বিনামূল্যে
কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যে অপারেশন করতে দেশের বাইরে গেলে লাগত এক কোটি টাকা, বাংলাদেশে সেটি করা হয়েছে বিনামূল্যে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের দশম তলায় নাভা ও নোভা নামের দুই শিশুর জোড়া মাথার সফল অস্ত্রোপচার শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতি বছর মেডিকেলের পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি। যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে। আজ বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মাথা আলাদা করার অপারেশন সাকসেসফুল (সফল) হলো। এটি সাধারণ কোনো কাজ নয়।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের অভিজ্ঞ বড় একটি চিকিৎসক টিম একটানা ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় অপারেশন করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হতো।
বাংলাদেশে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ফান্ডিং বৃদ্ধি করার বিষয়ে গ্লোবাল ফান্ড প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে অনেক কাজ করার রয়েছে।
এগুলোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বার্ন বা পোড়া অনেক রোগীর নানাবিধ চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলের সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য সেবাখাতে অর্থায়ন বাড়ালে এসব রোগ বাংলাদেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই যেমন নির্মূল করা সম্ভব হবে, একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের মানও বেড়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, নাভা-নোভার মাসহ অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
মন্ত্রণালয়গুলো সারা দেশে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ নতুন পাঠ্যবই বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
পাঠ্যবইগুলো ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ৪৬৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩টি বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করেছে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্রেইল বই বিতরণের পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি সংস্করণের বই বিতরণ করে আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
১১ মাস আগে
হাজারীবাগে ২০৩ জনকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবাদান
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প-২য়, ডিএসসিসি, পিএ-৩ এর নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে দিনব্যাপী বিভিন্ন বয়সী মোট ২০৩ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওষুধ বিতরণ, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার (র.) ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের মাসব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নগর মাতৃসদনের শিশু-বিশেষজ্ঞ মোস্তাকিম আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল শনিবার হাজারীবাগের নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
এর আগে স্বাস্থ্য ক্যাম্পটি উদ্বোধন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি প্রফেসর ড. কাজী শরীফুল আলম।
তিনি বলেন, ‘হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) মূলত বৈষম্যহীন সমাজেরই স্বপ্ন দেখতেন, তিনি সবসময় দরিদ্র-নিপীড়িত মানুষকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের সাধনা করেছেন।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহফিদা দীনা রূবাইয়া ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক ডা. নায়লা পারভীন।
ক্যাম্পটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ক্লিনিক ম্যানেজার ডা. ইশরাত শারমিন।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ২২ হাজারের বেশি পরিবার অবশেষে তাদের নিজস্ব বাড়ি এবং জমি পাবে।
তাদের একজন দিনমজুর মোহাম্মদ কাশেম শেখ ৬৫ বছর বয়সে এসে বাড়ি পেয়ে আনন্দিত।
পাবনা জেলার সুজানগরে সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া তার আধা-পাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অন্যের বাড়িতে থাকতাম। নিজের জমিতে নিজের বাড়ি করার কথা কখনো ভাবিনি। আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
তিনি বলেছিলেন যে তার পরিবার আর নির্ঘুম রাতগুলো নিয়ে চিন্তা করবে না যে তারা অন্যের ভাঙ্গা বাড়িতে কাটিয়েছে।
তিনি বলেন,‘আগামীকাল থেকে ঘুমাতে আমার কোন অস্বস্তি হবে না।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২২ হাজার ১০৫ পরিবারকে বাড়ি ও জমির মালিকানার নথিপত্র প্রদান করবেন।
এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলা এবং ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মধ্যে আধা-পাকা ঘর বিতরণের উদ্বোধন করবেন এবং এই ঘোষণা দেবেন।
এর মাধ্যমে দেশের মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা হবে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত পরিবার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি এবং দুই দশমিক দুই শতাংশ জমির মালিকানার দলিল পরিবারের হাতে তুলে দেবেন। তিনি বলেন, ওই দিন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হবে।
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় মোট ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারকে বাড়ি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনকে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫ জনের (৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারের) পুনর্বাসন করেছেন (১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত)।
প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনকে ঘর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বিশ্বে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত কারণ ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে এমন অন্য কোনো কর্মসূচি নেই।’
আরও পড়ুন: জনগণই আ. লীগের প্রভু, আর কেউ নয়: বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী
তোফাজ্জেল বলেন, শুধু বাড়ি-জমিই দেওয়া হয় না, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদের জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। ‘সুতরাং, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বড় (পুনর্বাসন) কর্মসূচি নেই। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য।’
তিনি বলেন, ভূমিহীনদের বাড়িঘর প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ফলে চরম দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
এর আগে শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষ থেকে পাঁচ দফায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর করেন।
বুধবার ষষ্ঠ পর্যায়ে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন।
তিনটি স্থান হলো খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থান, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প স্থান এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থান।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।
অন্য উপজেলাগুলো হলো ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও সদর; নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা; নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও সদর; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দা; বগুড়ার গাবতলী, আদমদীঘি ও সদর; নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও সদর; পাবনার চাটমোহর, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর; ঝিনাইদহ সদর; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও সদর; যশোরের যশোর সদর; কুষ্টিয়ার খোকসা; খুলনার দিঘলিয়া; নড়াইলের কালিয়া; পিরোজপুরে পিরোজপুর সদর; ঝালকাঠি সদর; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা; বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী; সিলেটের বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী; হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর; এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় পঞ্চগড়, মাগুরা, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার ৯টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার
১ বছর আগে
কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন সরবরাহ করবে।
বুধবার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধের তালিকায় ইনসুলিন অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা বিনামূল্যে ইনসুলিন দেব, যাতে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বস্তি পান।’
বর্তমানে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
এই স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে ছিলেন কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের সভাপতি নরহাইজাম বিনতি মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌফিক বিন ইসমাইল এবং স্নাতকদের মধ্যে এনামুল হক তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ সেশনে অসামান্য ফলাফলের জন্য ২১০ জন নার্সের মাঝে সনদপত্র এবং ছয়জন স্নাতক নার্সের হাতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে কলেজটির ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের ওয়েবসাইট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও মেডিকেল জার্নালেরও উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মো নূরুল হক প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেপিজে ঢাকা জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্সের একটি সংখ্যা হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: এই সংকটময় সময়ে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি খরচে ছয় জেলার ১৫ লাখ পরিবার বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই সেবা পাওয়া যাবে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করেই এই সেবা দেয়া হবে। একটি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারকে তালিকায় নেয়া হয়েছে।
এখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যেও জোর দিচ্ছি। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে।
চতুর্থ ডোজ করোনা টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চতুর্থ ডোজ যেটি দেয়া হচ্ছে, তার কোনোটিই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ যাতে গুজবে কান না দেয়।
নিপাহ ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন নতুন কোনো রোগী শনাক্ত না হওয়ায় ভাইরাসটি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিচ্ছি। এছাড়া স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি বুকলেট তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে। কিভাবে ছোট ছেলেমেয়েরা সুস্থ্য থাকবে, কি খাওয়া উচিত এ ধরনের সব বিষয়ে সেখানে রয়েছে।
হজযাত্রীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক লাখের বেশি লোক হজে যান। তাদের যে ওষুধ লাগে, সেগুলো অনেক সময় সেখানে পাওয়া যায় না। আমরা সেগুলোর বিষয়ে ভাবছি। হজ পালনের সময় তারা কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনা জানিয়ে একটি স্বাস্থ্যবিধি বই আকারে তৈরি করে তাদের দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে সরকার
দেশে করোনা পরিস্থিতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কারণে দেশের অপেক্ষাকৃত স্বল্প আয়ের মানুষেরা বিনামূল্যে পুরো জুলাই মাস জুড়ে করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, বেশি করোনা পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এই তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এবং অধিখ করোনা পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
পুরো জুলাই মাস জুড়ে দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
এদিকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় বৃহস্পতিবার দেশে ১৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে, যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আরও ৮ হাজার ৩০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: সিলেটে হাসপাতালে শয্যা সংকট, খালি নেই আইসিইউ
এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভাইরাসে একদিনে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৮২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
বিনামূল্যে শিক্ষাবিষয়ক কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ দিবে বাংলালিংক ও টিউটরসিঙ্ক
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষাবিষয়ক ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিউটরসিঙ্কের সাথে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
৪ বছর আগে
কোভিড-১৯: ভুল তথ্য ঠেকাতে ভাইবার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ উদ্যোগ
করোনাভাইরাস নিয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভুল সংবাদ ও মিথ্যা তথ্য ঠেকাতে যৌথভাবে কাজ করছে রাকুতেন ভাইবার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
৪ বছর আগে