়ার বাজার।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে ছুটি কাটাতে বাড়িতে যাওয়া মানুষজন।
ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল। ফলে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করছেন চাকরিজীবীরা।
টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে সোমবার সবাই কাজে যোগ দেবেন।
তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী।
বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে উপস্থিতি থাকে খুবই কম।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনায় জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত: খালিদ
৩৭০ দিন আগে
জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পহেলা বৈশাখ থেকে জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল- এসব থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের দাম এবং মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ- মিলার পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে ও খুচরা পর্যায়ে একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেওয়া বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে সেটা কার্যকর হবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায়, বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখতে পারবো। কিছু প্রতিকূলতা আমাদের আছে, যেটা সম্পর্কে আপনারা জানেন। পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এটি নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন সংস্থা এটি নিয়ে সক্রিয় আছি। আগামী বাজেটের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি, সেটা নিয়ে একটি পরিকল্পনা থাকলে সুবিধা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম গেল এক বছরে ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের লোকাল বাজারে চার শতাংশের বেশি বাড়েনি। সেই সঙ্গে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহযোগিতায় মূল্য বাড়ার পরেও আমাদের বাজার স্থিতিশীল আছে। ১৬৩ টাকায় এক লিটার ও ১৪৯ টাকায় খোলা বাজারের তেল বিক্রি করতে পেরেছি। সব জিনিসের দাম কমে গেছে।
চিনি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণ সাপ্লাই চেইনে আছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্য নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকরা এ নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাজার পর্যায়ে কৃষিপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
৩৮৪ দিন আগে