ইন্টারনেট
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ রাতের মধ্যে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালুর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: দেশে ডেটা সেন্টার করতে ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে বাধ্য করা হবে: পলক
মোবাইল ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে শুক্রবার অথবা শনিবার একটি বৈঠক হবে। আগামী রবিবারের (২৮ জুলাই) মধ্যে এই সেবা পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পলক বলেন, এগুলোর ব্যবহার পুনরায় চালু করার বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
একই কথা জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তারা জানায়, আজ রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি; আশা করছি অন্তত ৭৯-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।’
মঙ্গলবার রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাওনা টাকা শিগগিরই আদায় করা হবে: পলক
রাতের মধ্যে ৭০-৮০% ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হবে: আইএসপিএবি
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে করছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি ৭০-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।’
গতকাল রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বিকেলে বিটিআরসি ভবনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
‘ব্রডব্যান্ড কেবল অপসারণ সময়োপযোগী নয়’
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে’
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল অপারেটরসহ যেকোনো বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় একটি হোটেলে গ্রামীফোনের ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে পলক বলেন, ‘দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হত। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইডলাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাইয়ের।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা।’
অনুষ্ঠানে জিপিফাই এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, আবুল কাশেম মহিউদ্দি ও মইনুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইটি-আইটিইএস খাতে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে: পলক
কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো রিভিউ করে জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজ চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডাটা প্যাকেজ বেঁধে দেওয়ার পর থেকে গ্রাহকদের মধ্যে একটা অসন্তোষ আছে। এছাড়া বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বসেছিলাম, আমরা রিভিউ করছি। আমি বলেছি একটা রিপোর্ট দিতে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের ডাটা প্যাকেজ তিনটি থেকে বাড়াতে হয় বা অন্য কোনো ছোট প্যাকেজ কাজে লাগে বা মানুষের কাছে প্রিয় হয়, তাহলে গ্রাহকের যেটা প্রিয় বা পছন্দের, সেটাই আমরা যাতে বিবেচনা করি- এটা তাদের বলেছি।’
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকা উদ্বোধন করেন।
এরপর ১৫ অক্টোবর মোবাইল ইন্টারনেটের তিন ধরনের সময়ের মেয়াদে (৩ দিন, ৭ দিন ও ১৫ দিন) প্যাকেজ কার্যকর হয়। এছাড়া ৩০ দিনের প্যাকেজের জায়গায় যথাক্রমে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু করা হয়।
ওই সময় ৩ দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হয়। অসংখ্য প্যাকেজ থেকে সেসময় ৪০টি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
৩ দিনের মেয়াদ তুলে দেওয়ার পক্ষে সেসময় মন্ত্রী বলেন, ‘৩ দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছে।’
নতুন নির্দেশিকায় ৪০টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক মোকাবিলা করছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈধ বাকস্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে বিধিবিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীতে ‘ডিক্যাব-টক’ এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ইউরোপে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেটি মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত ঘৃণামূলক বক্তব্য সরিয়ে না নেয়, তবে ইউরোপের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।’
সহিংসতার বিস্তার রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচকতা মোকাবিলা করছে এবং সমাজে এটি প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আরও কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশেও একই বিতর্ক চলছে।
হোয়াইটলি বলেন, ‘সুতরাং, অবশ্যই, আপনাদের ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) রয়েছে। আপনারা কীভাবে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন। তবে সবকিছুর মূল বিষয় হলো, আপনাদেরকে এমনভাবে এটি করতে হবে- যাতে বাকস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সংরক্ষণ ও সম্মান করা হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকারকে সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা এবং বৈধ বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এরকম খুব সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনাটি পরিচালনা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। নিঃসন্দেহে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় আইনে আপনারা যা দেখেন তার চেয়ে নির্দিষ্ট ধরণের বক্তব্যের জন্য সহনশীলতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আছে, কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের সবারই বাক স্বাধীনতা থাকা দরকার। আমাদের সমাজে নিরাপত্তা ও সুরক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি জটিল ধাঁধা।’
সংখ্যালঘু নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারণাকারী, যুদ্ধের নায়ক ও শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে যে ফেসবুক বাংলাদেশে ঘৃণামূলক বক্তব্য বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকের সর্বশেষ প্রতিবেদনটিও একই সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
মেটার সর্বশেষ প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার ইন্টারনেট-স্যাটেলাইট টিভির ঝুলন্ত ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দুর্দশাগ্রস্ত ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভির সংযোগ ক্যাবল মাটির নিচে দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এমনকি ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভি ক্যাবলের অপারেটরদের বিদ্যুৎ ইউটিলিটি বিভাগগুলোর চলমান ভূগর্ভস্থ ক্যাবলিং প্রকল্পে যুক্ত করানোও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তথ্য মতে, তাদের সব ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবি বলেন, ‘ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো ইন্টারনেট বা টিভি কেবল অপারেটর প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের বিনামূল্যে অফারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের আগের কমিটি পুনর্গঠন করে এবং সমাধানের জন্য একটি সভাও আহ্বান করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বৈঠক হয়নি।
পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. সেলিম উল্লাহ খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয়।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র ঝুলন্ত ক্যাবলের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) দায়ী করেছে।
কয়েক দফা বৈঠকের পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিগত কমিটি তাদের সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে অসুবিধা বোধ করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড (এসসিএল) ও ফাইবারঅ্যাটহোম (এফএএইচ) নগরীতে এনটিটিএন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা নগরীতে তাদের প্রধান ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপন করেছে এবং প্রায় ১ হাজার ৭৩৪টি বৈধ এবং প্রায় ৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান স্থানীয় হিসেবে বাসাবাড়ি ও অফিসে ঝুলন্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল নেটওয়ার্ক থেকে বাসাবাড়ি ও অফিসে ইন্টারনেট সেবা নিতে আইএসপিগুলো এসসিএল ও এফএএইচ থেকে সংযোগ নেওয়ার কথা। সম্প্রতি এনটিটিএনের আরেক প্রতিষ্ঠান বাহন লিমিটেডও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলছে, কিন্তু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, আইএসপিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এনটিটিএন’র স্থাপিত লেবেল ডিস্ট্রিবিউশন প্রটোকল (এলডিপি) বা অ্যাকসেস পয়েন্ট (এপি) থেকে সংযোগ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: স্টেকহোল্ডারদের সাড়া না পাওয়ায় সৌর সেচ কর্মসূচিতে ব্যর্থ সরকারের গ্রিড ইন্টিগ্রেশন নির্দেশিকা
অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, কোনো ইন্টারনেট সংযোগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক সমাধান না পাওয়ায় তারা এলডিপি বা এপি থেকে সংযোগ নিতে চায় না।
এছাড়া এনটিটিএনগুলো তাদের এলডিপি ও এপি থেকে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে বলে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে নির্বিচারে সঞ্চালন ক্যাবল ঝুলিয়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে সংযোগ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় কেবল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনই (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ করে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারে।
অবশেষে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটি দেখেছে, এলোমেলোভাবে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট, নিরাপত্তা ও স্যাটেলাইট টিভির তার শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার জন্যই বড় হুমকি নয়, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনে সরকারের পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বাহন লিমিটেডের কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ বলেন, তারা কারিগরি কারণে ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন না, কারণ এটি আইএসপিএনের সঙ্গে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে না।
তিনি বলেন,‘তবে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ক্যাবল মাটির নিচে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিয়ে যেতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শহরকে বিপদমুক্ত করতে সব ওভারহেড ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নিতে চাই। এ ব্যাপারে আইএসপিএবি, এনটিটিএনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশের ৩ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার এলাকা অপটিক্যাল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ছিল মাত্র ৫০ হাজার কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট সাধারণের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ৬০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) নামে একটি ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, 'খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এবং যদি ডিভাইসগুলো পুড়ে যায়, তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি
ততদিন পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর হতে পারে।
কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে এমদাদুল হক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, উই নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। এর ফলে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ব্যান্ডউইথের ৭০-৮০ শতাংশ হারিয়েছি। সারাদেশে ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সেখানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে অনুমান করা যাবে।
তবে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাবো, যত দ্রুত সম্ভব ভবনটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক অথবা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মালামাল স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হোক।
যাতে যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবাটি ঠিক করা যায়, অন্যথায় আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম।
এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে আসামি জাহিদুল। এরপর সে ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে ব্লেকমেইল শুরু করে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৯)। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর আইসিটি আইনের অংশটুকু খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয় (নম্বর-সাইবার ৯/২১)। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধের অংশ সাতক্ষীরা আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য গ্রহণসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের অপরাধের সাজা যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীরা ভয় পাবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড