রাষ্ট্রপতি
ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাসদ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিন বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
জাতীয় সংসদে অন্যতম বিরোধী দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে দলটির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে জাসদ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
জাসদ সভাপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন তুলনামূলক ভালো উদ্যোগ এবং এ উদ্যোগকে তারা সমর্থন করেন। তিনি সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক সংস্থাসমূহ থেকে সদস্য নেয়া বাঞ্ছনীয় বলে মত দেন এবং বলেন, এমন লোককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন যাদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠাগুণ ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
জাসদ প্রতিনিধিদল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনই যথেষ্ঠ নয়, নির্বাহী বিভাগ যাতে নির্বাচন কমিশনের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
জাসদ সভাপতি আশা প্রকাশ করে বলেন,অন্যান্য রাজনৈতিক দলও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন,নির্বাচন কমিশন গঠনে এখনও আইন না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ এ কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
আগামী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বঙ্গভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানিয়েছেন, সিরিজের দ্বিতীয় সংলাপটি বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সোমবার সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে (ন্যাপ) ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি) একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন আবেদিন।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিশ যথাক্রমে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনায় অংশ নেবে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
২৯শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) বিকাল ৪টায় সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোট মতবিনিময় করবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী এখন বাংলাদেশে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু সংসদে মাত্র নয়টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
নয়টি দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং জাতীয় পার্টি-জেপি।
রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হবে।’
সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি জাপার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত এই সংলাপ শুরু করেছেন।
সংলাপের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে যোগ দেয়।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।’
তিনি এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির আট সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল এ সংলাপে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- জ্যৈষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ,সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সংসদে মাত্র ৯টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
এ দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু সোমবার
ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, সরকার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আমরা অধিক উন্নতমানের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছি।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৯ আলফা এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১ ব্রাভো পাসিং আউট ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে ‘বিএনএস নবযাত্রা’ এবং ‘বিএনএস জয়যাত্রা’- দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে নৌবাহিনীকে সত্যিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, নৌবাহিনী এখন প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দেশের বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ এবং জেলেদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পথ নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
এছাড়া সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজগুলোকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধা সম্বলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা সক্ষমতা জোরদারে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে সরকার 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক ও আঞ্চলিক শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবাহিনীতে যুদ্ধজাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিদ্যমান জাহাজের অপারেশনাল ক্ষমতা জোরদার করার মতো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ) এবং সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গত নভেম্বর ২০২১ সালে জার্মানি থেকে একজন নতুন এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে। আরেকজনকে ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত করা হবে।
হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ইসি পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু সোমবার
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সোমবার সংলাপ শুরু করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংলাপ শুরু হবে।
তিনি বলেন, সোমবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন রাজনৈতিক দলকে ইতোমধ্যে সংলাপে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধতি ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু সংসদে মাত্র ৯টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
এ দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
এদিকে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এ সংলাপে যোগ দেয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান এখনও পরিষ্কার করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের দল হইতো সংলাপে যোগ দেবে না। কেননা তারা মনে করেন নতুন নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছা মতো গঠিত হবে।
তিনি বলেন, সংলাপে যোগ দেয়ার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সম্মিলিত একটি চিঠি রাষ্ট্রপতিকে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
তাড়াহুড়ো করে ইসি গঠনে আইন করা সঠিক হবে না: আইনমন্ত্রী
দেশের সব আদালত ভার্চুয়াল করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২১’ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে জামিন নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকরি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি অনলাইন কারণ তালিকা চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট একটি রেকর্ড আদালত, তাই এটির সমস্ত নথি ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমের ডিজিটাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আদালত ব্যবস্থাপনায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। রাষ্ট্রপতি তথ্য প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনার জন্যে আদালত ২০২০ সালের ৯মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।
করোনা মহামারি চলাকালীন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করে, বিচারকেরা তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কারণ তারা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনুষ্ঠানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশের উন্নয়নের দায়িত্ব শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্বের নয়। তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের উন্নয়ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একক দায়িত্ব নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হয়েছে, তা হিসেব করার সময় এসেছে।
স্বাধীনতাকে মানবাধিকার হিসেবে উল্লেখ করে হামিদ বলেন, স্বাধীনতা তখনই বোধগম্য হয় যদি অধিকার অর্জনকে সীমাবদ্ধ না রেখে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায়।
এস রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসায় আবদুল হামিদ ভারতেররাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশি ও বিশ্বস্ত বন্ধু।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের রূপকল্প প্রদানে দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উদযাপন নিছক উৎসব নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ যাত্রায় আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় যে, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে. ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরেছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার সাম্প্রতিক টেলিফোন আলাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের বাংলাদেশে চলমান তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মুখপাত্র আরও বলেন, দুই নেতা মানবাধিকারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এক সাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, রক্ষা করে: মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছি, ‘আমরা বেশ কয়েকটি সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করেছি। স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি আগেই আমাদের জানাবেন। আমরা এটা পছন্দ করিনি।’
ড. মোমেন র্যাবকে ‘দুর্নীতিমুক্ত অত্যন্ত সুশৃঙ্খল বাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, র্যাব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে যেমনটা যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস, মানবপাচার, অপরাধ ও মাদকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, র্যাবের দক্ষতার কারণে হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি।
র্যাবের ওপর মানুষের অনেক আস্থা আছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, কোনো পক্ষই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলেনি, কিন্তু আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন।
মোমেন বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা আলোচনা করবেন এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র, শান্তিরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তাকে বলেছি যে আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকারের সমস্যা সমাধানে দেশ অনেক গুরুত্ব দেয়।
মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনেক চলমান সংলাপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং আগামীতে ওয়াশিংটনে একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপিসহ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন