ইন্টারনেট
ঢাকার ইন্টারনেট-স্যাটেলাইট টিভির ঝুলন্ত ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দুর্দশাগ্রস্ত ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভির সংযোগ ক্যাবল মাটির নিচে দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এমনকি ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভি ক্যাবলের অপারেটরদের বিদ্যুৎ ইউটিলিটি বিভাগগুলোর চলমান ভূগর্ভস্থ ক্যাবলিং প্রকল্পে যুক্ত করানোও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তথ্য মতে, তাদের সব ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবি বলেন, ‘ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো ইন্টারনেট বা টিভি কেবল অপারেটর প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের বিনামূল্যে অফারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের আগের কমিটি পুনর্গঠন করে এবং সমাধানের জন্য একটি সভাও আহ্বান করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বৈঠক হয়নি।
পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. সেলিম উল্লাহ খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয়।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র ঝুলন্ত ক্যাবলের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) দায়ী করেছে।
কয়েক দফা বৈঠকের পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিগত কমিটি তাদের সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে অসুবিধা বোধ করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড (এসসিএল) ও ফাইবারঅ্যাটহোম (এফএএইচ) নগরীতে এনটিটিএন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা নগরীতে তাদের প্রধান ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপন করেছে এবং প্রায় ১ হাজার ৭৩৪টি বৈধ এবং প্রায় ৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান স্থানীয় হিসেবে বাসাবাড়ি ও অফিসে ঝুলন্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল নেটওয়ার্ক থেকে বাসাবাড়ি ও অফিসে ইন্টারনেট সেবা নিতে আইএসপিগুলো এসসিএল ও এফএএইচ থেকে সংযোগ নেওয়ার কথা। সম্প্রতি এনটিটিএনের আরেক প্রতিষ্ঠান বাহন লিমিটেডও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলছে, কিন্তু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, আইএসপিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এনটিটিএন’র স্থাপিত লেবেল ডিস্ট্রিবিউশন প্রটোকল (এলডিপি) বা অ্যাকসেস পয়েন্ট (এপি) থেকে সংযোগ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: স্টেকহোল্ডারদের সাড়া না পাওয়ায় সৌর সেচ কর্মসূচিতে ব্যর্থ সরকারের গ্রিড ইন্টিগ্রেশন নির্দেশিকা
অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, কোনো ইন্টারনেট সংযোগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক সমাধান না পাওয়ায় তারা এলডিপি বা এপি থেকে সংযোগ নিতে চায় না।
এছাড়া এনটিটিএনগুলো তাদের এলডিপি ও এপি থেকে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে বলে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে নির্বিচারে সঞ্চালন ক্যাবল ঝুলিয়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে সংযোগ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় কেবল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনই (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ করে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারে।
অবশেষে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটি দেখেছে, এলোমেলোভাবে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট, নিরাপত্তা ও স্যাটেলাইট টিভির তার শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার জন্যই বড় হুমকি নয়, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনে সরকারের পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বাহন লিমিটেডের কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ বলেন, তারা কারিগরি কারণে ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন না, কারণ এটি আইএসপিএনের সঙ্গে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে না।
তিনি বলেন,‘তবে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ক্যাবল মাটির নিচে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিয়ে যেতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শহরকে বিপদমুক্ত করতে সব ওভারহেড ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নিতে চাই। এ ব্যাপারে আইএসপিএবি, এনটিটিএনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশের ৩ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার এলাকা অপটিক্যাল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ছিল মাত্র ৫০ হাজার কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট সাধারণের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ৬০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) নামে একটি ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, 'খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এবং যদি ডিভাইসগুলো পুড়ে যায়, তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি
ততদিন পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর হতে পারে।
কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে এমদাদুল হক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, উই নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। এর ফলে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ব্যান্ডউইথের ৭০-৮০ শতাংশ হারিয়েছি। সারাদেশে ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সেখানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে অনুমান করা যাবে।
তবে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাবো, যত দ্রুত সম্ভব ভবনটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক অথবা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মালামাল স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হোক।
যাতে যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবাটি ঠিক করা যায়, অন্যথায় আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম।
এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে আসামি জাহিদুল। এরপর সে ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে ব্লেকমেইল শুরু করে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৯)। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর আইসিটি আইনের অংশটুকু খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয় (নম্বর-সাইবার ৯/২১)। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধের অংশ সাতক্ষীরা আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য গ্রহণসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের অপরাধের সাজা যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীরা ভয় পাবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
অত্যাবশ্যক পরিষেবা (রক্ষণাবেক্ষণ) বিল-১৯৫২ এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা (দ্বিতীয়) অধ্যাদেশ-১৯৫৮ কে আরও সময়োপযোগী করার জন্য বৃহস্পতিবার সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ উপস্থাপন করা হয়েছে।
ই-কমার্স, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোর পুরনো দুটি আইনকে একীভূত করে ইংরেজি থেকে বাংলায় লেখা হয়েছে বিলটি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বিলটি উত্থাপন করলে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পরে সরকার প্রয়োজনীয় যে কোনো পরিষেবাকে অপরিহার্য ঘোষণা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত খসড়া আইনে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে এমন 'অবৈধ' ধর্মঘটকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জনসাধারণের ক্ষতি করতে পারে এমন পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কারখানা বা অন্যান্য স্থাপনা 'অবৈধভাবে' ছাঁটাই করার অনুমতি ব্যবস্থাপনাকে দেওয়া হবে না।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, নৌ, সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।
সরকার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য যেকোনো সেবার অপরিহার্য অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘোষণার পর ধর্মঘট বা বন্ধের ঘোষণা এবং চাকরিতে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
বিলে আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
শ্রম আইনের সঙ্গে কোনো বৈপরীত্যের ক্ষেত্রে এই আইনটি প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত
ই-সিম চালু করল রবি
স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গ্রাহকদের জন্য ই-সিম চালু করল রবি। রবির ৪.৫জি ই-সিমের মাধ্যমে দেশের সেরা ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
ই-সিম ব্যবহার করে রবির সকল প্রি-পেইড এবং পোস্ট-পেইড গ্রাহকরা সরাসরি তাদের স্মার্টফোন থেকে কাঙ্ক্ষিত রবির পণ্য ও সেবাগুলো সক্রিয় করতে এবং উপভোগ করতে পারবেন।
ই-সিম চালু করতে গ্রাহকদের রবি সার্ভিস সেন্টার অথবা অনলাইনে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
ই-সিম যেহেতু ভার্চুয়াল ধরনের তাই গ্রাহকদের সিম হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আর দুশ্চিন্তা থাকবেনা। পাশাপাশি স্মার্টফোনে সিম কার্ড প্রবেশ করানো এবং খোলার ঝামেলা এড়াতে পারবেন গ্রাহকরা।
শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে একাধিক ই-সিম সংরক্ষণ করতে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। ই-সিমের কিউআর কোড হারিয়ে গেলে যতবার প্রয়োজন তা ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া ই-সিম কাজ করে এমন হ্যান্ডসেট দিয়ে রবি গ্রাহকরা সর্বাধিক সুরক্ষিত এই স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্রাহক পর্যায়ে ব্যবহারের পাশাপাশি মানুষ থেকে মেশিন এবং মেশিন থেকে মেশিনের মধ্যে সর্বোত্তম ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করার ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ই-সিম।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটারের আশেপাশে পাঠানপাড়া, সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, বর্ণালী, নগরভবন এলাকায় কোনো ইন্টারনেট নেই। এমন কি এসব এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাও বন্ধ করে রাখা আছে বলে জানান নেট ব্যবহারকারীরা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হাওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
সমাবেশস্থলে একটি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সজল জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছিল নগরীর মাদরাসা মাঠে। সেখানে ইন্টারনেট নেই। মূল সার্ভার থেকেই বন্ধ করে রাখা আছে। আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ সরকার আমাদের সব কাজেই বাঁধা দিচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধও একটি বাঁধা। আমাদের সমাবেশ যাতে বিপুল পরিমাণে প্রচার না পায় এজন্য তারা ভয়ে বন্ধ করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,ভবিষ্যত বিনোদন হবে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর।
তিনি বলেন, নতুন নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল। সংযুক্ত ও স্বয়ংক্রিয় প্লাটফর্মগুলো হবে বিনোদনের অন্যতম বাহন এবং এগলো বিনোদন খাতকে নিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে।
সোমবার তেজগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে ‘কাজী মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান দীপ্ত টিভি’র ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘দীপ্ত প্লে’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভীষণ যদি না দিতেন এবং সজীব ওয়াজেদ জয় দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তা বস্তবায়ন না করতেন; তাহলে আজ বাংলাদেশে ইন্টারনেট নির্ভর ওটিটি প্লাটফর্মের সুযোগ আমরা পেতাম না।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর এ ধরণের উদ্যোগ দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বাক্ষর বহন করে। এতে ফেসবুক ও নেটফ্লিক্স এর মাধ্যমে যে বিপুল অংকের অর্থ দেশের বাইরে যাচ্ছে তা বাঁচবে। অপসংস্কৃতি থেকেও তরুণদের রক্ষা করা যাবে।
কাজী মিডিয়ার ‘দীপ্ত প্লে’ সব বয়সী দর্শকদের উপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করে ওটিটি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ বচ্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিকাশ এর প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদির, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী এবং জনাব মাজহার চৌধুরী , প্রধান নির্বাহী মিডিয়াকম লিমিটেড এবং এশিয়াটিক মাইনডশেয়ার অজয় কুমার কুণ্ডু।
উল্লেখ্য, গুগল প্লে থেকে DeeptoPlay অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল ফোন বা স্মার্ট টিভিতে দেখা যাবে দীপ্ত প্লে। একই সঙ্গে www.deeptoplay.com ভিজিট করেও ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে যুক্ত হওয়া সম্ভব। দেশে ও দেশের বাইরে থাকা সব বয়সী দর্শক খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে। উপভোগ করতে পারবেন দেশি বিনোদন।
প্রসঙ্গত, দীপ্ত টিভির দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক এবং ডাবিং সিরিয়ালগুলো দর্শক এই প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন যখন- তখন, ইচ্ছেমতন সময়ে। অ্যানিমেশন ফিল্ম, ডকুমেন্টারিসহ নানা ধরনের টিভি শো। প্রায় ১০০০ এর ওপর কন্টেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা দীপ্ত প্লেতে দর্শকের সময় ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু কন্টেন্ট ফুরাবে না; এখানে প্রতিদিনই যুক্ত হতে থাকবে নতুন নতুন কন্টেন্ট। মাসিক ও বাৎসরিক সাবক্রিপশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলো টিভি'র আগেই উপভোগ করার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর আগে শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা জানান, সকাল থেকে তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশের প্রেস উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবি সিদ্দিক মিঠু বলেন, সরকার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হবে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও বাস ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও অনুসারী দলটির সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি সকাল ১১টায় জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে কমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৫ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
আ.লীগকে জবাব দিতে প্রস্তুত বিএনপি