বিনিয়োগ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম বলেন, গত ৫০ বছরে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছর এবং এরপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) “মহান শহীদ দিবস” ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্কট উরবম বলেন, মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়েই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের হৃদয়েও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেইসব বীরের মহান আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলা ভাষা রক্ষায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলা পৃথিবীতে অন্যতম সর্বাধিক উচ্চারিত ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রভাব ও গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী সব ভাষাবীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দিনব্যাপী এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির ‘বাতিঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার উপযুক্ত কূটনৈতিক মাধ্যম হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস পরিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত, নেপাল, জাপান ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা এবং একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই গৌরবোজ্জ্বল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম অংশ নেন।
রাত ১২ টা ০১ মিনিটে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ‘প্রভাত ফেরি’ বের করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, তথ্যচিত্র প্রর্দশন এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকনোমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নূর।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করে পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক ও সৌদি আরব।
তিনি বলেন, দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করিনি, করবও না। ডিজিটাল সিস্টেমে মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ব আমরা।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিএআর এবং ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা তিন চার বছরেই সমাধান হয়েছে-এটা বড় প্রাপ্তি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে দুইটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার এটি।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত সময়ে মুনাফা লাভের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। এর জন্য অবকাঠামো দরকার। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং অনেকেই বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি দেশ আমাদের দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আফ্রিকায় কৃষি খাতেও এই সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪টি দেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ ১০ বছর আগে এখানে এসেছিল, দুই-একজন বলেছেন তিনি ১২ বছর আগে এখানে এসেছিলেন আবার ২০২০ সালেও এসেছিলেন।
তারা বলেন, আগের এবং আজকের মধ্যে অনেক পার্থক্য, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে।
বোতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, চেক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মঙ্গোলিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পেরু, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে তাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাত-
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ শক্তি ও বর্জ্য থেকে শক্তি আহরণে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। ১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অভ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
শুল্ক সুবিধা বা ইনসেনটিভ দিয়ে বেসরকারি খাতকে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ দিয়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
কপ২৮ জলবায়ু সম্মলেনে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত দেশগুলো নিজেরা বিনিয়োগ না করে বেসরকারি খাতের উপর দায় চাপাচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাত জলবায়ু সহনশীল খাতে বিনিয়োগে আগহ দেখাচ্ছে না। তাই জলবায়ু খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়াতে শুল্ক সুবিধা বা ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নেগোসিয়েশন টিমের সদস্য ড. রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, কার্বন দূষণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটা হচ্ছে না। সরকারি রাজস্ব বাড়াতে হলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, দূষণের উপর কর ধার্য করতে হবে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য তাদের শুল্ক সুবিধা দিতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বাড়াবে অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টিমের অপর সদস্য ড. আইনুন নিশাত ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হলে বৈশ্বিক নেতাদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনে বিনিয়োগে বাধ্য করতে হবে। ব্যাংকিং খাত এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, কপ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেই বলেছেন, ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো চাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্বন দূষণ কমাতে পারে। এই বিষয় এবার জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর দেশগুলো জোরেশোরে তুলে এনেছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল যাত্রা শুরু করেছে। কিন্তু জলবায়ু খাতে অর্থায়ন পাওয়ার চ্যালেঞ্জ আরও বড় হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর হওয়ার পর সম্মেলনের সবচেয়ে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। ফলে আশা করা হয়েছিল, সম্মেলনের অন্যান্য কাজগুলোও সহজ হয়ে যাবে।
কিন্তু কার্বন নির্গমন কমানো এবং উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের আলোচনায় এসে এই আলোচনা বাধার সম্মুখীন হয়। বরং কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সম্মেলন সভাপতির একটি বক্তব্য ঘিরে আলোচনা আরও জটিল আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের ক্ষয়ক্ষতি সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে কমপক্ষে আরও আট মাস সময় দরকার হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ।
তিনি বলেন, আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই শুরু থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
এদিকে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. মনজুরুল হান্নান খান ইউএনবিকে বলেছেন, কপ-২৮ এখন পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বরং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন দূষণ কমিয়ে আরও বেশি সময় ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পক্ষে কপ প্রেসিডেন্টসহ জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশগুলোর অবস্থান আরও জোরালো হয়েছে।
তিনি আরও বরেন, এর মাঝে হয়তো ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুন ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার দ্বিগুন করার লক্ষ্য নেওয়া হলেও তা অর্জিত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি একুশ শতকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ধরে রাখা যাবে এমনটি আর বিশ্বাস হচ্ছে না।
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। ১৩ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
কপ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সব শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন এবং নিজ দেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা দিতে ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্তপূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কীভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কীভাবে দেশের জনগণ কাজ করবে, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, এর সবকিছুর পরিকল্পনায় রয়েছে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সীমানা আমাদের আলাদা পরিচয় দিতে পারলেও আকাশ, পানি, সমুদ্র, জলবায়ু আমরা আলাদা করতে পারি না। এজন্য সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত, অনুন্নত, দরিদ্র দেশসমূহের প্রতি বিশ্বব্যাংক, এফএও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা অনুন্নত, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং যারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাদের জন্যও আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত কৃষি খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারপরও এ মুহূর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান-পরবর্তী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে এবং কৃষিখাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার (৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩ দশমিক২ বিলিয়ন ডলার)। আর বাকি অর্থের জোগান দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো।
মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগসুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষিখাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ডস্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা আমাদের দুর্বলতা: কৃষিমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: কৃষিমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ পলকের
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণও জানান মন্ত্রী।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হোটেল তাজ ওয়েস্ট এন্ডে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের ফোরাম জি-২০ সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিমন্ত্রী পল স্কুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পলক।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
এসময় তারা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্যাশলেস ইকোনমি, স্টার্টআপ বিনিময়, বিটুবি ম্যাচমেকিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সবার উপকারে আসে এমন একটি ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করার জন্য তারা একমত পোষণ করেন তারা।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী জোসেফাইন টিও, নেদারল্যান্ডের ইন্টেরিয়র অ্যান্ড কিংডম বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রা কার্লা ভ্যান হাফেলেন, ইউএনডিপি-এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উলরিকা মোদেরসহ জি-২০ এবং অতিথি দেশসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জি-২০ হচ্ছে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম। ১৯টি দেশ এবং ইইউ নিয়ে গঠিত ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম এটি।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান পলকের
পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পারস্পরিক সুবিধার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য (এফডিআই) প্রত্যাশা করেছেন।
বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়া ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, বাইসাইকেল ইত্যাদি আমদানির জন্য একটি উৎস দেশ হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। যা আরো ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলবে।
বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন এবং পাঁচ সদস্যের সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় স্থায়ী সচিব (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) এবং স্থায়ী সচিব (আইন মন্ত্রণালয়) লুক গোহ।
উভয় পক্ষ প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় এফটিএ-এর পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে তার কাঙ্ক্ষিত স্তরে উন্নীত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি সই হওয়া সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) এর অধীনে গঠিত বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের নিয়মিত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর পারস্পরিক সুবিধার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার বর্তমান গতিতে আরও গতি যোগ করার লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এবং বিদ্যমান পরিপূরকগুলোকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আট বছরেরও বেশি সময় বিরতির পরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সংযোগ, সমুদ্র অর্থনীতি, হালাল বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি, সক্ষমতা উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কৃষি, আইসিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলো ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে এফওসি।
উভয় পক্ষ চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে আরও উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব উল্লেখ করেছে। উভয় পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে এফওসি সামনের দিনগুলোতে এটিকে আরও সহযোগিতামূলক, উল্লেখযোগ্য এবং অর্থবহ করার জন্য বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে আরও জোরালো ও গতি আনতে সাহায্য করবে।
উভয় পক্ষ এফওসি এবং অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়া চলাকালীন গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোতে পর্যাপ্ত ফলোআপের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
দুই পক্ষই কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষি গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
উভয় পক্ষই প্রশংসা করেছে যে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে ওয়েল্ডার, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, নিরাপত্তা কর্মী, উদ্যানপালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কৃষিকর্মী, গৃহকর্মী ইত্যাদি খাতে কর্মী পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর থেকে বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন সম্ভব করার জন্য দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য সিঙ্গাপুরকে অনুরোধ করেন।
তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো, সফররত সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের পক্ষে, জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়াও বনানীর কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে জাপান বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ ছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, জাপান সরকার এ অগ্রযাত্রায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সফররত জাপানের অর্থনীতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, জাপান দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে পাশে আছে। তারা আমাদের দেশের অনেক বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত অনুসন্ধানের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান-বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) কাজ চলমান। ইতোমধ্যে জাপানে এসংক্রান্ত প্রথম রাউন্ড আলোচনা হয়েছে এবং আগামী ২৫-২৬ জুলাই ঢাকায় দ্বিতীয় রাউন্ড আলোচনা হবে। খুব শিগগিরই এই চুক্তি সম্পাদিত করার বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) মাধ্যমে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের সমস্যা সমাধান করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা হবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প খাতে উৎপাদন বাড়বে এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাপানের মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুবিথধার কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। ফ্রান্সের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীরা এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ- সুবিধা দিচ্ছে।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ওইসিডি আয়োজিত ‘প্রমোটিং এন্ড ইনাব্লিং রিসপনসিবল বিজনেস কনডাক্টর ইন দ্য গ্লোবাল ইকনোমিক’- শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল মিটিং এ যোগদান করে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ফ্রান্সের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে টিপু মুনশী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, লেদার, মেডিকেল পণ্য, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, এর অনেকগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলোতেও বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ফ্রান্সে অবস্থিত বিজনেজ কমিউনিটি আয়োজিত অপর এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে এবং ফ্রান্সে অবস্থিত সকল প্রবাসীকে রেমিটেন্স প্রোপার চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোন জটিলতা সরকার গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করবে। এসময় ইউরো-বাংলা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরির ফরেন অ্যান্ড ট্রেড মিনিস্টার পিটার এসজিজার্টো এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরিতে পড়া লেখার জন্য বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা সহজ করার আহ্বান জানান। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ডাবল ট্যাক্সেশন পরিহারে চুক্তি সইয়ের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মিটিং এ বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্য দু'জন হলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম, এমপি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় মার্কেট বেজ ইকনোমিক প্রিন্সিপাল, ওপেন, ফ্রি, ফেয়ার, রুলবেজ, মাল্টিলেটারেল ট্রেডিং সিস্টেম এবং সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়ে।
উল্লেখ্য, দু'দিনব্যাপী এ মিটিং এ ২৫টি দেশের মন্ত্রী, ইউএন বডি, ইইউ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী