ইন্টারনেট
স্টারলিংক কী? কীভাবে কাজ করে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা
প্রথিতযশা মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মস্তিষ্ক প্রসূত প্রযুক্তি সেবা ‘স্টারলিংক’। ছোট্ট এই শব্দটি সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অদেখা ভূবনের বার্তা দিয়ে চলেছে। চলমান দশকে ইন্টারনেট ব্যবস্থার মধ্যমণি হওয়ায় প্রযুক্তিগত বিবর্তনটিকে ঘিরে চলছে সমূহ উদ্দীপনা। অধিকাংশ উন্নত দেশগুলোতে বিস্তার লাভের পর উন্নয়নশীল অঞ্চল পরিক্রমায় স্টারলিংকের এবারের গন্তব্য বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে চলুন জেনে নেওয়া যাক- কী এই স্টারলিংক, আর এর কার্যপদ্ধতিই-বা কী।
স্টারলিংক কী
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ চালু করা প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস, এলএলসি। পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের নামানুসারেই উপগ্রহ ক্লাস্টারের নাম হয়েছে স্টারলিংক। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি এই স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্ব জুড়ে ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক রয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশে।
স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে ৬০টি স্যাটেলাইটের চালুর মাধ্যমে। বর্তমানে এই সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি এবং এগুলো খুব কাছাকাছি কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এই অবস্থানটি প্রায় ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার উপরে। এগুলো পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে (এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও) উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম।
আরো পড়ুন: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এসি চালুর পূর্বে যে সতর্কতা জরুরি
২০২১ সালের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা কেন্দ্রিক এর প্রথম বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় প্রথম জনসাধারণের কাছ থেকে প্রি-অর্ডার নেওয়া হয়েছিলো।
স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা কীভাবে কাজ করে
.
ইন্টারনেট সংযোগের প্রক্রিয়া
শহরাঞ্চলের পাশাপাশি অনুন্নত এলাকাগুলোতেও সমানভাবে কার্যকর স্টারলিংক পরিষেবা। স্টারলিংক গ্রাহকের কম্পিউটার বা অন্য কোনও ডিভাইস থেকে ডাটা রিকোয়েস্ট প্রথমে নিকটতম স্যাটেলাইটে পৌঁছায়। সেই রিকোয়েস্ট পরবর্তীতে প্রেরিত হয় উদ্দিষ্ট গন্তব্যের কাছাকাছি আরেকটি স্যাটেলাইটে। তারপর রিকোয়েস্টটি সেই স্যাটেলাইটের অধীনে থাকা সুনির্দিষ্ট ডাটা সার্ভারে প্রবেশ করে। এরপর কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি নিয়ে একই ভাবে গ্রাহকের কম্পিউটার বা অন্য কোনও মোবাইল ডিভাইসে ফিরে আসে। এভাবে পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
স্যাটেলাইটগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ রক্ষার্থে গেটওয়ে হিসেবে বসানো হয় গ্রাউন্ড স্টেশন। এগুলো উপগ্রহ থেকে ডেটা গ্রহণ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ সুগম রাখে।
আরো পড়ুন: অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই
একটি গ্রাউন্ড স্টেশন সাধারণত ৪ হাজার ৩০৬ বর্গফুট জায়গা জুড়ে প্রশস্ত হয়। এখানে বন্ধনীতে ঘেরা থাকে ৯ দশমিক ৪ ফুট উচ্চতার ৯টি অ্যান্টেনা।
উন্নত প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
স্টারলিংকের প্রদক্ষিণরত উপগ্রহগুলোর অবস্থান আদর্শ জিওস্টেশনারি কক্ষপথের উচ্চতার ১/১০৫ থেকে ১/৩০ অংশের মধ্যে। কক্ষপথটি নন-জিওস্টেশনারি হিসেবে অভিহিত এবং এখানে স্যাটেলাইটগুলো ২৪ গিগা হার্টজ-এর উপরে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করবে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলক ভাবে কাছাকাছি হওয়ায় এই ব্যান্ডে বিস্তৃত কভারেজ পাওয়া যাবে। একই সাথে স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ট স্টেশনের মধ্যকার যোগাযোগটিও হবে অধিক কার্যকর।
পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট যোগাযোগের লেটেন্সি বা বিলম্ব থাকে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ মিলি সেকেন্ড। এই মাত্রা বর্তমান কেবল ও ফাইবার নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক কম। এই গতিতে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অনলাইন গেমিং-এ অভূতপূর্ব রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: ছোটদের বাংলা ভাষা শেখার ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
পিয়ার-টু-পিয়ার প্রোটোকল ব্যবহার করায় স্টারলিংক বর্তমান সময়ের আইপিভি৬ (ইন্টারনেট প্রোটোকল ভার্সন ৬) থেকে অধিক সহজ। এই প্রোটোকল মূলত ইন্টারনেটের আওতায় একত্রে কতগুলো ডিভাইস সংযুক্ত হতে পারবে এবং সেগুলোর মধ্যে তথ্যের লেনদেন কতটুকু নিরাপদ হবে তা নির্দেশ করে। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো নেটিভ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। এই প্রক্রিয়ায় প্রেরকের ডিভাইসে এনক্রিপ্ট করা ডাটা শুধুমাত্র প্রাপকের ডিভাইসে ডিক্রিপ্ট করা হয়। ফলে পরিষেবা প্রদানকারীসহ তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে সেই ডাটা উন্মুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
এই সর্বক্ষেত্রে পিয়ার-টু-পিয়ারের অবস্থান আইপিভি৬-এর ওপরে।
এছাড়া স্টারলিংকের আরও আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে দ্রুতগতির ডাউনলোড। সম্প্রতি ঢাকায় এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় ডাউনলোড গতি ছিলো ২৩০ এমবিপিএস (মেগাবিট্স পার সেকেন্ড) এবং আপলোড ২০ এমবিপিএস।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে টেলিভিশনের ডিশ অ্যান্টেনার মতো একটি যন্ত্র বসাতে হবে। এটি সেই স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যন্ত্রটি ক্রয়ের সময় এর সাথে পুরো একটি টুলকিট দেওয়া হয়। এতে স্টারলিংক অ্যান্টেনা ছাড়াও থাকে স্ট্যান্ড, স্টারলিংক কেবল, জেন থ্রি রাউটার, এসি কেবল এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার। অ্যান্টেনা যে কোনও জায়গায় মাউন্টের জন্য উপযোগী। এমনকি ট্রেনের মতো দ্রুতগামী কোনও বস্তুর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে শর্ত হচ্ছে- আকাশ ও অ্যান্টেনার মাঝে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকা যাবে না।
এই অ্যানটেনার সঙ্গে স্টারলিংকের রাউটারটি যুক্ত করে গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এই টুলকিট এবং গ্রাউন্ড স্টেশন সম্মিলিত ভাবে স্টারলিংককে সম্ভাবনাময় করে তুলেছে। কেননা এতে করে দুর্গম পাহাড় বা জঙ্গলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
এই রাউটারে এক সাথে ২৫৪টি ডিভাইস যুক্ত হতে পারে। অবশ্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫০টির কম ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
ইন্টারনেট পরিষেবার লাইসেন্স
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্টারলিংককে বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলে সেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। সেখানকার জাতীয় টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরেই সেবার বিপণন শুরু হয়।
এর জন্য স্টারলিংক নির্দিষ্ট দেশের সাথে দীর্ঘস্থায়ী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যায়। এই চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকে লাইসেন্সিং-এর সাধারণ সময়সীমা এবং করনীতি।
স্টারলিংক ব্যবহারের নানা ক্ষেত্র
আবাসিক চাহিদার পাশাপাশি করপোরেট ক্লায়েন্টও রয়েছে স্টারলিংকের। ইতোমধ্যে তারা বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সেবা রয়েছে এয়ারলাইনস, জাহাজ, বিনোদনমূলক যানবাহন, ও ট্রাকসহ নানা ধরণের পরিবহনে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
এছাড়া বিভিন্ন দেশের মিলিটারি বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে তারা বিশেষ সেবা দিয়েছে।
১৭ দিন আগে
শিশুদের টিকটক আসক্তি: ঝুঁকি থেকে যেভাবে বাঁচবেন
ডিজিটাল বিনোদনের জগতে এক শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে টিকটক। অতি স্বল্প সময়ের এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি এখন কোটি মানুষের বিস্তর সময় কাটানোর জায়গা। বিশ্ব জুড়ে এই বিপুল গ্রাহকের একটা বড় শ্রেণী হচ্ছে শিশুরা। খুব কম সময়ের মধ্যে শত শত ভিডিও কন্টেন্ট দেখার সুবিধা দীর্ঘক্ষণ যাবত শিশুদের আকর্ষণ ধরে রাখে। এই আসক্তি তাদের মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে, যা বর্তমানে বাবা-মায়েদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। চলুন, শিশুদের এই টিকটক আসক্তির কারণ, এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা যাক।
টিকটকের প্রতি শিশুদের আকৃষ্ট হওয়ার কারণ
কারিগরি দিক থেকে টিকটক এমন ভাবে তৈরি যে, এর ছোট ছোট প্রত্যেকটি ভিডিও ট্যাপ করে না থামানো পর্যন্ত চলতেই থাকে। এক আঙ্গুলে মোবাইল স্ক্রিনে নিচ থেকে ওপরে স্লাইড করে এক ভিডিও থেকে আরেক ভিডিওতে যাওয়া যথেষ্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি। সেই সাথে কন্টেন্টগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ধরে মনোযোগ ধরে রাখে। প্ল্যাটফর্মের শক্তিশালী অ্যাল্গরিদম ইউজারের বিগত দেখা কন্টেন্টগুলো যাচাই করে তার পছন্দ মতো বিষয়গুলো তার সামনে মেলে ধরে। তাছাড়া অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের মতো লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া ভাইরাল কন্টেন্টের সয়লাব তো আছেই।
এই অবিরাম প্রবাহের মাঝে পড়ে যায় শিশুরাও। সৃজনশীল স্বাধীনতায় মোহাবিষ্ট হয়ে কোনও রকম বিবেচনার তোয়াক্কা না করেই নাচ, গান আর গল্প বলাতে উদ্যত হয়। তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তির দৌলতে স্মার্টফোনের ছোট্ট স্ক্রিন জুড়ে শিশুদের জন্য তৈরি হয় রীতিমত এক দূর্ভেদ্য বন্দিশালা।
আরো পড়ুন: ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
টিকটক আসক্তি কেন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর
.
মানসিক সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়
বিভিন্ন বয়সের কন্টেন্ট নির্মাতাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতি উঠে আসে ভিডিওগুলোতে। একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে লাইক ও ফলোয়ার বাড়ানো। সঙ্গত কারণেই কন্টেন্টগুলোতে অগ্রাধিকার পায় জনসাধারণের মাঝে বহুল সমালোচিত বিষয়গুলো। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো অনুকরণপ্রিয় বাচ্চারা এগুলোকে অনুসরণীয় হিসেবে দেখতে শুরু করে।
এই বিপথগামীতা শিশুদের মূল্যবোধকে নষ্ট করে। জীবনের শুরুতেই তারা অভিজ্ঞতা নিতে শুরু করে হতাশা, অপ্রতুলতা, ও আত্মম্ভরীতার মতো অনুভূতিগুলোর। সময়ের সাথে সাথে এগুলো তাদের মন-মেজাজ এবং আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।
উপরন্তু, সারাক্ষণ স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকার কারণে এই শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়। মোট কথা তাদের সমগ্র জগতটাই বিকশিত হতে থাকে এই প্ল্যাটফর্মকে ঘিরেই।
আরো পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
স্বাস্থ্যকর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা
টিকটক স্ক্রলিং চলতে থাকে গভীর রাত অবধি। এতে করে শিশুদের রাতের স্বাস্থ্যকর ঘুম নষ্ট হয়। ফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদনকে দমন করে। ফলে শিশুদের ঘুমিয়ে পড়াটা ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এটি শিশুর সার্কেডিয়ান চক্রকে ব্যাহত করে। এর প্রভাবে শিশুর একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি এবং সংবেদনশীল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে। শিশু খিটখিটে মেজাজ এবং অবসাদগ্রস্ততার দিকে ধাবিত হতে শুরু করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। কোনও ধরণের রোগের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেহের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য এই ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষাগত মানোন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা
অন্যান্য আকর্ষণীয় খেলার মতো এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিও রীতিমত নেশা সৃষ্টি করে শিশুদের মধ্যে। ভিডিও স্ক্রলিং-এর কাছে যাবতীয় কাছ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিক হলো পড়াশোনা বিমুখ হয়ে পড়া।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
নতুন নোটিফিকিশেন আসা মাত্র তা চেক করতে গেলেই চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে করে পড়াশোনার প্রতি মনোন্নিবেশ ক্ষুণ্ন তো হয়ই, সেই সাথে পরবর্তীতে আবার পড়তে বসাতে নিরুৎসাহ কাজ করে। পরিণতিতে দেখা দেয় হোমওয়ার্ক ফেলে রাখা, ক্লাসে অমনোযোগ, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট।
অনুপযুক্ত বিনোদন
টিকটকে ভিডিও প্রদর্শনে বয়সের কোনও সীমারেখা থাকে না। তাই অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে এগুলোর সম্মুখীন হওয়াতে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি থাকে। এমনকি অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও এমন কন্টেন্ট বানাতে দেখা যায়, যা তাদের জন্যই অনুচিত। তাছাড়া টিকটক-এর অ্যাল্গরিদম উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত বিষয়ের সাথে বয়সের সীমারেখার সামঞ্জস্য বিধান করতে সক্ষম নয়।
মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা খ্যাতিমান ব্যবসায়ী বিল গেট্স সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে টিকটক থেকে দূরে রাখার প্রতি জোর দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন এই অনুপযুক্ত কন্টেন্টের ঝুঁকিকে।
আরো পড়ুন: এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
টিকটকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখার উপায়
.
অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা
যে কাজগুলোতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর্যুপরি নাড়াচাড়া হয়, সে কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম। অনলাইন নির্ভর জীবন ব্যবস্থার প্রসারের ফলে কাজগুলো শুধুমাত্র মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের সর্বাঙ্গীন ক্রমবিকাশের জন্য ন্যূনতম কায়িক পরিশ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা দরকার।
বাইরে খোলা আকাশের নিচে ক্রিকেট, ফুটবল বা র্যাকেটের মত খেলাধুলায় যথেষ্ট শ্রম প্রয়োজন হয়। নিদেনপক্ষে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে সবুজ উদ্যানে হাটাহাটি করাটাও শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। মাঝে মধ্যে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহান্তে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে রান্না করা যায়, যেখানে ছোট ছোট কাজে অংশ নেবে শিশুরাও। এছাড়া কবিতা আবৃতি, ছবি আঁকা, বা গান গাওয়ার মতো শখগুলোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা সুস্থ মনস্তত্ত্ব চর্চারই নামান্তর।
ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলা
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সবার হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে থাকাটা বেজায় কঠিন। তাই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য শিশুদেরকে ইন্টারনেটের ক্ষতিকর বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। এই মুক্ত আলোচনা শিশুদের মুক্ত বিবেচনার মাপকাঠি নির্ধারণের জন্যও জরুরি।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
মূলত কৌতূহল ও উদ্দীপনার বিষয়গুলোতে শাসন বা ভয় প্রদর্শন অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে জেদ সৃষ্টি করে। যারা ভয় পেয়ে শান্ত হয়ে যায় তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবে যে তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর কোনও কোনও শিশু ভয় নিয়ে বেড়ে উঠার কারণে নতুন কোনও কিছুকে আলিঙ্গন করার সাহস হারিয়ে ফেলে।
তাই অভিভাবক ও শিক্ষকদের এক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। শুরু থেকেই শিশুদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাটা একটি কার্যকরি উপায়। এতে করে তারা নির্বিঘ্নে যে কোনও কিছু শেয়ার করতে পারে। হঠাৎ করে অনুপযুক্ত কোনও প্রশ্নে বিরূপ মনোভাব ব্যক্ত না করে স্বাভাবিক থেকে সেটা বুঝিয়ে দিলে তা অতিরিক্ত কৌতূহলের দিকে ধাবিত হয় না।
স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করা
উপরোক্ত দুটি পদক্ষেপ গ্রহণের পর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করতে এই প্রযুক্তিগত সুবিধাটি ব্যবহার করা যায়। এখন অ্যাপেল ও অ্যান্ড্রয়েড সহ যে কোনও স্মার্টফোনেই নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোতে দৈনিক স্ক্রিন টাইম লিমিট করার ফিচার রয়েছে। এতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই অ্যাপটি আর ব্যবহার করা যায় না। টিকটকের মতো অ্যাপগুলোতে এই ফিচার নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদেরকে দীর্ঘ সময়ের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা যাবে। শরীর ও মনের সঠিক ক্রমবিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিশুর স্মার্টফোন ব্যবহারে বাবা-মায়ের এই নিয়ন্ত্রণটুকু অতীব জরুরি।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
স্মার্টফোনের ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচার ব্যবহার
ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও ইন্টারনেট ব্রাউজারে প্রাইভেসি ফিচার সক্রিয় করা যায়। এখানে অভিভাবকরা অনুপযুক্ত ওয়েবসাইট ও কন্টেন্টগুলো ফিল্টারের মাধ্যমে প্রাইভেসি সেট করে রাখতে পারে। এই ফিল্টার এমনকি একটি-দুটো শব্দের জন্যও সেট করে রাখা যায়।
ফ্যামিলি পেয়ারিং-এর ফিচারটিতে অভিভাবক তার সন্তানের সাথে টিকটক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে পারেন। ফলে সন্তান কি ধরণের কন্টেন্ট দেখছে তা অভিভাবকও জানতে পারেন। এ সময় অনুপযুক্ত কিছু ধরা পড়লে তারা সেই ভিডিওর জন্য প্রাইভেসি সেট করে দিতে পারেন।
এই পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত নয়। বরং উন্মুক্ত কথোপকথনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হলে শিশুর সুস্থ অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শেষাংশ
টিকটকের চিত্তাকর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও কন্টেন্ট শিশুদের নিমেষেই এর প্রতি আসক্ত করে তোলে। এতে করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়, ঘুমের ব্যাঘাত, শিক্ষাগত অবনতি এবং অনুপযুক্ত বিনোদনের সরণাপন্ন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যা দূরীকরণে গঠনমূলক কৌশর হতে পারে অফলাইন কার্যকলাপ চর্চা করা এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলো বুঝিয়ে বলা। পাশাপাশি স্ক্রীন টাইম লিমিট সেট করা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজারের প্রাইভেসি ফিচারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো শিশুদের সুস্থ ক্রমবিকাশ অব্যাহত রেখে প্রযুক্তির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আরো পড়ুন: লেখকদের সৃজনশীলতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব: ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
৬৬ দিন আগে
মুঠোফোন-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও
মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে এনবিআর ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার(১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ এসডি ও ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়বে। একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।
আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ পড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ, যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবার উপর কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক, গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। এতে নতুন করে কর আদায় করার যে সিদ্ধান্ত, তা হোঁচট খাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মেট্রো রেলের ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ
৯১ দিন আগে
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বিটিআরসিকে প্রস্তাব দিল আইআইজিএবি
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আইআইজি খাত সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের (আইআইজিএবি) পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে গত ২৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যমান বাজারমূল্যের চেয়েও বিভিন্ন স্ল্যাবে দাম কমিয়ে বিটিআরসিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজিএবির প্রস্তাবিত ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে আইএসপিগুলো প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা (বিভিন্ন স্ল্যাবে) কমাতে বা গ্রাহকের কাছ থেকে কম রাখতে পারবে। এতে করে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ কমবে।
জানা গেছে, সরকারও ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৪ নভেম্বর) একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ-উল বারী জানান, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে।
এমদাদ-উল বারী বলেন, ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি সহজ হতে পারে।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ব্যবহারকারী বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সরকারও চাইছে ইন্টারনেটের দাম কমাতে। সরকারের সঙ্গে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজি খাতে ব্যান্ডউইথ (বিভিন্ন স্ল্যাবে) যে মূল্য বিক্রি হচ্ছে সেই দর নির্ধারণ হয়েছে ২০২১ সালে। ৩ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও সেই দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য রিভিউয়ের সময় হয়েছে। মূল্য রিভিউ হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
১৫৮ দিন আগে
ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। এখনই নতুন করে আর কোনো এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স দেওয়া হবে না। টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফ্রেন্ডলিতে যাব।’
এমদাদ উল বারী বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে।’
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল অপারেটররা মাত্র ৩০ শতাংশ টাওয়ারকে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ফলে গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী কমন নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেছে মোবাইল অপারেটররা।
‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধে রাশেদ মেহেদী বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গিয়েছে। এই নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার. রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার্স সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান ও আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
১৬০ দিন আগে
টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা সংস্কারের দাবি মোবাইল ফোন গ্রাহকদের
সেবার মান উন্নয়ন ও গ্রাহক উদ্বেগ নিরসনে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে একটি রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিসিএ)।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএমপিসিএ'র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণপরামর্শ সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মুকুল-ই-ইলাহী চৌধুরী জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভোক্তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে বর্তমান সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘোষণা ১৫ দিন থেকে দুই মাসের মধ্যে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম ও আইসিটি খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: পলক
বিএমপিসিএর উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের অদক্ষতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ধাপে বর্জ্য কমানো গেলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। তিনি এই খাতে প্রতিযোগিতার অভাবের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রতিযোগিতার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে জবাব চেয়েছেন বিএমপিসিএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। গত দেড় মাসে হঠাৎ করে ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের চার্জ কেন বেড়ে গেল কেন? আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ চার্জ ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় লাফিয়ে উঠল কেন?
আহমেদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার, বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটররা যদি সাশ্রয়ী ও আনলিমিটেড ইন্টারনেট ডাটার চাহিদা মেটাতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিএমপিসিএ ইন্টারনেট সেবা বয়কটসহ কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি মোবাইল কল ও ইন্টারনেট ডেটার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য গণশুনানির আহ্বান জানান।
টেলিকম খাতের অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএমপিসিএ'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘টেলিকম মন্ত্রণালয় আগের সরকারের আমলে যেভাবে কাজ করত, সেভাবেই কাজ করছে। আমরা পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
জলাধার রক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ ইবনে রানা ইন্টারনেট ব্যবহারের অপরিহার্য প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে এটিকে পানির সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, পানি ছাড়া যেমন জীবন চলতে পারে না, তেমনি ইন্টারনেট ছাড়া চলতে পারে না। ইন্টারনেট ও মোবাইল কল সেবার মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় কলড্রপ, নিঃশব্দ কল, ইন্টারনেটের ধীরগতি, অর্থ আটকে যাওয়া, হঠাৎ ব্যালেন্স কেটে নেওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নেটওয়ার্ক না থাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার উচ্চ চার্জসহ বিভিন্ন সেবার বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন বিভিন্ন পেশার প্রায় ১৫ জন গ্রাহক। মোবাইল কোম্পানি ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির ও বিএমপিসিএ'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা.আমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
১৯৭ দিন আগে
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ রাতের মধ্যে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালুর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: দেশে ডেটা সেন্টার করতে ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে বাধ্য করা হবে: পলক
মোবাইল ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে শুক্রবার অথবা শনিবার একটি বৈঠক হবে। আগামী রবিবারের (২৮ জুলাই) মধ্যে এই সেবা পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পলক বলেন, এগুলোর ব্যবহার পুনরায় চালু করার বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
একই কথা জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তারা জানায়, আজ রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি; আশা করছি অন্তত ৭৯-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।’
মঙ্গলবার রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাওনা টাকা শিগগিরই আদায় করা হবে: পলক
২৬৩ দিন আগে
রাতের মধ্যে ৭০-৮০% ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হবে: আইএসপিএবি
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে করছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি ৭০-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।’
গতকাল রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বিকেলে বিটিআরসি ভবনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
‘ব্রডব্যান্ড কেবল অপসারণ সময়োপযোগী নয়’
২৬৩ দিন আগে
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে’
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল অপারেটরসহ যেকোনো বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় একটি হোটেলে গ্রামীফোনের ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে পলক বলেন, ‘দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হত। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইডলাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাইয়ের।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা।’
অনুষ্ঠানে জিপিফাই এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, আবুল কাশেম মহিউদ্দি ও মইনুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইটি-আইটিইএস খাতে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে: পলক
কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
২৭২ দিন আগে
ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো রিভিউ করে জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজ চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডাটা প্যাকেজ বেঁধে দেওয়ার পর থেকে গ্রাহকদের মধ্যে একটা অসন্তোষ আছে। এছাড়া বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বসেছিলাম, আমরা রিভিউ করছি। আমি বলেছি একটা রিপোর্ট দিতে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের ডাটা প্যাকেজ তিনটি থেকে বাড়াতে হয় বা অন্য কোনো ছোট প্যাকেজ কাজে লাগে বা মানুষের কাছে প্রিয় হয়, তাহলে গ্রাহকের যেটা প্রিয় বা পছন্দের, সেটাই আমরা যাতে বিবেচনা করি- এটা তাদের বলেছি।’
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকা উদ্বোধন করেন।
এরপর ১৫ অক্টোবর মোবাইল ইন্টারনেটের তিন ধরনের সময়ের মেয়াদে (৩ দিন, ৭ দিন ও ১৫ দিন) প্যাকেজ কার্যকর হয়। এছাড়া ৩০ দিনের প্যাকেজের জায়গায় যথাক্রমে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু করা হয়।
ওই সময় ৩ দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হয়। অসংখ্য প্যাকেজ থেকে সেসময় ৪০টি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
৩ দিনের মেয়াদ তুলে দেওয়ার পক্ষে সেসময় মন্ত্রী বলেন, ‘৩ দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছে।’
নতুন নির্দেশিকায় ৪০টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
২৯৩ দিন আগে