রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২১’ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে জামিন নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকরি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি অনলাইন কারণ তালিকা চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট একটি রেকর্ড আদালত, তাই এটির সমস্ত নথি ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমের ডিজিটাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আদালত ব্যবস্থাপনায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। রাষ্ট্রপতি তথ্য প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনার জন্যে আদালত ২০২০ সালের ৯মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।
করোনা মহামারি চলাকালীন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করে, বিচারকেরা তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কারণ তারা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনুষ্ঠানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি