ভাঙ্গা
ভাঙ্গায় বাস উল্টে নিহত ৩, আহত ১০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার সদরদী বাবনা তলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন- পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পানদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম সুরুজ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু
খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু জাফর জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী ইমরান ট্রাভেলস নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। বাসটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা আটকা পড়ে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ যাত্রী। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সাঈদ বলেন, বাসটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন যাত্রী আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অপর দুইজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ভাঙ্গায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫
পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
জানা যায়, ছোট খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর দুইটি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
ওই ঘটনায় কাওছার মাতুব্বরসহ তার দলের ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন জলিল মাতুব্বর। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন কাওছার মাতুব্বরসহ আসামিরা। সম্প্রতি জামিনে বের হন কাওছার মাতুব্বরসহ অন্যরা।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন কাওছার মাতুব্বরের সমর্থক পান্নাল মাতুব্বরকে মারতে এলে তখন কাওছার মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
তিনি আরও জানান, দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ মালো (২১) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মাঝিকান্দি গ্রামের স্বপন মালোর ছেলে। সৌরভ নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি ১ম বর্ষে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি জেলা শহরের হাজী শরিয়তুল্লাহ মাছ বাজারের আড়তে পার্টটাইম মুহুরির কাজ করতেন।
নিহত সৌরভ মালোর মামাতো ভাই সুজন মালো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাসে করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয় সৌরভ। যাত্রাপথে তার মায়ের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথা হয়। বিকাল ৫টার পরে ভাঙ্গা নেমে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সৌরভ।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় তাকে শহরে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসতে বলে তার মা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি সৌরভকে। পরে পরিবারের লোকজন সৌরভকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভাঙ্গা থানায় জানিয়ে রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
সুজন মালো বলেন, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের নিচে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জানালে গিয়ে দেখা যায় সৌরভের লাশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের নিচে পাথরের ব্লকের উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহালে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুড়েছে শ্রমিক কলোনির ১৬ কক্ষ
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণের ৪ মাস পর ঢাকা থেকে উদ্ধার, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
ফরিদপু্রের ভাঙ্গায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ৪ মাস পর ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ঢাকার রুপনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
অপহৃত স্কুলছাত্রী ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হামিরদী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সজিব শেখ (২০)। একই এলাকার সরোয়ার শেখের ছেলে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (এসআই) কবির জানান, ৬ জুন বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে সজিবসহ তার সহযোগীরা স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সজিব শেখকে প্রধান আসামি করে ভাঙ্গা থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা করেন।
এসআই কবির বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৪ মাস যাবত বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার রূপনগর থানা এলাকা থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সজিব শেখকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, অপহৃত স্কুলছাত্রী ও সজীব থানা হেফাজতে রয়েছে। শনিবার স্কুল ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সজীব শেখকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রধান সড়কটি ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুর ২টায় ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মহামারি শেষে উৎসবমুখর ঈদ
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকায় দুই লাখ মানুষের সমাগমের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান সামনে রেখে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরে চার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাত হোসেন বলেন, সমাবেশস্থল ও রেলওয়ে জংশন এলাকায় কৌশলগতভাবে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ ও বিশেষ সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল দেবে র্যাবের টিম। এ ছাড়া রেলজংশন এলাকা, সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা উজ্জ্বল রঙিন করে সাজানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়কগুলো ব্যানার ও সাজসজ্জায় ঢেকে রাখা হয়েছে।
নেতাদের মুখ ও উন্নয়নের ছবি সম্বলিত বড় ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন মোড়, দেয়াল এমনকি গাছেও পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার সফলতা নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য জনসভা স্থল এবং আশেপাশের এলাকায় দুই লক্ষেরও বেশি লোককে জড়ো করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
পরীক্ষামূলক চলাচল: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছেছে ট্রেন
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রায় ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ পাড়ি দিতে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ এই ট্রেনটির।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। ট্রেনটি কেরাণীগঞ্জ এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে, নিমতলা স্টেশনে বেলা ১১টা ১ মিনিটে, শ্রীনগর স্টেশনে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে, মাওয়া স্টেশনে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে পৌঁছায়। সেখান থেকে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে পদ্মা সেতুতে উঠে, ৭ মিনিট পর বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে ট্রেনটি সেতু থেকে নামে। এরপর ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায় দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে।
পরীক্ষামূলক যাত্রার প্রথম এই ট্রেনটি চালিয়েছেন লোকোমাস্টার হিসেবে এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে এম এ হোসেন। আর গার্ড হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করেছেন আনোয়ার হোসেন।পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে পর্যবেক্ষণ করেছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং রেলওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন।
ফরিদপুরে বাসচাপায় প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের ফরিদপুরে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ ভাই হলেন- মেহেরপুর সদর থানার নতুন দরবেশপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৯) ও তার ছোট ভাই হামিম (১৪)।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাসচাপায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল জানায়, দুপুরে ট্রেনে দুই ভাই ভাঙ্গা রেল স্টেশনে নেমে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভারের হাইওয়ে এক্সপ্রেস পার হচ্ছিলেন। সে সময় ঢাকাগামী ইলিশ পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬০৫৭) দুই ভাইকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সে সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে বাসটি ফেলেই চালক পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, পুলিশ বাসটি জব্দ করে লাশ দুইটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ পথচারী নিহত
ভাঙ্গায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাত এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞাত যুবকের এখন পর্যন্ত পরিচয় জানা যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গার পুকুরিয়ার নাজিরপুর এলাকার খাইরুল মীর নামে এক ব্যক্তির ছেলে রিতাজ মীরকে (০৮) অজ্ঞাত ছেলেধরা এক যুবক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন গণধোলাই ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ওই যুবককে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভূইয়া এ বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছেলেধরা সন্দেহ তাকে গণধোলাইয়ের পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ভাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত কিবরিয়া ফকির (৫৫)ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর সদরদী গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত নাঈম ফকির (১৯) নিহতের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৮ টার দিকে বাবা কিবরিয়া ফকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার ছেলে নাঈম ফকির। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ছেলে নাঈম আত্মগোপন করে।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় কুপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত বিচ্ছিন্নের অভিযোগ
শহিদুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প বাবার হত্যাকারী ছেলে নাঈমকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে নাঈমকে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে আনা হয়। এরপর নাঈমকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর নিহত কিবরিয়া ফকিরের ভাই মো. দেলোয়ার ফকির বাদী হয়ে নাঈমকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর থেকেই ছেলে নাঈম পলাতক ছিল। সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব এর একটি দল। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে তাস নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
ভাঙ্গায় তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরসদরের নুরপুর গ্রামে তারেক মাসুদ ও বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে গুণী এই নির্মাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধায় জানায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এর আগে তারেক মাসুদের সমাধিতে তার মা নুরুন্নাহার মাসুদ, স্ত্রী ক্যাথিরিন মাসুদসহ ঢাকা চলচ্চিত্র সভা, এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা, বাংলাদেশ শর্ট ফ্লিম ফোরাম, ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে এ উপলক্ষে আয়োজিক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম কচি, রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রয়াত এ নির্মাতা সস্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন তারেক মাসুদের ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক ঢালী আল মামুন, তারেকের সহধর্মিণী ক্যাথিরিন মাসুদ, শর্ট ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, লেখক মফিজ ইমাম মিলন।
কবি চঞ্চল আশরাফের সঞ্চালনায় এ সময় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী,বাবুল আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুধীন সরকার মঙ্গল, সাইদ মাসুদ প্রমুখ আরও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জুকা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
পড়ুন: তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন: সিআরআই
নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান