বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত অভিযানে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুটি কাঁচাবাজার তদারকি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম।
শনিবার (১১ অক্টোবর) মিরপুর শাহ্আলী সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজার ও শনির আখড়া কাঁচাবাজারে অভিযান চালানো হয়।
এসময় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে এই টিম।
শাহ্আলী সিটি করপোরেশন মার্কেট কাঁচাবাজার তদারকি টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন।
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, ডিম, সবজি ও মুরগির বাজারমূল্য যাচাই করা হয়।
মূল্য তালিকা হালনাগাদ করাসহ সব পণ্য ক্রয়ের ও বিক্রয়ের রশিদ যাচাই করেন টিমের সদস্যরা।
মূল্য তালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো, যথাযথভাবে না লেখা ও সংরক্ষণ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত কয়েক দিনের তুলনায় ডিমের দাম হালি প্রতি ৫ টাকা কমেছে বলে দোকান মালিক ও ভোক্তারা তদারকি টিমকে জানান।
অন্যদিকে রাজধানীর শনির আখড়ার কাঁচাবাজারে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, মুরগি ও চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। এসব পণ্যের হালনাগাদ মূল্য তালিকা টাঙানোর বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।
তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স না থাকা ও মূল্য তালিকা টাঙানো না থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
সিরাজগঞ্জে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
১ মাস আগে
রাজধানীর কাচাঁবাজারে অভিযান, দোকানিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল এবং বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি দল। এসময় এক দোকান মালিককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল। দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার।
এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, আটা, কাঁচা মরিচ, সবজি, মাছ ও মুরগীর বাজারে মূল্য যাচাই করা হয়। টিমের সদস্যরা মূল্য তালিকা টাঙানোসহ পণ্য ক্রয়ের কয়েকদিনের রশিদ পরীক্ষা করেন।
মূল্য তালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো, যথাযথভাবে না লেখা , মূল্য তালিকা হালনাগাদ ও সংরক্ষণ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারমার্কেট, ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
গত কয়েক দিনের তুলনায় ডিম, পিয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে বলে অভিযানে দেখা যায়।
রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ের কাঁচাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়মূল্য যাচাই করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরও একটি দল।
মুরগি, চাল, আলু, পেঁয়াজসহ ও অন্যান্য পণ্যের হালনাগাদকৃত মূল্য তালিকা টাঙাতে বলা হয়।
এ অভিযানের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
অভিযানে এক দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাঁচাবাজার, নেই মনিটরিং
১ মাস আগে
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করব। ঢাকা, চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।'
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া, ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার নুরুল হক ও মোহাম্মদ রবিউল মোর্শেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে আমদানির ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজারে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতারা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
৭ মাস আগে
আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকার ৬টি কোম্পানিকে ১ কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি কোম্পানি ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন পায় এবং প্রতিটি কোম্পানি ১ কোটি ডিম আমদানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির মতে, চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিমের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ ডিমই দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা লিটার, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা, প্রতি লিটার পাম অয়েল ১২৪ টাকা, চিনির (খোলা) দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন ব্যয়ের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে সুপারিশ চেয়েছিল।
বাণিজ্য সচিব ইউএনবিকে বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা এবং মনিটরিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে: মন্ত্রী
১ বছর আগে
চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে খোলা ও প্যাকেট চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খোলা ও প্যাকেট উভয় চিনির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়।
বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন এবং পণ্যমূল্য পর্যালোচনা টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চিনির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকার পরিবর্তে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১১২ টাকার পরিবর্তে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় চিনির দাম বাড়ায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল্য নির্ধারণের পরও বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। বর্তমানে খোলা চিনি প্রতিকেজি ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির কেজিতে আবারও বাড়বে ৫ টাকা, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
১ বছর আগে
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এবারের কোরবানির লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; গত বছর যা ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা; গত বছর যা ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা একই ছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়ায় লবণ দেয়ার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। সামনে একটি জুমার দিন রয়েছে সেদিন যদি চামড়ায় লবন দেয়ার বিষয়টি বলা হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ চামড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৫ থেকে ১৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পড়ুন: মানবজীবনে পবিত্র ঈদুল আযহার শিক্ষা
ঈদ উপলক্ষে ১ লাখ ৩০০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
২ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা কমেছে এবং তা সোমবার (২৭ জুন) থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএ এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ২০৫ টাকা থেকে ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৯৭ টাকা থেকে ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে।
আরও পড়ুন: দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিওআরভিএমএ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সয়াবিনের দাম সমন্বয় করে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়েছে।
তবে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করে বাংলাদেশ। গত ৩০ দিন ধরে দেশটি থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার আর্জেন্টিনায় অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন এক হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার, যা মাত্র এক মাস আগে টন প্রতি ছিল এক হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলার।
অর্থাৎ এক মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
শুধু সয়াবিন তেল নয়, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা এখন কমতে শুরু করেছে। চাল, ভোজ্যতেল, গম, চিনি ও মসুর ডালের দাম কমছে।
২ বছর আগে
ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছিলাম দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে। কিন্তু ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আমার অনুরোধ রাখেনি। তাদের অনুরোধ করা আমরার বড় ভুল হয়েছে।’
সোমবার (০৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তেলের দাম বৃদ্ধি মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ব্যর্থতা ঠিক, কারণ বলেছিলাম রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা ঈদের সাতদিন সেই কথা রাখেনি। আমাদের সব সংস্থাকে বলেছি যে দাম নির্ধারিত আছে সেটি যাতে ঠিক রাখা হয়।
আরও পড়ুন: মধ্য মে থেকে ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
তেল নিয়ে সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেলের সিন্ডিকেটের কোন নমুনা পাইনি। রিটেইলার, ডিলাররা সুযোগটা নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করব রিটেইলার থেকে ডিলার পর্যায়ে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে। লাখ লাখ ডিলারের সিন্ডিকেট করার সুযোগ নেই।
ঈদের আগে বাজারে তেল না পাওয়ার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৬ ফেব্রুয়ারি দাম ফিক্সআপ করেছিলাম। আমাদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা চিটাগাং পোর্টে যে প্রাইজে মাল রিলিজ হয় সে অনুযায়ী দামটি নির্ধারণ হয়। ২০ মার্চ আমরা অনুরোধ করায় সরকার ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করায়, তখন ৮ টাকা দাম কমানো হয়। তখন আমরা রমজান মাসে তেলের দাম না বাড়েত অনুরোধ করায় তারা একমত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মানুষের কথা বিবেচনা করে দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। তাদের বলা হয়েছিল রমজানের পর বসব। যারা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক তথ্য নিয়েছি। কিন্তু পথে ঝামেলা হয়েছে। রিটেইলার ও ডিলার কিন্তু জানত রমজানের পর বেড়ে দাম ফিক্সআপ হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ঈদের কয়দিন আগে থেকে অনেকে তেল ধরে রাখল। কারচুপিটা এখানে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যেন এগুলো না হয় সেটি দেখতে হবে। আমার মনে হচ্ছে তাদের অনুরোধ করা ঠিক হয়নি যে রমজানে তেলের দাম না বাড়ানোর কথাটি বলা, কারণ তাদের যদি একটি দাম বৃদ্ধি করে দিতাম তাহলে এটি হতো না। ভারতে তেলের দাম কতো? তাদের দামও ১০-১২ টাকা বেশি আছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দিলো সরকার
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটর করব। ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে চাই না। মানুষের ক্রাইসিস হলে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। তবে মাঝে অনেকে সুযোগ নিয়েছে, কারণ তারা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে। সেজন্য তারা মজুদ করে রেখেছিল। রিটেইলার অপরাধ করলে সংগঠনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তেলের দাম পরবর্তী সমন্বয় কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগে এক দেড় মাসের মধ্যে বসতাম। যখন তেলের দাম কমানোর সুযোগ থাকবে তখন আমরা আবার বসব।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। কেউ বলছে না গ্লোবাল মার্কেটে তেলের দাম কতো বেড়েছে। দাম বেড়েছে সেটা সত্য, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে সেটাও সত্য। কিন্তু কারণটা জানালে মানুষ বুঝতে পারে। তেলের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ বাইরের প্রতি ডিপেন্ডেন্ড থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: জনগণ পণ্যের ওপর কর কমানোর সুফল পাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা কমলো
ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা কমিয়ে ১৬৮ টাকা থেকে ১৬০ টাকা করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তেল আমদানিকারক ও রিফাইনার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ কথা জানান।
সচিব বলেন, আজকে তেল রিফাইনারি ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার বোতলজাত তেল ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাম ওয়েলের দাম আগামী ২২ তারিখে নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এসএম শফিকুজ্জামান, সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে